ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা ভরদুপুরে প্রশ্ন উত্তর | Class-6 Bangla Questions And Answers Bhardupure - Psycho Principal

Fresh Topics

Thursday, 2 January 2025

ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা ভরদুপুরে প্রশ্ন উত্তর | Class-6 Bangla Questions And Answers Bhardupure

 

ভরদুপুরে
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী




👉(মাদ্রাসা বোর্ড পঞ্চম শ্রেণী বাংলা রাজার বাড়ি প্রশ্ন উত্তর )



শংকর সেনাপতি কবিতার প্রশ্ন উত্তর

👉 ( শংকর সেনাপতি )


⬛ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:


১. ভরদুপুরে লোকজন কী করছে?

উত্তর: ভরদুপুরে লোকজন যে যার ঘরে ঘুমোচ্ছে।


২. বিশ্বপ্রকৃতি কীভাবে ঘুমোচ্ছে?

উত্তর: বিশ্বপ্রকৃতি আঁচল পেতে ঘুমোচ্ছে ।


৩. অশ্বত্থ গাছটিকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে? 

উত্তর: অশ্বত্থ গাছটিকে পথিকজনের ছাতার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।


৪. অশ্বত্থ গাছের তলায় কী পাতা আছে ?

উত্তর: অশ্বত্থ গাছের তলায় ঘাসের গালচে পাতা আছে।


৫. রাখাল ছেলে কোথায় শুয়ে আছে ?

উত্তর: রাখাল ছেলে অশ্বত্থ গাছের নীচে শুয়ে আছে |


৬. মেঘগুলো কী করছে?

উত্তর: মেঘগুলো আকাশটাকে ছুঁয়ে ভেসে যাচ্ছে।


৭. নৌকার খোলে কী রাখা আছে ?

উত্তর: নৌকার খোলে শুকনো খড়ের আঁটি রাখা আছে ।


৮. গোরুবাছুর কী করছে?

উত্তর: গোরুবাছুর দূরে চরে বেড়াচ্ছে।


৯.নৌকার খোলে কী রাখা আছে?

উত্তর: নৌকার খোলে শুকনো খড়ের আঁটি বোঝাই করে রাখা আছে।


১০. বাতাস কী ওড়ায় ?

উত্তর: বাতাস মিছি সাদা ধুলো ওড়ায় ।



⬛ নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও ।


১. নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান কোথায় ?

উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান হল বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা।


২. তাঁর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো ।

উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থ হল নীল নির্জন এবং অন্ধকার বারান্দা।


৩. ‘অশথ গাছ'কে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে কেন ?

উত্তর: পথচলতি মানুষ রোদের হাত থেকে বাঁচতে অশ্বত্থ গাছের ছায়ার তলায় আশ্রয় নেয় বলে,‘অশথ গাছ’-কে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে।


৪. রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে কী দেখছে?

উত্তর: রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে দেখছে যে, মেঘগুলো আকাশ ছুঁয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে ।


৫. নদীর ধারের কোন্ দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে?

উত্তর: নদীর ধারে খড়ের আঁটি বোঝাই একটি নৌকা বাঁধা থাকার দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে।



⬛ নীচের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


 ১. “তলায় ঘাসের গালচেখানি আদর করে পাতা”— 'আদর করে পাতা' কেন বলা হয়েছে ?

উত্তর: অশ্বত্থ গাছের ছায়ায় মাটির ওপরে নরম ঘাস এমনভাবে গজিয়ে উঠেছে, যেন পরম যত্নে কেউ গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে ক্লান্ত পথিককে আপ্যায়ন করার জন্য। তাই বলা হয়েছে, ‘আদর করে পাতা” ।


২. নৌকো কীভাবে ঘাটে বাঁধা রয়েছে?

উত্তর: নৌকোর খোলের মধ্যে প্রচুর খড় আঁটি বেঁধে থরে থরে সাজানো। কিন্তু এই ভরদুপুরবেলায় নৌকোয় কেউ নেই। নৌকোটি যেন একা একাই মালিকানাবিহীন হয়ে নদীর ঘাটে বাঁধা রয়েছে।


৩. “যে জানে, সেই জানে” —বলতে কাদের জানার

কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: প্রকৃতির রূপ বড়ো সুন্দর। সাধারণ চোখে সেই সৌন্দর্য ধরা পড়ে না । সেই অপরূপ সৌন্দর্য অনুভব করার জন্য মনের উদারতা প্রয়োজন, হৃদয়ের কোমলতা প্রয়োজন। দৈনন্দিন জগতের মধ্যে তার রূপকে ধরা যায় না। নিশ্চুপ অলস দুপুরবেলায় ঘুমিয়ে থাকা প্রকৃতির রূপটিও তাই সকলের চোখে ধরা পড়ে না।

 তারা হয়তো চারিদিকের নিস্তব্ধতা দেখে ভাবে, চারপাশের সব মানুষ ঘুমিয়ে রয়েছে। কিন্তু প্রকৃতির সৌন্দর্যের যিনি সার্থক দর্শক, তিনিই একমাত্র অনুভব করতে পারেন যে, প্রকৃতি সত্যিই এখানে ঘুমিয়ে আছে।


⬛ নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো। 


১. “আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমোচ্ছে এইখানে”-কবির এমন ভাবনার কারণ কী ? 

উত্তর:- কবি দেখছেন, এক নিস্তব্ধ দুপুরে চারপাশে অলস মেজাজ তৈরি হয়েছে। পথিকের বিশ্রামের জন্য অশ্বত্থ গাছ তার ছায়া মেলে দিয়েছে। গোরুবাছুর আপন মনে চরে বেড়াচ্ছে, রাখাল ছেলে নিশ্চিন্তে গাছের তলায় ঘাসের ওপরে শুয়ে শুয়ে আকাশ দেখছে। কোনো এক জনমানবহীন নৌকা খড়বোঝাই হয়ে নদীর ঘাটে বাঁধা। মানুষ তো ঘরের ভেতরে বিশ্রাম নিচ্ছেই, বাতাসও যেন ধুলো ওড়াবার খেলা খেলছে। সব মিলিয়ে এই বিশ্বচরাচর জুড়ে এক অদ্ভুত শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাই, চারপাশের এই শান্ত ছবি দেখে কবি বলেছেন, 'আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমোচ্ছে এইখানে।


২. ‘ভরদুপুরে' কবিতায় গ্রামবাংলার এক অলস দুপুরের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। কবিতায় ফুটে ওঠা সেই ছবিটি কেমন লেখো ।

উত্তর: ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় গ্রামবাংলার এক অলস দুপুরের ভারি সুন্দর একটি ছবি ধরা পড়েছে। পথের ধারে দাঁড়িয়ে আছে এক অশ্বত্থ গাছ, তার ডালপালা মেলে সে ছড়িয়ে দিয়েছে ছায়া। নীচে নরম ঘাস আদর করে বিছিয়ে দিয়েছে তার গালচে, ক্লান্ত পথিকের বিশ্রামের জন্য। দূরে গোরুবাছুর চরে বেড়াচ্ছে আপন খেয়ালে।

আর রাখাল ছেলে শুয়ে আছে গাছের তলায়। দেখছে, আকাশের সঙ্গে মেঘেরা কেমন ছোঁয়াছুঁয়ির খেলায় মেতেছে । খোলের মধ্যে বোঝাই করা শুকনো খড়ের আঁটি নির্জন চারপাশকে যেন আরও নিঃসঙ্গ করে তুলেছে। নদীর ধারে ফাঁকা নৌকো খড়বোঝাই হয়ে ঘাটে বাঁধা। চারপাশে আর কেউ নেই, শুধু হালকা হাওয়ায় উড়ে বেড়াচ্ছে মিহি সাদা ধুলোর রাশি। দুপুরে সবাই যে যার ঘরে ঘুমোচ্ছে। বাইরের পৃথিবীতে কোনো কোলাহল বা উচ্চস্বরে বেজে ওঠা কোনো আওয়াজ এই নিস্তরঙ্গতাকে ভেঙে ফেলছে না। ফলে মনে হচ্ছে চারপাশ যেন ঝিমিয়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে, সারা পৃথিবাই যেন এখানে এসে নিশ্চিন্তে আঁচল পেতে ঘুমিয়ে আছে

No comments:

Post a Comment