❐ বন্ধনির মধ্যে ঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (✔) দাওঃ
1. 'অপরূপ প্রতিশোধ' কবিতাটি রচনা করেছেন-
(ক) কাজী নজরুল ইসলাম।
(খ) রাজিয়া খাতুন।
(গ) গোলাম মোস্তাফা।
(ঘ) জসিমউদ্দিন।
উত্তরঃ গোলাম মোস্তাফা।
2. হে আমার প্রিয়।
(ক) সহচর।
(খ) ভক্তবৃন্দ।
(গ) ভক্তগণ।
(ঘ) সদস্যবৃন্দ।
উত্তরঃ ভক্তবৃন্দ।
3. হেনকালে সেথা উটি কহিলেন?
(ক) কপটমতি।
(খ) মুহাম্মদ।
(গ) আক্কাস।
(ঘ) হজরত।
উত্তরঃ আক্কাস।
4. করে থাকি যদি কোনো কোনোদিন কাহারও' পর।
(ক) অন্যায়।
(খ) অবিচার।
(গ) বেনিয়ম।
(গ) অপরাধ।
উত্তরঃ অবিচার।
5. হাসি মুখে কহিলেন, "এযে অপরূপ প্রতিশোধস্থ?
(ক) নূর।
(খ) হজরত।
(গ) নবি।
(ঘ) কবি।
উত্তরঃ নবি।
❐ কবিতা থেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:
1. কাহারও হৃদয়ে লাগেনি ----- একথা সবাই জানে।
উত্তরঃ আঘাত।
2. করে থাকি যদি----- কিছু অন্যায় কিছু ক্রোধ।
উত্তরঃ অপরাধ।
3. হেনকালে সেথা ----- উঠি কহিলেন, "নবিবর,
উত্তরঃ আক্কাস।
4. মিটিল তাহার মনের ----- ঝরিল নয়নে ধারা।
উত্তরঃ বাসনা।
5. গভীর ----- সবারি তখন কন্ঠ হইল রোধ,।
উত্তরঃ পুলকে।
❐ ভুল থাকলে পঙ্ক্তি গুলি শুদ্ধ করে লেখো:
1. সমবেত সবে সেকথা তাঁহার তুলিল না কেহ কানে,।
উত্তরঃ সমবেত জন সেকথা তাঁহার তুলিল না কেহ কানে,।
2. প্রভু মুহাম্মদ যুবকে তখনি পক্ষ দিলেন পাতি।
উত্তরঃ প্রভু মুহাম্মদ যুবকে তখনি পৃষ্ট দিলেন পাতি।
3. তাৰূপার সে তনু হেরি আক্কাস পুলকে আত্মহারা,।
উত্তরঃ সোনার সে তনু হেরি আক্কাস পুলকে আত্মহারা,।
4. গভীর আনন্দে সবারি তখন কন্ঠ হইলরোধ,।
উত্তরঃ গভীর পুলকে সবারি তখন কণ্ঠ হইলরোধ,।
5. কাহারও শরীরে লাগেনি আঘাত একথা সবাই জানে।
উত্তরঃ কাহারও হৃদয়ে লাগেনি আঘাত একথা সবাই জানে।
❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
দু- একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও:
1. কার জীবন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে?
উত্তরঃ হজরত মুহাম্মদ (সঃ) এর জীবন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে।
2. 'নবিবর' কাকে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে 'নবিবর' বলা হয়েছে।
3. আক্কাস প্রভুকে কী বলে ছিলেন?
উত্তরঃ আক্কাস প্রভুকে বলে ছিলেন 'নবিবর' আপনি আমাকে একবার চাবুক দিয়ে মেরেছিলেন।
4. কপট-মতি কে?
উত্তরঃ আক্কাস অর্থাৎ একজন আরবীয় ভক্ত হলেন কপট-মতি।
5. অপরূপ প্রতিশোধ কী ছিল?
উত্তরঃ আক্কাস প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নবিবরের পৃষ্টে চুম্বন দিলেন, এটাই ছিল অপরূপ প্রতিশোধ।
6. যুবককে কে পিট পেতে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ যুবককে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) পিট পেতে দিয়েছিলেন।
7. 'অঙ্গাবরণ' শব্দটির অর্থ কী?
উত্তরঃ 'অঙ্গাবরণ' শব্দটির অর্থ হল পোশাক।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:
1. 'জীবন সন্ধ্যা ঘনায়ে এসেছে', জীবন সন্ধ্যা বলতে কী বোঝাচ্ছে?
উত্তরঃ যখন মৃত্যু শয্যায় শুয়ে থাকে তখন বলা হয় জীবনসন্ধ্যা। এখানে জীবনসন্ধ্যা বলতে জীবনের শেষ প্রান্তকে বোঝাচ্ছে।
2. আমার পৃষ্টে বসন ছিল না' প্রসঙ্গ নির্দেশ করো।
উত্তরঃ হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) মৃত্যু শয্যায় শুয়ে সকল প্রিয় ভক্ত বৃন্দদের ডেকে বলেছিলেন যে আমার আর বেশি সময় নেই। তাই তোমাদের প্রতি যদি কোন্দিন অন্যায়, অবিচার করে থাকি তবে আজই সকলের মাঝে তার প্রতিশোধ জানাও। এমন সময় একজন আরবীয় ভন্ত বললেন যে, নবিবর একদিন আপনি আমাকে চাবুক দিয়ে মেরে ছিলেন। তখন আক্কাসের গায়ে কোনো বস্ত্র ছিল না। তাই আক্কাস যখন নবিবরের কাছে প্রতিশোধ নিতে যাবেন তখন একথা বলেছিল।
3. 'মিটিল তাহার মনের বাসনা' কে কীভাবে মনের বাসনা মিটিয়ে ছিলেন?
উত্তরঃ প্রভু হজরত মহাম্মদ (সাঃ) মৃত্যু শয্যায় শুয়ে তাঁর প্রিয় ভক্তদের ডেকে বলেছিলেন যে, যদি তিনি তাদের প্রতি কোনো অন্যায়, অবিচার করে থাকেন তবে আজই তোমরা তার প্রতিশোধ নাও। এমন সময় আক্কাস বলে উঠলেন যে, তিনি একদিন তাকে চাবুক দিয়ে মেরেছিলেন। একথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে মহাম্মদ (সাঃ) নিজের পিঠ এগিয়ে দিলেন। তখন আক্কাস বলে উঠেছিলেন যে তখন তাঁর পৃষ্ঠে কোন্ বস্ত্র ছিল না। শুনে মহাম্মদ (সাঃ) মৃদু মধুর স্বরে বললেন তাই হোক, বলেই গায়ের আবরণ দূরে ফেলে দিয়ে ছিলেন। এরপর আক্কাস মহম্মদের (সাঃ) সোনার দেহ দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে ছিলেন। এইভাবেই কপট-মতি তাঁর মনের বাসনা মিটিয়ে ছিলেন এবং তার চোখ দিয়ে অঝরে জল ঝরেছিল। তারপর আক্কাস মাথা নত করে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) দিয়ে এগিয়ে যায় এবং প্রতিশোধ নেবার জন্য নবিবরের পিটে চুম্বন করলেন। গভীর আনন্দে সবার কন্ঠ তখন বন্ধ হয়ে গেল। এরপর নবি হাসি মুখে বলে ছিলেন, 'এ যে অপরূপ প্রতিশোধ'।
4. 'এ যে অপৰূপ প্রতিশোধ' - প্রতিশোধটি কীরূপ ছিল?
উত্তরঃ আক্কাস অদ্ভুত প্রতিশোধ নিয়ে মনের বাসনা পু রণ করলেন। নবিবর যখন মৃত্যুশয্যায় তখন সকলের কাছে ক্ষমা চাইলেন, আক্কাস তখন প্রতিশোধ নিতে চাইল। নবিবর তাকে একবার কোড়া দিয়ে মেরেছিলেন তারই প্রতিশোদ নিতে গিয়ে নবিবরের পিঠে চুম্বন করলেন। এ এক অপরূপ প্রতিশোধ।
5. প্রভু মুহাম্মদ মৃত্যুশয়নে সকলকে ডেকে কী বললেন?
উত্তরঃ প্রভু মুহাম্মদ (সাঃ) মৃত্যু শয্যায় শুয়ে সকল প্রিয় ভক্তবৃন্দদের ডেকে বলেছিলেন যে আমার আর বেশি সময় নেই। তাই তোমাদের প্রতি যদি কোন্ অন্যায়, অবিচার করে থাকি তবে আজই সকলের মাঝে তার প্রতিশোধ নাও।
6. আক্কাস কাকে কী বললেন?
উত্তরঃ আক্কাস নবী সাহেবকে বললেন যে, তিনি একদিন তাঁকে চাবুক দিয়ে মেরে ছিলেন। মহান নবী একথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পিঠ এগিয়ে দিয়েছিলেন প্রতিশোধ নেবার জন্য।
7. আক্কাসের কথা শুনে মুহাম্মদ (সাঃ) কী করলেন?
উত্তরঃ আক্কাসের কথা শুনে মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর নিজের পিঠ এগিয়ে দিয়েছিলেন যাতে আক্কাস প্রতিশোধ নিতে পারে। তখন আক্কাস বললেন হে নবী আপনি যখন আমাকে চাবুক দিয়ে মেরেছিলেন তখন আমার দেহে কোনো পোশাক ছিল না। সেই সময় মহান বিশ্বনবি মৃদুমধুর স্বরে বললেন, 'তাই হোক' বলেই গায়ের বস্তু দূরে ফেলে দিয়েদিলেন।
8. আক্কাসের 'নয়নে ধারা' রিল কেন?
উত্তরঃ বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদের (সাঃ) সোনার দেহ দেখে আক্কাস আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলেন। তাঁর মনের ইচ্ছা ছিল নবী সাহেবের পিঠের উপর থাকা নূরটি দর্শন করা। তাই দেখে আক্কাসের চোখে জল ঝরতে লাগিল। এরপর আক্কাস মাথা নত করে নবিবরের দিকে এগিয়ে যায় এবং সেই পিঠে অবস্থিত নূরটি চুম্বন করে কাঁদতে লাগলেন।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি:
1. কবি গোলাম মোস্তাফা রচিত 'অপরূপ প্রতিশোধ' কবিতাটির বিষয়বস্তু নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ প্রভু হজরত মহাম্মদ (সাঃ) মৃত্যু শয্যায় শুয়ে তাঁর প্রিয় ভক্তদের ডেকে বলেছিলেন যে, যদি তিনি তাদের প্রতি কোনো অন্যায়, অবিচার করে থাকেন তবে আজই তোমরা তার প্রতিশোধ নাও। এমন সময় আক্কাস বলে উঠলেন যে, তিনি একদিন তাকে চাবুক দিয়ে মেরেছিলেন। একথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে মহাম্মদ (সাঃ) নিজের পিঠ এগিয়ে দিলেন। তখন আক্কাস বলে উঠেছিলেন যে তখন তাঁর পৃষ্ঠে কোন্ বস্ত্র ছিল না। শুনে মহাম্মদ (সাঃ) মৃদু মধুর স্বরে বললেন তাই হোক, বলেই গায়ের আবরণ দূরে ফেলে দিয়ে ছিলেন। এরপর আক্কাস মহম্মদের (সাঃ) সোনার দেহ দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে ছিলেন। এইভাবেই কপট-মতি তাঁর মনের বাসনা মিটিয়ে ছিলেন এবং তার চোখ দিয়ে অঝরে জল ঝরেছিল। তারপর আক্কাস মাথা নত করে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) দিয়ে এগিয়ে যায় এবং প্রতিশোধ নেবার জন্য নবিবরের পিটে চুম্বন করলেন। গভীর আনন্দে সবার কন্ঠ তখন বন্ধ হয়ে গেল। এরপর নবি হাসি মুখে বলে ছিলেন, 'এ যে অপরূপ প্রতিশোধ'।
2. 'অপরূপ প্রতিশোধ' কবিতায় কে কীভাবে কার উপর প্রতিশোধ নিয়েছিলেন তা বিশদভাবে লেখ।
উত্তরঃ গোলাম মোস্তাফার লেখা 'অপরূপ প্রতিশোধ' কবিতায় এক অদ্ভুত ধরনের প্রতিশোধ দেখা যায়। হজরত শ্রী মুহাম্মদ (সাঃ) মৃত্যু শয্যায় শুয়ে তাঁর প্রিয় ভক্তদের ডেকে ক্ষমা চাইলেন। তিনি বললেন যে, তাঁর আর বেশি সময় নেই। তাই যদি কারুর প্রতি অন্যায়, অবিচার করে থাকি তবে এই পৃথিবীতে আজই সকলের সামনে তার প্রতিশোধ নিয়ে নাও। এমন সময় আক্কাস নামে একজন আরবীয় ভক্ত বললেন যে, তিনি একদিন তাকে চাবুক দিয়ে মেরে ছিলেন। একথা শুনেই মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর পিঠ এগিয়ে দিলেন প্রতিশোধ নেবার জন্য। কিন্তু তখন কপট মতি বলে উঠলেন যে তাহার পিঠে তখন কোনো পোশাক ছিল না। শুনেই হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) মৃদু মধুর স্বরে বললেন, তাই হোক বলেই দেহের অঙ্গাবরণ দূরে ফেলেদিলেন। এরপর আক্কাস নবীর সোনার তনু দেখে আনন্দে আত্মহারা হলেন এবং তার চোখ দিয়ে জল ঝরতে লাগল। আমি আক্কাস মাথা নিচু করে মুহাম্মদের (সাঃ) দিকে এগিয়ে আসেন এবং মুহাম্মদের (সাঃ) পিঠে চুমু খেয়ে প্রতিশোধ নিয়েছিলেন।
3. 'ক্ষমা' এই শিরোনামে ১০০ টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তরঃ ক্ষমা : একটি মহৎ গুণ হল ক্ষমা। সব ধর্মেই ক্ষমা করে দেওয়ার নির্দেশ আছে। তাই ক্ষমা হল মহৎ ধর্ম। যে ক্ষমা করে দেয় সেই-ই পুণ্যবান। সেই বড়ো। কেউ কাউকে ক্ষমা করলে ছোট হয় না বরং তার মহত্বের পরিচয় দেয়। মানুষই ভুল করে অন্যায়, অপরাধ করে। তাই অপরাধ করে সে যদি ক্ষমা চায়, তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। যে ক্ষমা করল, সেও আল্লার কাছে অপরাধ করে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা পাবে। আল্লার মত ক্ষমাশিল আরকেউনেই। সর্বসৃষ্টি কারী আল্লা যদি ক্ষমা করতে পারে তবে আমরা ক্ষুদ্র হয়ে তা কেন পারব না।
No comments:
Post a Comment