❐ কবিতা থেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:
1. সব সাধকের বড়ো ---- আমার দেশের চাষা,
উত্তরঃ সাধক।
2. ----- কি ইহার চেয়ে সাধক ছিল বড়ো?
উত্তরঃ দধীচি।
3. আমার দেশের ---- ছেলে করি নমস্কার।
উত্তরঃ মাটির।
❐ নিচের বাক্যগুলি ভুল সংশোধন করে লেখো:
1. মুক্তিকামী মহাসাধক যুক্ত করে দেশ,
উত্তরঃ মুক্তিকামী মহাসাধক মুক্ত করে দেশ,
2. বৃষ্টি ভেজায় তপ্ত তনু মেঘের জলে ভিজে।
উত্তরঃ রৌদ্র দাহে তপ্ত তনু মেঘের জলে ভিজে।
3. আমার দেশের গরিব ছেলে কবি নমস্কার।
উত্তরঃ আমার দেশের মাটির গরিব ছেলে করি নমস্কার।
4. তোমায় দেখে দীপ্ত হউক সকল নেতার মান।
উত্তরঃ তোমায় দেখে চূর্ণ হউক ভণ্ড নেতার মান।
5. সমারীচ কি ইহার চেয়ে সাধক ছিল বড়ো।
উত্তরঃ দধীচি কি ইহার চেয়ে সাধক ছিল বড়ো।
❐ বন্ধনির মধ্যে ঠিক উত্তরে টিক (✔) চিহ্ন দাও।
1. 'বাংলায় কৃষক' কবিতাটি লিখেছেন-
(ক) সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
(খ) কামিনি রায়।
(গ) রাজিয়া খাতুন।
(ঘ) জসিমউদ্দিন।
উত্তরঃ রাজিয়া খাতুন।
2. দেশ মাতারই দেশের সে যে আশা।
(ক) শক্তিকামী।
(খ) দেশপ্রেমী।
(গ) বুদ্ধিকামী।
(ঘ) মুক্তিকামী।
উত্তরঃ মুক্তিকামী।
3. পূন্য অত হবে নাকো সব করিলেও
(ক) জড়ো।
(খ) বড়ো।
(গ) ছোটো।
(ঘ) মাঝারি।
উত্তরঃ জড়ো।
4. আমার দেশের মাটির করি নমস্কার।
(ক) মানুষ।
(খ) ছেলে।
(গ) মেয়ে।
(ঘ) সোনা।
উত্তরঃ ছেলে।
5. তোমায় দেখে হউক সকল অহংকার।
(ক) চূর্ণ।
(খ) পূর্ণ।
(গ) দীর্ন।
(ঘ) শির্ণ।
উত্তরঃ চূর্ণ।
❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
দু একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও:
1. 'বাংলার কৃষক' কবিতায় কাকে আমাদের বড়ো সাধক বলা হয়েছে?
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতায় আমাদের দেশের চাষাদের বড়ো সাধক বলা হয়েছে।
2. দধীচি কে?
উত্তরঃ দধীচি হলেন একজন মহান সাধক যিনি ব্রহ্মাকে নিজের হাড় দিয়ে ব্রহ্মাস্ত্র বানাতে দেন।
3. সাধক কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ যিনি সাধনা করে ঈশ্বরের সান্নিধ্য পেতে চান তাকেই সাধক বলে।
4. দেশকে মুক্ত করে কে?
উত্তরঃ দেশকে মুক্ত করে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। দেশহিতে ব্রতি নেতারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েও দেশের মুক্তি আনেন।
5. সবার অন্ন জুগিয়ে কৃষকদের কী নেই।
উত্তরঃ সবার জন্য অন্ন জুগিয়ে কৃষকদের কোনো পূর্ব ও অহংকারের লেশমাত্র নেই।
6. কবি কাদের মান চূর্ণ করতে চেয়েছে?
উত্তরঃ কবি ভন্ডনেতাদের মান চূর্ণ করতে চেয়েছেন।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবনি:
1. 'সব সাধকের বড়ো সাধক আমার দেশের চাষা'? সরলার্থ লেখো।
উত্তরঃ কৃষকরা সব সাধকের চেয়ে বড়ো সাধক। তারা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে গায়ের ঘাম ঝরিয়ে ভিজে যেভাবে দেশের জন্য অন্ন জোগায়, তাতে তাদের পরিশ্রমের সাধনা যেন দধীচির সাধনাকে হার মানিয়ে দেয়।
2. দধীচি কি ইহার চেয়ে সাধক ছিল বড়ো ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কৃষকরা সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে রোদে জলে ভিজে চাষ করে আমাদের মুখে অন্ন তুলে দেয়। অন্য দিকে দধীচি একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরের সাধনা করে। দধীচির কাজ সমাজের কোন্ মঙ্গলে আসে না কিন্তু কৃষকে অক্লান্ত পরিশ্রম সাধনার সঙ্গে তুলনা করলে স্নান হয়ে যায়।
3. তুমি মহাপ্রাণ কীরূপে লেখো।
উত্তরঃ তুমি মহাপ্রাণ বলতে এখানে কৃষককে বোঝানো হয়েছে। কৃষকরা যে ভাবে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে - পরিশ্রম করে মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেয় সত্যিই তা অনন্য। তাই কৃষককে এখানে মহাপ্রাণ বলা হয়েছে।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি:
1. বাংলার কৃষক কবিতার মূল বিষয় তোমার নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ বাংলার কৃষক কবিতায় দুটি দিক তুলে ধরা হয়েছে। একদিকে হল কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম করে চাষ করা আর অন্য দিক হল দধীচির ঈশ্বরের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য সাধনা করা। দধীচি একাগ্রচিত্তে ধ্যান বা সাধনা করে ইশ্বরের সান্নিধ্য পায় বটে কিন্তু তা মানুষের খাদ্য যোগায় না। তাই অআলোচ্য কবিতায় দধীচির ঈশ্বর সাধনা, কৃষকের পরিশ্রমের সাধনার কাছে ম্লান হয়ে যায়।
2. কবি রাজিয়া খাতুন 'বাংলার কৃষক' কবিতায় কৃষকের যে ছবি এঁকেছেন তা তুলে ধরো।
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতায় কবি রাজিয়া খাতুন কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের এক ছবি এঁকেছেন যা দধীচির সাধনাকে হার মানিয়ে দেয় এবং দেশের ভন্ড নেতাদের শিক্ষা দেয়। তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, চাষ করে অথচ এর জন্য তাদের কোন্ অহংকরা নেই। অন্যদিকে ভন্ড নেতারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেন। কিন্তু এই কৃষকরা তা করেন না, তাদের একটাই ধ্যান ধারণা কিভাবে উন্নত মানের ফসল ফলিয়ে মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেবে। তাই কবি কৃষকের এই সাধনাকে দধীচিমুনির সাধনার চেয়েও বড় করে দেখেছেন।
3. 'কৃষক বন্ধু' এই শিরোনামে ১০০টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তরঃ মানুষ হল এই জগ্র বা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রাণী। আর তার বেঁচে থাকার জন্য যে কয়েকটি উপাদানের প্রয়োজন হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি উপাদান হল অন্ন বা খাদ্য। খাদ্য উৎপাদনের জন্য উৎপাদকের প্রয়োজন হয়। আর এই উৎপাদক হল মানুষ। যে শ্রেণির মানুষ এই খাদ্য উৎপাদন করে তাদেরকে আমরা কৃষক বলে থাকি। তারা অক্রান্ত পরিশ্রমের দ্বারা খাদ্য উৎপাদন করে থাকে। যেমন, প্রচণ্ড হাড় কাঁপুনি শিতের ভোরে উঠে জমির ফসল কাটতে পারে আবার জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রচন্ড গরমের দুপুর বেলাতেও ফসল তুলে আনতে পারে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ধরনের উন্নত ফসল ফলাতেও তারা বিভিন্ন ভাবে সক্ষম। আমরা কৃষকদের উপরপ্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুভাবেই নির্ভরশিল। কৃষক হল মানুষের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। তাই অআলোচ্য কবিতায় কবি রাজিয়া খাতুন কৃষকের এই শ্রমকে দধীচির সাধনার চেয়ে বড় বলে মনে করেন।
No comments:
Post a Comment