বিচার প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা বিচার প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Bichar Question and Answer Madrasa (NCERT) - Psycho Principal

Fresh Topics

Wednesday, 22 January 2025

বিচার প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা বিচার প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Bichar Question and Answer Madrasa (NCERT)


বিচার 
প্রশ্ন উত্তর 




👉(পড়াবউ প্রশ্ন উত্তর)


 ❐ বন্ধনির মধ্যে ঠিক উত্তর ঠিক চিহ্ন (✔) দাওঃ

1. 'বিচার' রচনাংশটির লেখক হলেন-

(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

(খ) বন্দে আলি মিঞা।

(গ) সৈয়দ মুজতবা আলী।

(ঘ) কাজী নজরুল ইসলাম।

উত্তরঃ বন্দে আলি মিঞা।


2. আলি খাজা -

(ক) বিবাহিত।

(খ) অবিবাহিত।

(গ) বিপত্নীক।

(ঘ) কোন্টাই নয়।

উত্তরঃ অবিবাহিত।


3. অনাবশ্যক বোেধর গৃহের কি বিক্রয় করে দিলেন।

(ক) তৈজসপত্র।

(খ) সোনাদানা।

(গ) আসবাবপত্র।

(ঘ) কোন্টাই নয়।

উত্তরঃ আসবাবপত্র।


4. তাঁর একজন বিশ্বাসি বণিক বন্ধু কোথায় ছিলেন।

(ক) বাগদাদে।

(খ) পারস্যে।

(গ) মক্কায়।

(ঘ) আরবে।

উত্তরঃ বাগদাদে।


5. তোমার বণিক কাকে বেকসুর খালাস দিলাম।

(ক) শত্রুকে।

(খ) বন্ধুকে।

(গ) আত্মীয়কে।

(ঘ) কাউকেই নয়।

 উত্তরঃ বন্ধুকে।


❐ পাঠ্যাংশ থেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:


1.  সে কারণে তাঁর ---- বিশেষ ছিল না।

উত্তরঃ খরচপত্র।


2. আল্লার কাছে ------ করো তিনি তোমার ক্ষমা করবেন।

উত্তরঃ আত্মসমর্পণ।


3. ------ করে এটা তোমার কাছে রেখে দাও ভাই।

উত্তরঃ মেহেরবানি।


4. কিছুকাল পরে আলি খাজা ----- ফিরে এলেন।

বাগদাদে।


5.  আমার  ---- হাঁড়িটা ফেরত দিন।

উত্তরঃ মাটির।


❐ নিচের বাক্যগুলি ভুল সংশোধন করে লেখো:


1. পরের দিন থেকে তিনি যাত্রা করবার জন্য প্রস্তুত হলেন।

উত্তরঃ পরের দিন থেকে তিনি যাত্রা করবার জন্য প্রস্তুত হলেন না।


2. খালিফা বললেন এবারে মক্কা শরিফে হজ করতে যাবার ইচ্ছে।

উত্তরঃ খালিফা বললেন এবারে মক্কা শরিফে হজ করতে যাবার ইচ্ছে না।


3. অলি খাজা বুঝতে পারলেন, ধূর্ত সম্রাটের নিকট থেকে মোহর আদায় করা সম্ভব হবে না।

উত্তরঃ অলি খাজা বুঝতে পারলেন, ধূর্ত বণিকের নিকট থেকে মোহর আদায় করা সম্ভব হবে না।


4. খালিফা সেই পাত্র থেকে একটা জলপাই নিয়ে মুখে দিলেন।

উত্তরঃ খালিফা সেই পাত্র থেকে একটা জলপাই নিয়ে মুখে দিলেন না।


5. বণিক খুশি মনে হাঁড়িটা নিয়ে চলে গেলেন।

উত্তরঃ আলি খাজা খুশি মনে হাঁড়িটা নিয়ে চলে গেলেন।


❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

␧ দুটি একটি বাক্যে উত্তর দাও:


1. হারুন-অল্-রসিদ কে ছিলেন?

উত্তরঃ হারুন-অল্-রসিদ ছিলেন পারস্যের এক দক্ষ শাসক বা খলিফা।


2. আলি খাজা কী করতেন?

উত্তরঃ আলি খাজা ছিলেন একজন সওদাগর।


3. আলি খাজা স্বপ্নে কাকে দেখেছিলেন?

উত্তরঃ আলি খাজা স্বপ্নে এক দরবেশকে দেখেছিলেন।


4. হজ কী?

উত্তরঃ বিশেষ তিথিতে মক্কা দর্শন ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের নাম হজ।


5. নমোহরগুলি কোথায় ছিল?

উত্তরঃ মোহরগুলি একটি মাটির হাঁড়ির মধ্যে ছিল।


❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:


1.'তার অধিকাংশই সঞ্চয় হতত্র সত্যয়ের কারণ কী তা লেখো।

উত্তরঃ সওদাগর আলি খাজা ছিলেন একজন অবিবাহিত পুরুষ। তার স্ত্রী বা পুত্র কন্যা কিছুই ছিল না। তার খরচ পত্ত বিশেষ কিছু ছিল না। ফলে সে যা সঞ্চয় করত তার সবটাই সঞ্চিত হত।


2. 'এইবার মক্কায় গিয়ে হজ করো'- প্রসঙ্গ নির্দেশ করো।

উত্তরঃ একদিন গভীর রাতে আলি খাজা স্বপ্নে দেখলেন যেন এক দরবেশ তাকে বলছে। আলি খাজা তোমার আয়ু শেষ হয়ে আসছে। জীবনে ধর্ম কর্ম সেভাবে করোনি। বিগত জীবনের পাপের জন্য অনুতাপ করো। আল্লাহর কাছে আত্ম সমর্পণ করে হজ সম্পন্ন করো। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন।


3. কিছু মনে করোনা যেন' বক্তা কে? কাকে বলা হয়েছে এর পরের ঘটনা কি?

উত্তরঃ বস্তা এখানে আলি খাজা। আলি খাজার বিশ্বাসি বণিক বন্ধুকে বলা হয়েছে।

আলি খাজা এক সময় হজে যাবার জন্য মনস্থ করেন। হজে যাওয়ার যাবতীয় খরচা বাদে বেশ কিছু মোহর অতিরিক্ত থেকে যায়, সেই অতিরিক্ত গচ্ছিত মোহরগুলি একটি মাটির হাঁড়িতে রেখে উপরে জলপাই দিয়ে ভর্তি করে, সেই হাঁড়িটি তার বিশ্বস্ত বন্ধুর কাছে রাখতে এসে উপরিক্ত মন্তব্য করেন।


4. 'মোহরের নাম গন্ধ ও সেখানে নেই' এর মূলে কী ঘটনা আছে?

উত্তরঃ কোনো এক রাত্রি বণিকের স্ত্রীর অরুচি হওয়ায় জলপাই খাওয়ার ইচ্ছে হল। কিন্তু ঐ সময় কোনো দোকান খোলা না থাকায়। বণিক তার বন্ধুর জলপাই ভর্তি হাঁড়ি থেকে জলপাই নিতে গিয়ে আবিষ্কার করে যে, তাতে আসলে মোহর আছে। পরে সে মোহরগুলি আত্মসাৎ করে উক্ত জায়গায় মোহরের পরিবর্তে জলপাই রেখে দেন। পরে সওদাগর আলি খাজা হজ থেকে ফিরে এসে তার বন্ধুর কাছ থেকে গচ্ছিত হাঁড়ি ফেরত নিয়ে দেখেন যে, তাতে মোহরের কোনো নাম গন্ধও নেই।


5. নইলে তোকে ফাঁসিতে লটকাব। কাকে, কেন ফাঁসিতে লটকানোর কথা বলা হয়েছে।

উত্তরঃ গ্রামের কতকগুলি রাখাল 'বাদশা বাদশা' খেলার নকল মহড়া করছিল। উক্ত মহড়াই এক-একজন খলিফা, কোতয়াল, আলি খাজা ও তার বন্ধুর অভিনয় করছিল। উক্ত মহড়াই আলি খাজার বন্ধু দোষী সাবস্ত্য হলে নকল খালিফা আলি খাজার নকল বন্ধুকে উপরক্ত কথাগুলি বলেছিল।


❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি: 


1. আলি খাজার বন্ধু কেমন ছিল তা বুঝিয়ে লেখো।

উত্তরঃ  আলি খাজার বণিক বন্ধ অত্যন্ত লোভী ও প্রতারক ছিলেন। কেননা আলী খাজা দরবেশের প্রত্যাদেশ পেয়ে হজে যাওয়া নিয়েত করেন এবং সমস্ত পথ খরচা বাদে অতিরিক্ত মোহর বণিক বন্ধুর কাছে আমানত হিসাবে গচ্ছিত রেখে যান। কিন্তু পরবর্তীতে যখন তার বন্ধু জানতে পারেসে। গচ্ছিত আমনতটি আসলে স্বর্ণ মোহর তখন লোভ সামলাতে না পেরে সেটি আত্মসাৎ করে। এ থেকে বোঝা যায় যে আলি খাজার বন্ধু আসলে একজন বিশ্বাস ঘাতক প্রতারক।


2. রাখাল বালকদের খেলার বিবরণ দাও।

উত্তরঃ গ্রামের কতকগুলি রাখাল ছেলে 'বাদশা বাদশা' খেলার নকল মহড়া করছিল। সেই মহড়াই অভিনয় করছিলেন এক-একজন-বাদশা, কোতয়াল, আলি খাজা ও তার বন্ধু। আলি খাজা জলপাই আচ্ছাদিত এক হাঁড়ি মোহর বন্ধুর কাছে গচ্ছিত রেখে হজে যায়। সাত বছর পর ফিরে এসে। নিজের আমানত ফিরিয়ে নিতে গেলে, দেখা যায় তাতে সবটাই জলপাই, মোহর নেই। নিরুপায় আলি খাজা খলিফার কাছে বিচার করতে যান। খলিফা তাঁর তীক্ষপ্ত বুদ্ধি দ্বারা বিচার সম্পাদান করেন। একজন জলপাই অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন সে, হাঁড়ির জলপাইগুলি এক বছরের পুরোনো। অথচ আলি খাজা সাত বছর আগেসেই হাঁড়িটি রেখে গেছেন এ থেকে সকলেই বুঝতে পারল সে, বণিক বন্ধু ঠক বিশ্বাসঘাতক। তার পর খলিফা ধমক দিয়ে বণিক বন্ধুকে অপরাধী সাবস্ত করেন।


3. বিচার গল্পে কিভাবে বিচারটি শেষ হয়েছিল তা বর্ণনা করো।

উত্তরঃ বাগদাদের এক অলি খাজা নামে সওদাগর হজে যাওয়ার সময় তার অতিরিক্ত সম্পদ স্বর্ণমোহর বণিক বন্ধুর কাছে গচ্ছিত রেখে যান। দীর্ঘদিন পর ফিরে এসে বন্ধুর কাছথেকে হাঁড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেলে দেখতে পান তাতে কোনো স্বর্ণ মোহর ছিলনা। এথেকে সওদাগরের কিছুই বুঝতে বাকি থাকল না। কাজির কাছে বিচারেগেলে কাজী ব্যর্থ হয়। পরবর্তিতে কোনো এক সময় খলিফা ছদ্মবেশে দেশ ভ্রমণ করতে এলে তারসেই ভ্রমসংশোধন হয়। তিনি পথি মধ্যে দেখেন। এক দল রাখাল খেলার মাধ্যমে সেই ঘটনাটি মহড়া করছে। সেখানে এক জলপাই বিশেজ্ঞকে দিয়ে প্রকৃতি ঘটনার নিষ্পত্তি করা হয়। খালিফা এই মহড়া দেখে নিজের ভুল শুধরে নেন। এবং রাখাল ছেলেদের বুদ্ধির প্রশংসা করে তাদেরকে বিশেষ পুরস্কারে পুরস্কৃত করেন।


4. 'খলিফা রাখাল দিগকে প্রচুর পারিতষিক দিয়ে বিদায় করলেন। খালিফা কেন রাখালদের পারিতমিক দিয়েছিলেন?

উত্তরঃ বাগদাদ শহরে আলি খাজা নামে এক সওদাগর ও তার বণিক বন্ধু বাস করতেন। কোনো এক দরবেশ দ্বারা স্বপ্নযোগে হজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আলি খাজা ছিলেন একজন অবিবাহিত পুরুষ ফলে তার অতিরিক্ত কিছু সম্পদ ছিল। হজ খরচা বাদ দিয়ে অতিরিক্ত স্বর্ণ মোহর হাঁড়িতে রেখে ভাতে জলপাই দিয়ে আচ্ছাদিত করে, বন্ধুর কাছে রেখে আসেন। সাত বছর পর হজ থেকে ফিরে এসে বন্ধুর কাছ থেকে হাড়ি নিয়ে দেখতে পান তাতে কোনো স্বর্ণ মোহর নেই পুরোটাই জলপাই দিয়ে ভরা। খালিফার কাছে বিচার করতে গেলে কাজী সাহেব বিচারে ব্যর্থ হয়। পরে প্রত্যান্ত এক গ্রামে রাখাল ছেলেদের 'বাদশা বাদশা' খেলার মাধ্যমে উক্ত ঘটনার মহড়া হয়, সেখানে নকল খলিফার বিচার ব্যবস্থা দেখে খলিফা হারুন-অর রসিদের ভ্রম সংশোধিত হয়।


5. 'যথা সময়ে হজ শেষ হল।'-কে হজে গিয়েছিল? কেন গিয়েছিল হজ শেষ হওয়ার পর কী ঘটেছিল বিস্তারিত লেখো।

উত্তরঃ  আলি খাজা হজে গিয়েছিল। দরবেশের প্রত্যাদেশ পেয়ে হজে গিয়েছিল। সাত বছর পর হজ থেকে ফিরে এসে বন্ধুর কাছ থেকে হাড়ি নিয়ে দেখতে পান তাতে কোনো স্বর্ণ মোহর নেই পুরোটাই জলপাই দিয়ে ভরা। খালিফার কাছে বিচার করতে গেলে কাজী সাহেব বিচারে ব্যর্থ হয়। পরে প্রত্যান্ত এক গ্রামে রাখাল ছেলেদের 'বাদশা বাদশা' খেলার মাধ্যমে উক্ত ঘটনার মহড়া হয়সেখানে নকল খলিফার বিচার ব্যবস্থা দেখে খলিফা হারুন-আল রসিদের ভ্রম সংশোধিত হয়।


6. রাখাল দিগের বৃদ্ধি', শিরোনামে অনাধিক ১০০টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদ রচনা কর:

উত্তরঃ রাখাল দিগের বুদ্ধি এই শিরোনাম এখানে একটি ঐতিহাসিক গল্প তুলে ধরা হল। কথিত আছে রাজা দ্বিতীয় বিক্রমাদিত্য একজন ন্যায় পরায়ণ সুবিচারক বলে প্রসিদ্ধ বিচরণভূমি। তাঁর রাজত্বের বহুকাল পরে সেই রাজ্যে বেশ কিছু বড় বড় মাটির ঢিপি ছিল। আর তারপাশে ছিল বিচরণভূমি। চারিদিকে বিরাজ করত ধ্বংস স্তূপের স্মৃতি চিহ্ন। রাখাল রালকেরা সেই জায়গায় গরু চরাতে আসত। তাদের মধ্যে নানা কারণে বিবাদ লেগে থাকত। শোনা যায় যখন রাখালদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধতেসে সময় এক রাখাল সে সময় এক রাখাল বালক পাশের একটি মাটির চিপের উপরে উঠে বসত। আর উভয় দলের কাছ থেকে পুনরায় তাদের বিবাদের কারণ জেনে নিয়ে সুষ্ট মিমাংসা করে দিত। রাখাল বালকেরা খুশি মনে বাড়ি ফিরে যেত। এই সংবাদ যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ত তখন আশপাশের লোকেরা তাদের বিবাদের সুষ্ঠ মিমাংসার জন্য এই ঢিপির কাছে এসে হাজির হত। আর রাখাল বালকেরা ঐ ঢিপির উপর বসে তাদের বিবাদেরও সুন্দর মিমাংসা করে দিত। বাদী বিবাদীরা সন্তুষ্ট চিত্তে বাড়ি ফিরে যেত। পরে শোনো যায় ঐ ঢিপির নিচে ছিল রাজা দ্বিতীয় ব্রিমাদিত্যের সিংহাসন। যার ফলে যে বিচার কার্যসেখানে হত তার সৃষ্ট সমাধান সম্ভব হত। এরকম একটি জনশ্রুতি এখানে প্রচারিত ছিল।

No comments:

Post a Comment