Class 6th Bangla Chapter- Ghasfaring Questions And Answers || ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা , অধ্যয় ঘাসফড়িং প্রশ্ন উত্তর, || ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা সহায়িকা - Psycho Principal

Fresh Topics

Thursday, 2 January 2025

Class 6th Bangla Chapter- Ghasfaring Questions And Answers || ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা , অধ্যয় ঘাসফড়িং প্রশ্ন উত্তর, || ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা সহায়িকা

  

ঘাসফড়িং - অরুণ মিত্র 
প্রশ্ন উত্তর 







কুমোর পোকার বাসাবাড়ি প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো

👉 ( কুমোর পোকার বাসাবাড়ি প্রশ্ন উত্তর )



◼️কবি পরিচিতি;

অরুণ মিত্রের জন্ম হয় ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের যশোহর জেলায়। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে অরুণ মিত্র এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি অগ্রণী, অরণি ইত্যাদি সাহিত্য-পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল— প্রান্তরেখা, উৎসের দিকে, ঘনিষ্ঠ তাপ, মঞ্চের বাইরে মাটিতে, এই অমৃত এই গরল, উচ্ছন্ন-পৃথিবীর সুখ-দুঃখইত্যাদি। ২০০০ সালে তাঁর মৃত্যু হয় ।


◼️নাম করণ;

আলোচ্য কবিতায় কবির সঙ্গে একটি ঘাসফড়িঙের বন্ধুত্বের কথা বলা হয়েছে। তার সঙ্গে কবির ভাব একেবারে গলায় গলায় । বৃষ্টিভেজা ঘাসে পা ফেলতে গিয়ে তার সঙ্গে আলাপ হয় কবির। সে কবিকে সবুজ মাথা তুলে অনেক খেলা দেখায়। তার কাছ থেকে চলে আসার সময় বিমর্ষ হয়ে পড়েন কবি। তাকে কথা দিয়ে আসেন যে, বৃষ্টি পড়লেই ভেজা ঘাসের ওপরে হেঁটে আবার তিনি আসবেন ঘাসফড়িংটির কাছে। সমগ্র কবিতাটি জুড়েই হ ফিরে ফিরে এসেছে ঘাসফড়িংটির কথা। তাই এই কবিতার C নাম হিসেবে ‘ঘাসফড়িং' নামটি যথাযথ ও সার্থক হয়েছে বলা যায়।


◼️সারমর্ম;

অরুণ মিত্রের ‘ঘাসফড়িং' কবিতাটিতে কবি একটি ঘাসফড়িঙের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের ছলে আসলে সমগ্র প্রকৃতির সঙ্গেই তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ করেছেন। কবিতাটির প্রথমেই তিনি বলেছেন, ঘাসফড়িংটির সঙ্গে তাঁর ভাব হয়েছে একেবারে গলায় গলায়। 

কারণ, এমন সুন্দর ঘাসফড়িংটির সঙ্গে ভাব না করে থাকতে পারা তাঁর পক্ষে সম্ভবই ছিল না। ঝিরঝির করে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার পর যেইমাত্র তিনি ভিজে ঘাসের ওপরে পা দিয়েছেন, তখুনি তাঁদের মধ্যে এক নতুন আত্মীয়তার বন্ধন তৈরি হল। সেই সূত্রেই ঘাসফড়িং নিজের সবুজ মাথা তুলে তাঁকে প্রচুর খেলা দেখাল। সেই ঘাসফড়িঙের কাছ থেকে চলে আসার সময় কবির তাই ভীষণ মনখারাপ হয়ে যায় । তাকে তিনি বলে আসেন যে, তিনি আবার তার কাছে ফিরে যাবেন। তাঁর ঘরের দরজা এখন খোলা প্রকৃতির রঙে রং মিলিয়ে সবুজে সবুজ হয়ে আছে। 

ঘাসফড়িংটিকে ভালোবেসে সমগ্র প্রকৃতিই যেন হয়ে উঠেছে তাঁর বন্ধু। সেজন্যই, যে মুহূর্তে আবারও ঝিরঝির করে বৃষ্টি শুরু হয়, তখন কবির আবার ঘাসফড়িঙের কথা মনে পড়ে যায়। তিনি স্থির করেন, তিনি আবার ফিরে যাবেন ভিজে ঘাসের ওপর।


◼️ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

১. কবির সঙ্গে কোথায় ঘাসফড়িঙের দেখা হয়েছিল ? 

উত্তর: বৃষ্টিভেজা ঘাসের ওপর দাঁড়িয়ে কবির সঙ্গে ঘাসফড়িঙের দেখা হয়েছিল ।


২. কবি কখন ঘাসের ওপর পা ফেলে হাঁটতে গিয়েছিলেন ?

উত্তর: এক পশলা ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার পর কবি ঘাসের ওপর পা ফেলে হাঁটতে গিয়েছিলেন।


৩. ‘ঘাসফড়িং' কবিতাটি কার লেখা ? 

উত্তর: ‘ঘাসফড়িং' কবিতাটি অরুণ মিত্রের লেখা


৪. অরুণ মিত্র কত সালে জন্মেছিলেন ?

উত্তর: অরুণ মিত্র ১৯০৯ সালে জন্মেছিলেন ।


৫. ‘ঘাসফড়িং' কবিতায় কবি কার সঙ্গে গলায় গলায় ভাব করেছিলেন?

উত্তর: ‘ঘাসফড়িং’ কবিতায় কবি একটি ঘাসফড়িঙের সঙ্গে গলায় গলায় ভাব করেছিলেন ।


৬. করিকে ঘাসফড়িং কীভাবে খেলা দেখিয়েছিল ? 

উত্তর: কবিকে ঘাসফড়িং তার সবুজ মাথা তুলে অনেক খেলা দেখিয়েছিল ।


৭. কবি ঘাসফড়িংকে কী কথা দিয়েছিলেন?

উত্তর: কবি ঘাসফড়িংকে কথা দিয়েছিলেন যে তিনি আবার তার কাছে ফিরে আসবেন।


◼️ নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো


১. কবির সঙ্গে ঘাসফড়িঙের নতুন আত্মীয়তা কীভাবে গড়ে উঠল ?

উত্তর: ঝিরঝিরে বৃষ্টির দিনে বৃষ্টি থামার পর কবি গিয়েছিলেন ভিজে ঘাসের ওপর পা রাখতে। সেখানেই ছিল ঘাসফড়িং । সে তার সবুজ মাথা তুলে কবিকে অনেক খেলা দেখাল | আর এভাবেই শুরু হয়ে গেল তাঁদের আত্মীয়তা । 


২. কবির কৌতূহল ও ভালোলাগায় ঘাসফড়িং কীভাবে সাড়া দিল বলে তোমার মনে হয় ?

উত্তর: আমার মনে হয়, ঘাসফড়িং যে তার সবুজ মাথা তুলে কবিকে অনেক খেলা দেখিয়েছিল, সেটাই ছিল কবির কৌতূহল ও ভালোলাগায় ঘাসফড়িঙের সাড়া দেওয়ার প্রমাণ।


৩. ঘাসফড়িঙের কাছ থেকে চলে আসার সময় কবির মনখারাপ হল কেন বুঝিয়ে দাও ।

উত্তর: ঝিরঝিরে বৃষ্টির শেষে ভেজা ঘাসে পা দেওয়ামাত্রই কবির সঙ্গে ঘাসফড়িংটির আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সে তার ছোট্ট সবুজ মাথা তুলে প্রচুর খেলা দেখিয়েছিল কবিকে। খুব দ্রুতই কবির বন্ধু হয়ে যেতে পেরেছিল সে। তার সঙ্গে থাকতে কবির এতটাই ভালো লাগছিল যে, তাকে ছেড়ে চলে আসার সময় তাঁর মনখারাপ হয়ে গিয়েছিল।


৪. “বলে এলাম আমি আবার আসব”—পক্তিটির মধ্য দিয়ে কবির কোন্ মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে ? 

উত্তর: এক ঝিরঝিরে বৃষ্টির দিনে ভেজা ঘাসের ওপরে পা রাখতে গিয়ে কবির সঙ্গে ঘাসফড়িঙের পরিচয় হয় | প্রথম দেখাতেই তাঁরা দুজন বন্ধু হয়ে যান। কবিকে ঘাসফড়িং তার সবুজ মাথা তুলে অনেক খেলা দেখায়। কবির মন কিছুতেই তাকে ছেড়ে চলে আসতে চাইছিল না। উদ্ধৃত পভৃতিটির মধ্যে দিয়ে কবির সেই না আসতে চাওয়ার মনোভাবটিই প্রকাশিত হয়েছে।


৫. "আমার ঘরের দরজা এখন সবুজে সবুজ।”— কবির এরূপ সবুজের সমারোহ দেখার কারণ কী ?

 উত্তর: কবির কাছে ঘাসফড়িংটি আসলে সমগ্র প্রকৃতিরই একটি ছোট্ট প্রতীক হয়ে উঠেছে। তাই তার সঙ্গে নতুন বন্ধুত্ব পাতিয়ে কবি যখন নিজের ঘরে ফিরে যান, তখন তাঁর মন ভরে ওঠে আনন্দে। প্রকৃতির স্পর্শে তাঁর চারপাশ যেন সবুজে সবুজ হয়ে ওঠে। তাঁর মনে রয়ে যাওয়া সেই বন্ধুত্বের রেশই ফুটে উঠেছে কবির দেখা সবুজের সমারোহের মধ্যে।


৬. "ভিজে ঘাসের ওপর আমাকে যেতেই হবে আবার।”—কোন্ ‘ভিজে ঘাসের ওপর' কবিকে ফিরতেই হবে? সেখানে তিনি যেতে চান কেন?

উত্তর: • এক ঝিরঝিরে বৃষ্টির দিনে বৃষ্টিশেষে ভেজা ঘাসের ওপরে পা ফেলে হাঁটতে গিয়ে কবির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল ঘাসফড়িঙের। সেখানেই কবিকে আবার ফিরতেই হবে।

কবির কাছে ছোট্ট ঘাসফড়িংটি উঠে এসেছে প্রকৃতির প্রতীক হয়ে। তাকে কবি এতটাই ভালোবেসে ফেলেছেন যে, তার কাছ থেকে চলে আসার পরেও তার ছোঁয়ায় যেন কবির ঘরের দরজা অবধি সবকিছুই সবুজে সবুজ হয়ে গেছে। ফিরে আসার পরেও কবির সমস্ত মন সে- ই অধিকার করে আছে। তাই কবি তার কাছে আবার ফিরে যেতে চান।


৭.“ভাব না করে পারতামই না আমরা”—কবি কেন এ কথা বলেছেন ?

উত্তর: ঝিরঝিরে বৃষ্টির পরে কবি গিয়েছিলেন বৃষ্টিভেজা ঘাসের ওপরে পা ফেলে হাঁটতে। তাঁর এই ইচ্ছে থেকেই বোঝা যায় যে, তিনি প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে দেখতে এবং অনুভব করতে ভালোবাসেন। আর কবিতার ঘাসফড়িংটি তাঁর কাছে সমগ্র প্রকৃতিরই একটি ছোটো প্রতীক হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই সে তাঁর এত প্রিয় | ঘাসফড়িংটির মধ্যে দিয়ে কবি প্রকৃতির প্রাণের স্পন্দনটি নিজের মধ্যে অনুভব করে আনন্দিত হয়েছেন। তাই তিনি বলেছেন যে, তাঁর পক্ষে ঘাসফড়িংটির সঙ্গে ভাব না করে থাকাটা সম্ভব ছিল না ।


৮. প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার নিবিড় টান কীভাবে কবি অরুণ মিত্রের ‘ঘাসফড়িং' কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে, তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর: কবি অরুণ মিত্রের ‘ঘাসফড়িং' কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে প্রকৃতির প্রতি কবির নিবিড় ভালোবাসার টান। এক বৃষ্টিভেজা দিনে ঝিরঝিরে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর কবি গিয়েছিলেন ভেজা ঘাসের ওপরে পা ফেলে একবার হেঁটে আসতে। এ থেকেই বোঝা যায় বৃষ্টির জলে ধোয়া সবুজ ঘাসের স্পর্শ কবিকে ভারি আনন্দ দেয়। সেখানে গিয়ে তিনি বন্ধুত্ব পাতান একটি ঘাসফড়িঙের সঙ্গে।

 কোনো মানুষ নয়, বরং ছোট্ট সবুজ এই পোকাটির সঙ্গে কবির এই আন্তরিক আত্মীয়তাই বুঝিয়ে দেয় যে, আসলে ভেতরে ভেতরে এই প্রকৃতির প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ও তাঁর কাছে কত আদরের । ঘাসফড়িংটির নাচানাচি দেখে কবির মনে হয়, সে যেন তার মাথা তুলে কবিকেই খেলা দেখাচ্ছে। তার প্রতি বন্ধুত্বের টান অনুভব করে কবি আবারও তার কাছেই ফিরে আসতে চান। এভাবেই কবি তাঁর কবিতায় প্রকৃতির প্রতি নিজের আন্তরিক ভালোবাসা ফুটিয়ে তুলেছেন।

No comments:

Post a Comment