👉(কটক থেকে বম্বে প্রশ্ন উত্তর)
❐ নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
1. বটবৃক্ষ কোথায় অপ্রকাশ থাকে?
উত্তরঃ একটি ক্ষুদ্র বটবৃক্ষের মধ্যে।
2. 'আত্মানং বিদ্ধি' - কথার অর্থ কী?
উত্তরঃ নিজেকে জানো।
3. সুন্দর উপকথায় রাজার কয় ছেলে ছিল?
উত্তরঃ এক ছেলে ছিল।
4. গণৎকারকে ছেলেটি কাকে বিয়ে করার কথা বলেছিল?
উত্তরঃ মঙ্গলুর মেয়েকে।
5. শেষে ছেলেটিকে গণৎকার কার কাছে নিয়ে। গিয়েছিল?
উত্তরঃ সেখানকার মহারাজার কাছে।
6. লেখক কাদের মধ্যে বিপুল তেজোরাশি লুকিয়ে থাকার কথা বলেছেন?
উত্তরঃ ছাত্রদের মধ্যে।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:
1."আত্মনাং বিদ্ধি কথাটি কে বলেছিলেন কথাটির অর্থ কী এই কথার মধ্য দিয়ে লেখক কী উপদেশ দিতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ আত্মনাং বিদ্ধি কথাটি সহস্রবৎসর পূর্বে এক ভারতীয় ঋষি বলেছিলেন। কথাটির অর্থ হচ্ছে নিজেকে চেনা। কথাটির মধ্যে দিয়ে যেমন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলতে চেয়েছেন যে ছাত্ররা বট বৃক্ষের ন্যায়। অর্থাৎ একটি ক্ষুদ্র বট বীজের মধ্যে যেমন একটি বৃহৎ বট বৃক্ষ নিহিত থাকে। অনুরূপ প্রতিটি ছাত্রদের মধ্যে বিরাট প্রতিভা লুকায়িত আছে। ছাত্রদের যে সাধনা করে সেই প্রতিভাকে প্রস্ফুটিত করে তুলতে হবে। তাদের অন্তরে লুকিয়ে থাকা তেজরাশিকে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে স্ফুলিঙ্গের ন্যায় বিচ্ছুরিত করে জগ্রকে সজ্জিত, স্তম্ভিত ওমোহিত করে তুলতে হবে।
2. 'একটা সুন্দর উপকথা আছে' উপকথাটি বর্ণনা করো।
উত্তরঃ উপকথাটি বলতে গল্পের কাহিনি বোঝায়। উপকথাটি হল এক রাজার দু'বছরের একটা ছেলে ছিল। সেই ছেলেটি একদিন চুরি হয়ে যায়। রাজার লোকেরা চারিদিকে ছেলেটিকে খোঁজ করে। কিন্তু কোথাও ছেলের খোঁজ পাওয়া গেল না। তাই রাজা ঘোষণা করলেন যে, তাঁর ছেলেকে এনে দেবে বা তার সন্ধান বলতে পারবে রাজা তাকে সাত ঘড়া মোহর দেবে। অবশেষে এক গণক এর কাছে যাওয়া হল। তিনি হাত দেখে ভূত-ভবিষ্যৎ বলতে পারেন। ঘটনাক্রমে তিনি পাহাড়ের বসতির মধ্যে একটা অতি সুদর্শন ছেলেকে দেখে বুঝলেন- এই সেই হারানো রাজপুত্র। ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে যে, সে ভিখন ব্যাধের ছেলে। সে আরও বলে ভবিষ্যতে বড়ো হয়ে শুয়ার চরাবে, হরিণ, পাখি মারবে। আর মঙ্গুলুর মেয়েকে বিয়ে করে ঘর সংসার করবে। তখন গণৎকার হেসে তাঁর কানে কানে তার আসল পরিচয় দেয়। তা শুনে ছেলেটি প্রথমে বিশ্বাস করে না। গণৎকার তখন ব্যাধের ছেলেদের সঙ্গেঙ্গ তার সুন্দর চেহারা উজ্জ্বল গায়ের রঙের পার্থক্যদেখিয়ে তাকে বুঝিয়ে বললেন। ছেলেটি তখন বিশ্বাস করল। সে বুঝতে পারল ব্যাধ-সম্প্রদায়ের মধ্যে বড়ো হলেও সে ব্যাধের ছেলে নয়। গণৎকার তাকে রাজার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। এরপর উপযুক্ত শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে সে সব বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তারপর একদিন আবার গনৎকারের সঙ্গে দেখা হলে সে নিজেকে রাজপুত্র বলে পরিচয় দেয়। ভবিষ্যতে কী হবে জানতে চাইলে রাজার ছেলে বললে আমি দেশ- বিদেশ জয় করব, যেন আমার নাম স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকে।
3. সে দেখল, একটা ছেলে যেন গোবর গাদায় পদ্মফুল 'ফুটেছে'। সে কে? ছেলেটি কে? ছেলেটাকে দেখে তার এমন মনে হল কেন?
উত্তরঃ এখানে 'সে' বলতে এক গণৎকার। ছেলেটি হল রাজার হারানো ছেলে। যে পরিবেশে ছেলেটি খেলা করছিল, সেখানকার অন্যান্য ছেলের সাথে এই ছেলেটি সম্পূর্ণ অন্য ধরনের তাই গণৎকারের কৌতূহল বশত ছেলেটির হস্থরেখা দেখেন। তিনি নিশ্চিত হলেন যে তিনি যা ভেবেছিলেন ঠিক তাই। অর্থাৎ ছেলেটি কোনো ব্যাধের ছেলে নয়। সে রাজার ছেলে।
4. যখন ছাত্ররা নিজেদের স্বরূপ চিনতে পারবে তখন কী কী ঘটবে বলে লেখক মনে করেছেন?
উত্তরঃ যখন ছাত্ররা নিজেদের স্বরূপ চিনতে পারবে ।তখন তাদের মধ্যে পশুত্ব ঘুচবে। যখন মুসলমান বলে ।চিনবে তখন ধর্মদ্রোহীতা দূর হবে। যখন বাঙালী বলে । চিনবে তখন দেশদ্রোহীতা এবং যখন ছাত্র হিসাবে চিনবে তখন উদাসীনতা দূর হবে।
No comments:
Post a Comment