ডাকাতের গল্পঃ প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা ডাকাতের গল্পঃ প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Dakater golpo Question and Answer Madrasa (NCERT) - Psycho Principal

Fresh Topics

Monday, 27 January 2025

ডাকাতের গল্পঃ প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা ডাকাতের গল্পঃ প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Dakater golpo Question and Answer Madrasa (NCERT)

 

ডাকাতের গল্পঃ 
প্রশ্ন উত্তর



👉(গবিন সিংহের ঘোড়া প্রশ্ন উত্তর)


❐ নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও;

1. বিশ্বম্ভর বাবুর বাড়ি কোথায় ছিল?

 উত্তরঃ গুপ্তিপাড়ায়।


2. ডাক্তারবাবুর চাকরটির নাম কী ছিল?

উত্তরঃ শম্ভু।


3. ডাক্তারবাবু কীসে চড়ে কোথায় যাচ্ছিলেন?

উত্তরঃ পালকি চড়ে সপ্তগ্রামে।


4. কুমির কাকে ধরে ছিল?

উত্তরঃ একটা বাছুরকে।


5. মোট কয়জন ডাকাত ছিল?

উত্তরঃ পাঁচজন।


6. কার হৃৎপিণ্ড কম্পমান হচ্ছিল?

উত্তরঃ বেহারা বিস্তুর।


❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:


1. বিশ্বস্তরবাবুর পেশা কী ছিল?

উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'ডাকাতের গল্প' গল্পে বিশ্বম্ভরবাবু পেশায় ডাক্তার ছিলেন।


2. কে ভল্লুকের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছিল?

উত্তরঃ বিশ্বম্ভরবাবুর চাকর শম্ভুর হাতের লাঠি খেয়ে ভল্লুকের মেরুদন্ড ভেঙে গিয়েছিল।


3. শম্ভু কীভাবে কুমির মেরেছে?

উত্তরঃ একবার গ্রীষ্মকালে শম্ভু বিশ্বম্ভরবাবুর সঙ্গে স্বর্ণগঞ্জে গিয়েছিল। সেখানে পদ্মানদীর চরে রান্নার জন্য পদ্মার ধারে ছোটো ছোটো ঝাউ গাছের জঙ্গল থেকে দা দিয়ে শম্ভু ঝাউ গাছ কেটে আঁটি বাঁধছিল। যখন অসহা রৌদ্রে শম্ভুর বড়ো তৃয়া পায়, শম্ভু তখন নদীতে জল খেতে গিয়ে দেখতে পায় একটা বাছুরকে কুমির ধরেছে। শম্ভু এক লাফে জলে পড়ে কুমিরের পিঠে চড়ে বসে দা দিয়ে কুমিরের গলায় পোঁচ দিতে থাকে, কুমির যন্ত্রণায় বাছুরকে ছেড়ে দেয়। শম্ভু তারপর সাঁতার দিয়ে ডাঙায় উঠে আসে। এইভাবে শম্ভু কুমিরকে মেরেছিল।


4. বিশ্বম্ভরবাবুরা কীভাবে ডাকাতের হাত থেকে বাঁচলেন তার বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ একবার ডাস্তার বিশ্বম্ভরবাবু রোগী দেখতে চলেছেন সপ্তগ্রামে। সেখানে স্টেশন মাস্টার মধু বিশ্বাসের ছোটো ছেলে অম্লশূল বড়ো কষ্ট পাচ্ছে। রাত্রি তখন দশটা তিল্পনি খালের ধারে, পালকি যখন এল এমন সময় পালকির ছাদ থেকে ডাক্তারের বাক্সটা ফের শক্ত করে বাঁধল। কিন্তু আবার বিপদ খাল পেরিয়ে আন্দাজ দুক্সোশ পথ গেছে, এমন সময় পালকির ডান্ডাটা মড় মডু করে ভেঙে গেল। ইনসাল্লাহ ভাড়া হয়ে যাবে ফলে রাত্রিটা এইখানেই কাটাতে হবে। ডাক্তারবাবু কম্বলটা ঘাসের উপর পেতে লণ্ঠনটা কাছে রেখে চাকর শম্ভুকে নিয়ে গল্প করতে লাগলেন। এমন সময় বেহারাদের সর্দার বুদ্ধ বললে ডাকাত আসছে। বিশ্বম্ভরবাবু বললেন তোরা তো সবাই আছিস। তখন বুদ্ধ বললে, বন্ধু, পঙ্গু পালিয়েছে, ভয়ে বিন্নুর হাত পা আড়ষ্ট। ডাক্তার শুনে ভয়ে কম্পিত। শম্ভু বললেন, 'খবরদার'। ডাকাতেরা অট্টহাস্য করে এগিয়ে আসতে থাকে। তখন শম্ভু পালকির ভাঙা ডান্ডাটা তুলে নিয়ে ডাকাতদের দিকে ছুড়ে মারল। তারি এক ঘায়ে তিনজন ডাকাত পড়ে গেল। তারপর শম্ভু লাঠি ঘুরিয়ে ওদের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল বাকি দুজনে ভয়ে দৌড় দিল। তারপর বাক্সটা বের করে বিশ্বম্ভরবাবু আর শম্ভু দুজনে মিলে তিনজন ডাকতের শুশ্রুষা করলেন। এইভাবেই বিশ্বম্ভরবাবুরা ডাকাতের হাত থেকে বাঁচলেন।


5. "আর উপায় নেই, এইখানেই রাত্রি কাটাতে হবে।" কাকে কোথায়, কেন রাত কাটাতে হবে?

উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'ডাকাতের গল্প' গল্পে গুপ্তিপাড়র ডাক্তার বিশ্বম্ভরবাবু ও তার চাকর শম্ভুকে তিল্পনি খালের ধারে কাটাতে হবে। কারণ পালকির ডান্ডাটা ভেঙে গেছে। ফলে বিশ্বম্ভরবাবু ঘাসের উপর কম্বল পেতে শম্ভুকে নিয়ে গল্প করতে লাগলেন।


6. 'এই তিনটে লোকের ডাক্তারি করা চাই'। বস্তা কে তিনটি লোক কারা বক্তা তাদের ডাক্তারি করতে চাইলেন কেন?

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'ডাকাতের গল্প' গল্পের প্রধান চরিত্র ডাক্তার বিশ্বম্ভরবাবু। এখানে বক্তা হলেন ডাক্তার বিশ্বম্ভরবাবু। তিনটি লোক হল ডাকাত।

বিশ্বম্ভরবাবু পেশায় ডাক্তার। তার কাজই হল মানুষের সেবা করা। মানুষের রোগ হলে তাদের সেবা শুশ্রুষা করে সারিয়ে তোলা। ওই তিনটে লোক ডাকাত ছিল। তারা বিশ্বম্ভরবাবুর উপর আগমণ করে তখন আত্মরক্ষার জন্য শম্ভু চাকর ডাকাতদের উপর পালটা আক্সমণ করে ফলে ডাকাতেরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। কিন্তু পরে ডাক্তারবাবু তাদের ঔষুধ দিয়ে ব্যান্ডেজ বাঁধে সেবা শুশ্রুষা করেন। কারণ ডাক্তারের কাজই হল মানুষের সেবা করা।

No comments:

Post a Comment