জীবন রেখা প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা জীবন রেখা প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Jibon Rekha Question and Answer Madrasa (NCERT) - Psycho Principal

Fresh Topics

Wednesday, 22 January 2025

জীবন রেখা প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা জীবন রেখা প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Jibon Rekha Question and Answer Madrasa (NCERT)

 

জীবন রেখা 
প্রশ্ন উত্তর 





❐ বন্ধুনির মধ্যে ঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (✔) দাওঃ


1. জীবন রেখা' রচনাটির লেখক হলেন -

(ক) কাজী আবদুল ওদুদ।

(খ) বন্দে আলি মিঞা।

(গ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

(ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

উত্তরঃ কাজী আবদুল ওদুদ।


2. কাজী আবদুল ওদুদের জন্ম কোন্ জেলায়?

(ক) ফরিদপুর।

(খ) বরিশাল।

(গ) যশোহর।

(ঘ) কোন্টাই নয়।

উত্তরঃ ফরিদপুর।


3. নিজের জীবনকথা সবিস্তারে বলা যে কোন  ব্যাপারে ?

(ক) সহজ।

(খ) সাধারণ।

(গ) কঠিন।

(ঘ) জটিল।

উত্তরঃ কঠিন।


4. রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাইজ পাবার পূর্বেই কোন্ বই কিনি।

(ক) সোনারতরী।

(খ) গীতাঞ্জলি।

(গ) গীতালি।

(ঘ) গীতবিতান।

উত্তরঃ গীতাঞ্জলি।


5. আমরা প্রথম গ্রন্থ 'মীর পরিবার' গল্পের বই লেখা হয় কত সালে।

(ক) ১৩২৫।

(খ) ১৩৩৫।

(গ) ১৩৪০।

(ঘ) ১৩২৪।

উত্তরঃ  ১৩২৫ সালে।


❐ পাঠ্যাংশ থেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:


1. আমার ----- উপন্যাসে সেই পদ্মার ছবি আঁকতে চেষ্টা করেছি।

উত্তরঃ আজাদ।


2. আমার পিতামহী ছিলেন ---- পারসি জানা মৌলবীর মেয়ে  কিন্তু ধর্মভীরু। 

উত্তরঃ অসাধারণ।


3.  এতদিন ছিলাম মুখ্যত শিল্পী, এইবার হলুম -----

উত্তরঃ জীবন জিজ্ঞাসু।


4. সেখানে কয়েকদিন এক হিন্দু ----- বাসায় ছিলাম।

উত্তরঃ ভদ্রলকের।


❐ নিচের বাক্য গুলি ভুল সংশোধন করে লেখো:


1. ঋণ করে চিংড়ি মাছ খেতে তাঁর বাধত না।

উত্তরঃ ঋণ করে ইলিশ মাছ খেতে তাঁর বাধত না।


2. প্রবেশিকা পাস করে আমেরিকা যাই।

উত্তরঃ  প্রবেশিকা পাস করে কলকাতা যাই।


3. শরৎচন্দ্র ও সুভাষচন্দ্র বইগুলির উচ্চ প্রশংসা করেন।

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ বইগুলির উচ্চ প্রশংসা করেন।


4. মৌলবিদের সঙ্গে আমার গল্প গুজব হয়।

উত্তরঃ মৌলবিদের সঙ্গে আমার আলাপ-আলচনা হয়।


❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: 

␧ দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও:


1.কাজী-আবদুল ওদুদের শৈশব কোথায় অতিবাহিত হয়।

উত্তরঃ পিতৃগৃহে।


2. কাজী-আবদুল ওদুদের পিতামহী কোন্ বিদেশি ভাষা জানতেন?

উত্তরঃ পারসি ভাষা জানতেন।


3. রবীন্দ্রনাথ কী বই লিখতে রাজি হয়েছিলেন বহু সংকোচ কাটিয়ে?

উত্তরঃ জীবনস্মৃতি।


4. কাজী-আবদুল ওদুদের কৈশোর কোথায় কাটে?

উত্তরঃ মাতুলালয়ে, নদীয়া জেলায়, শিলাইদার মাইল আঠাশ পূর্বে, পদ্মা পারে।


5. শিলাইদহের পাশ দিয়ে কোন্ নদী বয়ে গেছে?

উত্তরঃ পদ্মা।


6. কে ঋন করে ইলিশ মাছখেতেন?

উত্তরঃ লেখকের পিতামহ।


7.  'বিরাজ বৌ'- এর সমালচনা কোথায় প্রকাশিত হয়?

উত্তরঃ  ভারতবর্ষে।


8. বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের একজন নেতার নাম লেখো।

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ।


❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:


1.'বনেদি কিন্তু সংগতিহীন পরিবারে'? এই পরিবারের পরিচয় দাও।

 উত্তরঃ লেখকের পিতামহ লেখাপড়া জানতেন না। ভদ্রলকের ছেলে তাই নিজের হাতে চাষ করতেন না। তবে জীবিকা নির্বাহ করতেন কৃষির সাহায্যেই। তিনি চিন্তা ভাবনার কোনো ধার ধারতেন না। ঋন করে ইলিশ মাছ খেতে তাঁর বাধত না। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পরিশ্রমের ফাঁকে নিরুদ্বেগে নিদ্রাও উপভোগ করতেন। পিতা রেলওয়েতে চাকরি করতেন, সাহেবদের সঙ্গে মারামারি করে অনেকবার চাকুরি ছেড়েছেন। তাঁর মা ছিলেন অতিশয় দৃঢ় চরিত্রের ও প্রখর বুদ্ধি সম্পন্না, কিন্তু কর্তৃত্ব অভিলাষিণী, তাঁর বুদ্ধিমত্তা ও কর্মদক্ষতা দেখে তাঁর ঠাকুমা তাঁকে অল্পকাল পরেই সংসারের কর্তৃত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন।


2. 'আমৃত্যু শাশুড়ি বস্তুতে সম্ভাৰ ছিল'? প্রসঙ্গ নির্দেশ করো।

উত্তরঃ লেখকের মা ছিলেন অতিশয় দূঢ় চরিত্রের ও প্রখর বুদ্ধি সম্পন্না, কিন্তু কর্তৃত্ব অভিলাষিণী। তাঁর বুদ্ধিমতা ও কর্মদক্ষতা দেখে লেখকের ঠাকুমা তাঁর মাকে বিবাহের অল্পকালের মধ্যেই সংসারের কর্তৃত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমৃত্যু শাশুড়ি বধুতে সম্ভাব ছিল।

 

 ❐ টিকা লেখোঃ

i.  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে ৭ই মে কলকাতার জোড়াসাঁকোয়। একমাত্র নোবেল বিজয়ী ভারতীয় সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। বাংলা ছোটো গল্প রচনার ক্ষেত্রেও তিনি অসমান্য প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত তাঁর গল্পগুলি 'গল্প গুচ্ছ', 'সে', 'গল্পস্বল্প' গ্রন্থে অর্ন্তভুক্ত হয়েছে। তাঁর প্রথম দিকের প্রায় সব ছোটো গল্পের পটভূমিতে আছে পদ্মানদী এবং দুই পারের মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। তাঁর রচিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ 'গীতাঞ্জলি' 'কথা-কাহিনি' 'সোনার তরী' 'চিত্রা', মানসি 'পুনশ্চ', 'বলাকা' প্রভৃতি। ১৯৪১ খ্রীস্টাব্দের ৭ই আগষ্ট তাঁর মৃত্যু হয়।


ii.  শরৎচন্দ্র: ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে শরৎচন্দ্রের জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম মতিলাল চট্টোপাধ্যায়। মাতার নাম ভুবন মোহিনি দেবী। তিনিই প্রথম বাংলা সাহিত্যকে সাধারণের অন্দরমহলে নিয়ে আসেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস গুলির মধ্যে আছে 'শ্রীকান্ত', দেবদাস', 'বড় দিদি', 'মেজদিদি', 'পথের দাবী', 'বিন্দুর ছেলে', 'পল্লীসমাজ', 'দেনা-পাওনা', 'চরিত্রহীন', 'শেষ প্রশ্ন' কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে 'জগত্তারিণী', সুবর্ণ পদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডি. লিট, উপাধি দিয়ে বিশেষ ভাবে সম্মানিত করেন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে ১৬ জানুয়ারি তিনি পরলক গমন করেন।


iii. সুভাষচন্দ্র বসু: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অতিজনপ্রিয় নেতা ভারত বিদ্বেসী ইংরেজ অধ্যাপক ওটেনকে প্রহারের অভিযোগে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিতাড়িত হয়। প্রথম জীবনে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ছিলেন তার রাজনৈতিক গুরু। ১৯২৭ খ্রীঃ তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। গৃহে অন্তরীন থাকাকালীন ১৯৪১ সালে পুলিসের চোখে ফাঁকি দিয়ে তিনি কাবুল হয়ে রাশিয়ায় পৌঁছান। পরে রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে আজাদ হিন্দ ফৌজ এর স্বাতীয় ভার গ্রহণ করেন তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে তরুণের স্পপ্ন An Indian Pilrpim প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।


4. কার কার কাছ থেকে কাজী আবদুল ওদুদ বৃদ্ধির মুক্তি দীক্ষা নিয়েছিলেন?

উত্তরঃ তিনি হজরত মুহম্মদ (সাঃ), ইমারসন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গ্যেটে, গান্ধিজি, রোমা রোঁলা, টলস্টয় প্রমুখ মনিষীদের থেকে বুদ্ধির মুক্তি দীক্ষা নিয়েছিলেন।


5. আমি ইসলামকে নষ্ট করতে চাই', কথাগুলি কতটা সত্য ছিল?

উত্তরঃ  আবদুল ওদুদ ঢাকায় ছাত্রদের মধ্যে তাঁর নতুন চিন্তার প্রচার শুরু করেন। এর মূলকথা ছিল বুদ্ধির মুক্তি অর্থাৎ 'বুদ্ধি'কে শাস্ত্রানু গত্য থেকে উদ্বার করে স্বাধীন ও সক্ষম করতে হবে। তিনি ইরাসমাস, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধিজী, রোমা, রোঁলা, টলস্টয়, সেখশাদি, প্রমুখ মনিষীদের কাছে থেকে এই বুদ্ধির মুক্তির দীক্ষা গ্রহণ করেন। এর প্রভাবে ঢাকায় প্রধানত মুসলমান ছাত্রদের মধ্যে এক নতুন দলের সৃষ্টি হয়। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে দমন করার উদ্দেশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দেওয়া হয়। মওলানা আকরম খাঁ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন- অমিই ইসলামকে নষ্ট করতে চাই। কিন্তু এই কথা গুলি সত্য ছিলনা।


❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি :


1. 'জীবনরেখা' রচনায় কাজী আবদুল ওদুদের শৈশব ও পারিবারিক জীবনের যে ছবি ফুটে উঠেছে তার পরিচয় দাও।

উত্তরঃ  আবদুল ওদুদের জন্ম ফরিদপুর জেলায়। নদিয়া সিমান্তে পদ্মাপারে ছিল তাঁর গ্রামটি। পরিবারটি ছিল বনেদি কিন্তু সংগতিহীন। তাঁর শৈশব কাটে পিতার ঘরেই। তাই পদ্মা ছিল তাঁর সঙ্গী। বাল্য শিক্ষা শুরু হয়েছিল পিতৃগৃহে। পিতৃকূল ও মাতৃকুল দুটিই ছিল মধ্যবিত্ত। তবে মাতৃকূকুল কিছুটা সংগতি সম্পন্ন ছিল। তাঁর পিতামহ লেখাপড়া জানতেন না। নিজে হাতে চাষ না করলেও জীবিকা নির্বাহ করতেন কৃষির সাহায্যে। তাঁর পিতামহী ছিলেন অসাধারণ পারসি জানা মৌলবির মেয়ে, কিন্তু ধর্মভীরু, বুদ্ধিমতী, কর্মকুশলা ও কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন। পিতাছিলেন বুদ্ধিতে একান্ত খেয়ালি কিন্তু অতি স্নেহময় অন্তর করণের আত্মায় স্বজনের দুঃখ আদৌ সহ্য করতে পারতেন না। আয় সামান্য কিন্তু পরিজনদের দান করতে মুক্তহস্ত। পিতা রেলওয়েতে চাকুরি করতেন। তহার আত্মসম্মান বোধ ছিল অসধারণ। দরিদ্র আত্মীয়দের সঙ্গে প্রাণ খুলে মিশতেন, বড়োলক আত্মীয়দের সহ্য করতে পারতেন না। তাঁর মা ছিলেন অতি দৃঢ় চরিত্রের ও প্রখর বুদ্ধি সম্পন্না, কিন্তু কর্তৃত্ব অভিলাষিণী।


2. 'জীবনরেখা' রচনায় যুক্তিবাদী ও চিন্তাশিল কাজী আবদুল ওদুদের যে পরিচয় পাওয়া যায় তা আলচনা করো।

উত্তরঃ নবপর্যায় প্রকাশিত হবার দু-এক বছর আগে ঢাকায় ছাত্রদের মধ্যে তাঁর নতুন প্রচার শুরু হয়। এর মূলকথা ছিল বুদ্ধির মুক্তি অর্থাৎ 'বুদ্ধি'কে শাস্ত্রানু গত্য থেকে উদ্ধার করে স্বাধীন করতে হবে। ইরাসমাস, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধিজি, রোমা, রোঁলা, টলাস্টয়, শেখ সাদি প্রমুখ মনিষীদের কাছ থেকে এই বুদ্ধির মুক্তির দীক্ষা গ্রহণ করেন।


3. 'সংস্কার মুক্ত মানুষ ওদুদ' - এই শিরোনামে ১০০টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।

উত্তরঃ কাজি আব্দুল ওদুদ ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে ২৬ এপ্রিল ফরিদপুর জেলার নদীয়া সিমান্তে সংগতিহীন বনেদি পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বাল্যশিক্ষা পিতৃ গৃহে ও মাতুলালয়ে সম্পন্ন হয়। সুভাষচন্দ্র, প্রমথনাথ সরকার, নিলেন রায়, ক্ষেত্রেশ চট্টোপাধ্যায়, দেবেন ব্যানার্জী ইত্যাদি হাইপ্রোফাইল ব্যক্তি ছিলেন তার সহপাঠি। তার 'নবপর্যায়' প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই নতুন চিন্তার উদ্ভব হয় তার মূল উদ্দেশ্য ছিল বুদ্ধির মুক্তি অর্থাৎ বুদ্ধিকে শাস্ত্রানুগত্য থেকে উদ্ধার করে স্বাধীন ও সক্ষম করতে হবে। ইমারশন, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধি, রোমারোলা টরস্টয়, শেখ শাদী প্রমুখ মনিষীদের কাছ থেকে এই বুদ্ধির মুক্তি দীক্ষা গ্রহণ করেন এই ভাবেই তিনি সংস্কার যুক্ত মানুষ হয়ে উঠেন।

No comments:

Post a Comment