❐ বন্ধনির মধ্যে ঠিক উত্তর টিকে (✔) চিহ্ন দাও:
1. যমুনা অভিযান রচনাটির লেখক হলেন -
(ক) বন্দে আলি মিঞা।
(খ) ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
(গ) জসিমউদ্দিন।
(ঘ) কেউই নয়।
উত্তরঃ ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
2.তখন ট্রেন ছাড়তে কত মিনিট বাকি।
(ক) ১০।
(খ) ১৫।
(গ) ২০।
(ঘ) ২৫।
উত্তরঃ ১০ মিনিট।
3. গাড়ি প্রথমে কোথায় এসে থামল।
(ক) ব্যান্ডেল।
(খ) বাঁকিপুরে।
(গ) বর্ধমানে।
(ঘ) কলকাতা।
উত্তরঃ বর্ধমানে।
4. কোন্ ক্লাসে দাঁড়াবার পর্যন্ত জায়গা নেই।
(ক) সেক্রেড।
(খ) থার্ড।
(গ) ফাস্ট।
(ঘ) ফার্স্ট।
উত্তরঃ থার্ড।
5. এলাহাবাদ জংশনের একটু আগে কি হল।
(ক) সকাল।
(খ) দুপুর।
(গ) বিকেল।
(ঘ) রাত।
উত্তরঃ সকাল।
❐ পাঠ্যাংশ থেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:
1. -----কিছু মিঠাই কিনে ছিলুম তাই খেয়ে এখন শুয়ে পড়লুম।
উত্তরঃ বাঁকিপুরে।
2. তাঁর পিতাও একজন ------ নামাজাদা উকিল।
উত্তরঃ কানপুরের।
3. ------ এসে হাত মুখ ধুয়ে ফজরের নামাজ পড়লুম।
উত্তরঃ এলাহাবাদে।
4. লু-র যে ভাবনা ছিল, ----- কৃপায় ফজরে সেটা কেটে গেল।
উত্তরঃ আল্লাহরই।
5. কাজেই ------ হয়ে রেলের ধারে দেখতে দেখতে এসেছি ।
উত্তরঃ কৌতূহলী।
❐ নিচের বাক্যগুলি ভূল সংশোধন করে লেখো:
1. গাড়ি প্রথমে কলকাতায় এসে থামল।
উত্তরঃ গাড়ি প্রথমে বর্ধমানে এসে থামল।
2. এলাহাবাদে এসে হাত মুখ ধুয়ে জোহরের নামাজ পড়লুম।
উত্তরঃ এলাহাবাদে এসে হাত মুখ ধুয়ে ফজরের নামাজ পড়লুম।
3. আজ এই গঙ্গা।
উত্তরঃ আজ এই যমুনা।
4. সমস্ত দিন ঘুম হয়নি।
উত্তরঃ সমস্ত রাত ঘুম হয়নি।
❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
দু-একটি কথায় উত্তর দাও:
1. গবির ভদ্রলকেরা ট্রেনের কোন্ ক্লাসে চাপতেন?
উত্তরঃ ইন্টার ক্লাসে।
2. লেখক কোন্ ট্রেনে যাত্রা করলেন?
উত্তরঃ লেখক যমুনা তথা আগ্রার ট্রেনে যাত্রা করলেন।
3. বিহারি ভদ্রলকের গন্তব্যস্থল কোথায় ছিল?
উত্তরঃ পাটনায়।
4. বাঁকিপুর স্টেশনে কে কে ওঠোন?
উত্তরঃবাঁকিপুর স্টেশনে উকিল আর একজন মাস্টার মশাই ওঠেন।
5. লেখক কোথায় ফজরের নামাজ পড়েছিলেন?
উত্তরঃ এলাহাবাদে।
6. টাকার কাছ থেকে জলকিনে লেখক স্নান করলেন?
উত্তরঃ এক ভিস্তির কে কাছ থেকে।
7. লেখক কোথা থেকে কিছু মিষ্টি কিনেছিলেন?
উত্তরঃ বাঁকিপুর থেকে।
8. লু কথার অর্থ কী?
উত্তরঃ লু কথার অর্থ হল গরম বাতাস।
9. কোন্ খানে দীর্ঘযাত্রার সমাপ্তি ঘটে?
উত্তরঃ আগ্রা স্টেশনে।
10. কী দেখে লেখকের পুরাতন চেনা জিনিস বলে বোধ হয়?
উত্তরঃ আগ্রা শহরের দৃশ্য দেখে।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:
1. কোন্ খানে কীভাবে গিয়ে লেখক হাত পা ছড়িয়ে বসলেন?
উত্তরঃ ট্রেন স্টেশনে গিয়ে দেখলেন যে থার্ড ক্লাসে অসম্ভব ভিড়। গরিব ভদ্রলকের একমাত্র সম্বল ইন্টার ক্লাসে তেমনি ভিড় ছিল না বলেলেখকে হাত-পা ছড়িয়ে বসলেন।
2. লেখক প্লেনে কার পাশে বসেছিলেন এবং কীভাবে বসেছিলেন?
উত্তরঃ লেখক বিহারি ভদ্রলকের পাশে বসেছিলেন। হাত পা ছড়িয়ে বসেছিলেন।
3. ট্রেন পথে লেখক যে সমস্ত সাথি যাত্রী পেয়েছিলেন তাদের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ প্রথমে তার পরিচয় হয়েছিল এক বিহারি ভদ্রলকের। তার পর একজন মুসলিম গার্ড, এবং শেষে একজন উকিল আর একজন তহশিলদার এবং পাগলা গারদের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট।
4. এলাহাবাদে ট্রেন পৌঁছোল লেখক কী কী কাজশেষ করেন?
উত্তরঃ হাত মুখ ধুয়ে ফজরের নামাজ পড়লেন।
5.কীভাবে লেখক তার শরীরকে ঠান্ডা করেন?
উত্তরঃ কামপুরে এসে এক ভিস্তিকে দু-পয়সা দিয়ে স্নান করে শরীরকে ঠান্ডা করেন।
6. 'এটা একটা শহরের মত শহর বটে'। শহরটির পরিচয় দাও?
উত্তরঃ এখানে শহরটি হল আগ্রা। যমুনা নদীর তীরে এই শহরটি অবস্থিত। তাজমহলের জন্য শহরটি খ্যাত।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি:
1. লেখকের 'যমুনা অভিযান' যাত্রার অভিজ্ঞতা বিবরণ দাও।
উত্তরঃ ট্রেন ছাড়ার ১০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছে তাড়াতাড়ি টিকিট কেটে গাড়িতে বসলেন। ইন্টার ক্লাসে খুব একটা ভিড় না থাকায় তিনি একটু হাত পা ছড়িয়ে
বসলেন। গাড়িতে একজন বিহারি ভদ্রলকের সঙ্গে তাঁর আলাপ জমে। গাড়ি প্রথমে এসে বর্ধমানে থামে। তারপর যেখানে সেখানে থামে। কুলি, ভদ্রলক সবাই ট্রেনে এসে ভিড় করে। হইচই, রই রই, ঠেলাঠেলি, হুড়োহুড়ির ভিতরে গাড়ি মোগলসরাই এসে পৌঁছায়। বাঁকিপুরে কিছু মিঠাই কিনে তা খেয়ে শুয়ে পড়েন, পথে একজন মুসলিম গার্ডের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়।
তিনি লেখকের জিনিসপত্র গুছিয়ে উপর বেঞ্চেতে তুলে দিয়ে শোবার জোগাড় যন্ত্র করতে সাহায্য করেছিলেন।
বাঁকিপুরে একজন উকিল আর একজন মাস্টার মশাই সপরিবারে ওঠেন। উকিলবাবুর বাড়ী নৈহাটি তিনি কানপুরে প্র্যাকটিস করেন এখন সেখানেকার অধিবাসি। মাস্টার মশাই দিল্লির ইন্দ্র প্রস্থ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিযুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। সঙ্গে স্ত্রী ও দুটি শিশু সন্তান। মাস্টার মশাই এর স্ত্রীর মধ্যে বাঙালিসুলভ কিছু মাত্র জড়তা ছিল না। এরকম স্ত্রী সঙ্গে থাকালে রেলের গাড়িই বাসঘর হয়ে যায়।
তিনি সমস্ত রাতই ঘুমন নি, এলাহাবাদ জংশনের একটু আগে সকাল হল। তিনি এলাহাবাদে এসে হাতমুখ ধুয়ে ফজরের নামাজ পড়লেন। তারপর কানপুরে এসে এক ভিস্তিকে দুপয়সা দিয়ে তিনি স্নান করেন। তার পর সেখান থেকে পুরি তরকারি কিনে খেলেন।
পথে আজমিরের একজন ড্রয়িং অফিসার ও আগ্রার একজন তহশিলদার এবং পাগলাগারদের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট গাড়িতে তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে আগ্রার ও মালকানা রাজপুতদের সম্বন্ধে অনেক কথা শুনলেন।
2. লেখক ট্রেনে যেতে যেতে যে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখেছিলেন তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ লেখক এর আগে কখনও বোলপুরের চেয়ে বেশি দূরে যাননি। তাই তিনি কৌতূহলী হয়ে রেলের দুই ধারে দেখতে দেখতে এসেছিলেন। তিনি সকল জায়গাতেই প্রকৃতির রুক্ষমূর্তি দেখলেন। তার চিক্কতা শ্যামল রূপের জন্য তাঁর চোখ সর্বদা পিয়াসি থাকলেও কোথাও একটি সবুজ ঘাস বা ধান গাছের চারা দেখতে পেলেন না। । রাণিগঞ্জের এদিক থেকে আরম্ভ করেমোকাম ঘাট পর্যন্ত বিশেষ করে মধুপুর, দেওঘর, শিমুলতলার দৃশ্য তাঁর বেশ ভাল লেগেছিল। কলকাতার মানুষদের কাছে এলাহাবাদ, কানপুরের দৃশ্য খুব সুন্দর লাগে। তারপর তিনি চিরপরিচিত তাজমহল দেখলেন। কিন্তু শির্ণকায় যমুনা দেখে তাঁর বুকের ভেতর কেমন একটা দুঃখের ভাব হয়।
No comments:
Post a Comment