👉(সুখ প্রশ্ন উত্তর কামিনী রায় )
❐ বন্দনীর মধ্যে ঠিক উত্তরের টিক চিহ্ন (√) দাও:
1. 'কবর কবিতাটি লিখেছেন কবি -
(ক) রাজিয়া।
(খ) শামনুর রহমানঃ।
(গ) জসিমউদ্দীন।
(ঘ) কেউই নয়।
উত্তরঃ জসিমউদ্দীন।
2. এই খানে তোর কবর ডালিম গাছের তলে।
(ক) নানির।
(খ) দাদির।
(গ) ফুপার।
(ঘ) মা-বাবা।
উত্তরঃ দাদির।
3. কবর ঘুমায়ে রয়েছে নিঝুম নিরালায়।
(ক) তলেতে।
(খ) মাটিতে।
(গ) দেশেতে।
(ঘ) উপরতে।
উত্তরঃ দেশেতে।
❐ কবিতা থেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করি
1. পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ----- বুক।
উত্তরঃ ভাসাইতে।
2. ------ উষায় সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি।
উত্তরঃ সোনালি।
3. পথ-পানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি ------
উত্তরঃ আঁখি জলে।
❐ শূন্যস্থানে ডানদিকের ঘর থেকে সঠিক শব্দটি বসাওঃ
1. এইখানে তোর ----- কবর ডালিম গাছের তলে। (দিদার/দাদির)
উত্তরঃ দাদির।
2. সোনালি উষায় ----- তার আমার নয়নে ভরি (দুইহাত/সোনামুখ)
উত্তরঃ সোনামুখ।
3. ------ বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধারিয়া পা (শ্বশুর/বাপের)
উত্তরঃ বাপের।
4. দেড় পয়সার ------ এবং মাজন লইয়া গাঁটে, (তামাক/গুড়)
উত্তরঃ তামাক।
5. লাঙল লইয়া, ------ ছুটিতাম গাঁয়ের ও পথধরি। (মাঠে/খেতে)
উত্তরঃ খেতে।
❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রয়োত্তর:
1. কবর কাকে বলে?
উত্তরঃ মৃতদেহকে যেখানে সমাধিস্থ করা হয় তাকে করব বলে।
2. কার বিয়ে ভেঙে গেল বলে কে বুক ভাসাত?
উত্তরঃ পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে লেখকের দাদি বুক ভাসাত।
3. গাঁয়ের পথ ধরে কী নিয়ে দাদু ছুটে যেতেন?
উত্তরঃ তরমুজ বেচে একছড়া পুঁতির মালা, তামাক ও মাজন নিয়ে দাদু ছুটে যেতেন।
4. শপলার হাটে দাদু-কী বেচতেন?
উত্তরঃ তরমুজ বেচতেন।
5. দাদু কখন শ্বশুর বাড়ির পথে পা বাড়াতেন।
উত্তরঃ সন্ধ্যাবেলায়।
6. শ্বশুর বাড়িতে দাদু কী কী নিয়ে যেতেন?
উত্তরঃ পুঁতির মালা, তামাক ও মাজন।
7. নথ নেড়ে নেড়ে দাদি কী বলতেন?
উত্তরঃ এতদিন পরে এলে।
8. ভাবিসাব বস্তাকে কী নিয়ে তামাশা করত?
উত্তরঃ লাঙল নিয়ে খেতে যাবার সময় বার বার পিছন ফিরে তাকাত বলে ভাবিসাব বস্তুাকে নিয়ে তামাশা করত।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি;
1. তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে'? অংশটির অন্তর্নিহিত অর্থ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতায় বস্তা তার স্ত্রীকে ত্রিশ বছর আগে হারিয়েছে। এই দীর্ঘ তিরিশ বছর বস্তা তার স্ত্রীকে কবরের সামানে নিয়ে গিয়ে তার দাম্পত্য জীবনের নানা সুখের ঘটনা স্মৃতি চারণ করেছে।
2. সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা।'- সরলার্থ লেখো।
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতায় বক্তা যখন তার স্ত্রীকে বিয়ে করে ঘরে এনেছিল তখন তার বয়স ছিল খুবই কম। শিশু সুলভ আচরণ তার তখনও যায়নি। পুতুলের বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল বলে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিয়েছিল। বস্তা তার স্ত্রীকে এতই ভালবাসত যে যখন কোথাও যেতেন তখন তার স্ত্রীর জন্য পাগল হয়েযেতেন এবং তার সম্পর্কে নানান দুশ্চিন্তা মাথায় আসত। বক্তা তাঁর স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে বলতেন কেউ যেন তার পুরোবাড়ীটাতে সোনা ছড়িয়ে দিয়েছে।
3. 'আমারে দেখিতে যাইয়ো কিন্তু উজান তলির গাঁ।' প্রসঙ্গ নির্দেশ করো।
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতায় বক্তার স্ত্রী যখন বাপের বাড়ী যাইত তখন বস্তার পা জড়িয়ে ধরে বস্তাতে বলকেতা আমার বাপের বাড়ী অর্থাৎ উজান তলির গাঁয়ে আমাকেদেখতে যাবে।
4. 'হেসো-না-হেসো-না-শোনোড়ে দাদু' একথা বলার কারণ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ বস্তার যখন তার স্ত্রীর বাপের বাড়ীতে দেখা করতে যেত তখন তার জন্য শপলার হাটে তরমুজ বেচে একছড়া পুঁতির মালা, দেড় পয়সার তামাক এবং গাঁটে মাজন নিয়ে সন্ধ্যার সময় বাড়ীতে পৌঁছাত। সেই তামাক মাজন পেয়ে তার স্ত্রী খুব খুশি হত। একথা শুনে বক্তার নাতিন হেসেছিল। তাই বস্তা তার নাতিকে একথা বলেছিলেন।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি:
1. কবর কবিতার বিষয় বস্তু সংক্ষেপে লেখো।
উত্তরঃ বস্তা দাদু তার নাতিকে বলছেন তার দাদির কবর এই ডালিম গাছের তলায়। খুব অল্প বয়সে তার দাদির বিয়ে হয়েছিল। তার দাদিকে খুব সুন্দর দেখতে ছিল। বস্তা যখন লাঙল নিয়ে মাঠে যেতেন তখন বারবার পিছন ফিরে তার স্ত্রীকে দেখতেন যা দেখে বস্তার ভাবীরা তামাশা করতেন।
বস্তার স্ত্রী বাপের বাড়ী গেলে বক্তা শপলার হাটে তরমুজ বিক্রিকরে পুঁতির মালা, তামাক ও মাজন নিয়ে সন্ধ্যার সময় শ্বশুর বাড়ি যেতেন। সেই মাজন ও তামাক পেয়ে তার স্ত্রী খুশি হয়ে বলতেন এতদিন পরে এলে। কবিতার শেষে বস্তা তার নাতিকে তার দাদির জন্য আল্লার কাছে দোওয়া চাইতে বলেন।
2. কবর কবিতা কে কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন তাঁর সম্পর্কে লেখো।
উত্তরঃ কবর কবিতায় দাম্পত্য জীবনের নানান সুখের কথা স্মরণ করে কাঁদতে থাকেন। অআলোচ্য কবিতায় বস্তা তাঁর নাতিকে দাদির কবরের কাছে নিয়ে গিয়ে তাদের কয়েকটি সুখের কথা স্মৃতিচারণ করেছেন।
3. 'কবর' কবিতায় যিনি কবরের নিচে ঘুমিয়ে আছেন তার সম্বন্ধে যা জানাগেছে তা লিপিবদ্ধ করো।
উত্তরঃ অআলোচ্য কবিতায় বস্তার স্ত্রী-কবরের নিচে ঘুমিয়ে আছেন। খুব কম বয়সেই তার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পরও তার শিশু সুলভ আচরণ লক্ষ্য কার গেছে। পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেলে কেঁদে বুক ভাসাত। স্বামীকে তিনি এতই ভালবাসতেন যে বাপের বাড়ী যাবার সময় কাঁদতেন। স্বামীর আনা সাম্যন্য উপহারেও তিনি খুব খুশি হতেন।
4. 'একটি কবরস্থানে কিছুক্ষণ'- এই শিরোনামে ১০০টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তরঃ কলকাতায় বাবার ব্যাগের দোকান। সেই যুত্রে সবেবরাতের দিনে বাবার কাছে গিয়ে ছিলাম। ঐ দিনকে সারা দিন বাবার সঙ্গে নামাজ পেেড়াছি। এসার নামাজের পর বাবার বন্ধুদের সঙ্গে কলকাতার নাম করা বাগমারি কবরস্থানে গিয়ে ছিলাম জিয়ারত করতে। কলকাতার মানুষ সবেহরাতের রাতে ষারারাত জেগে বিভিন্ন কবরস্থানে ঘোরে। বিরাট বড়ো কবরস্থান যে দিকে যায় সেদিকেই দেখি নতুন নতুন করব। ভাবলাম কেনই বা হবে না এত বড়ো শহর কলকাতায় প্রতিদিন কত মানুষ মারা যায়। কিন্তু একটা জিনিস মনে খটকা লাগল তাহলে পুরানো কবর কই। কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে। বাবাকে জিঞ্জাসা করেই ফেললাম আব্বা কলকাতায় কি প্রতিদিন এত মানুষ মারা যায়। বাবা হেসে উত্তর দিল নারে বোেকা সবেবরাতের দিনে যে যার আত্মীয়রা নিজ নিজ আত্মিয়ের কবর জল মাটি দিয়ে দিয়ে নতুন করে লেপে দেয়।
No comments:
Post a Comment