❐ বন্ধনির মধ্যে ঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (✔) দাও:
1. 'কুলিমজুর' কবিতাটি রচনা করেন -
(ক) কাজী নজরুল ইসলাম।
(খ) জসিমউদ্দিন।
(গ) গোলাম মোস্তাফা।
(ঘ) বন্দে আলী মিঞা।
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম।
2. এমনি করে কি ভগ্ন জুড়িয়ে মার খাবে?
(ক) গরিব।
(খ) দুর্বল।
(গ) অভাগা।
(ঘ) দূর্ভাগা।
উত্তরঃ দুর্বল।
3. কত দিয়ে কুলিদের তুই কত ক্সোড় পেলি বল?
(ক) পয়সা।
(খ) টাকা।
(গ) মজুরি।
(ঘ) পাই।
উত্তরঃ পাই।
4. তুমি শুয়ে রবে পরে, আমরা রহিব নিচে।
(ক) একতলা।
(খ) দোতলার।
(গ) তে-তলার।
(ঘ) পাকাঘর।
উত্তরঃ তে-তলার।
❐ ভুল থাকলে পঙ্ক্তি যুদ্ধ করে লেখো:
1. খাবার দিয়াছ চুপ করো যত মিথ্যাবাদীর দল?
উত্তরঃ বেতন দিয়াছ? চুপ রও যত মিথ্যাবাদীর দল।
2. আসিতেছে বড়োদিন/ দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দায়, শুধিতে হইবে ঋণ।
উত্তরঃ আসিতেছে শুভদিন/ দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ।
3. এমনি করে কী পৃথিবী ঘুরিয়া মার খাবে দুর্বল।
উত্তরঃ এমনি করে কি জগ্র জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?
4. কার রঙো রাজ? চোখ মেলে দেখো, প্রতি ইটে আছে লিখা।
উত্তরঃ কার খুনে রাঙা ঠুলি খুলে দেখো, প্রতি ইটে আছে লিখা!
5. যে মানুষের হাড় দিয়ে ওই বাষ্প-শকট চলে?
উত্তরঃ যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ওই বাষ্প-শকট চলে।
❐ শূন্যস্থানে বন্ধনি থেকে সঠিক শব্দটি বসাও :
1. তুমি শুয়ে রবে ---- পরে, আমরা রহিব নিচে, (দু'তলা/তে-তলার)।
উত্তরঃ তে-তলার।
2. সেদিন দেখিনু ----- (বাসে/রেলে)।
উত্তরঃ রেলে।
3. এমনি করে কি ---- জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল (জগৎ/পৃথিবী)
উত্তরঃ জগৎ।
4. ঠুলি খুলে দেখো, প্রতি ----- আছে লিখা (পাথরে/ইটে)
উত্তরঃ ইটে।
5. এই ----- তরণির হাল রবে তাহাদেরি বশে। (জগতের/ধরণির)
উত্তরঃ ধরণির।
❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও :
1. বাবু সাব কাকে নিচে ঠেলে ফেলে দিয়েছিল?
উত্তরঃ এক কুলিকে নিচে ঠেলে ফেলে দিয়েছিল।
2. মিথ্যাবাদীর দল কাদের বলা হয়েছে?
উত্তরঃ কুলিদের মিথ্যাবাদীর দল বলা হয়েছে।
3. কার খুনে অট্টালিকা রাঙা?
উত্তরঃ কুলি-মজুরদের।
4. বাষ্প-শকট কীসে চলে?
উত্তরঃ রেলপথে
5. কবি কাদের গান গাইতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ মজুর, মুটে ও কুলিদের।
6. শুভদিন এলে কী হবে?
উত্তরঃ এই পৃথিবী পরিচালনার ভার তাদের অধীনে আসবে।
7. কবি রেলে কী দেখলেন?
উত্তরঃ এক বাবু ট্রেন থেকে এক কুলিকে বাইরে ঠেলে ফেলে দিলেন।
8. কোন্ দিন আসছে?
উত্তরঃ শুভদিন আসছে।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :
1. 'চোখ ফেটে এল জল'? এরূপ হবার কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলাম একদিন ট্রেনে চড়ে যাচ্ছিলেন। তিনি দেখেন এক বাবু এক কুলিকে ঠেলে নিচে ফেলে দিলেন। এটাদেখে কবির চোখ ফেটে জল এল। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রেল চলে সেই ট্রেনে তারাই চড়তে পারেনা।
2. 'চুপ রও যত মিথ্যাবাদীর দল।'? প্রসঙ্গ নির্দেশ করো।
উত্তরঃ কবি দেখলেন এক কুলি ট্রেনে চড়েছিল বলে এক বাবু এসে তাকে ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দিলেন। যা দেখে কবির চোখে জল এল। কুলি তার পারিশ্রমিক চাইলে বাবু একথা বলেন।
3. 'আসিতেছে শুভদিন'? এর ফলে কী হবে বলে কবি মনে করেন?
উত্তরঃ কবি মনে করেন এই পৃথিবীর পরিচালনার ভার আসবে এই সব মজুর, মুটে ও কুলিদের হাতে।
4. 'দেশ ছেয়ে গেল কলে', করো। বিষয়টি ব্যাখ্যা
উত্তরঃ দেশ ছেয়ে গেল কলে বলতে বোঝায় ইংরেজ শাসনে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নানান কলকারখানা গড়ে উঠেছিল।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি:
1. 'কুলি মজুর' কবিতার মূল বক্তব্য নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ কুলিকে বাবুরা হেয় জ্ঞান করেন। কিন্তু রাজপথে যে গাড়ি, রেলপথে যে ট্রেন, সাগরে যে জাহাজ চলে, সেই সবই কুলি মজুরের তৈরি। অট্টালিকার প্রতিটি ইট তাদের রক্তে রাঙা। কবির মতে, এরাই প্রকৃত মানুষ। চিরকাল এদের পায়ের তলায় দমিয়ে রাখা যাবে না। সেই মানুষ সেই দেবতারই জয়গান কবির কণ্ঠে অনুরণিত হয়েছে এই কবিতায়।
2. 'আসিতেছে শুভদিন'? শুভদিনের পরিচয় দাও এবং সেই সঙ্গে অতীতের অশুভদিন গুলির বর্ণনা করো।
উত্তরঃ কবি মনে করেন শুভদিন আসছে। সেদিন মজুর, মুটে কুলিরাই হয়ে উঠবে প্রকৃত মানুষ। তারাই হবে প্রকৃত দেবতা। মানুষ তাদেরই গুনগান গাইবে। তাদের বুকের উপর পা ফেলেই নতুন যুগের সূচনা ঘটবে, যাদের সারা দেহ-মন মাটির মমতা রসে পূর্ণ তাদেরই হাতে এই ধরনির পরিচালনার ভার অর্পিত হবে।
যে কুলি মজুরের অক্লান্ত পরিশ্রমে রেলগাড়ী চলে সেই গাড়ীতেই তার চড়ার অধিকার থাকে না। সে কুলি বলে বাবু তাকে গাড়ী থেকে ঠেলে নিচে ফেলে দেয় এবং তাদের গালিগালাজ করে। কুলি-মজুররাই হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালিয়ে পাহাড় ভেঙে রাস্তা তৈরি করে আরসেই রাস্তার দুধারে পড়ে থাকে তাদের হাড় গোড়, বাবুদের সেবা করার জন্য তারা নিজেদের পবিত্র অঙ্গে ধূলি লাগায়।
3. 'কুলি-মজুর' কবিতায় শ্রমজীবী মানুষেরগ প্রতি কবির দরদ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতায় প্রতিটি লাইনে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি কবির দরদ ফুটে উঠেছে। সেই জন্যেই তো বাবু কুলিকে ট্রেন থেকে ফেলে দিলে তাঁর চোখে জল আসে।
প্রতক্ষ প্রতিবাদ না করলেও তিনি বাবুদের এই কাজকে মনে মনে ধিক্কার জানিয়েছেন এবং বাবুদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন রাজপথে যে গাড়ি, রেলপথে যে ট্রেন, সাগরে যে জাহাজ চলে, সে সবই কুলি-মজুরের তৈরি। অট্টালিকার প্রতিটি ইট তাদের রক্তে রাঙা। এইসব বাবুরা তা না জানলেও পথের প্রতিটি ধূলিকণা তা জানে।
অপর দিকে তিনি কুলি-মজুরদের আশার বাণী শুনিয়ে বলেছেন খুব শীঘ্রই শুভদিন আসছে। যেদিন তারাই হয়ে উঠেছে প্রকৃত মানুষ, প্রকৃতদেবতা। তাদেরই বুকের উপরপা দিয়ে ভর করে নব উত্থান ঘটবে। ধনিদের আজ তারা আর দেবতা বলবে না। এই ধরণীর প্রকৃত নিয়ন্ত্রন থাকবে এই সব কুলি, মুটে ও মজুরদের হাতে।
4. 'সভ্যতার অগ্রগতিতে কুলি-মজুরদের অবদান'? এই শিরোনামে ১০০ টি শব্দে অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তরঃ অতীত থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত বড় নির্মান হয়েছে তা যত বড় ইঞ্জিনিয়ার ছক কষুন না কেন বাস্তব রূপ দিতে গেলে সে শ্রমের প্রয়োজন হয় তা কিন্তু সেই কুলি মজুর দের। কুলিকে বাবুরা হেয় জ্ঞান করেন। কিন্তু রাজপথে যে গাড়ি, রেলপথে যে ট্রেন, সাগরে যে জাহাজ চলে, সেই সবই কুলি মজুরের তৈরি। অট্টালিকার প্রতিটি ইট তাদের রক্তে রাঙা। মানুষ তাদেরই গুনগান গাইবে। তাদের বুকের উপর পা ফেলেই নতুন যুগের সূচনা ঘটবে, যাদের সারা দেহ-মন মাটির মমতা রসে পূর্ণ তাদেরই হাতে এই ধরনির পরিচালনার ভার অর্পিত হবে। ইঞ্জিনিয়াররা কল্পনা করেন পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরীর। কিন্তু তারা হাতুড়ি, শাবল, গাইতি ধরেনা। সেক্ষেত্রে কুলিমজুরদের একমাত্র দরকার।
No comments:
Post a Comment