❐ বন্ধনির মধ্যে ঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (✔) দাওঃ
1. 'নতুন দেশে' কবিতাটি রচনা করেন -
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(খ) মধুসূদন দত্ত।
(গ) জসিমউদ্দিন।
(ঘ) অবনিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
2. নদীর কাছে নৌকো বাঁধা আছে।
(ক) তীরের।
(খ) ঘাটের।
(গ) মাঠের।
(ঘ) পাড়ের।
উত্তরঃ ঘাটের।
3. থাকি ঘরের কোথায় সাধ জাগে মোর মনে
(ক) মাঝে।
(খ) মধ্যে।
(গ) কোণে।
(ঘ) উপরে।
উত্তরঃ কোণে।
4. বরফ ভেঙে যাওয়া কেউ তা পারে না যে।
(ক) হেঁটে।
(খ) পেরিয়ে।
(গ) এগিয়ে।
(ঘ) ডিঙিয়ে।
উত্তরঃ ডিঙিয়ে।
5. বাবা কেন আপিসে যায়/যায় না দেশে।
(ক) অচিন।
(খ) অচেনা।
(গ) নতুন।
(ঘ) বিদেশ।
উত্তরঃ নতুন।
❐ কবিতা থেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:
1. জানি না কোন্ দেশে, ----- যাবেশেষে,
উত্তরঃ পৌঁছে।
2. অমনি করে যাই ভেসে ভাই,/নতুন ------ বনে।
উত্তরঃ নগর
3. ------ বনগুলি সব: দাঁড়িয়ে সারে সারে।
উত্তরঃ নারিকেলের।
4. কত রাতের শেষে ------ যে যায় ভেসে।
উত্তরঃ নৌকো।
5. ------ নৌকো কোথায় / চলে ভাটার টানে।
উত্তরঃ মাঝনদীতে।
❐ পঙক্তি গুলি ভুল থাকলে যুদ্ধ করে লেখো:
1. জানি না কোন্ দেশে / পৌঁছে যাবে এসে,
উত্তরঃ জানি না কোন্ দেশে / পৌঁছে যাবে শেষে।
2. থাকি বাড়ির কোণে/ সাধ জাগে মোর মনে।
উত্তরঃ থাকি ঘরের কোণে / সাধ জাগে মোের মনে।
3. পাহাড় চূড়া সাজে / দূর আকাশের মাঝে।
উত্তরঃ পাহাড় চূড়া সাজে / নিল আকাশের মাঝে।
4. নতুন নতুন মানুষ কত / বেড়ায় দলে দলে।
উত্তরঃ নতুন নতুন পশু কত / বেড়ায় দলে দলে।
5. বাবা কেন আপিসে যায় / যায় না নতুন বাসে?
উত্তরঃ বাবা কেন আপিসে যায় / যায় না নতুন দেশে?
❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও :-
1. নতুন দেশে' কবিতায় নৌকো কোথায় বাঁধা আছে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ 'নতুন দেশে' কবিতায় নৌকো নদীর ঘাটের কাছে বাঁধা আছে বলা হয়েছে।
2. মাঝনদীতে নৌকো কীসের টানে চলে?
উত্তরঃ মাঝনদীতে নৌকো ভাটার টানে চলে।
3. নারকেলের বনগুলি কোথায় রয়েছে?
উত্তরঃ নারকেলের বনগুলি দূর সাগরের পাড়ে জলের ধারে ধারে রয়েছে।
4. বাবা নতুন দেশে না গিয়ে কোথায় যান?
উত্তরঃ বাবা নতুন দেশে না গিয়ে আপিসে যান।
5. কবির কোথায় ভেসে যাবার ইচ্ছা জাগে?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইচ্ছা জাগে নতুন নগর বনে ভেসে যেতে।
6. নতুন নতুন পশুরা কোথায় বেড়ায়?
উত্তরঃ নতুন নতুন পশুরা বনের তলে বেড়ায়।
7. জলের ঢেউয়ে কী নাচে?
উত্তরঃ জলের ঢেউয়ে নদীর ঘাটে বাঁধা নৌকো নাচে।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:
1. 'চলে ভাটার টানে'- কোন্ প্রসেঙ্গ বলা হয়েছে?
উত্তরঃ কবি নদীতে স্নান করতে গিয়ে দেখেন নৌকোগুলি সব ঘাটে বাঁধা আছে। সেগুলি জলের ঢেউয়ে নাচে। কবি আজ গিয়ে দেখতে পান ভাটার টানে নৌকো গুল মাঝ নদীতে চলে গেছে।
2. অমনি করে যাই ভেসে' - কোথায় কীভাবে যাবার বাসনা প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তরঃ নৌকোগুলি কোন্ নতুন দেশের উদ্দেশ্যে চলে যাচ্ছে। তাই কবির মনেও ইচ্ছা জাগে ওই রকমভাবে কোন্ নতুন নগর বনে ভেসে যেতে।
3. 'বেড়ায় দলে দলে' তারা কোথায় বেড়ায়? কাদের কথা বলা হয়েছে
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'নতুন দেশে' কবিতায় নতুন নতুন কথা বলা হয়েছে। তারা অর্থাৎ পশুরা নতুন বনের তলে ঘুরে বেড়ায়।
4. 'কেউ তা পারে না যে প্রসঙ্গ নির্দেশ করো।
উত্তরঃ মেঘেরা সব জায়গায় যেতে পারে। তারা পাহাড়ের শিখরে গিয়ে সাজতে পারে। নিল আকাশের মাঝে গিয়ে সাজতে পারে। নিল আকাশের মাঝে গিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে। আবার বরফ ভেঙে ডিঙিয়ে যেতে পারে। যা কেউ তা পারে না।
5. লেখক কোথায় থাকেন তাঁর মনে কী সাধ জাগে?
উত্তরঃ লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘরের কোণে থাকেন।
কবির মনে সাধ জাগে নদীর ঘাটে বেঁধে রাখা নৌকো চেপে জলে ভেসে প্রকৃতির রূপ প্রত্যক্ষ করতে চান। যাবেন নতুন নগর বন্দরে।
6. বাবা কী করেন? সে কোথায় যায় না?
উত্তরঃ বাবা অফিসে কাজ করেন। এটাই তার নিত্য কাজ। সে নতুন দেশে যান না।
7. জলের ঢেউয়ে নাচে'। জলের ঢেউয়ে কী নাচে? লেখক তা কীভাবে দেখতে পেলেন?
উত্তরঃ নদীর ঘাটে বেঁধে রাখা নৌকোগুলি জলের ঢেউয়ে নাচে।
লেখক প্রতিদিন নদীতে স্নান করতে যান। তাই তিনি দেখতে পান তার সামনে ঘাটে বেঁধে রাখা নৌকো গুলি কিভাবে জলের ঢেউয়ে নাচছে।
8. পাহাড়চূড়া কেমনভাবে সাজে তা বর্ণনা করো।
উত্তরঃ কবি বাল্যকাল থেকেই চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি ছিলেন। এই বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কবির মন মাঝে মাঝে উদাস হয়ে যায়। তাঁর কল্পনার জগতে দেখতে পান পাহাড়, পর্ব, নদ-নদী, সাগর, মহাসাগর। এইভাবে তিনি পাহাড় চু ড়ার সুন্দর দৃশ্য দেখেছেন। তিনি কল্পনায় দেখেছেন পাহাড়ের মাথায় জমেছে বরফ আর বরফকে ঢেকে রেখেছে মেঘমালা। তার উপরসূর্যের আল পড়ে এক অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে। যে সৌন্দর্য দেখে কবি মু?ধ হয়ে গেছেন।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি:
1. 'নতুন দেশে' কবিতাটির সারাংশ বর্ণনা করো।
উত্তরঃ নদীর ঘাটে কবি স্নান করতে যান। সেখানে দেখতে পান নৌকাবাঁধা। একদিন একখানা নৌকা ে মাঝনদীতে চলে গেছে, কোথায় যাচ্ছে, না নতুন দূরদেশে। কবি সে দেশ চেনেন না। সেখানকার মানুষজন কেমন, কীরকম দেশ-কবির দেখতে ইচ্ছে হয় খুব। নদীর দুই তীরের প্রকৃতিক দৃশ্যের কথা ভাবেন কবি। কবির কল্পনায় সবই নতুন বনজঙ্গল, পাহাড় পশুপাখি-সবই নতুন তিনি ভাবছেন নৌকাগুলি বহু দূর দূরান্তে চলে যায় সারা রাস্তা ধরে। বাবা এইসব নতুন দেশে গেলে কবির খুব আনন্দ হত।
2. 'নতুন দেশে' কবিতায় কবি কীভাবে কীসের সাহায্যে প্রকৃতিকে দেখবেন তা আলচনা করো।
উত্তরঃ নদীর ঘাটে কবি প্রতিদিন স্নান করতে যান। সেখানে তিনি দেখেন যে নৌকোগুলি ঘাটে বাঁধা থাকে। আর নৌকোগুলি জলে ঢেউয়ে নাচে। একদিন দেখেন যে একটি নৌকো ভাটার টানে মাঝ নদীতে চলে গেছে, সেই নৌকোটা নাকি নতুন দূর দেশে যাচ্ছে যা কবি চেনে না। তাই কবির মনে খুব ইচ্ছা জাগে যে সেই নতুন দেশের মানুষজন কেমন, কীরকম দেশ, তারা কেমন পোশাকে থাকে এইসব দেখতে। কবি বাল্যকাল থেকেই ঘরের কোণে থেকেছেন। তাই কবির মনে হয়ে ছিল নৌকায় চেপে জলে ভেসে ভেসে প্রকৃতির রূপ প্রত্যক্ষ করতে চান। নদীর তীরে প্রাকৃতিক দৃশ্যের কথা কবি ভাবেন। কবির কল্পনায় পাহাড়, বন, পশু সবই নতুন। তিনি ভাবেন নৌকোগুলি সারা রাত ধরে বহু দূরে ভেসে যায়। বাবা অফিসে না গিয়ে এইসব দেশে গেলে কবির খুব আনন্দ হত।
3. নতুন দেশে' কবিতায় শিশু মনের যে পরিচয় ফুটে উঠেছে, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ 'নতুন দেশে' কবিতায় শিশুমনের এক কল্পনার জগ্র সৃষ্টি হয়েছে। কবি কল্পনা করেছেন নদীর ঘাটে বাঁধা নৌকোগুলি হয়ত কোন্ এক অজানা, অচেনা, সুন্দর দেশে চলে যাবে। সেখানের মানুষজন কেমন, তাদের পোশাক কেমন তা কিছুই শিশুমন জানে না। চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে থেকে শিশুটির মনে ইচ্ছা জাগে নৌকোগুলির মত ভেসে গিয়ে নতুন কোনো নগর বা বনে চলে যায়। দূর সাগরের তীরে জলের ধারে ধারে নারকেলের সারি দেখা যাবে। দেখা যাবে পাহাড়ের মাথায় বরফ জমেছে। পশুরা হয়ত দলে দলে নতুন বনের মধ্যে চরে বেড়াবে। সারারাত ধরে নৌকো ভেসে যাবে। বাবা অফিসে না গিয়ে সেই নতুন দেশে যায় না কেন।
4. 'আমার ইচ্ছা' - এই শিরোনামের ১০০টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তরঃ আমার ইচ্ছা :- প্রত্যেক মানুষের মনের মধ্যে থাকে একটা ইচ্ছা। ইচ্ছা গোপন থাকে। ইচ্ছা হল মনের একটা কামনা, বাসনা। বড়দের ইচ্ছা, শিশুদের ইচ্ছা কিন্তু এক নয়। শিশুদের কল্পনার জগত বড় বিচিত্র। যা করা সম্ভব নয়। তাই শিশুদের ইচ্ছা। শিশুর ইচ্ছা করে মেঘের মত মুক্ত স্বাধীন হয়ে যেথা খুশি সেথা যাওয়া। শিশুদের মনে হয় নিল আকাশে মুক্ত বনে ভেসে বেড়াতে। কাররু শাসন পছন্দ করে না। শিশুদের মনে আরও ইচ্ছা জাগে যে পরীদের দেশে যেতে, পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চেপে তোপান্তরের মাঠে চলে যেতে। নানা রকমের পশু পাখিদের সঙ্গে খেলা করতে। আমিও একজন শিশু। আমার মনেও ইচ্ছা হয় কোনো এক নতুন সুন্দর দেশে চলে যাই।
No comments:
Post a Comment