❐ বন্ধনির মধ্যে ঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (√) দাওঃ
1. 'পিরামিডের দেশে' রচনাটির লেখক হলেন-
(ক) সৈয়দ মুজতবা আলী।
(খ) বন্দে আলি মিয়াঁ।
(গ) জসিমউদ্দীন।
(ঘ) রবীন্দ্রনাথ।
উত্তরঃ সৈয়দ মুজতবা আলী।
2. গিজে অঞ্চলের যে কটি পিরামিডের সামনে আমরা দাঁড়িয়ে, সেগুলিই ভুবন-বিখ্যাত।
(ক) পাঁচটি।
(খ) সাতটি।
(গ) তিনটি।
(গ) চারটি।
উত্তরঃ তিনটি।
3. কোথায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাওয়ার পরও বুঝি পিরামিড দেখা যাবে।
(ক) আরবে।
(খ) কাইরোর।
(গ) সাহারার।
(ঘ) ইরানের।
উত্তরঃ সাহারার।
4. সবচেয়ে বড়ো পিরামিডটি বানাতে নাকি এক লোকের বিশ বছর লেগেছিল।
(ক) শত।
(খ) সহস্র।
(গ) লক্ষ।
(ঘ) কোটি।
উত্তরঃ লক্ষ।
5. তাই পিরামিড দেখে মানুষের মনে জাগে
(ক) আনন্দ।
(খ) দুঃখ।
(গ) ভয়।
(ঘ) উল্লাস।
উত্তরঃ ভয়।
❐ পাঠ্যাংশথেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:-
1. মিশরের ভিতরে বাইরে আরও ------ আছে।
উত্তরঃ পিরামিড।
2. সে ------ কলকাতা থেকে দার্জিলিং গিয়ে আবার ফিরে আসতে পারবে ।
উত্তরঃ দেয়াল।
3. সে সম্রাটের কতখানি ----- আর প্রতাপ ছিল।
উত্তরঃ ঐশ্বর্য।
4. পণ্ডিতেরা তাদের মমি সযত্নে ------ সাজিয়ে রেখেছেন।
উত্তরঃ জাদুঘরে।
❐ নিচের বাক্যগুলি ভুল সংশোধন করেলেখো:
1. মিশরের ভিতরে ও বাইরে আরও বাড়িঘর আছে।
উত্তরঃ মিশরের ভিতরে ও বাইরে আরও পিরামিড আছে।
2. মুসলমানরা দেহ আর আত্মার পার্থক্য বোঝে না।
উত্তরঃ মুসলমানরা দেহ আর আত্মার পার্থক্য বোঝে।
3. এইবার আমরা বাড়িঘর নির্মাণের কারণের কাছে পৌঁছে গিয়েছি।
• এইবার আমরা পিরামিড নির্মাণের কারণের কাছে পৌঁছে গিয়েছি।
4. তাই পিরামিড দেখে মনে ভয় জাগে।
উত্তরঃ তাই পিরামিডদেখে মানুষের মনে জাগে ভয়।
❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
দু-একটি শব্দ বা বাক্যে উত্তর দাও:
1. পিরামিড কোন্ দেশে দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ পিরামিড মিশর দেশে দেখতে পাওয়া যায়।
2. ভুবন- বিখ্যাত পিরামিড কোথায় রয়েছে?
উত্তরঃ ভুবন বিখ্যাত পিরামিড মিশর দেশে গিজ অঞ্চলে রয়েছে।
3. সবচেয়ে বড়ো পিরামিড তৈরি করতে কত লোক লেগেছিল?
উত্তরঃ সবচেয়ে বড়ো পিরামিড তৈরি করতে এক লক্ষ লোক লেগেছিল।
4. মমি' কী?
উত্তরঃ প্রাচীন মিশরে ওষুধ দিয়ে সংরক্ষিত মৃতদেহকে বলে 'মমি'।
5. দেহ ও আত্মার মধ্যে পার্থক্য কারা চেনে?
উত্তরঃ দেহ ও আত্মার মধ্যে পার্থক্য মুসলমানরা চেনে।
6. ফ্যারাও কাদের বলা হয়?
উত্তরঃ প্রাচীন মিশরের রাজাদের বলা হয় ফ্যারাও।
7. মিশরকে কারা লণ্ডভণ্ড করেছিল?
উত্তরঃ দূর ইরানের রাজারা মিশরকে লণ্ডভণ্ড করে ছিল।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:
1. 'সেগুলিই ভুবন-বিখ্যাত' -সেগুলি কেন ভুবন বিখ্যাত?
উত্তরঃ সেগুলি ভুবন বিখ্যাত কারণ সেগুলি বিশাল উঁচু। না দেখলে ধারণা করা যায় না। বহু দূর চলে গেলেও সেগুলি দেখা যায়।
2. 'তাদের এ বাসনা পূর্ণ হয়নি' বাসনা পূর্ণ না হবার কারণ কী?
উত্তরঃ তাদের এ বাসনা পূর্ণ হয়নি কারণ মিশর দেশের রাজারা মনে করত মৃত্যুর পর আর একটা জীবন আছে। তাই তারা মৃত্যুর পর মমি করেরেখে দিত যাতে পরলকে অমর হয়ে থাকে। কিন্তু ডাকাত ও পন্ডিতেরাসে সব মমি হাতেপেয়েযেত ফলে তাদের অমরত্ব লাভ সম্ভব হয়নি।
3. টুকরো' বলতে রচনাংশে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ টুকরো' বলতে রচনাংশে বোঝানো হয়েছে বিশাল বিশাল পাথরের চাঁইকে। যার চার-পাঁচটা পাথরের টুকরোকে একত্র করলে একখানা ছোটো খাটো ইঞ্জিনের সাইজ এবং ওজন হবে।
4. মিশরে কাদের দেহ 'মমি' করে কোথায় রাখা হত?
উত্তরঃ প্রাচীন কালে মিশর দেশের রাজা বা রাজার পরিবারের সদস্যদের মৃত দেহকে ওষুধ মাখিয়ে কাপড় জড়িয়ে 'মমি' করে পিরামিডের মধ্যে রাখা হত।
5. 'সেখানে তাঁরা অক্ষত দেহে মহাপ্রলয়ের দিন গুনছেন'- মহাপ্রলয় কীকীভাবে তাঁরা দিন গুনছেন?
উত্তরঃ মহাপ্রলয় হল ঈশ্বর বা আল্লার তরফ থেকে ধ্বংস লীলা।
তাঁরা সমাধির মধ্য থেকে মমি হয়ে মহাপ্রলয়ের দিন গুনছেন। কারণ তাঁরা ধ্বংসলীলার পর অমরত্ব লাভ করার আশা করে।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি:
1. মিশর দেশে পিরামিড তৈরির কারণগুলি বিশদভাবে উল্লেখ করো।
উত্তরঃ মিশর দেশে পিরামিড তৈরির কারণগুলি হল প্রথমত তাঁরা বিশ্বাস করত যে তাদের দেহ পচে গেলে বাকোন্ আঘতপ্রাপ্ত হলে তাঁরা পরলকে অমরত্ব লাভ করতে পারবে না। তাই তারা মৃত্যুর পর মৃতদেহকে মমি বানিয়ে শক্ত পিরামিডের মধ্যে রেখে দিত। দ্বিতীয়ত ফ্যারাওরা মনে করতেন যে তারা সভ্যতার যে স্তরে এসে পৌঁছেছেন, তারা যে প্রতাপশালী রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেগুলি যেন এই পিরামিডের মত অজয়, অমর এবং অপরিবর্তনিয় হয়ে থাকে।
2. পিরামিড আমাদের কাছে বিস্ময়ের বন্ধু কেন তা রচনাটি অবলম্বনে লেখো।
উত্তরঃ পিরামিডের দেশ হল মিশর। মিশরে গিজে অঞ্চলের তিনটি বিশাল পিরামিড ভুবন-বিখ্যাত, পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম। নিজের চোখে না দেখলে সেগুলির উচ্চতা সম্পর্কে ধারণা করা যাবে না। অনেক দু রে চলে গেলেও এদের দেখা যায়। গিজে কাইরোর বহুদু রে চলে যাওয়ার পরওদেখা যায় তিনটে পিরামিড।
এই পিরামিড তৈরি করতে ২৩ লক্ষ পাথরের বিশাল বিশাল চাঁই লেগেছে। প্রায় বিশ বছর ধরে এক লক্ষ লোক এই পিরামিড তৈরি করেছে পিরামিড তৈরির মূল কারণ হল মিশরের ফ্যারাওরা বিশ্বাস করতে যে মৃত্যুর পর একটা জীবন আছে। আর তাদের শরীর যদি অক্ষত থাকে তাহলে তাঁরা পরলকে অনন্ত জীবনের অধিকারী হবেন। সেই জন্য তারা তাদের দেহকে মমি বানিয়ে শক্ত পিরামিডের মধ্যেরেখে দিত। তাছাড়া ফ্যারাওরা মনে করতযে তাঁরাযে প্রতাপশালী রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল, সেগুলিযেন এই পিরামিডের মত অজয়, অমর এবং অপরিবর্তনিয় হয়ে থাকে।
3. 'তেইশ লক্ষ টুকরো পাথরের প্রয়োজন হয়েছিল' কী জন্য এই পাথর লেগেছিল এ সম্বেন্ধ যা জানো তা লেখো।
উত্তরঃ মিশরের ফ্যারাওদের মৃতদেহকে মমি বানিয়ে সযত্নে রাখার জন্য পিরামিড তৈরি করার প্রয়োজনে পাথরলেগেছিল। সবচেয়ে বড়ো পিরামিড তৈরি করতে প্রায় ২৩ লক্ষ পাথরের বিশাল বিশাল টুকরোলেগেছিল। যার চার পাঁচটা টুকরো একত্র করলে একখানা ছোটোখাটো ইঞ্জিনের সাইজ হয়। বড়ো পিরামিডটি তৈরি করতে প্রায় এক লক্ষ লোকের ২০ বছর সময় লেগেছিল। এই পিরামিড দেখে সেই সময়ের সম্রাটের প্রতাপ ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে একটা ধারণা করা যায়।
4. 'কোনো স্মৃতিসৌধ'- এই শিরোনামে ১০০টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তরঃ আমরা সবাই আগ্রার তাজমহলের নাম শুনেছি। এটি একটি সমাধি স্মৃতিসৌধ। সবাই ছবিতে দেখেছি আবার কেউ কেউ আগ্রায় গিয়েও তাজমহল দেখেছে। এটি তৈরি করেছিলেন মোগল সম্রাট শাহজাহান। তিনি এটি তার স্ত্রী মমতাজের স্মৃতি রক্ষার্থে তৈরি করেছিলেন। সমস্ত সৌধটি মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি। এটি পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য সৌধ। এটি চোখে না দেখলে এর সৌন্দর্য বিশ্বাস করা যায় না। এটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। এর চারকোণে চারটি মিনার আছে। এর মাঝখানে বড়ো হলঘর আছে। হলের চারদিকে ঘর ও করিডোের আছে। এর ফুটপাতটা সাদা কাল মার্বেল পাথরের। দেওয়ালে পর্দা ও স্তম্ভে কোরানের বানী লিপিবদ্ধ আছে। ২০ হাজার লোক প্রায় ২২ বছর ধরে এই তাজমহল তৈরি করেন। তৈরি করতে খরচ হয় তিন কোটি টাকা। ভারতের জাতীয় গৌরবের স্মৃতিসৌধ হল তাজমহল।
No comments:
Post a Comment