❐ বন্ধনির মধ্যে ঠিক উত্তর টিক চিহ্ন (✔) দাওঃ
1.'পড়া বউ' রচনাটির লেখক হলেন -
(ক) সৈয়দ মুজতবা আলী।
(খ) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
(গ) বন্দে আলি মিঞা।
(ঘ) জসিমুদ্দিন।
উত্তরঃ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
2. স্থাপন করা বরং সহজ, কিন্তু পরিচালনা করা সহজ নয়।
(ক) মাদ্রাসা।
(খ) মক্তব।
(গ) টোল।
(ঘ) বিদ্যাগার।
উত্তরঃ বিদ্যাগার।
3. জমিদার সাহেব শেষে স্থির করলেন, তাঁর কোন্ পুত্রের বিয়ে দেবেন।
(ক) জ্যেষ্ঠ।
(খ) মধ্যম।
(গ) কনিষ্ঠ।
(ঘ) বৃদ্ধ।
উত্তরঃ জ্যেষ্ঠ।
4. ক্রমে অবস্থাটা সালেহার কে বুঝতে পারলেন।
(ক) শ্বশুর।
(খ) শাশুড়ি।
(গ) বর।
(ঘ) ননদ।
উত্তরঃ শাশুরি।
5. একদিন সালেহার কে একটা সুজনি সেলাই করছিলেন।
(ক) ননদ।
(খ) শাশুড়ি।
(গ) শ্বশুর।
(ঘ) বর।
উত্তরঃ শাশুরি।
❐ পাঠ্যপুস্তকথেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো।
1. গ্রামে একটি মধ্য ----- বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হোক।
উত্তরঃ ইংরেজি।
2. সেই বধূ তাঁর বিদ্যালয়ের ----
উত্তরঃ তত্ত্বাবধান।
3. একবার এক ----- বউ দু-চার কথা বলেই হঠাৎ চুপ করলেন।
উত্তরঃ মুনসেফের।
4. সপ্তাহ কাল পরে পাড়ার ------ সালেহার কাছে চাঁদা চাইতে এল।
উত্তরঃ স্ত্রীলকের।
5. এতে সালেহার, ------- সাহায্য করতে লাগলেন।
উত্তরঃ শাশুড়িও।
❐ নিচের বাক্যগুলির ভুল সংশোধন করে লেখো।
1. একদিন সালেহার বোন একটা সুজনি সেলাই করছিলেন।
উত্তরঃ একদিন সালেহার শাশুড়ি একটা সুজনি সেলাই করছিলেন।
2. সালেহা বাপের বাড়ি গিয়ে দেখে তার সঙ্গে কেউ কথা বলে না।
উত্তরঃ সালেহার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখে, তার সঙ্গে কেউ কথা বলে না।
3. বউ যেন চিড়িয়াখানার আজব চিজ তাই সমস্ত দিন ছেলেমেয়েসহ স্ত্রীলকেরা বউদেখতে আসে।
উত্তরঃ বউ যেন জাদুঘরের আজব চিজ, তাই সমস্ত দিন ছেলেমেয়েসহ স্ত্রীলকেরা বউ দেখতে আসে।
4. মাসখানেক পর পাড়ার স্ত্রীলকেরা সালেহার কাছে চাঁদা চাইতে এল।
উত্তরঃ সপ্তাহকাল পর পাড়ার স্ত্রীলোকেরা সালেহার কাছে চাঁদা চাইতে এল।
5. সেলাই করে টাকা পাইছে।
উত্তরঃ সেলাই করে মেডাল পাইছে।
❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও।
1. বঙ্গদেশের একটি জেলায় কটি বিদ্যালয় ছিল?
উত্তরঃ বঙ্গদেশের একটি জেলায় সাতশো বিদ্যালয় ছিল।
2. গ্রামের জমিদারের কী ইচ্ছা হয়েছিল?
উত্তরঃ গ্রামের জমিদারের ইচ্ছা হয়েছিল যে তাঁর নিজ গ্রামে একটি মধ্য ইংরেজি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হোক।
3. জমিদার সাহেবের বধূর নাম কী ছিল?
উত্তরঃ জমিদার সাহেবের বধূর নাম ছিল সালেহা খাতুন।
4. 'জাদুঘরের আজব চিজ' বলে নিজেকে কে ভেবেছিলেন?
উত্তরঃ 'জাদুঘরের আজব চিজ' বলে জমিদার সাহেবের পুত্রবধূ সালেহা খাতুন নিজেকে ভেবেছিলেন।
5.কলকাতার গার্লস স্কলারশিপে সালেহা কত টাকা জলপানি পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ কলকাতার গার্লস স্কলারশিপে সালেহা ২৮০০ টাকা জলপানি পেয়েছিলেন।
6. পড়া বউকে দিয়ে শ্বশুর মশায় কী করতে চেয়েছিলেন?
উত্তরঃ পড়া বউকে দিয়ে শ্বশুর মশায় বিদ্যালয় আরম্ভ করতে চেয়েছিলেন।
7. 'ফার্স্ট এড এবং হোেম নার্সিং' কথাগুলির অর্থ কী?
উত্তরঃ 'ফার্স্ট এড' কথার অর্থ হল প্রাথমিক প্রতিকার এবং 'হোম নার্সিং'- কথার অর্থ হল গৃহ চিকিৎসা।
8. গ্রামে বসন্ত রোগ দেখা দিলে কোন্ দেবীর পূ জো হয়?
উত্তরঃ গ্রামে বসন্ত রোগ দেখা দিলে শিতলা দেবীর পূজা হয়।
9. কোন্ কাজে পড়া বউ গ্রামবাসির প্রশংসা পেয়েছিল?
উত্তরঃ চিকন সেলাইয়ের কাজে পড়া বউ গ্রামবাসির প্রশংসা পেয়েছিল।
10.'পড়া বউ 'কোথাকার মেয়ে?
উত্তরঃ 'পড়া বউ' কলকাতার মেয়ে।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:
1. 'পড়া বউ'- এর গ্রামে বিয়ে হবার কারণ কী ছিল?
উত্তরঃ জমিদার সাহেব স্থির করলেন, যে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্রের বিয়ে দেবেন একটি সুশিক্ষিতা পাত্রীর সঙ্গে। তাই ঠিক হল কলকাতার সাখাওয়াত স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের মিডল পরীক্ষায় পাশ করা জর্জ ম্যাজিস্ট্রেটের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হবে। তাই যথাসময়ে অতি সমারোহের সঙ্গে সালেহা খাতুনের বিয়ে হয়ে গেল গ্রামে।
2. 'বউ যেন জাদুঘরের আজব চিজ', একথা ভাবার কারণ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ একথা ভাবার কারণ হল কলকাতার সুশিক্ষিতা মেয়ে সালেহার গ্রামে বিয়ে হলে, গ্রামের সব স্ত্রী পুরুষরা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বউ দেখতে ভিড় করে। কিন্তু কেউ সালেহার সঙ্গে কথা বলতে সাহস করতে পারছে না। তারা পরস্পরের সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলে। ঠিক যেন মনে হচ্ছে বউ যেন জাদুঘরের আজব চিজ।
3. পড়া বউটির তিনটি দোষ কী ছিল?
উত্তরঃ পড়া বউটির তিনটি দোষ ছিল- প্রথমত সে কলকাতার মেয়ে ছিল দ্বিতীয়ত সে জর্জ ম্যাজিস্ট্রেটের মেয়ে তৃতীয়ত সে সাখাওয়াত স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের মিডল পরীক্ষায় পাশ করা মেয়ে।
4. 'ক্রমে অবস্থাটা সালেহার বর বুঝতে পারলেন'- প্রসঙ্গ নির্দেশ করো।
উত্তরঃ সালেহা শ্বশুর বাড়িতে উপাধি হল 'পড়া বউ'। স্বয়ং শ্বশুর ও শাশুড়িকে সাবধান করে দেয় যাতে পুত্র বধূর সঙ্গে ওজন করে বলে যেন হঠাৎ যেমন তেমন কথা বললে 'পড়া বউ' এর কাছে তা হাস্যকর না হয়। বেচারা সালেহার সঙ্গে তার ননদও কথা বলে না।
5. 'সে কেমন করে তাদের সম্মুখে যাবে' কার কথা বলা হয়েছেতার না যাবার কারণ কী?
উত্তরঃ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা 'পড়া বউ' গল্পে বধূ সালেহার ননদের কথা এখানে বলা হয়েছে। সে তার ভাবিজানের কাছে যেতে পারে না। কারণ সারা দিন সালেহার কাছে হাটের মত লোক থাকে। সে যে কুমারী বালিকা। তার উপর সে লেখাপড়া জানে না। আর তাকে বাড়ির গুরুজনরা ভাবির সঙ্গে কথা বলতে বারন করেছে। তাই সে ভাবিজনের কাছে যায় না ও কথা বলে না।
6. ইস্কুল খুলতে না পেরে পড়া বউ- এর শ্বশুর তাঁকে কী করতে বলেছিলেন?
উত্তরঃ ইস্কুল খুলতে না পেরে পড়া বউ- এর শ্বশুর তাঁর পুত্র বধূ সালেহাকে বলেছিলেন যে নিম্ন শ্রেণির আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলকে নামাজ শিক্ষা দিতে।
7. 'রক্ষা কর আর শুনতে চাই না' কোন্ প্রসেজা এই কথাগুলি বলা হয়েছিল?
উত্তরঃ গ্রামে বসন্ত রোগ দেখা দেওয়াতে পাড়ার স্ত্রী লোকেরা শিতলাদেবীর পূজার জন্য সালেহার কাছে চাঁদা চাইতে আসে। তখন 'পড়া বউ' সালেহা মিষ্টি ভাষায় তাদের বোঝায় যে, এই পূজা ইসলামধর্ম বিরোধী। এটা করা ভাল নয় বরং ছেলে বুড়ো সকলকে বসন্ত রোগের টিকা নিতে বলে। তখন পাড়ার মেয়েরা বলে শিতলামাতাকে স্বয়ং খোদা ও ভয় করে। আল্লার গায়েও নাকি পাঁচ গোটা বসন্ত দিয়ে ছিল শিতলাদেবী। এই কথা শুনে সালেহা কানে আঙুল দিয়ে উক্ত কথাগুলি বলেছিল।
8. 'তাই সে সুজনি তৈরী করতে বসল'- এর পরের ঘটনা কী?
উত্তরঃ সালেহার শাশুড়ি একটা সুজনি সেলাই করছিলেন। তিনি অন্য কাজ করার জন্য উঠেগেলে ত সালেহা সেই কাঁথাটা সেলাই করতে বসেছিল। কারণই তার উদ্দেশ্য ছিল নিজের সময় কাটানো এবং শাশুড়ির কাজে সাহায্য করা। কিছুক্ষণ পরে সে মাথা তুলে দেখে যে পাড়ার স্ত্রীলকেরা দলে দলে এসে তার কাঁথা সেলাই দেখে শত মুখে প্রশংসা করছে এবং একে অপরকে বলছিল যে পড়া বউ- এর গুণ আছে, সে কাঁথাও সেলাই করতে জানে।
9. 'তাঁর নিজ গ্রামে একটি মধ্য ইংরেজি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হোক' এখানে কার কথা বলা হয়েছে এর জন্য তিনি কী কারেছিলেন?
উত্তরঃ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা 'পড়া বউ' গদ্যাংশে বঙ্গাদেশের একটি গ্রামের এক জমিদারের কথা এখানে বলা হয়েছে।
জমিদারের ইচ্ছা ছিল তাঁর গ্রামে একটা মধ্য ইংরেজি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হোক। বিদ্যালয় তৈরি করা সহজ কিন্তু তা পরিচালনা করা অত সহজ নয়, বিশেষত পর্দানশিন মেয়েদের ইস্কুল। তাই জমিদার সাহেব স্থির করলেন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্রের বিয়েদেবেন এক সুশিক্ষিত। পাত্রীর সঙ্গে। সেই তাঁর স্থাপিত বিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধান করবে।
10. 'সালেহা শ্বশুর, বাড়ি গিয়ে দেখে, তাঁর সঙ্গে কেউ কথা বলে না, শ্বশুর বাড়ির সবাই তার সঙ্গে কথা বলত না কেন প্রসঙ্গ নির্দেশ করো।
উত্তরঃ শ্বশুর বাড়ির সবাই সালেহার সঙ্গে কথা বলত না কারণ সালেহা ছিল কলকাতার লেখাপড়া জানা সুশিক্ষিতা মেয়ে। আবার সে জর্জ ম্যাজিস্ট্রেটের মেয়ে ছিল। তার উপরসালেহা কলকাতার সাখাওয়াত স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের মিডল পরীক্ষায় পাশ করা মেয়ে। এইসব কারণে গ্রামের সকলে ও বাড়ির সবাই তার সঙ্গে কথা বলত না পাছে যদি কথা বলতে বলতে কিছু ভুল কথা বলে ফেলে যা পড়া বউ-এর কাছে হাস্যকর মনে হয়।
11. সালেহার পরিচয় দাও।
উত্তরঃ সালেহা ছিল বঙ্গদেশের একটি গ্রামের এক জমিদারের পুত্রবধূ। সে রূপে ও গুণে অনন্যা ছিল। সে কলকাতায় ইংরেজি মাধ্যম ইস্কুল থেকে লেখাপড়া করেন এবং স্কুলে পড়াশোনা কালিন সরকার থেকে স্কলারশিপ পেয়েছে ২৮.০০ টাকা। এছাড়া সালেহার ফার্স্ট এড এবং হোম নার্সিং-এর ডিপ্লোমা আছে। তাছাড়াও সালেহা সুচার সুচিকর্মের জন্য ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন থেকে পদক পেয়েছিলেন। এক কথায় বলা যায় তখনকার দিনে বঙ্গদেশে সালেহার মত নারী খুবই কম ছিল।
12. বিবাহের ছয় সাত মাস পরে সালেহার শ্বশুর সালেহোকে কীসের তাড়া দিতে লাগলেন শেষ পর্যন্ত সালেহা কীভাবে তার কাজ শুরু করলেন?
উত্তরঃ বিবাহের ছয় সাত মাস পরে সালেহার শ্বশুর - সালেহাকে তাড়া দিতে লাগলেন যে পাড়ার ভাল মানুষের মেয়েদের নিয়েই ইস্কুল আরম্ভ করার জন্য।
কিন্তু যখন তারা পড়াশোনার নাম শুনল তখন আতকে উঠল। সালেহার শ্বশুর একথা শুনে বললেন, যে আপাতত অর্ধভদ্রদের ছেড়ে নিম্ন শ্রেণির আবাল বৃদ্ধ-বণিতা সকলকে নামাজ শিক্ষা দাও। নামাজে কেউ আপত্তি করবে না। তাই সালেহা নামাজ শিক্ষা শুরু করল।
13. সালেহা কীসের বিরোধিতা করেছিলেন এবং কেন?
• সালেহা শিতলাদেবীর পূজার বিরোধিতা করেছিলেন। গ্রামে বসন্তরোগ দেখা দিলে পাড়ার স্ত্রীলকেরা শিতলাদেবীর পূজার জন্য সালেহার কাছে চাঁদা চাইতে যায়। তখন সালেহা তাদের মিষ্টি ভাষায় বোঝায় যে মূর্তিপূজা ইসলাম বিরোধী। এটা করা ভাল নয়। বরং ছেলে বুড়ো সকলের বসন্তরোগের টিকা নেওয়া দরকার। এইভাবে সালেহা মূর্তি পূজার বিরোধিতা করেছিলেন।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবনি:
1. পড়া বউ- এর শিক্ষার ফলে ও শ্বশুর বাড়িতে প্রাথমিক অবস্থায় তার কী হয়েছিল তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ পড়া বউ সালেহা কলকাতার ইংরাজি মাধ্যমের ইস্কুল থেকে লেখাপড়া করেছে। সে সাখাওয়াত স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের মিডল পরীক্ষায় পাস করে গার্লস স্কলারশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকার থেকে ২৮.০০ টাকা বৃত্তি পেয়েছে। আবার সুচারু সূচিকর্মের জন্য ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন হতে পদক পেয়েছেন।
সালেহার এতসব পড়া আরগুনের জন্য শ্বশুর বাড়িতেসে 'পড়া বউ' উপাধি পায়। ভয়ে পাড়ার সকলে এবং বাড়ির সবাই কেউই তার সঙ্গে কথা বলে না। ফলে বেচারি সালেহা সমস্ত দিন জনকোলাহলের মধ্যে থেকেও নিজেকে নিতান্ত একাকিনি বোধ করত।
2. পড়া বউ কীভাবে শ্বশুরবাড়িতে শিক্ষাদানের সূচনা ঘটাল এবং গ্রাম্য মেয়েদের প্রশংসা পেল তা পরিচয় দাও।
উত্তরঃ জমিদার সাহেব বিদ্যালয় তৈরি করতে নাপেরে তিনি পড়া বউ সালেহাকে নামাজ শিক্ষা দিতে উপদেশদেন। এতে সালেহার শাশুড়িও সাহায্য করত।
নতুন 'পড়া বউ' সালেহা সুচারু সূচিকর্মের নিপুনতা দেখিয়ে গ্রামের মেয়েদের প্রশংসা পায়।
3. 'পড়া বউ'- রচনাটিতে সেকালের যে সমস্ত সংস্কারের কথা রয়েছে তা আলচনা করো।
উত্তরঃ 'পড়া বউ' রচনাটিতে সেকালেব বেশ কয়েকটি সংস্কারের কথা আমরা জানতে পারি। যেমন-মেয়েদের লেখাপড়া শেখা একটা দোষের বিষয়। সেই সময় বসন্তরোগ হলে মনে করত সেটা শিতলা দেবীর ইচ্ছায় হয়েছে। তাই শিতলাদেবীর পূজা করার জন্য চাঁদা তোলা হত। আরও বলা হত শিতলদেবী আল্লার গায়ে নাকি বসন্ত রোগ দিয়েছিলেন, স্বয়ং আল্লাহও নাকি তাকে ভয় করে।
4. এ পড়া বউ কেতার এরূপ নাম হওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ আলোচ্য গদ্যাংশে বঙ্গদেশের একজন জমিদারের পুত্রবধূ ছিলেন 'পড়া বউ' সালেহা।
তার এরূপ নাম হওয়ার অনেক কারণ আছে। সেই সময় মেয়েদের লেখাপড়া করা কোন্ ব্যবস্থা ছিল না। বিশেষ করে মুসলমান মেয়েদের শিক্ষার কোন্ ব্যবস্থা = ছিল না। সালেহা ছিল এমনই একটি শিক্ষিত পরিবারের মেয়ে। সে ইংরাজি মাধ্যম ইস্কুল থেকে পড়াশোনা করেছিল। পড়াশোনার সঙ্গে সে ফার্স্ট এড, হোম নার্সিং এর ডিপ্লোমা করে ছিল। আবার সুচারু সূচিকর্মের -জন্য ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন হতে পদক পেয়েছিলেন। এই রূপে ও গুনে অনন্য মেয়েটি ঘটনাক্রমে জমিদার সাহেবের পুত্রবধূ হয়ে গ্রামে চলে আসে। গ্রামে তার গুনের কথা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তারসঙ্গে পাড়ার কেউ ও বাড়ির সকলে কথা বলত না। পাছে তাদের কোনো ভুল হয়ে যায়। যা সালেহা ধরে ফেলবে। তাই তারা সালেহাকে এড়িয়ে চলত। ফলে সালেহা সারাদিন জনকোলাহলের মধ্যে থেকেও নিজেকে নিতান্ত একা বোধ করত। তাই গ্রামের লোকেরা বিশেষ করে মেয়েরা সালেহাকে 'পড়া বউ' বলে সম্বোধন করত।
5. 'সমাজ জীবনে শিক্ষিতা মা' এই শিরোনামে ১০০টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদলেখো।
উত্তরঃ একজন শিক্ষিতা মা গোটা সমাজকে পাল্টে দিতে পারেন। মা যদি শিক্ষিত হয়, তাহলে তাঁর সন্তানরা অশিক্ষিত থাকতে পারে না। তাই বলা হয় "মায়ের শিক্ষা আগে হলে: শিশু শেখে মায়ের কোলেস্থ। নেপোলিয়ান বলেছিলেন, 'তোমরা আমাকে একটা ভাল মা দাও, আমি তোমাদের শক্তিশালী রাষ্ট্র দেবোস্থ। এখানে ভাল মা বলতে শিক্ষিতা মাকে বোঝানো হয়েছে। মা বা স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ঘটলে সমাজ পালটে যায়। সুস্থ ও সভ্য সমাজ গড়তে হলে মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। মায়েদের ভূমিকা সমাজজীবন সবচেয়ে বড়ো। তাই মা যদি অশিক্ষিত হয় তাহলে সমাজের উন্নতি হবে না। একজন শিক্ষিতা মা উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে তার সন্তানকে লালন পালন করতে পারেন। শিশুরা যেহেতু দেশের ভবিষ্যত তাই শিক্ষিতা মা-ই পারেন উন্নত সমাজ সৃষ্টি করতে।
No comments:
Post a Comment