❐ শূন্যস্থানে ডানদিকের ঘর থেকে ঠিক শব্দটি বেছে লেখো।
1. ----- নদী দেব পারি (গঙ্গা/ব্রহ্মপুত্র/মেঘনা)।
উত্তরঃ মেঘনা।
2. বাঁশ বাগানে আধখানা ----- (সূর্য/চাঁদ/তারা)।
উত্তরঃ চাঁদ।
3. বাউড়ি ----- পুকুড়ে)। খেলার ফাঁকে (হ্রদে/ বিলে/
উত্তরঃ বিলে।
4. ------ যুগের ঘন আঁধার (শত/হাজার/লক্ষ)
উত্তরঃ শত।
5. সেই আঁধারে ----- (ছেলেগুল/ মেয়েগুল/মানুষগুল)
উত্তরঃ মানুষ।
❐ সঠিক উত্তরটির মাথায় টিক (✔) চিহ্ন দাওঃ
1. আবার আমি যাব আমার গাঁয়ে। -
(ক) পাহাড়তলি।
(খ) সজনেখালি।
(গ) ধনেখালি।
(ঘ) কৈখালি।
উত্তরঃ পাহাড়তলি।
2. গাছ ঘেরা ওই পাড়ে।
(ক) নদীর।
(খ) পুকুর।
(গ) সমুদ্র।
(ঘ) খালের গাত্রে।
উত্তরঃ পুকুর।
3.ঝোপে-ঝাড়ে বাতির মত কি দেখা যাবে।
(ক) কুকুর।
(খ) হাস।
(গ) বেড়াল।
(ঘ) জোনাকি।
উত্তরঃ জোনাকি।
4. হঠাৎ আমি চমকে উঠি পাখির ডাকে।
(ক) সাদাটে
(খ) নিলচে।
(গ) লালচে।
(ঘ) হলদে।
উত্তরঃ হলদে।
5. পড়বে মনে জলে উথাল-পাতাল নাওয়া।
(ক) সাগর।
(খ) নদীর।
(গ) পুকুর।
(ঘ) দিঘির।
উত্তরঃ দিঘির।
❐ ভুল থাকলে পত্তি গুলি সংশোধন করে লেখো।
1.মেঘনা ঘাটের বাঁকে।
উত্তরঃ মেঘনা নদীর বাঁকে।
2.বাঁশ বাগানের আধখানা সূর্য।
উত্তরঃ বাঁশ বাগানের আধখানা চাঁদ।
3. সরু নৌকা বাওয়া।
উত্তরঃ সরু ডিঙি বাওয়া।
4. হঠাৎ সে চমকে উঠি।
উত্তরঃ হঠাৎ আমি চমকে উঠি।
❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও :-
1. মেঘনা নদী কী দিয়ে পাড়ি দেওয়া হবে?
উত্তরঃ মেঘনা নদী পাড়ি দেওয়া হবে কলওয়ালা এক নায়ে।
2. কবি শামসুর রাহমান আবার কোথায় যেতে চান?
উত্তরঃ কবি শামসুর রাহমান আবার পাহাড়তলির গাঁয়ে যেতে চান।
3. কবিকে দেখে কারা খিলখিল করে হাসবে?
উত্তরঃ কবিকে দেখে শিমুলগুল খিলখিল করে হাসবে।
4. জোনাকি কোথায় দেখা যাবে?
উত্তরঃ জোনাকি ঝোপে-ঝাড়ে বাতির মত দেখা যাবে।
5.কবি তাঁর ছেলেবেলা কীসে ফিরে পাবেন?
উত্তরঃ কবি তাঁর ছেলেবেলা ধানের গন্ধে ফিরে পাবেন।
6.সে কবি অতীতে কোথায় সবু ডিঙি বেয়েছিলেন?
উত্তরঃ কবি অতীতে বাউড়ি বিলে সরু ডিঙি বেয়েছিলেন।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:
1. হাসবে শিমুলগুল'- অংশটির প্রসঙ্গ নির্দেশ করো।
উত্তরঃ কবি শামসুর রাহমান আবার তার পাহাড় তলি গ্রামে যেতে চান। সেখানে গেলে আলু ঘাটায় নামায় পায়ে ধুল দেখে শিমুলগুল খিলখিল করে হাসতে থাকবে।
2. 'পাখির ডানায় লিখেছিলাম/প্রিয় স্বাধীনতা' মূল ভাবটি লেখো।
উত্তরঃ স্বাধীনতার প্রতীক হল পাখি। সে যেথা খুশি সেথা যেতে পারে। তারকোন্ বাধা বা মানা নেই। কবিও পাখির মত মুক্ত হতে চায়। তাই কবি পাখির ডানায় তাঁর ইচ্ছার কথা লিখেছিলেন।
3. 'ঝোপে-ঝাড়ে বাতির মত/জোনাক যাবে দেখা'- ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ উক্ত অংশটি কবি শামসুর রাহমানের লেখা 'প্রিয় স্বাধীনতা' কবিতার অংশ। কবি এখানে বলতে চেয়েছেন যে, দেশ স্বাধীন হলে সমাজে সর্বস্তরে সাম্যতা আসে। সবাই স্বাধীনতার সুখ পায়। কেউ আঁধারে থাকবে না। সবার মধ্যে বিরাজ করে স্বাধীনতার আনন্দ ও উল্লাস।
4. 'সেই আধার মানুষগুলি / লড়াই করে বাঁচে'- অন্তর্নিহিত অর্থ পরিস্ফুট করো।
উত্তরঃ যুগ যুগ ধরে বাংলার গ্রামগুল আঁধারে রয়ে গেছে। তারা আজও আলর মুখ দেখতে পায়নি। এখানকার মানুষগুল খুবই লড়াকু। আঁধারকে এরা ভয় করে না। এরা আঁধারকে সঙ্গী করে আলর জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি:
1.কবি শামসুর রাহমান 'প্রিয় স্বাধীনতা' কবিতায় বাংলার যে রূপের পরিচয় দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ কবি শামসুর রহমান তাঁর 'প্রিয় স্বাধীনতা' কবিতায় বাংলার রূপকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। কবি বাংলার খুব তুচ্ছ জিনিসকেও গুরুত্ব দিয়েছেন। দেশের মেঘনা নদী তিনি পার হতে চান কলের নৌকায় করে। তিনি সর্বদা পাহাড়ের নিচে গ্রামে যেতে চান। তিনি তাঁর এই কবিতায় পুকুর, বাঁশবাগান, চাঁদ ও জোনাক পোকাকেও খুব গুরুত্ব দিয়েছেন। বাংলার গ্রামের প্রধান আকর্ষণ হল ধান খেত। কবির ছেলেবেলার স্মৃতি জড়িয়ে আছে প্রজাপতির সঙ্গে। দিঘির জলে সাঁতার কাটা, বাউড়ি বিলে ডিঙি চালানো বিন্দুই বাদ দেয়নি। পাখ-পাখালিও সমানভাবে ফুটে উঠেছে। তাই কবি পাখির মত স্বাধীন হতে চায়।
2. 'মনে আমার ঝলসে ওঠে / একাত্তরের কথা' কবি একাত্তর সালের কথা কেন উল্লেখ করেছেন?
উত্তরঃ কবি শামসুর রাহমান একাত্তর সালের কথা উল্লেখ করেছেন। কারণ এই সালেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। এর আগে বাংলাদেশ পাকিস্তানের শোষণ ও শাসনে ছিল। বাঙালি জাতি খুব লড়াকু। তারা অন্ধকারে থেকেও শত বাধা নামেনে প্রিয় স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে। একাত্তর প্রমাণ করে দিয়েছে, এ জাতিকে দমিয়ে রাখা যায় না, বাঙালিরা তাঁদের প্রিয় স্বাধীনতা আনার জন্য রগুপথের যাত্রী হয়েছিল।
3. 'স্বাধীনতা দিবস'- এই শিরোনামে ১০০টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তরঃ 'স্বাধীনতা দিবস' একটি জাতির স্বাধীনতা হল সব। স্বাধীনতা ছেড়ে জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন। বহু বছর ধরে আত্ম ত্যাগের মধ্য দিয়ে লড়াই করে স্বাধীনতা এসেছে। স্বাধীনতা দিবস মানে 'বিজয় দিবস'। এই দিনটি স্মরণ করা আমাদের কর্তব্য। কত মায়ের কোল খালি করে এই স্বাধীনতা এসেছে। আমাদের স্বাধীনতা দিবস ১৫ই আগস্ট, এই দিন আমরা আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ি। স্মরণ করি সেই সব দেশবরেণ্য নেতাদের যাদের ত্যাগে এসেছে সোনালি স্বাধীনতা। এই দিন জাতির
No comments:
Post a Comment