জলসত্র প্রশ্ন উত্তর | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Question and Answer Madrasa (NCERT) - Psycho Principal

Fresh Topics

Tuesday, 21 January 2025

জলসত্র প্রশ্ন উত্তর | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Question and Answer Madrasa (NCERT)

 

জলসত্র 
প্রশ্ন উত্তর 





👉( যমুনা অভিযান প্রশ্ন উত্তর )


❐ বন্ধনির মধ্যে ঠিক উত্তরটিতে টিক (✔) চিহ্ন দাওঃ


1. জলসত্র রচনাটির লেখক হলেন-

(ক) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।

(খ) বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়।

(গ) প্রেমেন্দ্র মিশ্র।

(ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

উত্তরঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


2. বৃদ্ধ মাধব শিরোমণি মশাই বাড়ি যাচ্ছিলেন।

(ক) ছাত্র।

(খ) বন্ধু।

(গ) শিষ্য।

(ঘ) শত্রু।

উত্তরঃ  শিষ্য।


3. এ তাঁকে ভোেগ করতেই হবে।

(ক) সুখ।

(খ) কষ্ট।

(গ) দুর্ভোগ।

(ঘ) কোন্টাই নয়।

উত্তরঃ  কষ্ট।


4. নতুন জালায় জল একপাশে একরাশি কচি ভাব।

(ক) দু-তিনটে।

(খ) তিনটে-চারটে।

(গ) চারটে-পাঁচটা।

(ঘ) কোন্টাই নয়।

উত্তরঃ  চার-পাঁচটি।


5. তারচাঁদ বিশ্বাস কি করে বড়োেলক হয়েছিল।

(ক) চাকরি।

(খ) ওকালতি।

(গ) ব্যাবসা।

(ঘ) কোন্টাই নয়।

উত্তরঃ ব্যবসা।


❐ পাঠ্যপুস্তক থেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:

1.  চারিদিকে ধূ-ধূ মাঠ-----যেন নাচছে।

উত্তরঃ  খররৌদ্রে।


2.  অসহ্য ------ তিনি চোখে ধোঁয়া ধোঁয়া দেখতে লাগলেন।

উত্তরঃ   পিপাসায়।


3. লোকে বাঁশের খোলার মুখে------ পেতে জল পান করছে।

উত্তরঃ অঞ্জলি।


4. তারাচাঁদ তাকে কোলে তুলে নিয়ে এই ----- ছায়ায় নিয়ে এসে ফেললে।

উত্তরঃ  বটগাছটার।


5. পাহাড় পুরের কাছারির ------ জল সেত  একেবারে ররফ। 

উত্তরঃ  ই-দারার।


 ❐ নিচের বাক্যগলির ভুল সংশোধন করে লেখো:


1. বৃদ্ধ মাধব চূড়ামণি মশাই শিষ্যবাড়ি যাচ্ছিলেন।

 উত্তরঃ  বৃদ্ধ মাধব শিরোমণি মশাই শিষ্যবাড়ি যাচ্ছিলেন।


2. ভাত খাওয়া শেষ হল।

উত্তরঃ  তামাক খাওয়া শেষ হল।


3. আমতলায় পৌঁছে দেখলেন একটা জলসত্র।

উত্তরঃ   বটতলায় পৌছে দেখলেন একটা জলসত্র।


4. আমার বড়ো তেষ্টা পেয়েছে ভাত খাব।

উত্তরঃ  আমার বড়ো তেষ্টা পেয়েছে জল খাব।


❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: 

 ␧ দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও :


1. কে শিষ্য বাড়ি যাচ্ছিলেন?

উত্তরঃ  বৃদ্ধ মাধব শিরোমণি মশাই শিষ্য বাড়ি যাচ্ছিলেন।


2. নবাবগঞ্জ থেকে রতনপুর কতদূর?

উত্তরঃ  প্রায় চার মাইল অর্থাৎ ৬.৪ কিলমিটার।


3. কীসে শরীরের সব জল শুকিয়ে যায়?

উত্তরঃ   গরম বাতাসে শরীরের সব জল লুকিয়ে যায়।


4.  কান নাক ও নিশ্বাসে কী বের হতে লাগল।

উত্তরঃ  কান নাক ও নিশ্বাসে আগুনের ঝলক বের হতে লাগল।


5. কোথাকার জল একবারে বরফ?

উত্তরঃ   পাহাড়পুরের কাছারির ইঁদারার জল একেবারে বরফ।


6.  জলসত্র কোন্ গাছের তলায়?

উত্তরঃ  জলসত্র বটগাছের তলায়।


7. জলসত্র কী?

উত্তরঃ  তৃয়ার্ত পথিককে জলদানের ব্যবস্থাকে জলসত্র বলে।


8.  জলসত্র কোন্ গ্রামের লোকের?

উত্তরঃ জলসত্র আমডোবের বিশ্বেসদের।


9. তারাচাঁদ বিশ্বেস কীভাবে বড়োলক হয়েছিল?

উত্তরঃ  তারাচাঁদ বিশ্বেস ব্যবসা করে বড়োলক হয়েছিল।


10.কচুচুষির মাঠ থেকে রতন পুরের দূরত্ব কত?

উত্তরঃ প্রায় দু মাইল অর্থাৎ ৩.২ কিলমিটার।


❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:

1. 'এ কষ্ট তাকে ভোগ করতেই হবে'? প্রসঙ্গ নির্দেশ করো।

উত্তরঃ  বৃদ্ধ মাধব যখন শিষ্যবাড়ি যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় বাহ্মণের ভয়ানক তৃয়া পেল। তৃয়া এত বেশি পেল যে ডোবার পাতা পচা কাল জল পেলেও তিনি পান করে নেবেন। প্রকাণ্ড মাঠের কোথাও জল না পাওয়ায় এ কষ্ট তাকে ভোগ করতেই হবে।


2. জলসত্র তলার কী কী জিনিস পথিকদের দেওয়া হত?

উত্তরঃ  জলসত্র তলায় চার-পাঁচটি জ্বালায় জল, একরাশি কচি ডাব একধামা ভিজে ছোলা, আখের গুড়, বাতাসা, ইত্যাদি জিনিস পথিকদের দেওয়া হত।


3. 'তামাক খাওয়া শেষ হল'? এর পরে কী হয়েছিল?

উত্তরঃ  তামাক খাওয়া শেষ হওয়ার পরে একজন বলে ওঠে যে ঠাকুর মশাই হাত পা ধুয়ে ঠাণ্ডা হন আর ব্রাহ্মণদের জন্য ভাল সন্দেস আছে। তাদের সেবা করে একটু জলখান আর এই রোদে যাবেন না।


4.'তার বংশ চিরদিন অশূদ্রে প্রতিগ্রাহী'? কার বংশের কথা বলা হয়েছে এবং কেন?

উত্তরঃ  বিশ্বেসদের বংশের কথা বলা হয়েছে।


5. কতারাচাঁদ বিশ্বেসের বোন কীভাবে মারা যায়?

উত্তরঃ জলের তৃয়ার মেটাতে না পারার তারাচাঁদ বিশ্বেস বোন মারা যায়।


❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি: 

1. জল সত্র গল্পটিতে বৃদ্ধ মাধব শিরোমণি জলের জন্য যে কষ্ট পায় তার বিবরণ দাও।

উত্তরঃ  বৃদ্ধ মাধব শিরোমণি শিষ্য বাড়ি যাচ্ছিলেন। নবাবগঞ্জ থেকে রতন পুর পর্যন্ত সাড়ে নয় ক্লোস বিস্তৃত কচু-চুষির প্রকাণ্ডমাঠ। কোথাও জল পাওয়া যায় না। পশ্চিম দিকের উলু খড়ের খেত থেকে গরম বাতাস বইছিল। যে দিকেই চোখ যায় সে দিকেই কেবল চকচকে খরবালির সমুদ্র। বাষ্মনের ভয়ানক তৃয়া পেল গরম বাতাসে শরীরের সব জল যেন শুকিয়ে গেল। জিব জড়িয়ে আসতে লাগল। তৃয়া এত বেশি হল যে ডোবার পাতাপচা কাল জল পেলেও তৃপ্তি করে তৃষ্ণা মেটাবে। তবে সে রকম কোন্ ব্যবস্থা নেই সেটা আগে থেকেই জানত। এই ভাবে বিভিন্ন রকম জলের পদের স্বাদ মনে করতে করতে এগিয়ে চললাম। কবে কখন ঠান্ডা জল থেয়ে ছিল সেই সব কথা মনে আসতে লাগল। এই ভাবে প্রচন্ডপিপাসায় কাতর হয়ে পথ চলতে লাগল।


2. "লোকটা তার কাহিনি শেষ করলেস্থ লোকটির কাহিনিটি নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ  আমডোবের চোদ্দ-পনেরো বছর বয়সী তারাচাঁদ বিশ্বেস ও ন-দশ বছরের ছোট্ট বোন এর বাবা-মা কেউ নেই। কলা, বেগুন ইত্যাদি হাটে বিক্রি করেই সংসার চলত। বৈশাখ মাসে তারাচাঁদ বোনকে নিয়ে নবাবগঞ্জে তালশাঁস কিনতে গিয়ে ফেরবার পথে জলতেষ্টায় বোন অবসন্ন হয়ে পড়ল। সে বোনকে বটগাছের ছায়ায় বসিয়ে পাশের পাড়ার থেকে জল নিয়ে এসে দেখে তার বোন আর বেঁচে নেই. বটগাছের তলায় মরে পড়ে আছে। তার মুখে একটা কচু গাছের ডগা। সেই থেকে এই মাঠের নাম কচু-চুষির মাঠ। তারপর তারাচাঁদ ব্যবসা করে বড় হয়ে এই বটগাছটিকে কেন্দ্র করেই সকলের জন্য জলসত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।



3. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'জলসত্র' গল্পে কিভাবে জলসত্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে ছিল তার বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ  জলসত্র বলতে বোঝায় যে স্থান থেকে সর্ব সাধারণকে বিনামূল্যে জলদান করা হয়।

আমডোবের তারাচাঁদ বিশ্বেসের বয়স যখন চোদ্দ-পনেরো তখন ন-দশ বছরের একটি বোনকে রেখে তার বাবা মারা যান। ভাই-বোন মাথায় করে কলা বেগুন, কুমড়ো এইসব হাটে বিক্রি করত, এইভাবেই তাদের সংসার অতিবাহিত হত। তারাচাঁদ একদিন তার ছোট বোনটিকে নিয়ে নবাবগঞ্জের হাটে তালশাঁস কিনতে গিয়েছিল, নবাবগঞ্জ থেকে রতনপুরের মাঠ কমবেশি প্রায় সাড়ে চারক্রোশ হবে। কোথাও একটা গাছ নেই। বৈশাখ মাসের

No comments:

Post a Comment