👉(স্বদেশি যুগের কথা প্রশ্ন উত্তর)
❐ বন্ধনির মধ্যে ঠিক উত্তরে ঠিক (✔) চিহ্ন দাওঃ
1. রাজার বাড়ি' রচনাটির লেখক হলেন ।
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
(খ) অবনিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(গ) কাজী আবদুল ওদুদ ।
(ঘ) কামিনি রায় ।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
2. সেখানে ভাল করে চালাতে পারলে মানুষকে বশ করা সহজ হয়।
(ক) চালাকি ।
(খ) বোকামি ।
(গ) শয়তানি ।
(গ) গোলামী ।
উত্তরঃ বোকামি।
3. তার কোনো এক সাতমহল বাড়ি নিয়ে সে আমাকে ছটফটিয়ে তুলেছিল।
(ক) পাকাবাড়ি ।
(খ) ঠাকুরবাড়ি ।
(গ) রাজবাড়ি ।
(ঘ) খামার বাড়ি ।
উত্তরঃ রাজবাড়ি।
4. ইরু বলত, প্রজাপতি হয়ে উড়ে যায়।
(ক) তারারা ।
(খ) পাখিরা ।
(গ) পরিরা ।
(ঘ) কবিরা ।
উত্তরঃ পরিরা।
5. সে যে একেবারে আমাদের বাড়িতেই, হয়ত আমার ঘরের পাশেই।
(ক) পড়ার।
(খ) শোবার ।
(গ) বসার ।
(ঘ) রান্নার ।
উত্তরঃ শোবার।
❐ শূন্যস্থান পূরণ করো:
1. তাই বুঝি ------ এত করে বশ করেছিলেন।
উত্তরঃ তোমাকে।
2. কিন্তু ইরুমাসি তো তোমার চেয়ে------ ছিলেন।
উত্তরঃ ছোটো।
3.------হেসে আমার কান ধরে টেনে দিয়েছেন।
উত্তরঃ মাস্টারমশায়।
4. মানুষকে কাছে পেলেইসে একেবারে ------ নিয়ে যায় মেঘের মধ্যে।
উত্তরঃ উড়িয়ে।
5. বাড়িটা রয়ে গেল ------- ।
উত্তরঃ গড়-ঠিকানা।
❐ নিচের বাক্যগুলি ভুল সংশোধন করে লেখোঃ
1. কুসমি জিজ্ঞেস করলে, পিসেমশায় ইরুমাসির বোধ হয় খুব বুদ্ধি ছিল।
উত্তরঃ কুসমি জিজ্ঞেস করলে, দাদামশায়, ইরুমাসির বোধ হয় খুব বুদ্ধি ছিল।
2. আমার একটা পাকামি আছে।
উত্তরঃ আমার একটা কাঁচামি আছে।
3. আমি তার মাথায় নাগাল পেতুম না।
উত্তরঃ আমি তাঁর বয়সের নাগাল পেতুম না।
4. কিন্তু সে যেত রাজা বাড়িতে আমি যখন যেতুম মামার বাড়ি।
উত্তরঃ কিন্তু সে যেত রাজার বাড়িতে আমি যখন যেতুম
❐ দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও:
1.ইরু কথায় কথায় কাকে তাক লাগিয়ে দিত?
উত্তরঃ ইরু কথায় কথায় দাদামশাইকে তাক লাগিয়ে দিত।
2. কে বলত যে মন্তর বলে দিতে মানা আছে?
উত্তরঃ ইরু বলত যে মন্তর বলে দিতে মানা আছে।
3. পক্ষীরাজ ঘোড়া কোথায় চরে বেড়ায়?
উত্তরঃ পক্ষীরাজ ঘোড়া হন্তদন্তর মাঠে চরে বেড়ায়।
4. কার বয়সের নাগাল পাওয়া যেত না?
উত্তরঃ ইরুমাসির বয়সের নাগাল পাওয়াযেত না।
5. রাজার বাড়ির সন্ধানকে জানত?
উত্তরঃ রাজার বাড়ির সন্ধান ইরু মাসি জানত।
6. কাঁচা আম কী দিয়ে খাওয়া হত?
উত্তরঃ কাঁচা আম শুলফো শাক দিয়ে খাওয়া হত।
7. কোন্ মাস্টারের কাছে পড়তে বসা হত?
উত্তরঃ নিলকমল মাস্টারের কাছে পড়তে বসা হত।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :
1. 'রাজবাড়ি' বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ 'রাজবাড়ি' বলতে লেখক তাঁদের বাড়ির মধ্যেই এক রহস্যময় জায়গাকে বুঝিয়েছেন। আসলে রাজবাড়ি বলে কিছুই নেই। ইরুমাসির কল্পনায় তা রাজবাড়ি।
2. 'যেন আমার দুধে দাঁত ওঠেনি'-প্রসঙ্গ নির্বাচন করো।
উত্তরঃ লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সব ব্যাপারেই কৌতূহল প্রকাশ করতেন। তাই ইরুমাসি তাকে আরও কৌতূহলে রেখে দিতেন। ইরু লেখকের থেকে বছর খানেকের ছোটো হলেও লেখক তাঁর বয়সের নাগাল পেতেন না। ইরুমাসি ছোটো কিনা জানতে চাওয়ার প্রসঙ্গে এই কথাটি বলা হয়েছে।
3. 'মন্তর' বলে দিতে মানা আছে'-কে কেন একথা বলেছে?
উত্তরঃ ইরুমাসি একথা লেখক রবীন্দ্রনাথকে বলেছে। কারণ লেখক যখন সেই পরিদের ঘর সংসার দেখতে চেয়ে ছিলেন তখন ইরু মন্তর জানার কথা বলেছিল। লেখক ইরুকে মন্তর শিখিয়ে দিতে অনুরোধ করলে ইরু একথা বলেছিল।
4. 'সেখানে পক্ষীরাজ ঘোড়া চরে বেড়ায়' কোন্ স্থানের কথা বলা হয়েছে? 'পক্ষীরাজ ঘোড়া' বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'রাজার বাড়ি' গল্পে হন্তদন্ত মাঠের কথা বলা হয়েছে। পক্ষীরাজ ঘোড়া বলতে বোঝায় রূপকথার ঘোড়া, যার উপর চড়ালে উড়িয়ে নিয়ে যায় দূর কোনো অজানা দেশে। বর্ণনায় জানা যায় এই ঘোড়ার পাখির মত দুটো ডানা আছে।
5. ক'সে কী পেল্লায় কাণ্ড' এরূপ কথা বলার কারণ কী?
উত্তরঃ এরূপ বলার কারণ হল লেখককে অবাক করে দেওয়া। যাতে লেখকের বারবার জানা জন্য একটা আগ্রহ থাকে। ইরু নিজেকে খুব একটা কিছু মনে করে এইরূপ কথা বলেছিল।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি :
1. "সে চোখ দুটো এতখানি করে বলত, এই বাড়িতেই স্থ- বক্তা কে? 'সে' বলতে কার কথা বলা হয়েছে? এই বলার ভিতর দিয়ে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছে?
উত্তরঃ বক্তা হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'রাজারবাড়ি' গল্পের লেখক নিজেই রবীন্দ্রনাথ।
'সে' বলতে ইরুমাসির কথা বলা হয়েছ।
কৌতূহলী বক্তা বিভিন্ন কৌশল করে যখনই রাজবাড়ির কথা জানতে চেয়েছে তখনই ইরু মাসি চোখ বড়ো করে বিভিন্ন অঙ্গিভঙ্গি করে মাস কাটিয়ে চলে গেছে। কখনও বা তার কল্পনা দূরদর্শিতা দিয়ে এমনভাবে বলেছেন যে রাজ বাড়ি এ বাড়িতেই তখন বিশ্বাস না করে থাকার উপাই নেই।
2. কুসমি ও দাদামশাইয়ের কথোপকথন নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ কুসমি দাদামশাইকে জিজ্ঞাসা করলে ইরুমাসির বুঝি খুব বুদ্ধি ছিল। তখন দাদামশায় বলেছিলেন বইকি, তোর চেয়ে বেশি ছিল। তখন কুসমি অল্প একটু দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলল ওঃ তাই বুঝি তোমাকে এত করে বশ করেছিলেন। তারপর লেখক বললেন, তুই যে উলটো কথা বললি, বুদ্ধি দিয়ে কেউ কাউকে বশ করতে পারে না। করে অবুদ্ধি দিয়ে। সকলের মধ্যে একটা বোকামি আছে। সেখানে ভাল করে বোকামি চালাতে পারলে মানুষকে বশ করা যায়। কুসমি জিজ্ঞাসা করে তা কেমন করে করতে হয়?
দাদামশায় বললেন, তিনি কিছু জানেন না। লেখক বললেন তাঁর একটা কাঁচামি আছে, তিনি সব কথাতেই অবাক হয়ে যায়। আর ইবু ওইখানেই পেয়ে বসেছিল। সে তাঁকে কথায় কথায় কেবল তাক লাগিয়ে দিত।
3. "আরও অনেক কিছু ছিল তার অবাক করা ঝুলিতেস্থ- কার অবাক করা ঝুলির কথা বলা হয়েছে? তার অবাক করা ঝুলিতে কী কী ছিল বিস্তারিত বর্ণনা করো।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের লেখা 'রাজার বাড়ি' গল্পে ইবুর অবাক করা ঝুলির কথা বলা হয়েছে।
আলোচ্য গল্পে ইরু হল এমন এক কল্পনা বিলাশি শিশু। সে সব সময় অবাস্তব কল্পনার জগতে বিচরণ করত। শিশু রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। সে নানা রকম রূ পকথার কাহিনি বলে লেখককে মাতিয়ে রাখত। ইরু বয়সে লেখকের থেকে ছোটো হলে ও লেখক ইরুর কথা বিশ্বাস না করে পারত না। এই রকমই একটা কাল্পনিক বস্তু হল সাতমহল রাজবাড়ি। যে বাড়িটি নিয়ে লেখকের মনে কৌতু হলের অন্ত ছিল না। লেখক বারবার ইরুর কাছে সেই বাড়িটার অবস্থান জানতে চেয়েছিল। তখনই ইরু বলেছিল যে সেই রাজবাড়িটা আছে তাদের বাড়ির মধ্যেই। তবে সেই বাড়িতেযেতে হলে মন্ত্র জানাতে হবে। এই কথা শুনে লেখকের গা শিউরে ওঠে। আবার ইরু কখনও পক্ষীরাজ ঘোড়ার কথা বলেছে। যে ঘোড়া হন্তদন্তের মাঠে চরে এবং মানুষকে কাছে পেলেই উড়িয়ে নিয়ে যেত মেঘের মধ্যে। তাছাড়াও ইরু দেখেছে পরিদের ঘর সংসার পরিরা শুধু ফুলের মধু খায়। এইভাবেই ইরু কাল্পনিক কাহিনি শুনিয়ে লেখককে বেশ মজা দিতেন এবং বিষ্ময়কর করে তুলতেন।
4. 'কুসমি জিজ্ঞেস করলে, দাদামশায় ইরুমাসির বোধ হয় খুব বুদ্ধি ছিল। ছিল বই কি, তোর চেয়ে বেশি ছিল'। দাদামশায় বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে কুসমি ও দাদামশায়ের কথোপকথন নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'রাজার বাড়ি' গদ্যাংশে দাদামশায় বলতে স্বয়ং লেখক রবীন্দ্রনাথকে বোঝানো হয়েছে।
কুসমি দাদামশাইকে জিজ্ঞাসা করলে ইরুমাসির বুঝি খুব বুদ্ধি ছিল। তখন দাদামশায় বলেছিলেন বইকি, তোর চেয়ে বেশি ছিল। তখন কুসমি অল্প একটু দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলল ওঃ তাই বুঝি তোমাকে এত করে বশ করেছিলেন। তারপর লেখক বললেন, তুই যে উলটো কথা বললি, বুদ্ধি দিয়ে কেউ কাউকে বশ করতে পারে না। করে অবুদ্ধি দিয়ে। সকলের মধ্যে একটা বোকামি আছে। সেখানে ভাল করে বোকামি চালাতে পারলে মানুষকে বশ করা যায়। কুসমি জিজ্ঞাসা করে তা কেমন করে করতে হয়?
দাদামশায় বললেন, তিনি কিছু জানেন না। লেখক বললেন তাঁর একটা কাঁচামি আছে, তিনি সব কথাতেই অবাক হয়ে যায়। আর ইবু ওইখানেই পেয়ে বসেছিল। সে তাঁকে কথায় কথায় কেবল তাক লাগিয়ে দিত।
5. 'দূরের রাজবাড়ি অনেক দেখেছি, কিন্তু ঘরের কাছের রাজবাড়ি ও বাবা!'-লেখক এখানে 'ও বাবা'! শব্দটি বলেছেন কেন 'ঘরের কাছের রাজবাড়ি' বলতেলেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ লেখক এখানে 'ও বাবা' শব্দটির দ্বারা তাঁর বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন। কারণ তিনি ইরুর কাছ থেকে শুনেছে যে রাজবাড়ি দেখতে গেলে মন্তর জানতে হয়। কিন্তু সেই মন্তর কেবল ইরুই জানত। আর কেউ জানত না। লেখক মন্ত্রটা শিখিয়ে দেবার জন্য বারবার ইরুকে অনুরোধ করলেও ইরু তা শেখায় নি। কেন না মন্ত্র বলতে মানা আছে। লেখকের বিশ্বাস ছিল যে সে কোন্দিনই ওই বাড়িতে যেতে পারবেন না। তাই তিনি 'ও বাবা' শব্দটির দ্বারা বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন।
ঘরের কাছে রাজবাড়ি বলতে লেখক বুঝিয়েছেন যে ইরুর কথা মত রাজবাড়িটির অবস্থান আছে তাদের বাড়ির ভিতরেই। কিন্তু সেই বাড়ির সন্ধান করা সম্ভব নয়। সেখানে যেতে হলে মন্ত্রর জানতে হয় বা কেবল ইরু মাসিই জানে। এখানে সেই রাজবাড়ির কথা বলা হয়েছে।
6. 'আমার বাড়িই রাজার বাড়ি'-এই শিরোনামে অনধিক ১১০টি শব্দে একই অনুচ্ছেদটি লেখো।
উত্তরঃ শিশুরা সবসময় অবাস্তব কল্পনার জগতে বিচরন করে। রূপকথার কাল্পনিক গল্প যুগ যুগ ধরে শিশুদের মনে আনন্দ দেয়। এইসব গল্পের সবটাই অবাস্তব ও কাল্পনিক। এখানে থাকে রাজকুমার, রাজকুমারী, রাক্ষস, খোক্ষস, জিন, পরি, পক্ষিরাজ ঘোড়া, রাজপ্রাসাদ, বিচিত্র নরনারী কল্পিত জীবনযাত্রা আর আশ্চর্য কার্যকলাপই এর বিষয়বস্তু। ইরুর কাছে লেখক রাজবাড়ির কথা শুনেছে। এই বাড়ি সম্বেন্ধ জানার লেখকের আগ্রহের সিমা ছিল না। লেখক ইবুর কাছে এই বাড়িটা কোথায় বারবার জানতে চেয়েছে। ইরু তাকে বলেছে এই রাজবাড়িটা আছেলেখকের বাড়ির ভিতরেই। আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। কিন্তু এই রাজবাড়ির সন্ধান পাবার জন্য তাকে মন্তর জানতে হবে কারণ এ রাজবাড়ি কাল্পনিক রাজবাড়ি। অবাস্তব কল্পনালকে তার অবস্থান। লেখক তার সন্ধান আজও পায়নি। আসলে সেই বাড়ির কোন্ অস্তিত্ব নেই।
No comments:
Post a Comment