❐ বন্ধনির মধ্যে ঠিক উত্তরে ঠিক চিহ্ন (✔) দাওঃ
1. 'ছেলেধরা' রচনাটির লেখক হলেন ।
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
(গ) শরৎচন্দ্র পণ্ডিত।
(ঘ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
2. শিশু বলি না দিলে রূপনারায়ণের পুল কিছুতেই বাঁধা যাচ্ছে না।
(ক) তিনটি।
(খ) দুটি।
(গ) পাঁচটি।
(ঘ) চারটি।
উত্তরঃ তিনটি।
3. কারও মনে সব বাড়িতেই কেমন একটা ছমছম ভাব।
(ক) সুখ।
(খ) স্বস্তি।
(গ) শান্তি।
(ঘ) প্রশান্তি নেই।
উত্তরঃ শান্তি।
4. সারাদিনের পর মশাই বসেছেন জলযোগে।
(ক) বাঁড়ুজ্জে।
(খ) চাটুজ্জে।
(গ) মুখুজ্জে।
(ঘ) গাঙ্গুলী।
উত্তরঃ মুখুজ্জে।
5. কে কাকে দেখে উত্তেজিত জনতা আবার উত্তেজিত হয়ে উঠল।
(ক) চাটুজ্জে।
(খ) তাকে।
(গ) আমায়।
(ঘ) মুখুজ্জে।
উত্তরঃ আমায়
❐ পাঠ্যপুস্তক থেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:
1. কাল ------ আর একটা লোককে হাতে-নাতে ধরা গেছে।
উত্তরঃ কড়েয়ায়।
2. কিন্তু সংসারে ও ----- সকল ব্যাপারে আসক্তি আঠারো আনা।
উত্তরঃ সাংসারিক।
3. সেদিন সকালে ------ চূড়ান্ত হয়ে গেল।
উত্তরঃ ঝগড়ার।
4. আজই এর একটা ------ করে তবে ছাড়ব।
উত্তরঃ হেস্তনেস্ত।
5. কে একজন ----- বললে, ছেলে বোধ হয় পাঁকে পুঁতে রেখেছে।
উত্তরঃ বুদ্ধিমান।
❐ নিচের বাক্যগুলি ভুল সংশোধন করেলেখো:
1. দেবু আমাদের মারতে এসেছিল।
উত্তরঃ হিরু আমাদের মারতে এসেছিল।
2. অমল তাকে ছেড়ে দিল।
উত্তরঃ ঘোষাল তাকে ছেড়ে দিল।
3. মামুদ খোঁড়াতে খোঁড়াতে কোনো মতে বাড়ি চলে গেল।
উত্তরঃ লতিফ খোঁড়াতে খোঁড়াতে কোনো মতে বাড়ি চলে গেল।
❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
দু- একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও:
1. দেশময় কী রটে গিয়েছিল?
উত্তরঃ দেশময় রটে গেল যে তিনটি শিশু বলি না দিলে রূপনারায়ণের পুল কিছুতেই বাঁধা যাচ্ছে না।
2. মুখুজ্জে দম্পতি কোথায় বাস করেন?
উত্তরঃ পথের অদূরে একটা বাগানের মধ্যে বাস করেন মুখুজ্জে দম্পতি।
3. লতিফ ও মামুদ দু-জনের সম্পর্ক কী ছিল?
উত্তরঃ লতিফ ও মামুদ দু-জনে দুই ভাই ছিল।
4. মহরমের সময় কারা তাজিয়া বের করত?
উত্তরঃ মহরমের সময় মুসলমানরা তাজিয়া বের করত।
5. লেঠেল কাদের বলে?
উত্তরঃ যারা অর্থের বিনিময়ে লাটি দিয়ে লড়াই করত তাদের লেঠেল বলে।
6. লতিফ তাড়া খেয়ে কোথায় আশ্রয় নিয়ে ছিল?
উত্তরঃ লতিফ তাড়া খেয়ে একটা ডোবার জলে আশ্রয় নিয়েছিল।
7. মামুদ কাকে সেলাম জানিয়েছিল?
উত্তরঃ মামুদ ঘোষালকে সেলাম জানিয়েছিল।
8.হিরু কে?
উত্তরঃ হিরু ছিল মুখুজ্জে দম্পতির ভাইপো। তাকে তারা মানুষ করেছিল।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:
1. 'এ জনশ্রুতি পুরানো' জনশ্রুতি কাকে বলে এখানে 'জনশ্রুতি' বলতে কী বলা হয়েছে?
উত্তরঃ যা লোকের মুখে প্রচলিত তাই হল জনশ্রুতি।
এখানে 'জনশ্রুতি' বলতে বোঝানো হয়েছে যে তিনটি শিশু বলি না দিলে রূপনারায়ণের পুল তৈরি করা যাবে না। তাই রেল কোম্পানির লোক ছেলে ধরতে বেরিয়ে পড়েছে।
2. পুল তৈরি করতে তখনকার দিনের একটা অন্ধ কুংস্কারের কথালেখো।
উত্তরঃ পুল তৈরি করতে গেলে যদি পুল ভেঙে যায়, তাহলে তখনকার দিনে একটা অন্ধ কুংস্কার প্রচলিত - ছিলযে জীবিত শিশুকে পুলের থামের নিচে পুতে দিতে হয়। তবেই পুল তৈরি করা যায়।
3. মহরমের দিনে মুসলমানরা কী সাজে সেজে লাঠিখেলা করত?
উত্তরঃ মহরমের দিনে মুসলমানরা তাজিয়া বের করে এজিদের সৈন্যের সাজেসেজে হায় হাসান হায় হোসেন বলে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে লাঠি খেলত।
4. লতিফের লেঠেল শরীরের ও সাজের বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ লতিফ লেঠেল ইয়া লম্বা, ছাতি চওড়া, মাথায় ইয়া পাগড়ি বাঁধা, গালে গালপাট্টা, কপালে কপাল জোড়া সিন্দুরের ফোঁটা, হাতে ছ-হাতি লাঠি-লোকে দেখলে ভাববে হিন্দুর যমপুরী থেকে যমদূত হাজির হয়েছে।
5. 'ভায়ের ভাবনা বাড়ি গিয়ে ভেবো লতিফ'-একথা বলার কারণ কী?
উত্তরঃ একথা বলার কারণ হল লতিফ যখন নাক - মলে, কান মলে-খোদার কিরে দিয়ে বলল আর এসব কাজ করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করল। তার পরেই সে তার ভায়ের খবর জানতে চাইল। তখনই লেখক লতিফকে একথা বলেছেন।
6. 'পাঁকে পুঁতে রাখলে ছেলে জ্যান্ত থাকে কখনও'?-বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাও।
উত্তরঃ মানুষের শ্বাসকার্য নিঃশ্বাস প্রশ্বাস মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। যার জন্য অক্সিজেন গ্যাসের দরকার হয়। কাউকে যদি মাটিতে পুঁতে রাখা হয় তাহলে সে মাটির নিচে অক্সিজেনের অভাবে মারা যাবে। তাই পাঁকে পুঁতে রাখলে সে আর জীবিত থাকতে পারে না।
7. গল্পে উল্লিখিত ছেলেধরাদের পোশাক ও চেহারার বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ গল্পে উল্লিখিত ছেলেধরাদের কারও পোশাক ভিখরির, কারও বা সাধু-সন্ন্যাসির, কেউ বা বেড়ায় লাঠি হাতে ডাকাতের মত।
8. কারও মনে শান্তি ছিল না কেন?
উত্তরঃ দেশময় রটে গেছে যে তিনটি শিশু বলি না দিলে রূপনারায়ণের পুল কিছুতেই বাঁধা যাবে না। ইতিমধ্যে দুটি শিশুকে জ্যান্ত থামের নিচে পোঁতা হয়েগেছে। বাকি শুধু একটি। এই একটি ছেলে সংগ্রহের জন্য রেল কোম্পানির ছেলেধরারা শহরে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই সকলের মনে একটা আতঙ্ক যে এবার বুঝি তাদের ছেলেপুলে - পুলের তলায় পোঁতা হবে। তাই কারও মনে শান্তি ছিল না।
9. মুখুজ্জে দম্পতির পরিচয় দাও।
উত্তরঃ পথের অদূরে একটা বাগানের মধ্যে বাস করেন মুখুজ্জে দম্পতি। তাদের কোন্ ছেলেমেয়ে নেই। কিন্তু সংসারে সকল ব্যাপারে তাদের আসক্তি আঠারো আনা। তারা তাদের এক ভাইপোকে মানুষ করে বড়ো করে তুলেছিল। কিন্তু পরে তারা ভাইপোকে সমস্ত কিছুথেকে বঞ্চিত করে আলাদা করেদেয়।
10. মহরমের দিন কোথায় তাজিয়া বের হয়? সেখানের দুজন লাঠিয়ালের নাম লেখো।
উত্তরঃ মহরমের দিন রাইপুরের গরিব মুসলমানরা তাজিয়ে বের করে।
সেখানকার দুজন লাঠিয়ালের নাম হল বড়ো মিয়া লতিফ আর তার ভাই মামুদ।
11. 'হিরু বললে, বড়ো মিয়াঁ এই নাও দুটি টাকা আগাম' - হিরু কে? সে বড়ো মিয়াঁকে কীসের জন্য দু'টাকা আগাম দিয়েছিল?
উত্তরঃ হিরু ছিল মুখুজ্জে দম্পতির ভাইপো। তারা তাকে মানুষ করেছিল।
কিন্তু পরে মুখুজ্জে দম্পতি হিরুকে আলাদা করে দেয় এবং সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। হিরু বারবার চেষ্টা করে ওকোন্ কিছু উদ্ধার করতে পারে নি। তাই মুখুজ্জে দম্পতিকে ভয় দেখিয়ে জব্দ করার জন্য বড়ো মিয়াঁকে হিরু দু'টাকা আগাম দিয়েছিল।
12. 'কৃতজ্ঞ মামুদ সেলাম জানিয়ে ধীরে ধীরে সরে পড়ল' - মামুদ কে? সে কার প্রতি কৃতজ্ঞ কেন হল?
উত্তরঃ মামুদ হল লেঠেল লতিফ মিয়াঁর ছোটো ভাই। মামুদ ঘোষালের প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেছিল। কারণ ঘোষাল আগের দিনের ঘটনা শুনেছিল এবং জানত যে মামুদ লেঠেল লতিফ মিয়াঁর ছোটো ভাই। ঘোষাল লতিফের দুর্গতি দেখেছিল তাই মামুদ যাতে দুর্গতিতে না পড়ে তাই ভেবে মামুদকে ছেড়ে দিয়েছিল। সেই জন্যই মামুদ ঘোষালের প্রতি কৃতজ্ঞ ছিল।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি:
1. 'এমনি যখন অবস্থা তখন আমাদের দেশে হঠাৎ একটা ঘটনা ঘটে গেল' ঘটনাটি নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
উত্তরঃ গল্পটিতে আছে রূপনারায়ণের পুল কিছুতেই বাঁধা না যাওয়ায় চারিদিকে এই জনশ্রুতি ছড়িয়ে যায় যে দুটি শিশুকে জ্যান্ত থামের নিচে পোঁতা হয়ে গেছে আর একটি ছেলে সংগ্রহ হলেই কাজটি সম্পূর্ণ হবে। তাই ছেলে সংগ্রহের জন্য রেল কোম্পানির নিযুক্ত ছেলেধরারা কখনও ভিখারি, কখনও সাধু-সন্ন্যাসি, কখনও ডাকাতের বেশে শহরে, গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
পথের অদূরে একটা বাগানে নিঃসন্তান মুখুজ্জে দম্পতি বাস করত। তাদের মানুষ করা ভাইপো হিরু নিজের কাজ উদ্ধারের জন্য লেঠেল লতিফ মিয়া তাঁর ছোটো ভাই মামুদকে নিযুক্ত করেন। তাঁরা বিশাল পাগড়ি বেঁধে, গোঁফ করে, মাথায় কপালে সিন্দুরের ফোঁটা দিয়ে বিশাল ছ-হাতি লাঠি হাতে নিয়ে যমদূতের মত মুখুজ্জের বাড়িতে হাজির হল। ছেলেধরা ভেবে গ্রামের লোকেরা তাড়া করে এবং তাড়া খেয়ে এক ভাই লতিফ একটা ডোবায় আশ্রয় নেয়। আর এক ভাই মামুদ ঘোষালদের গোয়াল ঘরে ঝুড়ির নিচে। লতিফকে গ্রামের লোকেরা জল থেকে তুলে পেটানি দেয় আর মামুদকে ঘোষালদের ঝি উদ্ধার করে। পরে মামুদ অন্যায় স্বীকার করে এবং আর কোন্ দিন এমন কাজ করবে না বলে ঘোষালের কাছে প্রতিজ্ঞা করেন। ফলে ঘোষাল তাকে ক্ষমা করে দেয় এবং মামুদ প্রাণে বেঁচে যায়।
2. লতিফ ও মামুদ-এই দুটি ভাই-এর কাজ কর্ম সম্পর্কে তেমার ধারনা ব্যক্ত করো।
উত্তরঃ লতিফ লেঠেল ইয়া লম্বা, ছাতি চওড়া, মাথায় ইয়া পাগড়ি বাঁধা, গালে গালপাট্টা, কপালে কপাল জোড়া সিন্দুরের ফোঁটা, হাতে ছ-হাতি লাঠি-লোকে দেখলে ভাববে হিন্দুর যমপুরী থেকে যমদূত হাজির হয়েছে।
মামুদ হল লেঠেল লতিফ মিয়াঁর ছোটো ভাই। মামুদ ঘোষালের প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেছিল। কারণ ঘোষাল আগের দিনের ঘটনা শুনেছিল এবং জানত যে মামুদ লেঠেল লতিফ মিয়াঁর ছোটো ভাই। ঘোষাল লতিফের দুর্গতি দেখেছিল তাই মামুদ যাতে দুর্গতিতে না পড়ে তাই ভেবে মামুদকে ছেড়ে দিয়েছিল। সেই জন্যই মামুদ ঘোষালের প্রতি কৃতজ্ঞ ছিল।
3. মামুদেরশেষ পরিণতি কী হয়েছিল তা গল্পের ছলে বর্ণনা করো।
উত্তরঃ হিরু নিজের কাজ উদ্ধারের জন্য লেঠেল লতিফ ও মামুদকে নিযুক্ত করেন। তারা বিশাল পাগড়ি বেঁধে, গোঁফ করে, কপালে সিন্দুরের ফোঁটা দিয়ে হাতে ছ-হাতি লাঠি নিয়ে মুখুজ্জের বাড়িতে হাজির হয় তাদের ভয় দেখিয়ে জব্দ করার জন্য যাতে হিরু তার সমস্ত পাওনা পেয়ে যায়। কিন্তু গ্রামের লোকেরা ছেলেধরা ভেবে তাড়া করে। তারা তাড়া খেয়ে লতিফ একটাডোবাতে ও মামুদ ঘোষালদের গোয়াল ঘরে আশ্রয় নেয়। তারপর ঘোষালদের ঝি গোরুকে জাব দিতে গিয়ে ঝুড়ি টানতেই মামুদ ঝি-র পা জড়িয়ে ধরে এবং পরে মামুদ ঘোষালদের কাছে আশ্রয় স্বীকার করে। ফলে ঘোষাল তাকে প্রাণে ছেড়ে দেয়।
4. 'সেদিন সকালে ঝগড়ার চূড়ান্ত হয়ে গেল' কাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল ঝগড়ার বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা 'ছেলেধরা' গল্পে মুখুজ্জের দম্পতির সঙ্গে তাদের ভাইপো হিরুর ঝগড়া হয়েছিল।
পথের অদূরে একটা বাগানে বাস করত মুখুজ্জে দম্পতি। তাদের কোনো ছেলেমেয়ে নেই। তাই তারা তাদের একটা ভাইপো হিরুকে মানুষ করেছিল। কিন্তু পরে ভাইপো হিরুকে তারা আলাদা করে দেয় এবং সমস্ত কিছুথেকে হিরুকে বঞ্চিত করে। কিন্তু হিরু বারবার বলেযে তার পাওনা দিয়ে দিতে। মুখুজ্জে দম্পতি কিছু না দিতে চাওয়া হিরু জোর করে আদায় করতে চায়। এই নিয়েই তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল।
5. হিরু ও লতিফ মিয়াঁর কথোপকথন নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ হিরু তার খুড়োকে জব্দ করার জন্যলেঠেল লতিফ মিয়াঁর কাছে সাহায্য চেয়েছিল। এই কাজটা করার জন্য হিরু লতিফকে অগ্রিম ২ টাকা দিয়েছিল এবং বলেছিল তার কাজটা সম্পূর্ণ হয়েগেলে আরও বকশিস দেবে। হিরু লতিফকে কাজটা সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেয় এবং লতিফের কাজের প্রশংসা করে। আবার হিরু বলেছে তারা মনে করলে কোন্ কাজ তাদের অসাধ্য নেই। এই সময় লতিফ চোখ টিপে হিরুকে সাবধান করে দেয়।
তাকে বলে থানার দারোগা শুনতে পেলে রক্ষে নেই। তাছাড়া বীরনগর গ্রামে যে দু- ভাই দখল করে দিয়েছে এবং তাদের কেউ চিনতে পারে নি বলে সে সময় বেঁচে যায়। হিরু তখন অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে লতিফকে ন কেউ চিনতে পারেনি। লতিফ তখন বলে তারা ছদ্মবেশে ■ ছিল হিরু তখন লতিফের হাত ধরে বলে কাজটি করে ■ দিতে এবং তার খুড়ো যা হোক দুটো ভাগ দিতে চায়। ∎ কিন্তু খুড়ি তাও দিতে চায় না। তাই হিরু লতিফকে রাজি - করে ছিল তার খুড়োর বাড়িতে হানা দিয়ে তার ন্যায্য পাওনা যেন ভয়ে দিয়ে দেয়। লতিফ হিরুকে কথা দেয় যে তার পাওনা আদায় করে দেবে।
6. লতিফ মিয়ার শেষ পরিণতি কী হয়েছিল?
উত্তরঃ লতিফ হিবুর খুড়োকে জব্দ করতে গিয়েছিল। গ্রামের লোকেরা ছেলেধরা ভেবে তাড়া করে এবং তাড়া খেয়ে লতিফ একটা ডোবাতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। গ্রামের লোকেরা তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং সবাই ঢিল মারতে থাকে। সে যেই মাথা তোলে অমনি ঢিল মারে। ঢিল খেয়ে লতিফ আধমরা হয়ে যায়। সে যতই হাতজোড় করে বলে সে ছেলেধরা নয়, ততই লোকের রাগ ও সন্দেহ বেড়ে যায়। তারপর পাড়ার লোকেরা তাকে হিহচড়ে টেনে জল থেকে তোলে। সে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল সে লতিফ মিয়াঁ। অবশেষে লেখক ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয় এবং লতিফ বেঁচে যায়।
7. 'মহরমের তাজিয়া'- শিরোনামে অনধিক ১৫০টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তরঃ মহরম চন্দ্রমাসের ১০ তারিখে শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত মুসলমানেরা হাসান ও হোসেনের স্মরণে তাজিয়া বের করে। তাজিয়া হল মহরমের মিছিলে বাহিত হাসান হোসেনের নকল কবর। ওইদিন এজিদের সৈন্যরা ইমাম হাসানকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করেন। তাই ওই দিন মুসলমানরা রাস্তায় মিছিল করে তাজিয়া বের করে। মিছিলের প্রত্যেক ব্যক্তি হায় হাসান হায় হোসেন বলে বিলাপ করতে করতে পথ পরিক্রম করেন। আবার কোথাও ছুরি, লাঠি দিয়ে নিজেদের শরীরে আঘাত করে রক্ত বের করে শহিদদের স্মরণ করেন। এই তাজিয়া দেখতে বহু মুসলমানরা রাস্তায়বের হয় এবং দুঃখের দিনটি মনে করেন। মহরমের তাজিয়া শিয়া মুসলমানের কাছে এক পবিত্রতার ধারক। তাই সকলে এই তাজিয়ার সম্মান রক্ষা করাকে তাদের পবিত্র কর্তব্য বলে মনে করেন।
No comments:
Post a Comment