❐ বন্ধনির মধ্যে ঠিক উত্তরে টিক (√) চিহ্ন দাও।
1. 'জীবজগতে পরিবেশের প্রভাব' রচনাটি লিখেছেন।
(ক) সুধাংশু পাত্র।
(খ) অবনিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(গ) সুধাংশু দাশ।
(ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উত্তরঃ সুধাংশু পাত্র।
2. জল, মাটি, বায়ু ও বায়ুমণ্ডলের চাপ সূর্যালক, উষশূতা ইত্যাদি অবস্থাগুলিকে কি পরিবেশ বলা হয়।
(ক) অজৈব।
(খ) জৈব।
(গ) ভৌত।
(ঘ) রাসায়নিক।
উত্তরঃ ভৌত।
3. লোমিটা জলের বাসিন্দারা টিকতে পারে না
(ক) নোনা জলে।
(খ) মিষ্টি জলে।
(গ) অম্ল জল।
(ঘ) সমুদ্রের জলে।
উত্তরঃ নোনা জলে।
4. অধিকাংশ নিমজ্জিত জলজ উদ্ভিদের পাতা
(ক) মোটা মোটা।
(খ) সরু সরু।
(গ) মাঝারি।
(ঘ) হালকা ধরনের।
উত্তরঃ সরু সরু।
5. সন্ধুিঘোটকের লোম --
(ক) আছে।
(খ) নেই।
(গ) খুব পাতলা।
(ঘ) খুববেশি।
উত্তরঃ খুব পাতলা।
❐পাঠ্যপুস্তক থেকে ঠিক শব্দটি বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:-
1. অস্বাস্থ্যকর সামাজিক,রাজনৈতিক ও গৃহ পরিবেশ মানুষের ----- বিকাশের অন্তরায়।
উত্তরঃ মনুষ্যত্ব।
2. পারে না মেরু প্রদেশের প্রাণী ও উদ্ভিদ ----- টিকে থাকতে।
উত্তরঃ নিরক্ষ অঞ্চলের।
3. বিশেষ গভীরতায় চলাফেরা করা এবং স্থির হয়ে ভেসে থাকার ----- বিশেষ।
উত্তরঃ হাতিয়ার।
4. তাই জলচরদের দেহে তাপ ---- বিশেষ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
উত্তরঃ সংরক্ষনের।
❐ নিচের বাক্যগুলি ভুল সংশোধন করে সঠিক বাক্য লেখো।
1. পুকুর জলে ছোটো বড়ো হরেক রকমের জীবজন্তুর বাস।
উত্তরঃ সাগর জলে ছোটো বড়ো হরেক রকমের জীবজন্তুর বাস।
2. কোথাও তীব্রদাহ আবার কোথাও প্রচণ্ড গরম।
উত্তরঃ কোথাও দাবদাহ আবার কোথাও প্রচন্ড শীত।
3.জলে দ্রবীভূত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহন করেই তাদের শ্বাসকার্য চালাতে হয়।
উত্তরঃ জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহন করেই তাদের শ্বাসকার্য চালাতে হয়।
4. স্থলভাগ অপেক্ষা জলভাগ যথেষ্ট গরম।
উত্তরঃ স্থলভাগ অপেক্ষা জলভাগ যথেষ্ট ঠান্ডা।
❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও :-
1. পরিবেশ কয়প্রকারের ও কী কী?
উত্তরঃ পরিবেশ দুই প্রকারের যথা (১) ভৌত পরিবেশ, (২) জৈব পরিবেশ।
2. প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে কারা রয়েছে?
উত্তরঃ জল, বায়ু, মাটি, গাছপালা, জীবজন্তু ওলোকজন ইত্যাদি প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে রয়েছে।
3. 'বসতি' কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদ ও প্রাণীদের ভৌত পরিবেশকে বলে 'বসতি'।
4. 'দাবদাহ' শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ 'দাবদাহ' শব্দের অর্থ হল গ্রীষ্ম বা প্রচণ্ড গরম।
5. 'গুচ্ছমূল' কী?
উত্তরঃ যে সব উদ্ভিদের প্রধান মূল থাকে না তাদের একসেঙ্গ অনেকগুলি সরু সরু মূল থাকে, এই রকম মূলকে গুচ্ছমূল বলে।
6. উয় রক্ত কোথায় থাকে?
উত্তরঃ উয় রক্ত রেটি মিরাবাইলে থাকে।
7. অজৈব লবন কোথায় থাকে?
উত্তরঃ সমুদ্রের জলে প্রচুর অজৈব লবন থাকে।
8. 'জীবজগতে পরিবেশের প্রভাব' প্রবন্ধ কোন্ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তরঃ 'জীবজগতে পরিবেশের প্রভাব' প্রবন্ধটি সুধাংশু পাত্রের লেখা 'বিশ্ব পরিবেশ ও মানুষ' গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
9. ভৌত পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তরঃ এই পৃথিবীর জল, মাটি, বায়ু ও বায়ুমন্ডলের চাপ, সূর্যালোক, উন্ন ইত্যাদি অবস্থাগুলিকে ভৌত পরিবেশ বলা হয়।
10. অজৈব পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রাণী ও উদ্ভিদ যারা একে অপরের উপর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল তাদের নিয়ে যে পরিবেশ, সেই পরিবেশকে জৈব পরিবেশ বলে।
11. কোথাকার উদ্ভিদের দৈহিক গঠন জটিল?
উত্তরঃ স্থলভাগের উদ্ভিদের দৈহিক গঠন জটিল।
12. উদ্ভিদের বায়ু গহ্বর কোথায় থাকে?
উত্তরঃ উদ্ভিদের বায়ু গহ্বর কান্ডে থাকে।
13. জলজ উদ্ভিদে সাধারণত কোন্ মূল দেখা যায়?
উত্তরঃ জলজ উদ্ভিদে সাধারণত গুচ্ছমূল দেখা যায়।
14. জলচর প্রাণীর দেহের গঠন কার মত?
উত্তরঃ জলচর প্রাণীর দেহের গঠন অনেকটা নৌকোর মত। মাঝখানটা মোটা, সামনের ও পিছনের দিকটা ক্রমশ সর্।
15. জলচর প্রাণী কীসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
উত্তরঃ জলচর প্রাণীরা ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
16. আশের প্রয়োজনিয়তা কী?
উত্তরঃ ত্বকের ভেতর দিয়েদেহে যাতে জল প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য দেহ আঁশ দিয়ে ঢাকা থাকে।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:
1. প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তরঃ জল, মাটি, বায়ু, সূর্য, পাহাড় ইত্যাদিকে বলে প্রাকৃতিক পরিবেশ। আমরা যে জায়গায় জন্মগ্রহণ করি এবং বড়ো হই, সেখানকার জলবায়ু, মাটি, গাছপালা, জীবজন্তু এমনকি চারপাশের লোকজন সবাইকে প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্তরর্ভুক্ত করা হয়।
2. জৈব পরিবেশ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ প্রাণী ও উদ্ভিদ যারা একে অপরের ওপর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল তাদের নিয়ে যে পরিবেশ, সেই পরিবেশকে জৈব পরিবেশ বলে।
3. মিউকাসের কাজ কী?
উত্তরঃ যাদের দেহে আঁশ নেই তাদের চামড়ার 'মিউকাস গ্রন্থি' থেকে নির্গত মিউকাস দেহটাকে বর্মের মত ঘিরে রাখে। ওই মিউকাস ক্ষতিকর ছত্রাক কিংবা জীবাণুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে জলচর প্রাণীকে।
4. বিভিন্ন পরিবেশে প্রাণীরা কীভাবে খাপ খাইয়ে থাকে?
উত্তরঃ জলজ প্রাণীরা জলে হিংস্র প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া জন্য নানা প্রতিকার আছে। সাঁতার কাটার জন্য জোড়, বিজোড় পাখনা আছে। পাবিদের পালকে থাকে তৈলাক্ত পদার্থ যা জলে পালক ভেজে না আবার পালক পাখিদের আত্মরক্ষার সাহায্য করে।
5. জলের জীব ডাঙায় এলে কী হতে পারে?
উত্তরঃ জলের জীবন ডাঙায় এলে বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন নিতে পারে না। ফলে মৃত্যু হতে পারে।
6. 'পরিবেশ অনুযায়ী দেহে পৃথক পৃথক বৈশিষ্ট প্রকাশ পেয়েছে' বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ জীব নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যায়, স্থলভাগের ও জলভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবেশ অনুযায়ী বাসিন্দারা পৃথক পৃথক হয়। পরিবেশ অনুযায়ী দেহে পৃথক পৃথক বৈশিষ্ট প্রকাশ পেয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যের জন্যই গভীর সমুদ্রে যারা বাস করে তারা নদীর মোহনা অঞ্চল বা অগভীর অঞ্চলে থাকতে পারে না। মরু ভূমির বুক্ষ পরিবেশের জীব নিরক্ষ অঞ্চলে বাস করতে পারে না।
7. রেটিমিরাবাইল কাকে বলে?
উত্তরঃ জলচর প্রাণীদের দেহে তাপ সংরক্ষনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। কারও চামড়ার তলায় থাকে পুরু মেদের স্তর, কারও ঘন সন্নিষ্ঠ একগুচ্ছ ধমনি ও শিরা। এদের বলা হয় রেটিমিরাবাইল। এখানে উদ্বুশ রক্ত থাকে। রক্ত হৃৎপিন্ডে যাবার আগে বিভিন্ন শিরার মাধ্যমে রেটি মিরাবাইল অঞ্চলে আসে এবং রক্তের সংস্পর্শে তাপ গ্রহন করে।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি:
1. জীবজগতে পরিবেশের প্রভাব' কতখানি তা আলচনা করো।
উত্তরঃ আমরা আমাদের চারপাশে যা দেখেছি এগুলি হল প্রাকৃতিক পরিবেশ। এই সবই আমাদের কাজে লাগে। কোনোটাকে বাদ দিয়ে চলা যায় না। এই পরিবেশ দূষিত হলে মানুষের বিকাশ সম্ভব নয়। এই পরিবেশ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের। কোথাও গ্রীষ্ম বেশি, কোথাও শিত বেশি, কোথাও জল বেশি। পরিবেশ অনুযায়ী প্রাণির দেহগত পার্থক্য ঘটে। জলচর প্রাণী, স্থলচর প্রাণীর বৈশিষ্ট্য আলাদা। উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও তাই। জলচর প্রাণীর দেহ জলে চলার উপযোগী করেই তৈরি, তাদের খাবার জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ। এরা জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন নিয়ে শ্বাসকার্য চালায় যা স্থলচর প্রাণীরা পারে না। নিজেদের রক্ষা করার জন্য জলজ প্রাণীরা নানা উপায় জানে এটা প্রকৃতিক অপূর্ব দান।
2. স্থলভাগের উদ্ভিদের হরেক রকমের সমস্যা' সমস্যাগুলি বিবৃত করো।
উত্তরঃ স্থলভাগের উদ্ভিদের দৈহিক গঠন বেশ কিছুটা জটিল। এরা জল সহ্য করতে পারে না। জলের তলায় ফেলে দিলে পচে যায়। জলজ উদ্ভিদের প্রত্যেকের কান্ডে অসংখ্য বায়ুগহন্তর। স্থলভাগের উদ্ভিদের গায়ে এরকম কিছু নেই। তাই এরা জলে ভেসে থাকতে পারে না। এরা রোদ না পেলে মারা যায়।
3. জলচর প্রাণীদের বৈশিষ্ট্যগুলি আলচনা কর।
উত্তরঃ জলচর প্রাণীদের দেহের গঠন অনেকটা সরল। জলে বাস করে বলে ওদের সমস্যাও অনেক কম। জলে চলাফেরা করতে হয় বলে এদের হাত-পা নেই। তবে অনেকটা নৌকোর মত দেহের গঠন। অর্থাৎ মাঝখানটা মোটা, সামনের ও পেছনের দিকটা ক্রমশ সরু। জল কেটে এগোতে হয়। তাই পাখনা ও পুচ্ছ আছে। অনেকের দেহের মধ্যে বায়ুপূর্ণ থলি বা পটকা থাকে। যা জলের গভীরে যেতে এবং ভেসে থাকতে সাহায্য করে।
4. আমাদের জীবনে উদ্ভিদ' এই শিরোনামে ১০০টি শব্দে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তরঃ 'আমাদের জীবনে উদ্ভিদ' উদ্ভিদ হল প্রাকৃতিক উপাদান। আমাদের চারপাশে হরেক রকমের উদ্ভিদ নিয়েই প্রাকৃতিক পরিবেশ। প্রকৃতির বুকে আমরা যেমন জন্ম গ্রহণ করি, বেড়ে উঠি তেমনি উদ্ভিদরাও জন্মায় ও বড় হয়ে ওঠে। গাছ হল আমাদের পরম বন্ধু। আমরা যেসব খাবার খাই তা সবই আসে উদ্ভিদথেকে। উদ্ভিদ আমাদের ফল, ফুল, শাক-সবজী দেয় যা আমরা খেয়ে বেঁচে থাকি। তাছাড়া গাছ ছায়া দেয়, কাঠও দেয়। উদ্ভিদরা অক্সিজেন ত্যাগ করছে বলেই আমরা তা গ্রহণ করে বেঁচে থাকি। তাই উদ্ভিদ না থাকলে প্রাণীদের বেঁচে থাকা সম্ভব হত না। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং পরিবেশকে সুস্থ রাখে।
5. পরিবেশ অনুযায়ী দেহে পৃথক পৃথক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে' প্রসঙ্গ নির্দেশ করে ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ জীব নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যায়, স্থলভাগের ও জলভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবেশ অনুযায়ী বাসিন্দারা পৃথক পৃথক হয়। পরিবেশ অনুযায়ী দেহে পৃথক পৃথক বৈশিষ্ট প্রকাশ পেয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যের জন্যই গভীর সমুদ্রে যারা বাস করে তারা নদীর মোহনা অঞ্চল বা অগভীর অঞ্চলে থাকতে পারে না। মরু ভূমির রুক্ষ পরিবেশের জীব নিরক্ষ অঞ্চলে বাস করতে পারে না।
No comments:
Post a Comment