মড়ি ঘাটের মেলা প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা মড়ি ঘাটের মেলা প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Question and Answer Madrasa (NCERT) - Psycho Principal

Fresh Topics

Monday, 27 January 2025

মড়ি ঘাটের মেলা প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা মড়ি ঘাটের মেলা প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Question and Answer Madrasa (NCERT)

 

মড়ি ঘাটের মেলা 
প্রশ্ন উত্তর 




👉(দান প্রতিদান প্রশ্ন উত্তর )


❐ নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


1. সমাজে বুনোদের স্থান কোথায়?

উত্তরঃ সমাজের নিম্নস্তরের শেষধাপে বুনোদের স্থান।


2. মড়িঘাটে মেলা কখন বসে?

উত্তরঃ মাঘিপূর্ণিমার দিন


3. কার নৌকো ভাড়া করে লেখক মড়িঘাটা রওনা হয়েছিলেন?

উত্তরঃ অক্রুর মাঝির নৌকো ভাড়া করে।


4. পাড়াগাঁয়ে কোন্ দোকানে বেশি ভিড় হয়?

উত্তরঃ পাড়াগাঁয়ে চায়ের দোকানে বেশি ভিড় হয়।


5. মেলা দেখতে গিয়ে বেশিরভাগ লোক কী রান্না করেছে

উত্তরঃ মাছের ঝোল আর ভাত রান্না করেছে।


`6. 'ব্র আনন্দে থাকি বাবু।'- একথা, কে কাকে বলেছিল?

উত্তরঃ একথা বুনো সাধু কাহিনির লেখককে বলেছিল।


❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:


1. মাঘি পুর্ণিমার দিন কোন্ গ্রামে মেলা বসেছে?

উত্তরঃ মাড়িঘাটে মেলা বসেছে।


2. 'মড়িঘাটের মেলা'-র মূল আকর্ষণ কী?

উত্তরঃ গঙ্গা যে জায়গাটায় আসার অঙ্গীকার করেছে - সেই জায়গায় স্নান করা।


3. 'মাড়িঘাটের মেলা'-তে করা যায়তারা কী উদ্দেশ্যে ওই মেলায় যাচ্ছে?

উত্তরঃ সব গরিব দুঃখী লোক এই মেলায় যায়। তারা পূণ্য অর্জনের আশায় সেখানে যায়।


4. সাধু বাবার আসল নাম কীতার পিতার নাম কী?

উত্তরঃ সাধু বাবার আসল নাম রামনাল বুনো। তার পিতার নাম ছিহরি বুনো।


❐ রচনাধর্মী প্রশ্নাবলি;


1. সাধু বাবা লেখককে কী ভাবে আপ্যায়ন করেছেন তার বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ লেখকের মাঝি সাধুবাবার কাছে তাঁর আসার কথা বলতেই সাধুবাবা বেড়িয়ে আসেন। বিনিত ভাবে হাত জোড় করে তিনি লেখককে আসতে বলেন। এবং সঙ্গে তাঁদের রান্না বান্নার জোগার করে দিতে চাইলেন। কিন্তু লেখক জানান তার কোনো দরকার নেই। তিনি সঙ্গে সব এনেছেন। তিনি লেখকদের পুবপোতার ঘর খানি খুলে দিলেন। সাধুবাবা হাতজোড় করে বললেন চাল-ডাল কিন্তু আমি দেব। কিন্তু লেখক তা নিতে অস্বীকার করলে সাধুবাবা দুঃখ পান।

এরপর লেখক তাঁর দলবল সুষ্ট গাঙ্গেয় ধারের ঘরটি দখল করে নিজেদের জিনিসপত্র সেখানে রাখলেন। সাধু নিজে এসে দুখানা নতুন মাদুর বিছিয়ে দিয়ে গেলেন এবং হরিদাসি কে তাঁদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। শুধু তাই নয় তিনি নিজে একটা বড়ো আড়াই সেরা পালি ভরতি মুড়কি এবং একছড়া সুপক্ক মর্তমান কলা এনে খেতে বলেন। সাধুবাবা সবসময় লেখকদের খোঁজ-খবর নিয়েছিলেন।


2. সমড়িঘাটের মেলার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ মাঘি পূর্ণিমার দিন মড়িঘাটে মেলা বসে। সব গরিব-দুঃখী লোক সেখানে যায়। সেখানে বসে তেলেভাজা বেগুনি ফুলুরির দোকান, খেলনার দোকান, ঘুনসি ফিতে চিরুনির দোকান, চায়ে দোকান। তেলে ভাজা খাবারের দোকানে বেশি ভিড় লেগেছে। তবে তার চেয়েও বেশি ভিড় চায়ের দোকানে। বুনো, কাওরা, মাল, ডোম, বাগদি, মুসলমানদের বেশি ভিড় এই মেলায়। সরলা পল্লি-বধূদের ঠকিয়ে মহকুমা শহরের ঘুঘু দোকানদার অবিনাশ মোড়ল মনিহারি জিনিস বিক্রি করছে।


3. সাধুবাবার আখড়ার বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ মাঠের মধ্যে ঠিক নদীর ধারে সাধুর আশ্রম। পাঁচ-ছখানি খড়ের ঘর, নিচু চালা, ছোটো নিচু দাওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নিকোনো পুঁছোনো ঘরগুলি, গোবর দিয়েলেপা চওড়া উঠোন। উঠোনের মাঝখানে বাতাবি লেবুর গাছ। গাছ গুলিতে থোকা থোকা সাদা ফুল ও কুঁড়ি, মনমাতানো ভুরভুরে তীব্র গন্ধু দুপুরের বাতাসে।


4. মড়িঘাটের মেলার গঙ্গা আসার ব্যাপারটি লেখো।

উত্তরঃ লকের মুখে মুখে প্রচলিত ছিল যে সাধু বাবা স্বপ্নে দেখেছেন যে মাঘি পূর্ণিমার দিন গঙ্গা মড়িঘাটে একদিনের জন্য আসবেন। কিন্তু সাধু বাবা নিজেই সেই সত্যটি উদঘাটন করলেন। বললেন এসব স্বপ্নটপ্প নয়। এখানকার গরিব লোকে পয়সা খরচ করে গঙ্গায় নাইতে যেতে পারেনা মাঘিপূর্ণিমায়। তাই রটিয়ে দিয়েছি মা গঙ্গা এই মড়িঘাটার গাঙে পূর্ণিমার যোগের দিন আমার কাছে আসবেন।

No comments:

Post a Comment