ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা অধ্যায় ফাঁকি প্রশ্ন উত্তর || ফাঁকি প্রশ্ন উত্তর, নামকরণ, সহায়িকা | Class -6th Bangla Questions And Answers - Psycho Principal

Fresh Topics

Thursday, 2 January 2025

ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা অধ্যায় ফাঁকি প্রশ্ন উত্তর || ফাঁকি প্রশ্ন উত্তর, নামকরণ, সহায়িকা | Class -6th Bangla Questions And Answers

  

ফাঁকি 
প্রশ্ন উত্তর







উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রা প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো



◼️লেখক পরিচিতি;

রাজকিশোর পট্টনায়ক ওড়িয়া সাহিত্যের একজন বলিষ্ঠ লেখক। রাজকিশোরের লেখা বিশিষ্ট গল্পগ্রন্থগুলি হল— পথুকি, ভাড়াঘর, নিশান খুন্ট, পাথর টিমা| তাঁর লেখা বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে অসরন্তি, সিন্দুর গার, স্মৃতির মশাণি, চলাবাট প্রভৃতি ।


◼️অ নু বা দ ক প রি চি তি;

আমাদের পাঠ্য ‘ফাঁকি' গল্পটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন জ্যোতিরিন্দ্রমোহন জোয়ারদার।


◼️নাম করণ;

‘ফাঁকি’ শব্দের অর্থ ধাপ্পা বা ধোঁকা, অর্থাৎ আমাদের অনুমানের সঙ্গে কারও আচরণ বা কোনো ঘটনা না মিললে আমরা শব্দটি ব্যবহার করে থাকি।

আলোচ্য গল্পে একটি আমগাছের বেড়ে ওঠার কথা তুলে ধরা হয়েছে । কীভাবে সে গোপাল ও তার পরিবারের পরম প্রিয় ও বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে উঠেছিল তার কথাই লেখক তুলে ধরেছেন। সে হয়ে উঠেছিল ‘পোষা গাছ', গোপালের বন্ধু, তাদের বাড়ির নিশানা 

কিন্তু শেষমেশ একদিন অঘটন ঘটে। একরাতের ঝড়ে ভেঙে পড়ে গাছটি | সকালে উঠে গোপাল দেখে তার ভাঙা দেহ—যার একদিকে আগে থাকতেই উইপোকা আক্রমণ করেছিল।

তার এই চলে যাওয়া হঠাৎ করেই, কোনো আগাম সম্ভাবনা বা সংকেত না দিয়েই | পরিবারটির চোখে সে হয়ে উঠেছিল অজর, অমর। তাই আমগাছের মৃত্যু আসলে ফাঁকিমাত্র। গল্পে এই সারসত্যকেই লেখক প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। গাছটির ছলনার ব্যাপারটিই কাহিনির অন্যতম গুরত্বপূর্ণ বিষয় । তাই এর নামকরণ‘ফাঁকি’ যথাযথ ও সার্থক।


◼️সারমর্ম;

আলোচ্য গল্পের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে একটি আমগাছ। নতুন বাড়ি কেনার পর আমগাছটি পাঁচিলের দু-হাত ভেতরের দিকে পোঁতা হয়। শুরু হয় জল দেওয়ার কাজ। জন্তু- জানোয়ার ঠেকানোর জন্য কঞ্চির বেড়া দিয়ে গাছের চারদিক ঘিরে দেওয়া হয়। ক্রমে গোপালদের বাড়ির নিশানা হয়ে ওঠে সেই গাছটি। পাহারাদারের মতো দাঁড়িয়ে থাকে সেটি, আপন সবুজ বুক দিয়ে ঠেকায় নদীর ধারে গ্রীষ্মের গরম বাতাস। গাছতলায় গোপাল তার বন্ধুদের সঙ্গে বসে খোশগল্প করে।

ক্রমে গাছটি হয়ে ওঠে গোপালের বন্ধু, গোটা বাড়ির অঙ্গ। সময় গড়িয়ে যায়। একদিন সকালে দেখা যায় গতরাতের প্রবল ঝড়ে আমগাছ ভেঙে পড়ে আছে, গোপাল দেখে গাছের একটা দিক উইয়ে খেয়ে ফেলেছে । সে পিঁপড়ে মারার জন্য ওষুধ দিয়েছিল, কিন্তু সেই পিঁপড়ে থাকলে উই বাসা বাঁধতে পারত না, গোপালের পরিবারের এক বিশ্বস্ত বন্ধু তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এভাবেই চলে যায়।


◼️ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:


১. গোপালবাবুর বাবা কত টাকা কত টাকা দরে জমি কিনেছিলেন?

উত্তর: গোপালবাবুর বাবা আটশো টাকা গুন্ঠ দরে বাড়ি তৈরির জন্য জমি কিনেছিলেন।


 ২. কটক কোন্ নদীর তীরে অবস্থিত? ওড়িশার আরও একটি নদীর নাম লেখো ।

উত্তর: • কটক মহানদী নদীর তীরে অবস্থিত। ওড়িশার আরও একটি উল্লেখযোগ্য নদী হল ব্ৰাহ্মণী ।


৩. কীসের মধ্যে করে আমের চারা আসে ? 

উত্তর: ছোটো একটি হাঁড়ির মধ্যে করে আমের চারা আসে।


◼️ নীচের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও: 

১. “সে বাড়ির নিশানা হয়েছে আমগাছটি।”- গাছটিকে কীভাবে 'নিশানা' হিসেবে ব্যবহার করা হত? 

উত্তর: গোপালবাবুর বাড়ির আমগাছটি ধীরে ধীরে আকারে বেড়ে উঠছিল। ফলে তা সহজেই লোকনজরে আসত। নিজেদের বাসস্থানের অবস্থান চেনাতে তাই গোপালবাবু বলতেন— কাঠজোড়ি নদীর ধার বরাবর পুরীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির পশ্চিমে যেখানে পাঁচিলের মধ্যে আমগাছ রয়েছে সেখানেই তাঁদের বাড়ি।


২. ট্রেণ খোঁড়ার ফলে আমগাছটির ক্ষতিগ্রস্ত রূপকে কীসের কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ?

উত্তর: যুদ্ধের সময় বোমার আঘাত থেকে বাঁচতে ট্রেঞ্চ খোঁড়া হয়। এর ফলে আমগাছটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়—তা একেবারে পূর্ব দিকে হেলে পড়ে। তার এই অবস্থা বোঝাতে লেখক দুটি বিষয়ের তুলনা টেনেছেন। প্রথমটি হচ্ছে শিশুকালে টাইফয়েডে আক্রান্ত শিশু, দ্বিতীয়টি হাতে লাঠি ধরা খোঁড়া মানুষ। শৈশবে টাইফয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত শিশু যেমন কখনও পরবর্তী জীবনে সবল দেহের অধিকারী হতে পারে না, গাছটির পক্ষেও তেমনি সিধে হয়ে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না।

আবার আমগাছটিকে ঠেকো দেওয়ার জন্য গোপালবাবুরা ব্যবস্থা নিয়েছিলেন বলে তাকে দেখতে লাঠি হাতে দাঁড়ানো বৃদ্ধের মতো লাগছিল।


৩. গোপালের বাবা প্রথমে কেন বাগানে ফুলগাছ লাগাতে চাননি?

উত্তর: বাগানের মাটি বেলে মাটি এবং সেখানে জল দেওয়ারও সুবিধে নেই বলে গোপালের বাবা বাগানে প্রথমে ফুলগাছ লাগাতে চাননি।


৪. আমগাছকে কেন ঠেকো দিতে হয়েছিল?

উত্তর: উড়োজাহাজ থেকে পড়া বোমার হাত থেকে বাঁচতে সরকারের লোক আমগাছের গোড়া পর্যন্ত ট্রেঞ্চ খুঁড়ে দিয়ে গেছিল, যার ফলে গাছটি পূর্ব দিকে হেলে পড়ে। এই কারণেই আমগাছটিকে ঠেকো দিতে হয়েছিল।


৫. গাছটিকে উইয়ে খেয়ে ফেলল কীভাবে?

উত্তর: আমগাছটিতে গোপাল প্রথমে পিঁপড়ে তাড়ানোর ওষুধ প্রয়োগ করে, যার ফলে পিঁপড়ে পালিয়ে যায়, কিন্তু হানা দেয় উইপোকা ।


৬. গল্প অনুসারে কটকের খবরের আমগাছটিকে নিয়ে কী সংবাদ বেরিয়েছিল ?

উত্তর: গল্প অনুসারে কটকের খবরের কাগজে সংবাদ বেরিয়েছিল গতকাল মাঝরাতে প্রবল ঝড়ে পুরীঘাটের আমগাছটি উপড়ে পড়েছে।


৭. “গোপাল মুখ তুলে সন্দিগ্ধভাবে বাবার মুখের দিকে তাকাল ।”—তার এই সন্দেহের কারণ কী?

উত্তর: গোপাল চেয়েছিল খালি জমিতে ফুলের বাগান করতে, কিন্তু তার বাবার ইচ্ছে ছিল আমগাছ পোঁতার— কলমি ল্যাংড়া আমের গাছ। ভাগলপুর থেকে তিনি সেই আমগাছ আনিয়েছিলেন যার কলম চারা পোঁতা হয়েছিল বিরিবাটির বাগানে । বাবার দেওয়া এই তথ্য গোপালের তখন ঠিকমতো মনে পড়ছিল না। সে নিশ্চিত ছিল না আদৌ আমের চারা বিরিবাটির বাগানে পোঁতা হয়েছে কি হয়নি। তাই গোপাল সন্দেহভরা চোখে বাবার দিকে চেয়েছিল। 


৮. “তুই করবি বাগান!”—বাবা কেন এমন মন্তব্য করেন?

উত্তর: গোপালের বাগানচর্চার শখ ছিল। কিন্তু শারীরিক কাজকর্মে সে ভীষণ অপটু ছিল। তার বাবার মতে গোপাল নিজের হাতে জল তুলে চানটুকুও নাকি করতে পারত না। ফুলগাছের রক্ষণাবেক্ষণে কিছুটা হলেও শক্তিসামর্থ্য প্রয়োজন, গোপালের সম্ভবত সেটাও ছিল না। তার বাবা সেটা জেনেই ব্যঙ্গের সুরে প্রশ্নে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেন।


৯. গাছটাকে আর দু-হাত ভিতরে লাগালে কত ভালো হত।”—কোন্ গাছ? কেন বক্তার এমন মনে হয়েছে? 

উত্তর: • প্রশ্নের বক্তব্যে আমগাছের কথা বলা হয়েছে।

• গোপালের বাবা বাগানের পাঁচিল ঘেঁষে আমগাছ লাগিয়েছিলেন। এতে গোপালের ভয়ানক আপত্তি ছিল। তার আশঙ্কা ছিল আমগাছ বড়ো হলেই তার ডাল পাঁচিল ডিঙোবে এবং রাস্তার বা পাড়ার ছেলের দল সেগুলি পেড়ে খাবে, নিজেদের মধ্যে বাগড়া বাধাবে। তাই সে বাবাকে গাছখানা আরও দু-হাত ভেতরের দিকে লাগাতে অনুরোধ করে।


১০. আমগাছটি কীভাবে গোপালবাবুর বাড়ির নিশানা হয়ে উঠেছিল ?

উত্তর: গোপালদের বাড়ির বাগানে পাঁচিলের ধার থেকে দু- হাত ভেতরের দিকে আমগাছটি লাগানো হয়েছিল। গাছ পোঁতার পর তার গোড়ায় জল ঢালা হয়, তাকে বেড়াবন্দি করে রাখা হয় জন্তু-জানোয়ার ঠেকানো জন্য। সকলের যত্ন ও পরিচর্যার ফলে গাছটি তরতর করে বেড়ে ওঠে এবং হয়ে ওঠে গোপালবাবুর বাড়ির নিশানাবিশেষ ।


১১. গাছটি কীভাবে তাদের সাহায্য করেছিল বুঝিয়ে লেখো । 

উত্তর: গোপালবাবুর বাড়ি ছিল নদীর কাছেই | গ্রীষ্মকালে সেখান থেকে আসা গরম বাতাস সে আটকাত, কাঠজোড়ি নদী থেকে ছুটে আসা গরম বালির ঝাপটাও সে প্রতিহত করত, সহ্য করত পরিবারের সকলের নানান অত্যাচার। প্রতিবছর কাক এসে গাছে বাসা বাঁধত, বর্ষাকালে এসে বসত বেনেবউ | রাতে সেখানে আশ্রয় নিত কালপেঁচা, খেলা করত কাঠবিড়ালি। ছেলেরা গাছের ডালে দোলনা টাঙাত ।

এভাবেই আশ্রয়, ছায়া ও সুরক্ষাদানের মাধ্যমে আমগাছটি গোপালবাবুর পরিবারের পরম মিত্র হয়ে উঠেছিল 


১২. আমগাছটিকে ঘিরে বাড়ির সকলের অনুভূতির প্রকাশ গল্পে কীভাবে লক্ষ করা যায় ?

উত্তর: গোপালবাবু আমগাছটি লাগানোর পর থেকে তাঁর বাড়ির সকলেই গাছটির বিষয়ে যত্নবান হয়ে ওঠে। শুরুর দিকে গাছটির গোড়ায় জল দেওয়া হয়, তাকে বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয় । পাড়ার ছেলেছোকরাদের আক্রমণের হাত থেকে গাছের ফল ও পাতা বাঁচানোর জন্য সকলেই সতর্ক দৃষ্টি রাখে। বিশেষ করে গোপাল তো আমগাছটিকে নিজের বন্ধু ভাবতে থাকে। অতিরিক্ত ডালপালা ছেঁটে সে গাছের গায়ে হাতও বুলিয়ে দেয় | প্রতি বছর ছেলেমেয়েরা তাতে দোলনা টাঙায় তাদের কল্লোলে আমগাছের চারদিক মুখর হয়ে ওঠে।


১৩. “সেই দিন থেকে গাছ হেলে পড়েছে পুবদিকে।”- কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে? গাছটি হেলে পড়ার কারণ কী?

উত্তর: • যুদ্ধের সময় বোমার আঘাত থেকে বাঁচতে কোনো একদিন সরকারের লোকেরা ট্রেঞ্চ খুঁড়ে যায়। সেই দিন বলতে এর কথাই বলা হয়েছে।

• সরকারের উদ্যোগে ট্রেঞ্চ খোঁড়ার ফলে আমগাছের গোড়াটি আহত হয় এবং এর ফলে তা পূর্ব দিকে হেলে পড়ে।


১৪. “ঠিক বন্ধুর মতোই গাছ সব কথা লুকিয়ে রেখেছে।”—গাছটি কীভাবে গোপালের বন্ধু হয়ে উঠেছিল? কোন্ সব কথা সে লুকিয়ে রেখেছিল ?

উত্তর: • গোপালের বাবা যখন গাছ লাগাতে চেয়েছিলেন। তখন গোপাল বাধা দিয়েছিল। কিন্তু পরে গোপাল ক্রমশ আমগাছের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে, তার যত্ন নিতে থাকে। বাড়ির নিশানা হিসেবে সে গাছটির কথা বলত, বন্ধুবান্ধব এলে গাছতলায় বসে গল্পগুজব করত, কেউ যেন কচি পাতা না ছেঁড়ে বা ফল না পাড়ে—সেদিকে খেয়ালও রাখত। বিনিময়ে গাছটিও ছায়া দিত, গরম বাতাস থেকে সুরক্ষা প্রদান করত। এভাবেই গাছটি গোপালের বন্ধু হয়ে উঠেছিল।

• সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছেরও বয়স বাড়ছিল। ডালপালা নিয়ে ক্রমশ বেড়ে উঠছিল সে। এটা দেখে গোপাল তার কিছু ডাল-পাতা ছেঁটে দেয়; মায়ের আপত্তি সত্ত্বেও। অন্য কেউ দেখতে পেলে গোপালকে বকাঝকা করবে এটা বুঝেই যেন গাছটি পাতা দিয়ে ক্ষতস্থানগুলি লুকিয়ে রাখে। 


১৫. বিভিন্ন ঋতুতে আমগাছটির যে ছবি গল্পে ফুটে উঠেছে তা আলোচনা করো।

উত্তর: গ্রীষ্মকালে আমগাছটি সুরক্ষাদাতার ভূমিকা নেয়। নিজের সবুজ পাতা দিয়ে গ্রীষ্মের গরম বাতাস আটকায়। ফলে গোপালবাবুর পরিবার স্বস্তি পায়। এই সময়েই গাছে বোল ধরে, ক্রমে আম ফলে। পাকা আমের বাইরেটা সবুজ রঙের হলেও ভেতরে গেরিমাটির মতো রং ধরে। বর্ষাকালে বেনেবউ পাখি এসে ওই গাছে বাসা বাঁধে, ঝড়বৃষ্টিতেও নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে।


১৬. গাছটি কীভাবে পরিবারের সকলকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল ?

উত্তর: গাছের সৌন্দর্যে, তার ফলের স্বাদে সকলে মুগ্ধ ছিল। গোপালবাবুর পরিবারের প্রত্যেকেই আমগাছটির যত্ন নিত, তার সুরক্ষার বিষয়ে খেয়ালও রাখত। একবার তার ডালপালায় পিঁপড়েরা বাসা বানায়। গোপালবাবু গাছটির ক্ষতি কথা চিন্তা করে পিঁপড়ে মারার ওষুধ দেন। কিন্তু এর ফলে পিঁপড়ে পালালেও উইপোকা এসে হানা দেয়, যা কারও চোখে পড়েনি । উইয়ের আক্রমণে গাছটির একদিক ফোঁপরা হয়ে যায়। এটাও কেউ দেখতে পায়নি। তাই একদিনের ঝড়ে গাছটি ভেঙে পড়ে এবং এভাবেই সে সকলকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায়

No comments:

Post a Comment