তিনকুড়ে প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা তিনকুড়ে প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Tinkure Question and Answer Madrasa (NCERT) - Psycho Principal

Fresh Topics

Monday, 27 January 2025

তিনকুড়ে প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা তিনকুড়ে প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Tinkure Question and Answer Madrasa (NCERT)

 

তিনকুড়ে 
প্রশ্ন উত্তর 



👉(ছাত্রদের প্রতি প্রশ্ন উত্তর)


❐ নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:


1. তিনজন কুঁড়ে কোথায় থাকত?

উত্তরঃ রাজার বাড়িতে।


2. 'দে বেটা কুঁড়ে-বাড়িতে আগুন লাগিয়ে!' - কে কাকে বলেছিলেন?

উত্তরঃ রাজামশাই তাঁর একজন খয়ের ঘাহ চাকরকে বলেছিলেন।


3. বাংলা মুলুকে কতজন মুসলমানের বাস ছিল?

উত্তরঃ প্রায় পৌনে তিন কোটি।


4. একজন বোম্বাইয়ের মহিলা কবে স্কুল দেখতে এসেছিলেন?

উত্তরঃ  গত ২৯ নভেম্বর।


5.  তখনকার দিনে কলকাতায় বাঙালি মুসলমান বালিকাদের জন্য কী ছিল না?

উত্তরঃ বালিকা বিদ্যালয়।


6. বোম্বের মহিলার কথা কশাঘাতে কে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন?

উত্তরঃ  লেখিকা রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।


❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:


1.  'তিন কুঁেেড়া' গল্পের লেখিকা কে? তিন কুঁড়ে আসলে কারা? তাদের কুঁড়েমির পরিচয় দাও।

উত্তরঃ  'তিন কুঁেেড়া' গল্পের লেখিকা হলেন রোকেয়া সাকাওয়াত হোসেন।

আপাত দৃষ্টিতে তিন কুঁড়ো রুপকথার গল্পে রাজার বাড়িতে থাকতে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিন কুঁড়ে হল বাংলা মুলুকের তিন কোটি মুসলমান।

রূপকথার গল্পের তিন কুঁড়ো দিনরাত শুয়ে থাকত। রাজবাড়ির লঙ্গরখানা থেকে কেউ দয়া করে খাবার এনে দিলে সেখানেই শুয়ে শুয়ে খেয়ে নিত। এমনকি বাড়িতে আগুন লাগলে নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্যও তারা নড়োত না। প্রকৃত পক্ষে বাংলায় যখন দাঙ্গা-হাঙ্গামার আগুন জ্বলে ওঠে তখন সবাই-গা-ঝাড়া দিয়ে উঠে-উন্নতির চেষ্টার লেগে গেলেও এই তিন কোটি মুসলমান পাস ফিরে ঘুমুতে থাকে, অন্যের দয়া পাওয়ার আশায়।


2. বোম্বাইয়ের মহিলা মুসলমানদের সম্পর্কে কী বলে ছিলেন?

উত্তরঃ বোম্বাইয়ের মহিলা মুসলমানদের সম্পর্কে বলেছিলেন যে, বাঙালি মুসলমানের মত অকর্মণ্য এবং জুয়াচোর আর কোথাও নেই। ওয়াকফ সম্পত্তির মতওয়াল্লিরা দশ হাজার টাকার মদ কিনে খেলেন ও বন্ধুদের খাওয়ালেন। তাছাড়া এতবড় কলকাতা শহরে যে কটি মোসাফের খানা, হাসপাতাল আছে সেগুলি দিল্লীওয়ালা সওদাগারদেরই অবদান। কলকাতার সবচেয়ে বড় মসজিদ যেটাকে গভর্নর বাহাদুর নতমস্তকে মেনে নিয়েছিল সেটাও বাঙালিদের নয় এখানেযে মুসাফির খানাটি আছে সেটিও বোম্বেওয়ালাদের দ্বারা পরিচালিত।


3. 'চল আজ থেকে আমরা কুঁড়ে হলুম' কারা একথা বলল? কেন বলল এর ফলে কী হল?

উত্তরঃ  আলোচ্য গল্পে তথাকথিত তিন কুঁড়ে ছাড়া অন্যান্য যে সমস্ত চাকর বাকরেরা ছিল তারা এই কথা বলেছিল। উক্ত গল্পে তিনকুঁড়ের রকম সকম দেখে অন্যান্য চাকরেরা এই মন্তব্য করেছিলেন। তিনকুঁড়ের কুঁড়েমি দেখে অসংখ্য চাকর বাকরেরা কাজ ভঙ্গ দিয়ে শুয়ে পড়ল। ফলে ঘরের কাজকর্ম করার আর কেউ থাকল না। মন্ত্রির আসন খানা কেউ ঝেড়ে মুছে দিচ্ছে না, রাজার সিংহাসন কেউ মুছতনা। এইভাবে রাজ বাড়িতে একটা অচলাবস্থা শুরু হয়ে গেল।


4. 'এত বড় বিপদ'। বক্তা কে বিপদটা কী বিপদ থেকে উদ্ধার পেলেন কিভাবে?

উত্তরঃ  বক্তা এখানে স্বয়ং রাজামশাই। তিন কুঁড়ের মত যখন আসল চাকর বাকরেরা শুয়ে পড়াটাই এখানে বড়ো বিপদ। রাজামশাই মন্ত্রিমশাইয়ের পরামর্শে কুঁড়েদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এর ফলে তথাকথিত তিন কুঁড়ে ছাড়া বা অন্যান্য চাকর বা কুঁড়ে ঘুমিয়ে ছিল তারা প্রত্যেকে ধড় মড় করে উঠে পড়ে এবং বাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে।

No comments:

Post a Comment