ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল দশম অধ্যায় আমাদের দেশ ভারত পার্ট - ২ প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Geography Chapter -10 Part-2 Questions And Answers MCQ, SAQ, LAQ | ক্লাস সিক্স ভূগোল দশম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা - Psycho Principal

Fresh Topics

  

Monday, 6 January 2025

ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল দশম অধ্যায় আমাদের দেশ ভারত পার্ট - ২ প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Geography Chapter -10 Part-2 Questions And Answers MCQ, SAQ, LAQ | ক্লাস সিক্স ভূগোল দশম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা

  

দশম অধ্যায় - আমাদের দেশ ভারত 
প্রশ্ন উত্তর

20230320_204935



দশম অধ্যায় "আমাদের দেশ ভারত" পার্ট - 3    প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো 

👉 ( দশম অধ্যায় আমাদের দেশ ভারত প্রশ্ন উত্তর )



ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল দশম অধ্যায় আমাদের দেশ ভারত  প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস সিক্স ভূগোল দশম অধ্যায় আমাদের দেশ ভারত  গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা | Class 6th Geography Chapter -10 Important Questions And Answers | ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল   দশম অধ্যায়  গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | #Class 6th Geography Chapter -10  Questions And Answers #Class 6th Geography Questions And Answers

 

⬛ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

1. পাইন একপ্রকারের (মরু / ম্যানগ্রোভ সরলবর্গীয়) উদ্ভিদ। -

উঃ সরলবর্গীয়


2. ভেষজ উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল চিকিৎসা পদ্ধতি হল – (অ্যালোপ্যাথিক/ হোমিওপ্যাথি/

আয়ুর্বেদ)।

উঃ  আয়ুর্বেদ


3. বনভূমি সবসময় সবুজ থাকে (ক্রান্তীয় পাতাঝরা/ক্রান্তীয় চিরসবুজ/কাঁটাঝোপ ও গুল্ম জাতীয়) উদ্ভিদের অরণ্যে ।

উঃ  ক্রান্তীয় চিরসবুজ


4. সুন্দরী গাছ ক্রান্তীয় — (চিরসবুজ /পার্বত্য নাতিশীতোয়/ম্যানগ্রোভ) জাতীয় উদ্ভিদ। -

উঃ  ম্যানগ্রোভ


5. উত্তর-পূর্বের পার্বত্য অঞ্চলে এবং পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিমতালে – (ম্যানগ্রোভ / সরলবর্গীয়/ চিরসবুজ) উদ্ভিদ জন্মায় ।

উঃ  চিরসবুজ


6. অ্যাকেসিয়া একপ্রকারের – (ম্যানগ্রোভ / পাতাঝরা মরু) উদ্ভিদ।

উঃ  মরু


7. সরলবর্গীয় উদ্ভিদের পাতাগুলি — (ছুঁচোলো/গোলাকার / চওড়া ও মোটা হয়

উঃ  ছুঁচোলো


10. বনভূমি এবং (তৃণভূমি/পশুচারণভূমি/কৃষিক্ষেত্র)-কে স্বাভাবিক উদ্ভিদের আদর্শ সমাবেশ বলা চলে।

উঃ  তৃণভূমি


11. ক্রান্তীয় চিরসবুজ অরণ্যে— (চাপলাস/ শিমুল/অ্যাকেসিয়া) দেখা যায়

উঃ  চাপলাস


12. (শিমুল/ অ্যাকেসিয়া/রবার) – হল একটি ক্রান্তীয় পাতাঝরা অরণ্যের উদাহরণ।

উঃ  শিমুল


13. ভারতের কাঁটাঝোপ ও গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ দেখা যায়— (পর্বতের পশ্চিমতালে/রাজস্থান গাঙ্গেয় সমভূমি) অঞ্চলে ।

 উঃ  রাজস্থান


14. ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখা যায় – (চিলকা উপহ্রদ / দার্জিলিং/গুজরাত) অঞ্চলে। -

উঃ  চিলকা উপহ্রদ 


15. ঠেসমূল ও শ্বাসমূল দেখা যায়— (গরান/পাইন/অশ্বত্থ গাছে।

উঃ  গরান


16. ভারতের পার্বত্য নাতিশীতোয় অরণ্য দেখা যায়— (গাঙ্গেয় সমভূমি/অরুণাচল প্রদেশ / পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্স) অঞ্চলে।

উঃ  অরুণাচল প্রদেশ


17. কাগজ শিল্পে কাঁচামাল সরবরাহ হয়—(তৃণভূমি / কৃষিক্ষেত্রে / অরণ্য) থেকে।

উঃ  অরণ্য


18. (সর্পগন্ধা / হোগলা / দেবদারু )—একটি ভেষজের উদাহরণ 

উঃ  সর্পগন্ধা 


19. সিঙ্কোনা থেকে—(কুইনাইন/রেসারপিন/মধু) তৈরি হয় ।

উঃ  কুইনাইন


20. (গাছকাটা/পশুচারণ/বৃক্ষরোপণ) – হল অরণ্য সংরক্ষণের একটি উপায় ।

উঃ  বৃক্ষরোপণ


21. (তুলসী/চিরতা/খেজুর) – সর্দিকাশি নিরাময়ে সাহায্য করে।

উঃ  তুলসী


22. জলদাপাড়া অভয়ারণ্য— (পশ্চিমবঙ্গ / অসম / অরুণাচল প্রদেশ)-এ অবস্থিত।

উঃ  পশ্চিমবঙ্গ


23. ওড়িশার ভিতরকণিকা — (কচ্ছপ/বুনো গাধা / নীলগাই)-এর জন্য বিখ্যাত ।

উঃ  কচ্ছপ


24. দক্ষিণ ভারতের প্রধান বন্যপ্রাণী হল— (ময়ূর/হাতি/রেডপান্ডা)।

উঃ হাতি


25. আমরা জীবজন্তু দেখতে পাই – (চিড়িয়াখানায়/ মিউজিয়ামে / পার্কে)।

উঃ  চিড়িয়াখানায়


25. শিকার এবং পশুচারণের অধিকার থাকে (জাতীয় উদ্যান / অভয়ারণ্য/সুরক্ষিত অরণ্য)-এ।

উঃ  সুরক্ষিত অরণ্য


26. নন্দনকানন — (বিহার/ওডিশা/ঝাড়খন্ড)-এ অবস্থিত।

উঃ  ওডিশা


27. জিম করবেট জাতীয় উদ্যান (উত্তরপ্রদেশ/উত্তরাখণ্ড / সিকিম)-এ অবস্থিত।

উঃ  উত্তরাখণ্ড


2৪. লুপ্তপ্রায় প্রজাতির সুরক্ষা ও উন্নয়নের দিকে লক্ষ রাখা হয়— (অভয়ারণ্য/জাতীয় উদ্যান / সুরক্ষিত অরণ্য)-এ।

উঃ  অভয়ারণ্য


 সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১ 

1. ভারতে বর্তমানে প্রায় 21 শতাংশ স্থানে বনভূমি আছে।

উঃ  সত্য


2. সেগুন গাছ একপ্রকারের লবণাম্বু উদ্ভিদ

উঃ  মিথ্যা


3. ভারতের জাতীয় বননীতি ঘোষিত হয় 1952 সালে।

উঃ  সত্য


4. অরণ্যকে আমাদের কধু বলা হয়।

উঃ  সত্য


5. লবণাম্বু উদ্ভিদের জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্‌গম দেখা যায় ।

উঃ  সত্য


6. ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে মধ্যপ্রদেশ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বনভূমির পরিমান সর্বাপেক্ষা বেশি 

উঃ সত্য


7. পাইন ও ফার গাছ রাজস্থানের মরুভূমিতে জন্মায় ।

উঃ মিথ্যা


৪. দাবানলের জন্য বনভূমি সংরক্ষণ সম্ভব হয় ।

উঃ মিথ্যা


9. মেহগনি একপ্রকার সরলবর্গীয় উদ্ভিদ।

উঃ মিথ্যা


10. বাসক ও তুলসী গাছ ভারতের প্রায় সব রাজ্যে পাওয়া যায়

উঃ সত্য


11. সুরক্ষিত অরণ্যের মধ্যে থেকে পশুপাখি অনুমতি সাপেক্ষে শিকার করা যায়।

উঃ সত্য


12. অসমের কাজিরাঙা একটি অভয়ারণ্যের উদাহরণ।

উঃ মিথ্যা


13. পশ্চিমবঙ্গের বেথুয়াডহরিতে হরিণ সংরক্ষিত হয়।

উঃ সত্য


14. নির্বিচারে গাছপালা কেটে বন ফাকা করে দেওয়ার ফলে বন্যজন্তুর অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে। তাই বন সংরক্ষা করা প্রয়োজন।

উঃ সত্য 


15. গুজরাতের গির অরণ্য বুনো গাধার জন্য বিখ্যাত ।

উঃ মিথ্যা


16. সিংহকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়।

উঃ মিথ্যা


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর; প্রতিটি প্রশ্নের মান -২/৩

1. ভারতের জলবায়ু কীরূপ?

উঃ সাধারণত ভারতের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব অত্যন্ত বেশি। আবার কর্কটক্রান্তিরেখা ভারতের প্রায় মাঝবরাবর পূর্ব-পশ্চিমে প্রসার লাভ করায় ক্রান্তীয় জলবায়ুর প্রভাবও দেখা যায়। এজন্য বলা যায়, ভারতের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির।


2. ভারতের কর্কটক্রান্তিরেখার দক্ষিণ অংশের গড় উষ্ণতা সারাবছর বেশি হয় কেন ?

উঃ  ভারতের কর্কটক্রান্তিরেখার দক্ষিণদিকের অংশ নিরক্ষরেখার নিকটবর্তী। তাই যত নিরক্ষরেখার দিকে যাওয়া যায় সূর্যরশ্মির পতনকোণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রাও ততই বাড়তে থাকে। এজন্যই দক্ষিণ ভারতের বা কর্কটক্রান্তিরেখার দক্ষিণাংশের গড় উয়তা সারাবছর বেশি হয়।


3. কালবৈশাখী বলতে কী বোঝ?

উঃ  গ্রীষ্মকালে বিকাল বা সন্ধ্যের দিকে পূর্ব ভারতে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে মাঝে মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হয়। একেই কালবৈশাখী বলে। বৈশাখ মাসে এই ঝড়ের আবির্ভাব হওয়ায় একে কালবৈশাখী বলে। এর প্রভাবে তীব্র গরমের হাত থেকে সাময়িক স্বস্তি মেলে এবং আবহাওয়াও আরামদায়ক হয়ে যায়।


4. লু এবং আঁধি সম্পর্কে লেখো ।

উঃ  গ্রীষ্মকালে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে বিশেষত রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার প্রভৃতি রাজ্যের কিছু অংশে দিনেরবেলা অত্যন্ত উয় এবং শুষ্ক একপ্রকার বাতাস প্রবাহিত হয়। একেই লু বলে। এই বাতাসের উচ্চতা প্রায় 50 °সে ছাড়িয়ে যায় এবং এর প্রভাবে মানুষের মৃত্যুও ঘটে। পশ্চিম ভারতে ওই একই সময়ে (গ্রীষ্মকালে) একপ্রকার ধূলিঝড়ের সৃষ্টি হয়, একে আঁধি বলে। এর গতিবেগ ঘন্টায় 50-80 কিমি হয় এবং আকাশ অন্ধকার হয়ে এই ঝড়ের আগমন ঘটে।


5. বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে কাকে বলে ?

উঃ  জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু প্রবাহপথে পর্বতের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত কিন্তু ওই বায়ু পর্বত অতিক্রম করে বিপরীত দিকে পৌঁছালে তাতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমে যায় বলে যৎসামান্য বৃষ্টিপাত হয়। এই স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে। যেমন—পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বটাল এরূপ একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের উদাহরণ। যে ঢালে বাধাপ্রাপ্ত হয় সেই ঢালে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় ।


6. মৌসুমি বায়ুর বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ  মৌসুমি বায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ— [1] মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মূলত গ্রীষ্মকালেই বৃষ্টিপাত হয় ।

[2] সমগ্র দেশে সমানভাবে বৃষ্টিপাত হয় না।

[3] মৌসুমি বায়ুর খামখেয়ালিপনার জন্য কোথাও বন্যা আবার কোথাও খরা হয়।

[4] শীতকালে একমাত্র তামিলনাড়ুর করমণ্ডল উপকূলে বৃষ্টিপাত হয় বলে ওই অঞ্চলে বছরে দুবার বর্ষাকাল বিরাজ করে।

[5] ভারতের কৃষিকাজ এবং অর্থনীতি মৌসুমি বায়ুর ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।


7. পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বলতে কী বোঝ ?

উঃ  শীতকালে ভারতে সাধারণত বৃষ্টিপাত হয় না এবং আবহাওয়াও শুষ্ক থাকে। কিন্তু এইসময় ভূমধ্যসাগরের দিক থেকে একটি নাতিশীতোয় ঘূর্ণবাত উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করে যার ফলে দু-চার দিন আকাশ মেঘলা থাকে এবং ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়। একেই পশ্চিমি ঝঞ্জা বলে। এর ফলে শীতের তীব্রতা অনেকটা বেড়ে যায়।


৪. ভারতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব কতখানি?

উঃ  ভারতের কৃষিকাজের ওপর মৌসুমি বায়ুর সরাসরি প্রভাব দেখা যায়। মৌসুমি বায়ুর আগমনের সময়ের ওপর ফসল উৎপাদন নির্ভর করে। যদি কোনো বছর পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয় তবে ফসল উৎপাদন ভালো হয় তাই কৃষকরা লাভবান হন। কিন্তু কম বৃষ্টিপাত হলে ফসল উৎপাদন হ্রাস পায় তাই কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। মৌসুমি বৃষ্টির সাথে সাথে ভারতের নানা রাজ্যে নবান্ন, ওনাম, বিহু ইত্যাদি নানা উৎসব পালিত হয়। অনেকসময় অতিবৃষ্টির জন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে (যেমন—অসম, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর বিহার) বন্যা হয়। আবার অল্প বৃষ্টিপাতের জন্য দক্ষিণ ও মধ্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে খরার সৃষ্টি হয় ।


9. সমভাবাপন্ন এবং চরমভাবাপন্ন জলবায়ু বলতে কী বোঝ ?

উঃ  সমুদ্র থেকে দূরত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ুর প্রকৃতিগত পরিবর্তন ঘটে। শীতে ভীষণ শীত পড়ে আবার গ্রীষ্মকালে গরমের পরিমাণ বেড়ে যায় (যেমন—ভারতের দিল্লি, হরিয়ানা, আম্বালা, চণ্ডীগড় ইত্যাদি স্থানে)। এই জলবায়ুকে চরমভাবাপন্ন জলবায়ু বলে। আবার সমুদ্রের নিকটবর্তী স্থানের আবহাওয়া সারাবছরই আরামদায়ক থাকে অর্থাৎ মাঝারি রকমের তাপমাত্রা থাকে (যেমন—কলকাতা, মুম্বাই, কোচি ইত্যাদি)। এইপ্রকার জলবায়ুকে সমভাবাপন্ন জলবায়ু বলে।


10. দক্ষিণ ভারত ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও সমভাবাপন্ন জলবায়ু দেখা যায় কেন?

উঃ  দক্ষিণ ভারত ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত হলেও ত্রিভুজাকৃতি ভূমিভাগের জন্য তিনদিকে সমুদ্র থাকায় কোনো অংশই সমুদ্র থেকে খুব দূরে অবস্তিত নয়। এরূপ সামুদ্রিক প্রভাবের জন্য দক্ষিণ ভারতের জলবায়ু সমভাবাপন্ন প্রকৃতির। তবে উচ্চতার জন্য কোদাইকানাল বা উটিতে সারাবছরই ঠান্ডা থাকে ।


11. ভারতের ঋতুবৈচিত্র্য/ঋতুচক্র ব্যাখ্যা করো ।

উঃ ভারতের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির। মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমনের ওপর ভিত্তি করে ভারতের জলবায়ুতে চারটি ঋতু দেখা যায়। যথা—

[1] গ্রীষ্মকাল: মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এই ঋতু স্থায়ী হয়। সারাভারতে এইসময় তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং কোনো কোনো স্থানের তাপমাত্রা 40 °সে ছাড়িয়ে যায়। এই সময়ে কালবৈশাখী, লু ও আঁধি দেখা যায় ৷

[2] বর্ষাকাল: ভারতে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয় এবং জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই ঋতু স্থায়ী হয়।

[3] শরৎকাল: অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই ঋতু স্থায়ী হয়। এইসময় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দুর্বল হয়ে বিপরীতমুখী হয়ে প্রত্যাবর্তন করে এবং বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাষ্প সংগ্রহ করে করমণ্ডল উপকূলে পুনরায় বৃষ্টিপাত ঘটায়।

[4] শীতকাল: ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই ঋতু স্থায়ী হয়। এইসময় উত্তর-পূর্ব দিক থেকে শীতল- শুষ্ক বায়ু প্রবাহিত হওয়ার ফলে সারা ভারতের তাপমাত্রা কমে যায়।


12. ভারতের গ্রীষ্মকালের বর্ণনা দাও।

উঃ  ভারতবর্ষে গ্রীষ্মকালের বৈশিষ্ট্য হল—মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এই ঋতু স্থায়ী হয়। সারাভারতে এইসময় তাপমাত্রা বেশি থাকে। একমাত্র পার্বত্য অঞ্চল ও উপকূলভাগের তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। পশ্চিম ভারত ও মধ্য ভারতের কোনো কোনো অংশের তাপমাত্রা 40 °সে ছাড়িয়ে যায়। এই সময় পূর্ব ভারতে কালবৈশাখী ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে লু এবং আঁধি দেখা যায়।


13. ভারতের বর্ষাকালের বর্ণনা দাও।

উঃ  ভারতে বর্ষাকালের বৈশিষ্ট্য হল—জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই ঋতু স্থায়ী হয়। এইসময় ভারতে দক্ষিণ- পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তবে রাজস্থানের মরু অঞ্চল, লাদাখ মালভূমি ও পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বঢালে সামান্যই বৃষ্টিপাত ঘটে।


14. ভারতের শরৎকালের বর্ণনা দাও। 

উঃ  ভারতে শরৎকালের বৈশিষ্ট্য হল—অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই ঋতু স্থায়ী হয়। এইসময় দক্ষিণ- পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দুর্বল হয়ে বিপরীতমুখী হয়ে প্রত্যাবর্তন করে। প্রত্যাবর্তনের সময় বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাষ্প সংগ্রহ করে ও তামিলনাড়ুর করমণ্ডল উপকূলে পুনরায় বৃষ্টিপাত ঘটায়। এইসময় ভারতের পূর্ব উপকূলে আশ্বিনের ঝড়ও হয়।


15. ভারতের শীতকালের বর্ণনা দাও।

উঃ ভারতে শীতকালের বৈশিষ্ট্য হল – ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই ঋতু স্থায়ী হয়। এইসময় উত্তর-পূর্ব দিক থেকে শীতল শুষ্ক বায়ু প্রবাহিত হয়। সারাভারতের তাপমাত্রা কমে যায়। এইসময় উপকূলভাগের তাপমাত্রা আরামদায়ক থাকে। আবার পার্বত্য অঞ্চলে মাঝে মধ্যে তুষারপাতও হয়। এইসময় উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমি ঝঞ্ঝারও প্রভাব দেখা যায় ।

No comments:

Post a Comment