ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস সিক্স ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় পৃথিবী কি গোল ? গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা | Class 6th Geography Chapter -2 Important Questions And Answers | ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | #Class 6th Geography Chapter -2 Questions And Answers #Class 6th Geography Questions And Answers
⬛ সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া দেখে পৃথিবীর গোলাকার ধারণার কথা বলেন— (পিথাগোরাস/অ্যারিস্টটল/গ্যালিলিও)।
উঃ অ্যারিস্টটল
2. ম্যাজেলান ছিলেন একজন — (জার্মান/পোর্তুগিজ/ ইংরেজ) ভূপর্যটক
উঃ পোর্তুগিজ
3. পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ (4600/6400/6040) কিলোমিটার ।
উঃ 6400
4. পৃথিবীর পরিধি প্রায় (35000/40000/45000) কিমি ।
উঃ 40000
5. পৃথিবীর উচ্চতম স্থান (মাউন্ট এভারেস্ট/পামির মালভূমি/ছোটোনাগপুর মালভূমি) ।
উঃ মাউন্ট এভারেস্ট
6. দিক নির্ণয় করার যন্ত্র হল — (কম্পাস / দূরবিন / মাস্তুল) ।
উঃ কম্পাস
7. আর্যভট্ট একজন — (ভারতীয় /ইংরেজ/ গ্রিক) বিজ্ঞানী ছিলেন।
উঃ ভারতীয়
৪. এরাটোসথেনিস হলেন- (গ্রিক / রোমান/আরবীয়) দার্শনিক।
উঃ গ্রিক
9. পৃথিবীর আকৃতি—(পৃথিবীর/কমলালেবুর/ন্যাসপাতির) মতো।
উঃ পৃথিবীর
10. পৃথিবীর—(পরিক্রমণ গতির/আবর্তন গতির/মাধ্যাকর্ষণ বলের) জন্য আমরা পৃথিবী থেকে মাধ্যাকর্ষণ ছিটকে পড়ি না।
উঃ মাধ্যাকর্ষণ বলের
11. ম্যাজেলান ভূপর্যটনে বের হয়েছিলেন - ( 1519 / 1520/1521) সালে।
উঃ1519
12. মারিয়ানা খাতের গভীরতা হল — (10915 /11256 / 10900 মিটার।
উঃ 10915
13. কোনো বস্তুর ওজন নিরক্ষরেখায় সবচেয়ে — (কম/বেশি/ সমান) হয়।
উঃ কম
14. পৃথিবীর সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন স্থানের মধ্যে উচ্চতার পার্থক্য প্রায় – ( 20 / 30 / 40 ) কিমি।
উঃ 20
15. ধ্রুবতারা আকাশের—(উত্তর/দক্ষিণ/পূর্ব) দিকে থাকে।
উঃ উত্তর
16. মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে ― (লাল / নীল /হলুদ) রঙের দেখায়।
উঃ নীল
17. পৃথিবীর পরিধি সর্বপ্রথম পরিমাপ করেন গ্রিক দার্শনিক—(এরাটোসথেনিস / টলেমি/আর্যভট্ট)।
উঃ এরাটোসথেনিস
18. পৃথিবীর নিম্নতম স্থান – (মাউন্ট এভারেস্ট/মারিয়ানা স্রোত/আল্পস পর্বতশ্রেণি)।
উঃ মারিয়ানা খাত
19. পৃথিবীর আকার গোল— এটি প্রথম সঠিকভাবে লক্ষ করেন — (এরাটোসথেনিস কোপারনিকাস/টলেমি) ।
উঃ এরাটোসথেনিস
20. দিগন্তরেখার আকৃতি—(গোলাকার/উপবৃত্তাকার/আয়তাকার) ।
উঃ গোলাকার
21. চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের ওপর পৃথিবীর যে ছায়া পড়ে সেটির আকৃতি—(গোলাকার/ উপবৃত্তাকার/আয়তাকার)।
উঃ গোলাকার
22. প্রাচীনকালে দক্ষিণ গোলার্ধে নাবিকেরা যে নক্ষত্রমণ্ডলকে দেখে দিক নির্ণয় করত তার নাম— (ধ্রুবতারা/শুকতারা/দক্ষিণ ক্রস)।
উঃ দক্ষিণ ক্রস
23. শুকতারা দেখা যায় আকাশের (পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ) দিকে।
উঃ পূর্ব
24. বর্তমানে নাবিকরা যে যন্ত্রের সাহায্যে দিক নির্ণয় করে তার নাম— (থিওডোলাইট/কম্পাস /দক্ষিণ ক্রস)।
উঃ কম্পাস
25. যে ভারতীয় বিজ্ঞানী পৃথিবীর গোলাকার ধারণার স্বপক্ষে ছিলেন তাঁর নাম (এরাটোসথেনিস / আর্যভট্ট / টলেমি)।
উঃ আর্যভট্ট
26. জিয়য়েড (Geoid) শব্দের অর্থ— (পৃথিবীর মতো/লেবুর মতো/উপবৃত্তাকার)।
উঃ পৃথিবীর মতো
27. পৃথিবীপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল – (51 কোটি বর্গকিমি/51 কোটি 64 হাজার বর্গকিমি / 62 কোটি 60 হাজার বর্গকিমি)।
উঃ 51 কোটি 64 হাজার বর্গকিমি
28. যেখানে আকাশ এসে পৃথিবীতে মেশে তাকে বলে— (দিগন্ত / সীমান্ত / মরুদ্যান) ।
উঃ দিগন্ত
29. পিথাগোরাস ছিলেন (গ্রিক গণিতজ্ঞ / রোমান দার্শনিক/ভারতীয় ভৌগোলিক)।
উঃ গ্রিক গণিতজ্ঞ
30. মহাকাশচারীরা মহাশূন্য থেকে পৃথিবীকে— (উজ্জ্বল সবুজ / কমলা/নীল) গোলকের মতো দেখেছেন।
উঃ নীল
31. পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ও মেরু ব্যাসের মধ্যে ব্যবধান – ( 41/42/43) কিমি।
উঃ 42
32. পৃথিবীর মাঝবরাবর অংশকে যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয় তাকে বলে— (কর্কটক্রান্তিরেখা/মকরক্রান্তিরেখা/নিরক্ষরেখা) ।
উঃ নিরক্ষরেখা
33. কোনো বস্তুর ওজন নিরক্ষরেখায় সবচেয়ে — (কম/বেশি/মাঝারি) হয়।
উঃ কম
34. পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিন্দুর উচ্চতা হল প্রায় (8848 / 8450 /8960 ) মিটার।
উঃ 8848
35. মারিয়ানা খাত অবস্থিত- (আটলান্টিক মহাসাগরে /ভারত মহাসাগরে/ প্রশান্ত মহাসাগরে)।
উঃ প্রশান্ত মহাসাগরে
36. মাউন্ট এভারেস্ট (হিমালয় / আল্পস/রকি) পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
উঃ হিমালয়
37. উত্তর গোলার্ধে—(সুমেরু/ কুমেরু/নিরক্ষীয়) বিন্দুতে ধ্রুবতারা ঠিক মাথার ওপর থাকে ।
উঃ সুমেরু
38. বৃত্তের ব্যাসার্ধ যত বাড়ে বৃত্তের বক্রতা তত― (হ্রাস পায়/বৃদ্ধি পায়/অপরিবর্তিত থাকে)।
উঃ হ্রাস পায়
39. ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে উঠলে দিগন্তরেখার আকৃতি—(অপরিবর্তিত থাকবে/ হ্রাস পাবে / বৃদ্ধি পাবে)।
উঃ বৃদ্ধি পাবে
40. ম্যাজেলান ক্রমাগত (পূর্ব/পশ্চিম/উত্তর) দিকে যাত্রা করেছিলেন এবং সবশেষে পূর্বের পশ্চিম স্থানে ফিরে এসেছিলেন।
41. ম্যাজেলান— (2/4/5)টি জাহাজ নিয়ে ভূপ্রদক্ষিণে বার হয়েছিলেন।
উঃ 5
42. পৃথিবী নিজ অক্ষের ওপর দ্রুত ঘোরে, একে (আবর্তন/পরিক্রমণ/বার্ষিক) গতি বলে।
উঃ আবর্তন
43. নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন – (বেশি / কম / অর্ধেক) হয়।
উঃ বেশি
44. মানুষ প্রথম — (জাহাজে চড়ে রেলগাড়িতে চড়ে/পায়ে হেঁটে) পৃথিবী অভিযান শুরু করেন।
উঃ জাহাজে চড়ে
45. মাধ্যাকর্ষণ সূত্রানুযায়ী, যে বস্তু পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে যত দূরে অবস্থিত হবে তার ওপর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব তত— (কম/বেশি/মাঝারি) হবে।
উঃ কম
46. পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ( 12757/12620 /12700) কিমি।
উঃ 12757
47. যেসব গোলাকার বস্তুর উত্তর দক্ষিণ দিক সামান্য চাপা এবং পূর্ব-পশ্চিম দিক সামান্য ফোলা | তাকে বলে—(জিয়য়েড/অভিগত গোলক/উপবৃত্তাকার গোলক)।
উঃ অভিগত গোলক
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
1. গোলাকার পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে আমরা পড়ে যাই না কেন ?
উঃ আকৃতিগতভাবে পৃথিবী গোলাকার এবং প্রচণ্ড গতিতে আবর্তন করে চলেছে। তাই আপাতভাবে আমাদের পড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক বলে মনে হয়। কিন্তু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি মানুষসহ প্রতিটি বস্তুকে তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে এবং এর ফলে সবকিছু পৃথিবীর সঙ্গে যুক্ত থাকা অবস্থায় আবর্তন করছে । এজন্যই আমরা ছিটকে পড়ে যাই না ।
2. কোনো জিনিসের ওজন পৃথিবীর মাঝবরাবর অর্থাৎ নিরক্ষরেখায় যত হয়, দুই প্রান্তে মেরুর কাছে তার থেকে বেশি হয়। ভেবে দেখো এরকম কেন হয়? পৃথিবীর আকৃতির সঙ্গে কি এর কোনো সম্পর্ক আছে ?
উঃ কোনো বস্তুর ওজন নিরক্ষরেখায় কম এবং দুই প্রান্তে বা মেরুর কাছে বেশি হয়। মূলত পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পার্থক্যের জন্য এরকম হয় । পৃথিবীর আকৃতির সঙ্গে এর প্রত্যক্ষ সম্পর্ক আছে। পৃথিবীর মেরু অঞ্চল কিছুটা চাপা হওয়ায় এখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বেশি এবং ওজনও বেশি। অপরপক্ষে, নিরক্ষীয় অঞ্চল একটু স্ফীত হওয়ার জন্য এখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম, তাই ওজনও কম।
3. পৃথিবী গোল—এই ধারণা প্রথম কাদের ?
উঃ [1] খ্রিস্টপূর্ব 500 অব্দে গ্রিক পণ্ডিত পিথাগোরাস পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির ধারণা দেন। [2] খ্রিস্টপূর্ব 200 অব্দে গ্রিক পণ্ডিত এরাটোসথেনিস প্রথম সঠিকভাবে বলেন যে, পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার। [3] 1519 সালে পোর্তুগিজ নাবিক ম্যাজেলান পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির ধারণা দেন। [4] গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের ওপর পৃথিবীর গোলাকার ছায়া দেখে গোলাকার পৃথিবীর ধারণা দেন। [5] ভারতীয় বিজ্ঞানী আর্যভট্টও পৃথিবীর গোলাকার ধারণার বিশ্বাসী ছিলেন।
4 পৃথিবীর ওপরের উঁচুনীচু জায়গাগুলো অর্থাৎ পর্বত, মালভূমি, উপত্যকা, গিরিখাত প্রভৃতির জন্য কি পৃথিবীর আকৃতির কোনো পরিবর্তন হয় ?
উঃ পৃথিবীর ওপরের উঁচু-নীচু জায়গাগুলো অর্থাৎ পর্বত, মালভূমি, উপত্যকা, গিরিখাত প্রভৃতির জন্য পৃথিবীর আকৃতির কোনো পরিবর্তন হয় না। প্রায় 6371 কিমি ব্যাসার্ধের বিশাল পৃথিবীপৃষ্ঠের সুউচ্চ পর্বতশ্রেণিসমূহ, মালভূমি, গিরিখাত, সমুদ্র তলদেশের গিরিখাত প্রভৃতির জন্য পৃথিবীপৃষ্ঠের আকৃতির খুব পরিবর্তন হয় না। মহাকাশ বা বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তর থেকে একে প্রায় মসৃণই লাগে। তবে পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার নয় বলেই পৃথিবীকে জিয়য়েড আকৃতির বলা হয় |
No comments:
Post a Comment