ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Geography Chapter - 5 Questions And Answers MCQ,SAQ,LAQ | ক্লাস সিক্স ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় জল - স্থল - বাতাস প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা - Psycho Principal

Fresh Topics

Monday, 6 January 2025

ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Geography Chapter - 5 Questions And Answers MCQ,SAQ,LAQ | ক্লাস সিক্স ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় জল - স্থল - বাতাস প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা

  

পঞ্চম অধ্যায় জল - স্থল - বাতাস 
প্রশ্ন উত্তর



ষষ্ঠ অধ্যায় "বরফে ঢাকা মহাদেশ" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো

👉 ( ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর )


ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল  পঞ্চম অধ্যায় জল - স্থল - বাতাস  প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস সিক্স ভূগোল  পঞ্চম অধ্যায় জল - স্থল - বাতাস গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা | Class 6th Geography Chapter -5 Important Questions And Answers | ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম  অধ্যায় গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | #Class 6th Geography Chapter -5  Questions And Answers #Class 6th Geography Questions And Answers



⬛ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

1. বায়ুমণ্ডলে O2 এর পরিমাণ প্রায় — ( 21% / 25% / 31%)।

উঃ 21%


2. কৃত্রিম উপগ্রহ, মহাকাশ স্টেশন থাকে— (স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার/ থার্মোস্ফিয়ার/এক্সোস্ফিয়ার) স্তরে।

উঃ এক্সোস্ফিয়ার


3. ঝড় এবং বৃষ্টিপাত ঘটে বায়ুমণ্ডলের (ট্রপোস্ফিয়ার/স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার/থার্মোস্ফিয়ার)-এ।

উঃ  ট্রপোস্ফিয়ার


4. প্রতিদিন গড়ে পৃথিবীতে ছুটে আসে - (10/15/20) হাজার কোটি উল্কা

উঃ  10


5. পৃথিবীর বৃহত্তম ও গভীরতম মহাসাগরটি হল — (প্রশান্ত / আটলান্টিক/ভারত) মহাসাগর। 

উঃ প্রশান্ত


6. পৃথিবীর বৃহত্তম নদী হল — (নীল / আমাজন / ভলগা ।

উঃ আমাজন


7. ভারত যে মহাদেশে অবস্থিত তা হল – (আফ্রিকা/ইউরোপ/এশিয়া)।

উঃ এশিয়া


8. এশিয়া মহাদেশের দীর্ঘতম নদী— (নীল/ হোয়াংহো / ইয়াংসি কিয়াং)।

উঃ ইয়াংসি কিয়াং


9. শ্বেত মহাদেশ বলা হয়— (ওশিয়ানিয়া / দক্ষিণ আমেরিকা/অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে।

উঃ অ্যান্টার্কটিকা


10. পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা জনবহুল মহাদেশটি হল – (আফ্রিকা/ইউরোপ/এশিয়া)।

উঃ এশিয়া


11. বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে বাতাসের ঘনত্ব — (কম/বেশি/একই)।

উঃ কম


12. পৃথিবীর ভূত্বক ও কেন্দ্রমণ্ডলের মধ্যবর্তী অংশটি (শিলামণ্ডল/গুরুমণ্ডল/বারিমণ্ডল) নামে পরিচিত।

উঃ গুরুমণ্ডল


13. সকল মহাদেশ সম্মিলিতভাবে অবস্থান করত— (সুমেরু/কুমেরু / নিরক্ষীয় অঞ্চলের নিকট। 

উঃ কুমেরু


14. সূর্যের সাতটি রঙের মধ্যে – ( লাল / নীল / হলুদ) রংটি সব থেকে বেশি আকাশজুড়ে বিচ্ছুরিত হয়।

উঃ নীল


15. আন্দিজ পর্বতশ্রেণি— (ইউরোপ/উত্তর আমেরিকা/দক্ষিণ আমেরিকা) মহাদেশে অবস্থিত। 

উঃ দক্ষিণ আমেরিকা 


16. ক্ষুদ্রতম মহাসাগরটি হল— (কুমেরু মহাসাগর/সুমেরু মহাসাগর / আটলান্টিক মহাসাগর)।

উঃ সুমেরু মহাসাগর


17. বিশ্ব উন্নায়নের একটি ফল হল – (সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি/ ওজোনস্তর ক্ষয়/ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত)।

উঃ সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি


18. উত্তর আমেরিকার প্রধান পর্বতশ্রেণিটি হল – (অ্যাটলাস / রকি / গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ)।

উঃ রকি 


19. পৃথিবীর বাইরের শক্ত আবরণটির নাম হল – (শিলামণ্ডল / ভূত্বক / পুরুমণ্ডল)।  

উঃ ভূত্বক


20. শিলা ও মাটি দিয়ে তৈরি স্তরকে বলে— (শিলামণ্ডল/বারিমণ্ডল/জীবমণ্ডল)।

উঃ শিলামণ্ডল


 21. বায়ুমণ্ডলে (অক্সিজেন/হাইড্রোজেন নাইট্রোজেন) গ্যাসের পরিমাণ সর্বাধিক।

উঃ নাইট্রোজেন


 22. বেতারতরঙ্গ ধাক্কা খেয়ে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে— (ট্রপোস্ফিয়ার / স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার /আয়নোস্ফিয়ার) স্তর থেকে। 

উঃ  আয়নোস্ফিয়ার


23. সর্বাধিক ক্ষুদ্র মহাদেশটি হল— (আফ্রিকা/ওশিয়ানিয়া/অস্ট্রেলিয়া)।

উঃ ওশিয়ানিয়া


24. পৃথিবীর বৃহত্তম উন্ন মরুভূমি হল – (গোবি / সাহারা / থর)।

উঃ সাহারা


25. প্রায় ( 20 / 40 / 30) কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের সৃষ্টি হয়েছিল।

উঃ 30


26. ওয়েগনারের মতে, গুরুমণ্ডলে – (পরিচলন তাপ স্রোত /অগ্নুৎপাত / আবহবিকার)-এর জন্য মহাদেশগুলির সঞ্চরণ ঘটেছে।

উঃ পরিচলন তাপস্রোত


27. পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বতশ্রেণি— (হিমালয় আল্পস / আন্দিজ)।

উঃ আন্দিজ


28. (উত্তর দক্ষিণ/পূর্ব) — গোলার্ধে জলভাগের পরিমাণ বেশি।

উঃ দক্ষিণ


29. পৃথিবীতে জলভাগের পরিমাণ – (51/71 / 81 ) শতাংশ। 

উঃ 71


30. আমরা খনিজ পদার্থ (শিলামণ্ডল / বারিমণ্ডল/জীবমণ্ডল) থেকে পেয়ে থাকি।

উঃ শিলামণ্ডল


31. দক্ষিণমেরুকে ঘিরে আছে― (এশিয়া/ইউরোপ/ওশিয়ানিয়া) মহাদেশ।

উঃ ওশিয়ানিয়া


32. (ভলগা / ওব/রাইন) -নদী ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত।

উঃ রাইন


33. (মিথেন/অক্সিজেন/হাইড্রোজেন) একটি গ্রিনহাউস গ্যাস |

উঃ মিথেন


34. দক্ষিণ গোলার্ধে (জল / স্থল / বায়ু) ভাগের পরিমাণ বেশি।

 উঃ স্থল


35. বায়ুমণ্ডলে O2 এর পরিমাণ মোট আয়তনের প্রায়― (78/21/25) শতাংশ।

উঃ 21


36. (আফ্রিকা/অ্যান্টার্কটিকা/ইউরোপ) – মনুষ্যবসতিবিহীন মহাদেশ।

উঃ অ্যান্টার্কটিকা


37. বায়ুমণ্ডলের ঊর্বসীমা – (প্রায় 10000 কিমি/ প্রায় 5000 কিমি/ প্রায় 50000 কিমি) উচ্চতা 

উঃ প্রায় 10000 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।


38. বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর — (মেসোফিয়ার / আয়নোস্ফিয়ার/ ট্রপোস্ফিয়ার)।

উঃ ট্রপোস্ফিয়ার


39. রামধনু – (আয়নোস্ফিয়ার / মেসোফিয়ার / এক্সোস্ফিয়ার) স্তরে দেখা যায়।

উঃ আয়নোস্ফিয়ার


 40. বায়ুমণ্ডলের— (ট্রপোস্ফিয়ার/স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার / মেসোস্ফিয়ার) স্তরে উল্কা  পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

উঃ মেসোস্ফিয়ার


41. ট্রপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধিতে উন্নতা— (হ্রাস / বৃদ্ধি / এক) হয়।

উঃ হ্রাস 


42. জেট বিমান চলাচল করে বায়ুমণ্ডলের (স্ট্র্যাটোস্কিয়ার / ট্রপোস্ফিয়ার / মেসোস্ফিয়ার)-এর মধ্য দিয়ে ।

উঃ ট্রপোস্ফিয়ার 


43. প্রথম প্রাণের সৃষ্টি ঘটে (জলভাগে/ স্থলভাগে / আকাশে)। 

উঃ জলভাগে।  


44. পৃথিবীর সকল মহাদেশ একত্রে (প্যানথালাসা/প্যানজিয়া /ওশিয়ানিয়া) নামে পরিচিত ছিল।

উঃ প্যানজিয়া


45. প্যানজিয়াকে বেষ্টনকারী মহাসাগরের নাম- (প্যানজিয়া / বারিমণ্ডল/প্যানথালাসা) ছিল।

উঃ প্যানথালাসা


46. পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ— (ইউরোপ/দক্ষিণ আমেরিকা এশিয়া)।

উঃ এশিয়া


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর; প্রতিটি প্রশ্নের মান -২/৩

1. বায়ুমণ্ডল বলতে কী বোঝা? আকাশের রং নীল র দেখায় কেন?

উঃ বায়ুমণ্ডল হল একটি অদৃশ্য গ্যাসীয় আবরণ যা পৃথিবীকে চারদিক থেকে বেষ্টন করে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠে লেগে আছে এবং পৃথিবীর আবর্তনের সঙ্গে একসঙ্গে আবর্তিত হচ্ছে। বায়ুমণ্ডল ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে প্রায় 10000 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত।

প্রকৃতপক্ষে নীল আকাশটি হল পৃথিবীকে চারিদিক থেকে ঘিরে রাখা বায়ুমণ্ডল। বায়ুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ধূলিকণা, জলীয়বাষ্প এবং অন্যান্য পদার্থ ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। দিনেরবেলা এগুলির গায়ে সূর্যের আলো বাধাপ্রাপ্ত হয়ে সাতটি রং-এ ভেঙে যায়। এগুলির মধ্যে নীল আলো সবচেয়ে বেশি বিচ্ছুরিত হয় বলেই আকাশকে নীল দেখায় ।


2. বায়ুমণ্ডল কী কী উপাদান দ্বারা গঠিত ? স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমণ্ডল বলতে কী বোঝ ? 

উঃ বায়ুমণ্ডল মূলত তিনটি উপাদান দ্বারা গঠিত। যথা—

[1] গ্যাসীয় উপাদান: নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, আর্গন ও কিছু নিষ্ক্রিয় গ্যাস প্রভৃতি।

[2] জলীয়বাষ্প: জল বাষ্পে পরিণত হয়ে ধূলিকণাকে আশ্রয় করে জলীয়বাষ্পরূপে বাতাসে ভেসে বেড়ায় ।

[3] কঠিন উপাদান: বাতাসের মধ্যে প্রচুর ধূলিকণা এবং অন্যান্য কঠিন উপাদান ভেসে বেড়ায়।

ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তরটি হল স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। এটি ট্রপোস্ফিয়ারের পর থেকে প্রায় 50 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরে কোনোরকম বায়ুমণ্ডলীয় গোলযোগ দেখা যায় না বলে একে শান্তমণ্ডল বলে। এই স্তরের নিম্ন অংশ দিয়েই জেট বিমান চলাচল করে। এই স্তরে 20-25 কিমি উচ্চতায় ওজোন গ্যাসের স্তর রয়েছে, যাকে ওজোনস্তর বলে। উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই স্তরের উন্নতা বৃদ্ধি পায় ।


3. পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত স্তরবিন্যাস করো। শিলামণ্ডল কাকে বলে ?

উঃ পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত মোট ওটি স্তর দেখা যায়। যথা-

[1] ভূত্বক: এটি পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বাইরের স্তর বা আবরণ বিশেষ। এটি কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত। ভূত্বক মহাদেশীয় এবং মহাসাগরীয় এই দু-রকম হতে পারে ।

[2] গুরুমণ্ডল: ভূত্বকের তলদেশের গলিত অর্ধতরল স্তরটি হল গুরুমণ্ডল।

[3] কেন্দ্রমণ্ডল: গুরুমণ্ডলের নীচে একেবারে অভ্যন্তরভাগে পৃথিবীর কেন্দ্রকে ঘিরে থাকা স্তরটি হল কেন্দ্রমণ্ডল।

ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের উপরিভাগকে সম্মিলিতভাবে শিলামণ্ডল বলে। শিলামণ্ডল মহাদেশের তলদেশে প্রায় 50- 140 কিমি এবং মহাসাগরের তলদেশে প্রায় 40 কিমি গভীরতা পর্যন্ত বিস্তৃত। শিলামণ্ডলের গড় গভীরতা প্রায় 100 কিমি।


4. বারিমণ্ডল বলতে কী বোঝ? জলচক্র কাকে বলে ?

উঃ পৃথিবীর যে সকল অংশে জল পাওয়া যায়, যেমন— সাগর, মহাসাগর, হ্রদ, জলাশয়, নদী ইত্যাদিকে একত্রে জলভাগ বা বারিমণ্ডল বলা হয়। পৃথিবীর মোট ক্ষেত্রফলের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ (71 ভাগ) বারিমণ্ডলের অন্তর্গত।

ভূপৃষ্ঠের জলভাগ থেকে সূর্যের তাপে জল বাষ্পীভূত হয়ে জলীয়বাষ্পরূপে বায়ুমণ্ডলে অবস্থান করে। ওই জলীয়বাষ্প পরে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে মেঘ সৃষ্টি করে এবং মেঘ থেকে বৃষ্টি বা তুষাররূপে পৃথিবীতে নেমে আসে এবং তা বিভিন্ন মাধ্যমে নদী বা সমুদ্রে মেশে। এরপর ওই জল পুনরায় বাষ্পে পরিণত হয়। এভাবে শিলামণ্ডল, বায়ুমণ্ডল ও বারিমণ্ডলের মধ্যে জলের চক্রাকার আবর্তনকে জলচক্র বলে। 


5. পৃথিবীর মহাসাগরগুলির পরিচয় দাও। বর্তমানে পৃথিবীতে কতগুলি মহাদেশ আছে ও কী কী?

উঃ  পৃথিবীতে বর্তমানে 5টি মহাসাগর অবস্থিত। এগুলি হল— [1] প্রশান্ত মহাসাগর (বৃহত্তম), [2] আটলান্টিক মহাসাগর, [3] ভারত মহাসাগর, [4] কুমেরু মহাসাগর এবং [5] সুমেরু মহাসাগর (ক্ষুদ্রতম)। প্রশান্ত মহাসাগর আয়তনে বৃহত্তম এবং গভীরতম মহাসাগর। আটলান্টিক মহাসাগর আয়তনে দ্বিতীয় বৃহত্তম হলেও গভীরতায় তৃতীয় কিন্তু, ভারত মহাসাগর আয়তনে তৃতীয় হলেও গভীরতায় দ্বিতীয় গভীরতম মহাসাগর। সুমেরু মহাসাগর আয়তনে ক্ষুদ্রতম মহাসাগর। বর্তমানে পৃথিবীতে 7টি মহাদেশ বর্তমান। এগুলি হল— [1] এশিয়া (বৃহত্তম), [2] আফ্রিকা, [3] উত্তর আমেরিকা, [4] দক্ষিণ আমেরিকা, [5] অ্যান্টার্কটিকা, [6] ইউরোপ এবং [৭] এশিয়া।


6.  ইউরেশিয়া বলতে কী বোঝ? প্যানজিয়া ও প্যানথালাসা বলতে কী জানো?

উঃ  ইউরোপ মহাদেশ এবং এশিয়া মহাদেশ দুটি আলাদা ভূখণ্ডে অবস্থিত নয়। একই ভূখণ্ডের পূর্বদিকে এশিয়া এবং পশ্চিমদিকে ইউরোপ মহাদেশ অবস্থিত। এই দুই মহাদেশ ইউরাল পর্বত ও ইউরাল নদীর দ্বারা আলাদা। এই দুই মহাদেশকে একত্রে ইউরেশিয়া বলা হয়। বিজ্ঞানী ওয়েগনারের মতে আজ থেকে প্রায় 50 কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীর সকল মহাদেশ মিলিতভাবে একটি বিরাট ভূখণ্ড হিসেবে অবস্থান করত। তার নাম ছিল প্যানজিয়া। প্যানজিয়াকে বেষ্টন করে চারদিকে যে জলভাগ বা মহাসাগর অবস্থিত ছিল তা হল প্যানথালাসা। প্রায় 20 কোটি বছর আগে ভূ-আন্দোলনের ফলে প্যানজিয়ার ভাঙন ও চলন শুরু হয় এবং বর্তমানে 7টি মহাদেশ ও 5টি মহাসাগর ভাঙনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে।


7.  জীবমণ্ডল বলতে কী বোঝ? মানুষ কিভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে?

উঃ  পৃথিবীর শিলামণ্ডল, বারিমণ্ডল এবং বায়ুমণ্ডলের যে অংশে জীবের উপস্থিতি, বিস্তার ও বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়, তাকে জীবমণ্ডল বলা যায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে 300 মিটার উচ্চতা এবং সমুদ্রের 200 মিটার গভীরতা পর্যন্ত অংশে জীবের কেন্দ্রীভবন সবচেয়ে বেশি। পৃথিবীতে প্রায় 35 হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ এবং 110 লক্ষ প্রজাতির প্রাণী আছে। মানুষ জীবমণ্ডলের একটা অংশমাত্র। কিন্তু মানুষের কিছু কাজকর্মে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং জীবমণ্ডলের চরম সংকট নেমে আসছে। এগুলি হল ক্রমাগত বনজঙ্গল ধ্বংস করে শিল্প স্থাপন, কৃষিকাজ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বসতি নির্মাণ, প্রচুর পরিমাণে খনিজ তেল, কয়লা, কাঠ পোড়ানো ইত্যাদি। এ ছাড়াও ফ্রিজ, এ.সি. থেকে বেশকিছু ক্ষতিকর গ্যাস বেড়িয়ে ওজোন স্তরের ক্ষতি করার ফলে পৃথিবীর তাপ বৃদ্ধি হয়ে জীবমণ্ডলের সংকট উপস্থিত হচ্ছে।

No comments:

Post a Comment