ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় বরফে ঢাকা মহাদেশ প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস সিক্স ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় বরফে ঢাকা মহাদেশ গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা | Class 6th Geography Chapter -5 Important Questions And Answers | ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | #Class 6th Geography Chapter -5 Questions And Answers #Class 6th Geography Questions And Answers
⬛ সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১
1. অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর উচ্চতম মহাদেশ হিসেবে পরিচিত ।
উঃ সত্য
2. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে বৃষ্টির রাজ্য বলা হয় ।
উঃ মিথ্যা
3. ভিনসন ম্যাসিফ সেন্টিনেল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
উঃ সত্য
4. রোয়াল্ড আমুন্ডসেন সর্বপ্রথম কুমেরু বিন্দুতে পৌঁছানোর কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
উঃ সত্য
5. ভস্টক-এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা - 70 সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
উঃ মিথ্যা
6. অ্যান্টার্কটিকায় রাতের আকাশের মৃদু আলোকপ্রভাকে মেরুজ্যোতি বলে।
উঃ সত্য
7. অ্যান্টার্কটিকায় ভারতের প্রথম গবেষণাগারটি হল মৈত্রী |
উঃ মিথ্যা
৪. ক্রিল একপ্রকারের প্রোটিনযুক্ত নীল কুচো চিংড়ি বিশেষ ।
উঃ সত্য
⬛ এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১
1. সাদা মহাদেশ বলা হয় কোন্ মহাদেশকে?
উঃ অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে
2. অ্যান্টার্কটিকার একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরির নাম করো ।
উঃ মাউন্ট এরেবাস
3. অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি?
উঃ ভিনসন ম্যাসিফ (4897 মি)
4. পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহ কোনটি?
উঃ অ্যান্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট
5. অ্যান্টার্কটিকার মূল ভূখণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু কুমেরুতে সর্বপ্রথম কোন্ ব্যক্তি পৌঁছেছেন?
উঃ রোয়াল্ড আমুন্ডসেন
6. কবে আমুন্ডসেন কুমেরু বিন্দুতে পৌঁছান?
উঃ 1911 সালের 14 ডিসেম্বর
7. ভারতীয় অভিযাত্রীরা অ্যান্টার্কটিকায় প্রথম কবে পৌঁছেছিলেন?
উঃ 1982 সালের 9 জানুয়ারি
৪. অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত ভারতের কয়েকটি গবেষণাগারের নাম লেখো।
উঃ দক্ষিণ গঙ্গোত্রী, মৈত্রী এবং ভারতী
9. অ্যান্টার্কটিকা অতীতে কোন্ ভূখণ্ডের অংশ ছিল?
উঃ গন্ডোয়ানাল্যান্ড
10. পৃথিবীর শীতলতম জনবসতিহীন স্থান কোটি?
উঃ ভস্টক
11. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে প্রায় 1-2 কিমি পুরু কীসের স্তর রয়েছে?
উঃ বরফের
12. পৃথিবীর মানচিত্রে অ্যান্টার্কটিকাকে কি রং-এ দেখানো হয়?
উঃ সাদা
13. কোন্ মহাদেশটি আন্তর্জাতিক ভূখণ্ড হিসেবে পরিচিত?
উঃ অ্যান্টার্কটিকা
14. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে কোন্ মহাসাগর ঘিরে রয়েছে?
উঃ কুমেরু
15. অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি কার্যকরী হয় কত সালে?
উঃ 1961
16. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে সূর্যের আলো কীভাবে পড়ে?
উঃ অতিতির্যক
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর; প্রতিটি প্রশ্নের মান -২/৩
1. পৃথিবীর মানচিত্রে একেবারে দক্ষিণে সাদা রং-এর অঞ্চলটা কী বলোতো ?
উঃ পৃথিবীর মানচিত্রে একেবারে দক্ষিণে সাদা রং-এর অঞ্চলটা হল একটি মহাদেশ যার নাম অ্যান্টার্কটিকা। অত্যধিক শীতলতার জন্য অ্যান্টার্কটিকার ওপরে প্রায় 1-2 কিমি পুরু বরফের স্তর থাকার জন্য এই মহাদেশটিকে মানচিত্রে সাদা রং- এ দেখানো হয় | এটি পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ |
2. কে বা কারা সুমেরু বিন্দুতে প্রথম পৌঁছেছিলেন এবং কেমন ছিল সেই অভিযান ?
উঃ রবার্ট পিয়েরি ও ম্যাথিউ হেনসন 1909 সালের 6 এপ্রিল সুমেরু বিন্দুতে পৌঁছেছিলেন।
>> রবার্ট পিয়েরি, ম্যাথিউ হেনসনসহ 24 জনের অভিযাত্রী দল 1908 সালের জুলাই মাসে সুমেরু অভিযান শুরু করেন। তারা এলসমেয়ার দ্বীপে বেসক্যাম্প তৈরি করেন। এখান থেকে পিয়েরি ও হেনসন পায়ে হেঁটে বরফঢাকা পথ অতিক্রম করে অতিকষ্টে 1909 সালের 6 এপ্রিল প্রায় উত্তরমেরু থেকে প্রায় 50 কিমি দূরত্বে পৌঁছে ক্যাম্প তৈরি করেন। তারা ওই স্থানটিকেই সুমেরু ভেবে কিছু সময় অতিবাহিত করেন এবং বেসক্যাম্পে ফিরে আসেন।
3. দক্ষিণমেরুতে যেমন বরফে ঢাকা একটি মহাদেশ আছে, সুমেরুতে কী আছে ?
উঃ দক্ষিণমেরুর মতো সুমেরুতে কোনো বরফঢাকা মহাদেশ | নেই। এর পরিবর্তে সুমেরু মহাসাগর আছে। এই সুমেরু মহাসাগরের জলের ওপরদিকের অংশ শীতলতার জন্য জমে বরফে পরিণত হয়েছে। এই বরফের ওপর বসবাসকারী প্রাণী হল মেরু ভল্লুক।
4. অ্যান্টার্কটিকা এত ঠান্ডা কেন?
উঃ অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশটি দক্ষিণমেরুর চারদিকে অবস্থিত। এখানে গ্রীষ্মকালে অতি তির্যকভাবে সূর্যরশ্মি পড়ে, আবার সূর্যরশ্মির বেশিরভাগ অংশই বরফে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যায় | অন্যদিকে, শীতকালে একটানা 6 মাস রাত্রি থাকায় তখন সূর্যরশ্মি পড়ে না। তাই অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশটি এত ঠান্ডা।
5. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে বৃষ্টি হয় না কেন ?
উঃ অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর শীতলতম মহাদেশ। অত্যধিক শীতলতার জন্য এখানে জল বাষ্পে পরিণত হতে পারে না, সরাসরি বরফকণায় পরিণত হয়। সেজন্য মেঘ বা বৃষ্টি কিছুই হয় না ।
6. অ্যান্টার্কটিকায় কোনো বড়ো গাছপালা জন্মায় না কেন ?
উঃ অতিশীতল জলবায়ুর জন্য অ্যান্টার্কটিকা সারাবছর বরফে ঢাকা থাকে। এজন্য কোনো বড়ো গাছপালা জন্মানোর মতো পরিবেশ এখানে নেই। কিন্তু সমুদ্রের পাশ্ববর্তী কিছু স্থানে গ্রীষ্মকালে অল্পসময়ের জন্য বরফ গলে গেলে সেখানে শ্যাওলা, মস, লাইকেন জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায় |
7. গ্রীষ্মকালে অ্যান্টার্কটিকা সবচেয়ে বেশি সূর্যকিরণ পায়। এমনকি তা নিরক্ষীয় অঞ্চলের থেকেও পরিমাণে বেশি। বলোতো কেন? তা সত্ত্বেও গ্রীষ্মকালে মহাদেশটির উয়তা খুব বেশি বাড়ে না কেন?
উঃ গ্রীষ্মকালে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ যেহেতু একটানা ছয় মাস সূর্যালোক পায় তাই এখানে প্রাপ্ত মোট সৌরকিরণের পরিমাণ নিরক্ষীয় অঞ্চলের থেকেও বেশি হয় |
> গ্রীষ্মকালে অ্যান্টার্কটিকার উন্নতা খুব বেশি বাড়ে না কারণ এখানে সূর্যালোক অতি তির্যকভাবে পড়ে এবং এর বেশিরভাগটাই (90 শতাংশ) বরফে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যায় বলে সূর্যালোকের তীব্রতা অত্যন্ত কম থাকে। ফলে উন্নতা খুব বেশি বাড়ে না ।
8. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে সাদা মহাদেশ বলা হয় কেন ?
উঃ অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর শীতলতম মহাদেশ। অধিক শীতলতার জন্য এই মহাদেশটি সারাবছরই 1-2 কিমি বরফ দ্বারা আবৃত্ত থাকে । তাই মানচিত্রে এই মহাদেশকে সর্বদা সাদা রং-এ দেখানো হয়। এজন্যই অ্যান্টার্কটিকাকে সাদা মহাদেশ বলা হয় ।
9. অ্যান্টার্কটিকাকে পৃথিবীর উচ্চতম মহাদেশ বলা হয় কেন ?
উঃ পুরো অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশটাই হল একটি বিশাল উঁচু এবং প্রাচীন মালভূমি । এর গড় উচ্চতা প্রায় 2500 মিটার। এ ছাড়াও এর ওপর প্রায় 1-2 কিমি পুরু বরফের আচ্ছাদন রয়েছে। এর ফলে, এই মহাদেশের গড় উচ্চতা পৃথিবীর যে- কোনো মহাদেশ অপেক্ষা বেশি। তাই একে পৃথিবীর উচ্চতম মহাদেশ বলা হয় ।
10. অ্যান্টার্কটিকার জলবায়ু কীরূপ?
উঃ অ্যান্টার্কটিকার জলবায়ু এককথায় শীতলতম। শীতকালে তাপমাত্রা – 40 °সে থেকে – 75 °সে পর্যন্ত নেমে যায়। গ্রীষ্মকালীন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা –20 °সে। শীতকালে টানা প্রায় 6 মাস রাত এবং গ্রীষ্মকালে টানা 6 মাস দিন থাকে। শীতকালীন সময়ে আকাশে অনেকসময় মেরুজ্যোতি দেখা যায় ৷ রাশিয়ার গবেষণাগার ভস্টক-এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা –89.2 °সে পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।
11. অ্যান্টার্কটিকার জীবজগৎ সম্পর্কে লেখো ।
উঃ সারাবছরই বরফে ঢাকা থাকার কারণে এখানে কোনো গাছপালা জন্মায় না। গ্রীষ্মকালে সমুদ্রের ধারে কোথাও সামান্য বরফ গলে গেলে মস, শ্যাওলা, লাইকেন জন্মায়। অ্যান্টার্কটিকার স্থলভাগে পেঙ্গুইন পাখি দেখা যায়। জলে সিল, তিমি, চিংড়িজাতীয় ক্রিল এবং নানা প্রকার মাছ পাওয়া যায়। এই ক্রিল মাছ হল পেঙ্গুইনদের প্রধান খাদ্য ৷
12. অ্যান্টার্কটিকাকে বিজ্ঞানের মহাদেশ বলে কেন?
উঃ অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ একটি আন্তর্জাতিক ভূখণ্ড। বিভিন্ন দেশের প্রায় 100-টির বেশি গবেষণাকেন্দ্র এই মহাদেশে আছে। বিজ্ঞানীরা এই মহাদেশের ভূপ্রাকৃতিক পরিবেশ, আবহাওয়া ও জলবায়ু, খনিজ সম্পদ প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা করছেন। সাধারণ মানুষের কোনো বসতি এই মহাদেশে নেই। এজন্য এই মহাদেশকে বিজ্ঞানের মহাদেশ বলে।
13. অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি কী?
উঃ 1959 খ্রিস্টাব্দের 1 ডিসেম্বর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের সম্পদ এবং তার জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সম্মিলিতভাবে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। একেই অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি বলে। এই চুক্তি অনুসারে যে-কোনো দেশের বিজ্ঞানীরা এই মহাদেশে গবেষণা চালাতে পারবে তবে সেটা হতে হবে শান্তির জন্য। এখানকার সম্পদে অ কোনো দেশেরই নিজস্ব অধিকার থাকবে না। সকল দেশকেই এই মহাদেশের জীববৈচিত্র্য ও ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
14. অ্যান্টার্কটিকার অবস্থান বর্ণনা করো।
উঃ অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ কুমেরু বিন্দু বা 90° দক্ষিণমেরু বিন্দুর চারদিকে প্রায় বৃত্তাকারে 60° দক্ষিণ অক্ষরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই মহাদেশের ক্ষেত্রমান প্রায় 1 কোটি 40 লক্ষ বর্গকিমি। এটি পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ। এই মহাদেশের অপর নাম কুমেরু মহাদেশ।
15. অ্যান্টার্কটিকার ভূপ্রকৃতি বর্ণনা করো।
উঃ দক্ষিণমেরুকে কেন্দ্র করে অবস্থিত বলে অতিশীতলতার জন্য এই মহাদেশের সমগ্র অংশই বরফে আচ্ছাদিত। প্রকৃতপক্ষে একটি অতিপ্রাচীন শিল্ড মালভূমি বিশেষ, যার উচ্চতা 2000-5000 মি। এখানে ভূমিভাগের ওপর প্রায় 1-2 কিমি পুরু বরফের স্তর থাকার জন্য উচ্চতা বেশি ও এটি পৃথিবীর উচ্চতম মহাদেশ হিসেবে পরিচিত।
পর্বতশ্রেণি: এই মহাদেশটি মালভূমিময় হলেও পশ্চিমদিকে সেন্টিনেল, এলসওয়ার্থ, ট্রান্সঅ্যান্টার্কটিক পর্বতশ্রেণি এবং পূর্বদিকে কুইন আলেকজান্দ্রা, কুইন মড রেঞ্জ প্রভৃতি পর্বতশ্রেণি অবস্থিত। সেন্টিনেল পর্বতের ভিনসন ম্যাসিফ (4897 মি) অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
আগ্নেয়গিরি; রস সাগরের নিকটবর্তী মাউন্ট এরেবাস একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি এবং টেরর নামে অপর একটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
হিমবাহ: পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহ ল্যাম্বার্ট এই মহাদেশে অবস্থিত। এ ছাড়া মেসার্ভ, বেয়ার্ডমোর ইত্যাদি বড়ো বড়ো হিমবাহ অবস্থিত।
উপত্যকা: এই মহাদেশে ট্রান্সঅ্যান্টার্কটিক পর্বতের পূর্বদিকে বরফহীন একটি উপত্যকা বর্তমান। এখানে বাতাসের বেগ অত্যন্ত বেশি (320 কিমি/ঘণ্টা)।
16. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের শীতকালীন জলবায়ুর বিবরণ দাও ।
উঃ অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর দক্ষিণমেরুর চারদিকে অবস্থিত একটি মহাদেশ। এখানকার শীতকালীন জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য হল—অ্যান্টাকাটিকা মহাদেশে শীতকালে – 40 °সে থেকে - 75 ° সে তাপমাত্রা থাকে। এইসময় একটানা 6 মাস 24 ঘণ্টাই রাত বিরাজ করে। এইসময় অ্যান্টার্কটিকার আকাশে মাঝেমধ্যেই রামধনুর মতো মৃদু আলোকপ্রভা দেখা যায়। একে মেরুজ্যোতি বলে, যা দক্ষিণমেরুতে কুমেরুপ্রভা বা অস্ট্রালিস নামে পরিচিত। এই মহাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাশিয়ার গবেষণাগার ভস্টক-এ রেকর্ড (−89.2 °সে) করা হয়েছে। এখানে শীতকালে তীব্র তুষারঝড় হয়, যাকে ব্লিজার্ড বলে।
17. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের গ্রীষ্মকালীন জলবায়ুর বিবরণ দাও ।
উঃ প্রকৃতপক্ষে গ্রীষ্মকাল বলে অ্যান্টার্কটিকায় কোনো ঋতু নেই। তথাপি নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আবহাওয়ার পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা - 20°সে-এর মতো থাকে। এইসময় আকাশে 24 । ঘণ্টাই সূর্যালোক থাকে। কিন্তু আলো অত্যন্ত তির্যকভাবে পড়ে এবং বেশিরভাগ অংশ বরফে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যায় 2 বলে তাপমাত্রা খুব বেশি বাড়তে পারে না।
No comments:
Post a Comment