চতুর্থ অধ্যায় "শিলা ও খনিজ পদার্থ" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো
👉 ( চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর )
◼️একটি বাক্যে উত্তর দাও :
1. পদার্থের কয়টি অবস্থাও কী কী ?
উত্তর: পদার্থের তিনটি অবস্থা—কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় ।
2. আমাদের বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত কোন্ গ্যাস জ্বলতে সাহায্য করে ?
উত্তর: আমাদের বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত অক্সিজেন গ্যাস জ্বলতে সাহায্য করে।
3. বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত কোন্ গ্যাস আগুন জ্বলতে সাহায্য করে না ?
উত্তর: বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) গ্যাস আগুন জ্বলতে সাহায্য করে না ।
4. কোন্ গ্যাস কোনো কিছু জ্বলতে সাহায্য করে না কিন্তু নিজে দাহ্য?
উত্তর: হাইড্রোজেন গ্যাস কোনো কিছু জ্বলতে সাহায্য করে না কিন্তু নিজে দাহ্য।
5. পরমাণু বলতে কী বোঝ ?
উত্তর: কোনো মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা, যার মধ্যে ওই মৌলিক পদার্থের গুণগুলো বর্তমান, তাকে পরমাণু বলে।
6. একটি তড়িতের সুপরিবাহী অধাতুর নাম লেখো ৷
উত্তর: গ্রাফাইট হল তড়িতের সুপরিবাহী অধাতু ।
7. বায়ুর উপাদানগুলি কী কী ?
উত্তর: বায়ুতে প্রধানত নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, জলীয় বাষ্প ও নিষ্ক্রিয় গ্যাস দেখা যায়।
৪. মৌলিক পদার্থ বলতে কী বোঝা ?
উত্তর: যে পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে কেবলমাত্র সেই পদার্থ ছাড়া অন্য কোনো পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বলে।
9. দুটি মৌলিক পদার্থের উদাহরণ দাও।
উত্তর: অক্সিজেন এবং তামা হল দুটি মৌলিক পদার্থ ।
10. যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: এক বা একাধিক মৌলিক পদার্থ রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্ত হয়ে যে পদার্থ উৎপন্ন করে তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।
11. দুটি যৌগিক পদার্থের উদাহরণ দাও।
উত্তর: জল এবং মিথেন হল দুটি যৌগিক পদার্থ ।
12. যৌগের অণু কাকে বলে?
উত্তর: যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে এবং যে কণার মধ্যে যৌগটির ধর্ম বর্তমান থাকে তাকে যৌগিক অণু বলে।
13. জল কী কী উপাদানে গঠিত ?
উত্তর: জল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন নিয়ে গঠিত।
14. চিহ্ন বলতে কী বোঝ ?
উত্তর: মৌলিক পদার্থের একটি পরমাণুকে সংক্ষেপে যার দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাকে চিহ্ন বলে।
15. নাইট্রোজেনের চিহ্ন কী?
উত্তর: নাইট্রোজেনের চিহ্ন N।
16. সংকেত বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যৌগিক পদার্থের একটি অণুকে যার দ্বারা সংক্ষেপে প্রকাশ করা হয় তাকে সংকেত বলে।
17. জলের সংকেত কী ?
উত্তর: জলের সংকেত হল H2O ।
18. যোজ্যতা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: দুটি মৌলের রাসায়নিকভাবে পরস্পর যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে যোজ্যতা বলে।
19. হাইড্রোজেন ভিত্তিক যোজ্যতা বলতে কী বোঝা ?
উত্তর: হাইড্রোজেনের যোজ্যতা 1 ধরে অন্য মৌলগুলির যোজ্যতা নির্ণয় করা হয়, একেই হাইড্রোজেন ভিত্তিক যোজ্যতা বলে।
20. PH3 অণুতে ফসফরাসের যোজ্যতা কত?
উত্তর: PH, অণুতে ফসফরাসের যোজ্যতা 3।
21. 1টি কার্বন পরমাণু 4টি হাইড্রোজেনের সাথে যুক্ত হলে কার্বন পরমাণুর যোজ্যতা কত?
উত্তর: কার্বন পরমাণুর যোজ্যতা 4।
22. পারমাণবিকতা কাকে বলে?
উত্তর: একটি মৌলিক পদার্থের অণু যতগুলি পরমাণু দ্বারা গঠিত সেই সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিকতা বলে।
23. মিশ্র পদার্থ বলতে কী বোঝ ?
উত্তর: যে পদার্থে একাধিক পদার্থ মিশে থাকে তাকে মিশ্র পদার্থ বলে।
24. দ্রবণ কি যৌগিক না কি মিশ্র পদার্থ?
উত্তর: দ্রবণ হল মিশ্র পদার্থ।
25. একটি দ্রবণের কয়টি অংশ ও কী কী ?
উত্তর: একটি দ্রবণের দুটি অংশ—দ্রাব এবং দ্রাবক।
26. ডাব কী?
উত্তর: দ্রবণ তৈরির সময় যে পদার্থটা গুলে যায় তাকে দ্রাব বলে।
27. দ্রাবক কী?
উত্তর: দ্রবণ তৈরির সময় দ্রাব যার মধ্যে গুলে যায় তাকে দ্রাবক বলে।
28. চিনির শরবতে দ্রাব কী?
উত্তর: চিনির শরবতে দ্রাব হল চিনি।
29. পরিস্রাবণ কী?
উত্তর: ফিলটার কাগজের মতো ছাঁকনির সাহায্যে তরল ও কঠিনকে আলাদা করার পদ্ধতি হল পরিস্রাবণ ।
30. বালির ও লোহাচুরের মিশ্রণ থেকে লোহা বের করার জন্য তুমি কী ব্যবহার করবে?
উত্তর: বালি ও লোহাচুরের মিশ্রণ থেকে লোহা বের করার জন্য চুম্বক ব্যবহার করব।
31. কেলাসন কী ?
উত্তর: দ্রবণ থেকে কঠিন পদার্থের কেলাস তৈরির পদ্ধতিকে কেলাসন বলে।
◼️সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর:
1. ধাতুর চারটি বৈশিষ্ট্য লেখো ।
উত্তর: [a] ধাতুর ওপরের তলে আলো পড়লে চকচক করে। [b] ধাতু তাপ ও তড়িতের সুপরিবাহী। [c] ধাতুকে আঘাত করলে ঠং করে বিশেষ শব্দ হয়। [d] ধাতুকে জোরে পিটলে চ্যাপটা হয়ে যায়।
2. যৌগিক পদার্থের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: [a] যৌগিক পদার্থ দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ নিয়ে গঠিত। [b] যৌগিক পদার্থের মধ্যে অবস্থিত মৌলগুলির নিজস্ব ধর্ম লোপ পায় ।
3. জল যে একটি যৌগিক পদার্থ তা কীভাবে বুঝবে ?
উত্তর: জল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন নিয়ে গঠিত। অক্সিজেন জ্বলতে সাহায্য করে, আর হাইড্রোজেন জ্বলতে সাহায্য না করলেও নিজে জ্বলে। কিন্তু জল আগুন নেভায় আবার নিজেও জ্বলে না। অর্থাৎ জলে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের ধর্ম লোপ পায়। এই কারণে জল একটি যৌগিক পদার্থ |
4. একগ্লাস জলে এক চামচ নুন ঢেলে ভালো করে গুললে নুনের কণাগুলি আর দেখা যায় না । তাহলে নুনের কণাগুলি যায় কোথায় ?
উত্তর: নুনের কণাগুলিকে জলে গুললে নুনের কণাগুলি ছোটো ছোটো অণুতে পরিণত হয়, সেগুলি জলের অণুগুলির সাথে মিশে দ্রবণের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
5. গরমকালে আমাদের প্রচুর ঘাম হলে জামাকাপড়ে সাদা দাগ দেখা যায় কেন?
উত্তর: ঘামের মধ্যে নুন থাকে। গরমকালে ঘামের সাথে এই নুন দেহের বাইরে বেরিয়ে আসে। পরে যখন জল বাষ্প হয়ে উবে যায় তখন নুন পড়ে থাকে, তাই নুনের সাদা দাগ দেখা যায় ।
6. তোমার বাড়িতে বা বাড়ির আশেপাশে দেখা এমন তিনটি জিনিসের নাম বলো যারা মৌলিক, যৌগিক ও মিশ্র পদার্থ ?
উত্তর: রান্নাঘরের লোহার কড়াই—মৌলিক পদার্থ। ব্লিচিং পাউডার/সাবান—যৌগিক পদার্থ।নুন-জল, চিনির শরবত—মিশ্র পদার্থ।
৪. যৌগিক ও মিশ্র পদার্থের মধ্যে তফাত কোথায় ?
উত্তর: যৌগিক পদার্থে ওর উপাদান মৌলগুলির নিজস্ব ধর্ম বজায় থাকে না। কিন্তু মিশ্র পদার্থে ওর উপাদানগুলির নিজস্ব ধর্ম বজায় থাকে।
9. একটি সাদা কাগজে বালি ও লোহাচুরের মিশ্রণ আছে। ওই মিশ্রণ থেকে লোহাচুরকে আলাদা করবে কীভাবে ?
উত্তর: একটি সাদা কাগজে রাখা বালি ও লোহাচুরের মিশ্রণের ওপর দিয়ে একটি দণ্ডচুম্বককে বেশ কয়েকবার ঘোরালে দেখা যাবে | লোহাচুরগুলি চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে চুম্বকের গায়ে আটকে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটি আরও কয়েকবার করা হলে সব লোহাচুর চুম্বকের গায়ে আটকে যাবে। এইভাবে বালি থেকে লোহাচুরকে আলাদা করা যাবে।
10. জল যে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন নিয়ে গঠিত তা একটি পরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণ করো।
উত্তর: একটি বিকারের মধ্যে একটি রবারের টুকরো নিয়ে রবারের গায়ে দুটি লোহার পেরেক আটকানো হল। তারপর বিকারটি আংশিক জলপূর্ণ করা হল। এবার তিনটি টর্চের ব্যাটারির সাথে তামার তার জুড়ে তারের দুই প্রান্ত পেরেক দুটিতে স্পর্শ করানো হল। ভালো করে লক্ষ করলে দেখা যাবে পেরেক দুটিতে রুদ্বুদ আকারে গ্যাস জমা হচ্ছে। পরীক্ষা করলে দেখা যাবে একটি হাইড্রোজেন ও অপরটি অক্সিজেন গ্যাস। এই পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন নিয়ে গঠিত।
No comments:
Post a Comment