অষ্টম শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর || Class 8th swashthya o sharir-shiksha chapter -1 questions and answers - Psycho Principal

Fresh Topics

Thursday, 2 January 2025

অষ্টম শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর || Class 8th swashthya o sharir-shiksha chapter -1 questions and answers

  

প্রথম অধ্যায়
প্রশ্ন উত্তর






দ্বিতীয় অধ্যায়  প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করো
👉(দ্বিতীয় অধ্যায়  প্রশ্ন উত্তর)


❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর:

১. শারীরশিক্ষার লক্ষ্য কী ? 

উঃ । শারীরশিক্ষার লক্ষ্য হলো ব্যক্তিসত্তার পূর্ণবিকাশ । শারীরশিক্ষার নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শারীরিক মানসিক , সামাজিক , বৌদ্ধিক ও নান্দনিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানো , যা তাকে সমাজে সুস্থ ও সবলভাবে বাঁচতে ও সুনাগরিকরূপে পরিচিতি লাভে সহায়তা করে । শারীরশিক্ষার লক্ষ্যের সংজ্ঞা দিয়েছেন বুক ওয়াল্টার । তিনি বলেছেন শারীরশিক্ষার লক্ষ্য হল সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের মান অনুসারে পরিচালিত সঠিক পথপ্রদর্শক নিয়মাবলি এবং নির্বাচিত অখণ্ড শারীরিক ক্রিয়াবলি । 


২. শারীরশিক্ষার ও বিনোদনের জাতীয় নীতি ' অনুসারে শারীরশিক্ষার তিনটি উদ্দেশ্য কী কী ? 

উঃ । শারীরশিক্ষার তিনটি উদ্দেশ্য হলো— ( i ) তন্ত্রগত সক্ষমতার বিকাশসাধন , ( ii ) স্নায়ু পেশি সম্পর্কিত নিপুণতার বিকাশ সাধন , ( iii ) চরিত্র ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ সাধন । 


৩. প্রতিটি মানুষের ঘাম ঝরানো ব্যায়াম বা শরীরচর্চার কী প্রয়োজন ? 

উঃ । আধুনিক যুগে শরীরচর্চার প্রয়োজন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে মানুষের জীবন আরামপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং কায়িক পরিশ্রমের পরিমাণ কমেছে । এর ফলে দেখা দিচ্ছে গতিহীনতার রোগ– মেদাধিক্য , মধুমেয় বা ডায়াবেটিস , উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি রোগব্যাধি । এর থেকে রক্ষা পেতে প্রতিটি মানুষের দিনে অন্তত ৪০ মিনিট ঘাম ঝরানো ব্যায়াম বা শরীরচর্চার প্রয়োজন । 


৪. শারীরশিক্ষার জৈবিক প্রয়োজনীয়তা কী কী ? 

উঃ । সুষম শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ , সুঠাম দৈহিক গঠন , স্নায়ুপেশির সমন্বয় , অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির পর্যাপ্ত ক্ষরণ , মেদবহুলতা থেকে রক্ষা করা প্রভৃতি হল শারীরশিক্ষার জৈবিক প্রয়োজনীয়তা । 


৫. শারীরশিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি কীভাবে তার মানসিক গুণাবলির উন্নতি ঘটাতে পারে ?

 উঃ । শারীরশিক্ষা ব্যক্তির মানসিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে । ব্যক্তি অজ্ঞাতসারে খেলাধুলার মাধ্যমে সংযম , ধৈর্য , শৃঙ্খলা , দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা প্রভৃতি গুণাবলি অর্জন করে থাকে । তার নান্দনিক ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে আত্মবিশ্বাস ও আত্মপলব্ধি ঘটে থাকে । 


৬. দক্ষতা সম্পর্কিত উপাদানগুলি কটি ভাগে বিভক্ত ও কী কী ? 

উঃ । দক্ষতা সম্পর্কিত উপাদান ছয়টি ভাগে বিভক্ত । ( i ) গতি ( ii ) ক্ষিপ্রতা ( iii ) প্রতিক্রিয়া সময় ( iv ) ক্ষমতা ( v ) সমন্বয়সাধন ( vi ) ভারসাম্য ।


৭. পেশিশক্তি কাকে বলে ? 

উঃ । সংকোচনের মাধ্যমে বাধার বিরুদ্ধে পেশি বা পেশিসমূহের কাজ করার সক্ষমতাকে পেশিশক্তি বলা হয় । ওজন তোলার ক্ষেত্রে পেশিশক্তি ব্যবহৃত হয় । 


৮. পেশি - সহনশীলতা কী ?

 উঃ । বাধার বিরুদ্ধে পেশি বা পেশীসমূহের দীর্ঘক্ষণ কাজ করার সক্ষমতাকে পেশি - সহনশীলতা বলা হয় । এটি এমন একটি ক্লান্তি প্রতিরোধক সক্ষমতা যা অনবরত একই হারে শক্তি উৎপন্ন করতে সহায়তা করে । দূরপাল্লার দৌড়ে পেশি সহনশীলতা ব্যবহৃত হয় ।


 ৯. নমনীয়তা বলতে কী বোঝায় ?

 উঃ । শরীরের অস্থিসন্ধির যথেষ্ট সহনশীল মাত্রায় সঞ্চালন করার সক্ষমতাকে নমনীয়তা বলা হয় । বিভিন্ন খেলা , ব্যায়াম , বিশেষ করে সাঁতার , জিমনাস্টিকস ইত্যাদির ক্ষেত্রে নমনীয়তা অত্যন্ত প্রয়োজন । 


১০. ক্ষমতা বলতে কী বোঝায় ? 

উঃ । ক্ষমতা হলো পেশির এমন একটি সক্ষমতা যা দ্রুততার সঙ্গে পেশি সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে সর্ব্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে । গতিসঞ্চালনমূলক দক্ষতা অর্জনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেয় । দীর্ঘলম্ফন ও স্বল্পপাল্লার দৌড়ের আরম্ভের ক্ষেত্রে এই প্রকার সক্ষমতার বিশেষ প্রয়োজন । 


১১. সমন্বয় সাধন কী ? এর প্রয়োজনীয়তা কী ? 

উঃ । শারীরিক সক্ষমতার অন্যান্য উপাদানগুলো যখন সংঘবদ্ধভাবে কাজ করে এবং এর ফলে যে অঙ্গসঞ্চালনগত দক্ষতা আসে তাকে সমন্বয়সাধন বলা হয় । সমন্বয়সাধন ছাড়া কোনো কাজই সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব নয় । কারণ ব্যক্তির সাফল্য শারীরিক সক্ষমতার উপাদানগুলোর সমন্বয় এবং মানসিক সমন্বয়ের উপর নির্ভরশীল ।



 ১২. ভারসাম্য কাকে বলে ? 

উঃ । যে কোনো অবস্থায় শরীরের অবস্থানকে সঠিকভাবে এবং প্রয়োজন অনুসারে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ধরে রাখার ক্ষমতাকেই ভারসাম্য বলা হয় । জিমনাস্টিকসের বিভিন্ন ভঙ্গিমার ক্ষেত্রে ভারসাম্য এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে । 


১৩. একীকৃত ক্রীড়া কাকে বলে ? 

উঃ । একীকৃত ক্রীড়া বা Inclusive Games & Sports বলতে বোঝায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সহ সকল ধরনের শিশু ও কিশোর সমভাবে বাধা দূরীকরণের মধ্য দিয়ে একই ধরনের ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করবে । 


১৪. স্থূলত্বের কারণ কী ? কীভাবে তা রোধ করা যায় ? 

উঃ । ২৫ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি বছর ০.৫-১.৫ কিলোগ্রাম মানুষের শরীরের ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । যৌবনকালে আমাদের যে খাদ্যাভ্যাস থাকে বেশি বয়সে তা ত্যাগ করতে না পারার ফলে অতিরিক্ত খাদ্যের কারণে দেহ স্থূল হয়ে পড়ে । বিজ্ঞানসম্মত শরীরচর্চা এই স্থূলত্ব রোধ করতে পারে । 


১৫. প্রতিবন্ধী কাকে বলা হয় ? 

 উঃ । যখন কোনো শিশু বা ব্যক্তি তার দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে সমর্থ হয় না , যখন তার মধ্যে শারীরিক , মানসিক , স্নায়বিক , সংবেদনগত , সামাজিক গুণাবলিগত দুর্বলতা স্থায়ীভাবে দেখা যায় , তখন তাকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা সম্পূর্ণ সক্ষম নয় এমন শিশু , ব্যক্তি বা প্রতিবন্ধী বলা হয় । 


১৬. অভিযোজিত শারীরশিক্ষা কাকে বলে ? 

উঃ । যে সমস্ত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সাধারণ শারীরশিক্ষার গতিশীল কার্যক্রমে নিরাপদ ও সফলভাবে অংশ নিতে পারে না , তাদের আগ্রহ , ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার দিকে লক্ষ রেখে বিভিন্ন ধরনের উন্নতিকারক কার্যক্রম , খেলাধূলা ও ছন্দবন্ধ শারীরশিক্ষার কার্যক্রমকে আভিযোজিত শারীরশিক্ষা বলে ।


❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর:

১. শারীরশিক্ষার সামাজিক প্রয়োজনীয়তা কী ? 

উঃ । সুস্থ সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তির সামাজিক গুণাবলির বিকাশ একান্ত প্রয়োজন । ব্যক্তিত্বের বিকাশ হয়ে থাকে আচার আচরণের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে । কোনো তৃপ্তিদায়ক কার্যকরী অভিজ্ঞতাই ব্যক্তির এই আচরণের পরিবর্তন ঘটাতে পারে । শারীরশিক্ষা হলো এমন একটি মাধ্যম যার মধ্য দিয়ে ব্যক্তি সহজেই সুস্থ অভিজ্ঞতা লাভ করে এবং তার সামাজিক গুণাবলির উন্নতি হয় । বর্তমান সমাজে মানুষের পারস্পরিক মূল্যবোধ , কর্তৃত্বকে শ্রদ্ধা জানানো , সহযোগিতা , সহানুভূতি প্রভৃতি ক্রমশ নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে । তাই মৌলিক গুণাবলির উন্নতির জন্য শারীরশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । 


২. সম্পূর্ণ সক্ষম নয় এমন ব্যক্তিদের সম্বন্ধে মানুষের ধারণার পরিবর্তন ও আধুনিক ভাবনা আলোচনা করো ।

 উঃ । সম্পূর্ণ সক্ষম নয় এমন ব্যক্তি বা প্রতিবন্ধীদের সম্পর্কে মানুষের আজকের ধারণা বহু বিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে । মানবসভ্যতায় আধুনিক ছোঁয়া লাগায় দেশ - বিদেশে প্রতিবন্ধীদের সম্বন্ধে দৃষ্টিভঙ্গির একটা বদল ঘটে । মানুষ বুঝতে পারে প্রতিবন্ধী হওয়া কোনো পাপ নয় , এটা তাদের পূর্বজন্মের কর্মফলও নয় , এটি নেহাতই বাস্তব । এরাও সমাজের একটা অংশ , এদেরও শিক্ষা , বাসস্থান , বিবাহ এবং সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপনের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে । এদের সমাজ থেকে দূরে সরিয়ে দিলে সমাজের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ব্যাহত হবে । তাই সমাজের মূল স্রোতে প্রতিবন্ধীদের ফিরিয়ে আনতে গড়ে উঠল বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা । প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যাতে সমাজের অন্য সকলের মতো সমাজে একসঙ্গে থেকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে তার জন্য বিভিন্ন সরকারি আইন প্রণয়ন করা হলো । তাদের জন্য বিভিন্ন সরকারি , বেসরকারি কর্মসংস্থান গড়ে উঠতে লাগল । এইভাবেই প্রতিবন্ধীরা ধীরে ধীরে সমাজের একজন হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করল । 


৩. চাহিদা এবং প্রতিবন্ধকতার বিভিন্নতা অনুযায়ী সম্পূর্ণ সক্ষম নয় এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের কী কী ভাগে ভাগ করা যায় ? এর তালিকা দাও । 

উঃ । ( i ) শরীরের গঠন সংক্রান্ত অভাব / দুর্বলতা— যে সমস্ত ব্যক্তির শরীরে গঠনগত সমস্যা বা দুর্বলতা রয়েছে , যেমন — চলনগত সমস্যা , দর্শনে দুর্বল ব্যক্তি , শ্রবণে দুর্বলতা ইত্যাদি — তারা এই পর্যায়ের অন্তর্গত । ( ii ) শরীরে যন্ত্র ও তন্ত্রের কার্যক্ষমতা সংক্রান্ত দুর্বলতা । ( iii ) স্নায়বিক দুর্বলতা — যে সমস্ত ব্যক্তিদের স্নায়ুগত দুর্বলতা দেখা যায় , যেমন সেরিব্রাল পালসি , অ্যালঝাইমার ইত্যাদি , তারা এই পর্যায়ের অন্তর্গত । ( iv ) সংবেদনগত দুর্বলতা 1 — যে সমস্ত ব্যক্তি সংকেতের প্রত্যুত্তরে সাড়া দিতে অক্ষম হয় তাদের সংবেদনগত দুর্বল বলে । যেমন — অটিজম । ( v ) মানসিক ও প্রাক্ষোভিক দুর্বলতা- যাদের মানসিক বিকাশ পর্যাপ্ত হয়ে উঠতে পারেনি এবং প্রাক্ষোভিক গুণগুলোর দুর্বলতা রয়েছে তারা এই পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত । যেমন — মনোবিকার , স্বল্প বা জড়বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি । ( vi ) আচরণগত অস্বাভাবিকতা / দুর্বলতা — উদ্‌বেগ , বিশৃঙ্খল খাদ্যাভ্যাস এবং সমাজবিরোধী আচরণ । 


৪. দর্শনে দুর্বল , শ্রবণে দুর্বল , এবং মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়া ব্যক্তিদের কীভাবে খেলাধূলা ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে ?

 উঃ । সম্পূর্ণ সক্ষম নয় বা দর্শনে দুর্বল ব্যক্তিদের শব্দ সৃষ্টিকারী বল বা খেলাধূলার সরঞ্জামের মাধ্যমে , ফুটবল , ভলিবল , ক্রিকেট ইত্যাদি খেলানো যেতে পারে । এক জায়গায় বসে বা দাঁড়িয়ে ছন্দমূলকগানের সঙ্গে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়ানো , সাঁতার কাটা , শটপাট , ডিসকাস , জ্যাভেলিন ইত্যাদি নিক্ষেপমূলক খেলাধুলা , বিভিন্ন প্রকার লম্ফন , দৌড় ইত্যাদি করানো যেতে পারে । যোগাসনে এই ধরনের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপযোগী । শ্রবণে সম্পূর্ণ সক্ষম নয় বা দুর্বল ব্যক্তিদের সাধারণ ব্যক্তিদের মতোই খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করানো যেতে পারে । যেমন ফুটবল , ভলিবল , বাস্কেটবল , হকি ইত্যাদি । কিন্তু সমস্ত বাঁশির ব্যবহারের জায়গায় পতাকা দেখিয়ে সংকেত করতে হবে । যোগ , সাঁতার , জিমনাস্টিকস , র‍্যাকেট গেম সমস্ত খেলাই এই ধরনের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত । যে সমস্ত ব্যক্তিরা মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়া , তাদের জন্য নিয়ম শিথিল করে বিভিন্ন বলগেম খেলানো যেতে পারে । এইভাবে নিক্ষেপ , লম্ফন , দৌড় ইত্যাদি খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে । বিভিন্ন বিনোদনমূলক খেলা , সহজ এবং আনন্দদায়ক খেলা এদের পক্ষে খুবই উপযুক্ত । 

No comments:

Post a Comment