তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করো
👉 ( তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর )
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
১. স্বাস্থ্যবিধানের ধারণাটি কী ?
উঃ । স্বাস্থ্যবিজ্ঞান হলো এমন একটি বিজ্ঞানসম্মত বিষয় যা জানলে শরীরকে সুস্থ , সুন্দর ও নীরোগ রাখা যায় । পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধান পালনের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ - প্রত্যঙ্গগুলির সঠিক যত্ন নেওয়া সম্ভব ।
২. স্বাস্থ্যবিধান কাকে বলে ?
উঃ । স্বাস্থ্যরক্ষ্ম ও রোগ প্রতিরোধের জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাকেই এককথায় স্বাস্থ্যবিধান বলা হয় । দেশের আপামর জনসাধারণ তথা সমগ্র সমাজকে সুস্থ ও সবল করে গড়ে তুলতে সার্বিক উন্নতির প্রথম ও প্রধান পদক্ষেপ রূপে স্বাস্থ্যবিধানের গুরুত্ব অপরিসীম ।
৩. মানব উন্নয়ন সূচক ( Human Development Index ) কাকে বলা হয় ?
উঃ । কোনো দেশের উন্নয়নের হার নির্ভর করে সেই দেশের জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান কত উন্নত তার ওপরে । একেই এককথায় মানব উন্নয়ন সূচক বলা হয় ।
৪. স্বাস্থ্যবিধানের অভাবজনিত রোগগুলি কী কী ?
উঃ । স্বাস্থ্যবিধানের অভাবজনিত রোগগুলি হলো – চর্মরোগ , ডায়ারিয়া , কলেরা , আমাশয় , হেপাটাইটিস , পোলিও , টাইফয়েড , কৃমি , আলসার , টিটেনাস , ম্যালরিয়া , ফাইলেরিয়া , এনকেফেলাইটিস , ডেঙ্গু , কালাজ্বর , চিকুনগুনিয়া , বার্ড ফু প্রভৃতি ।
৫. নির্মল গ্রাম পুরস্কার করে দেওয়া শুরু হয় ?
উঃ । সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান অভিযানের লক্ষ্যে পৌঁছোতে উৎসাহ দিতে ভারত সরকার ২০০৩ সালে নির্মল গ্রাম পুরস্কার চালু করেন । এটি প্রথম দেওয়া হয় ২০০৫ সালে ।
৬. নির্মল গ্রাম পুরস্কার কেন দেওয়া হয় ?
উঃ । সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান অভিযানে যে সব পঞ্চায়েত ও অন্যান্য সংস্থা গ্রামীণ এলাকায় উল্লেখযোগ্য কাজ করছে তাদের প্রচেষ্টা ও অবদানকে স্বীকৃতি দিতে নির্মল গ্রাম পুরস্কার দেওয়া হয় ।
৭. ক্লিনিক্যালি রক্তাল্পতা হয়েছে কিনা কীভাবে বোঝা যায় ?
উঃ । রক্ত পরীক্ষা করে যদি দেখা যায় যে রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক পরিমাণ অর্থাৎ ১০০ মিগ্রা রক্তে ১৩-১৪ মিগ্রা এর কম আছে , তাহলে অথবা লোহিত কণিকার সমষ্টির আয়তন দেখে রক্তাল্পতা হয়েছে কিনা বোঝা যায় ।
৮. আয়োডিন কী ?
উঃ । আয়োডিন হলো একটি প্রাকৃতিক অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক উপাদান যা মানুষের পুষ্টির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় , কিছু গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া আয়োডিনের জোগানের উপর নির্ভর করে ।
৯. আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ কীভাবে দূর করা যায় ?
উঃ । আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ করার একমাত্র উপায় হলো প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণ আয়োডিন গ্রহণ । মনে রাখতে হবে যে মানবশরীর সমস্ত আয়োডিন সংগ্রহ করে রাখতে পারে না । তাই প্রতিদিন আয়োডাইজড লবণের ব্যবহারই আয়োডিনের অভাবজনিত ক্ষতি দূর করতে পারে ।
১০. অস্থিমজ্জার কাজ ব্যাহত হলে কীভাবে রক্তাল্পতা ঘটে ?
উঃ । রক্তে একটি লোহিত কণিকার আয়ু ১২০ দিন । অস্থিমজ্জা তাকে পুর্নবার নিয়মিত ভাবে সরবরাহ করে লোহিত কণিকার , সংখ্যা ঠিক রাখে । তাই অস্থিমজ্জার কাজ ব্যহত হলে রক্তাল্পতা ঘটে থাকে ।
১১. শিশুর খাদ্যে দুধ ছাড়াও ডিমের কুসুম থাকা দরকার কেন ?
উঃ । দুধে লোহা বা আয়রণ নেই । জন্মের ছয় মাসের মধ্যে শিশুর দেহের সঞ্চিত লোহা ফুরিয়ে যায় । তাই শিশুর খাদ্যে দুধ না থাকলেও ডিমের কুসুম থাকা দরকার ।
১২. তামাক কী ? এতে কী থাকে ?
উঃ । তামাক হলো একপ্রকার মাদক দ্রব্য । এর মধ্যে থাকা বিষাক্ত উপক্ষারটি হলো নিকোটিন । তামাকের ধোঁয়ায় কার্বন মনোক্সাইড , কারবাজাল , ভিনাইল ক্লোরাইড প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থ থাকে ।
১৩. ধূমপানের ফলে পৃথিবীতে কী হারে মৃত্যু ঘটে ?
উঃ । পৃথিবীতে একশো কোটিরও বেশি মানুষ ধূমপানে আসক্ত এবং প্রায় প্রতি ২০ সেকেন্ডে একজনের তামাকের বিষক্রিয়াজনিত কারণে মৃত্যু ঘটে ।
১৪. ধূমপান থেকে কীভাবে ক্যানসার রোগ হতে পারে ?
উঃ । ধূমপানের ফলে কোশবিভাজন দ্রুত ও অনিয়ন্ত্রিত ভাবে হলে দেহে ক্যানসার নামক মারণব্যাধির সূত্রপাত ঘটে ।
১৫. ড্রাগ আসক্তি বলতে কী বোঝায় ?
উঃ । চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া যে ওষুধ বা ভেষজ অথবা ‘ ড্রাগ ’ মানসিক উত্তেজনার সৃষ্টি করে এবং সেই সব ওষুধগুলির উপর যখন মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে ভয়ানকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে , তখন সেই অবস্থাকে ড্রাগ আসক্তি বলা হয়ে থাকে ।
১৬. চলতি ড্রাগের নেশাগুলি কী কী ?
উঃ । গাঁজা , ভাং , মদ , আফিম , আফিমজাত ব্রাউন সুগার , হোয়াইট সুগার , হেরোইন ইত্যাদি । অপিয়েট ( মরফিন , পেথিডিন ) , কোকেন , কিটামিন , ডায়াজিপাম , মেপ্রোবামেট । সাইকোট্রপিক ওষুধ , যেমন এলএসডি , অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্ট - ডেপসোনিল ইত্যাদি হলো ড্রাগের নেশা ।
১৭. আয়োডিন লবন কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় ?
উঃ । আয়োডিন লবণ শুকনো ঢাকা দেওয়া পাত্রে সর্বদা রাখতে হবে যাতে জল হাওয়া না ঢোকে । ভিজে হাতে লবণ তোলা যাবে না । আয়োডিন লবণকে সবসময় আগুনের তাপ থেকে দূরে রাখতে হবে কারণ গরমে আয়োডিন উড়ে যায় ।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর :
১. ' দারিদ্য আনে অপুষ্টি ' — বুঝিয়ে লেখো ?
উঃ । স্বাধীনতার পরবর্তীকালে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য অনেক কর্মসূচি নেওয়া হলেও জনসাধারণের এক বিশাল অংশ দারিদ্র্যসীমার নীচে রয়ে গেছে । তার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অস্বাস্থ্য ও অশিক্ষা । সংক্ষেপে বলা যায় - দারিদ্র্য আনে অপুষ্টি ।
কুসংস্কার ও অশিক্ষার ফলে দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্যশিক্ষার অভাব এবং স্বাস্থ্যশিক্ষার অভাবে দেখা দিচ্ছে অপরিচ্ছন্নতা ।
অপরিচ্ছন্নতার মিলিত ফল অস্বাস্থ্য ও রোগপ্রবণতা ।
অস্বাস্থ্য ও স্থায়ী দারিদ্র্য রূপান্তরিত হচ্ছে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে ।
ভারতবর্ষে শিশুমৃত্যুর হার ৭৪ শতাংশ ।
অপুষ্টিতে ভোগে ৪৪ শতাংশ শিশু । যথাযথ স্বাস্থ্যবিধানের সাহায্যে যদি শিশুমৃত্যুর হার কমানো যায় এবং সেইসঙ্গে দেশের জনসাধারণের গড় আয়ও যদি বাড়ানো যায় তাহলে প্রত্যক্ষভাবে বাড়বে দেশের সামগ্রিক উন্নতি ।
২. স্বাস্থ্যবিধান ব্যবহার বিভিন্ন উপাদানগুলি কী কী ?
উঃ । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO ) র হিসাব অনুসারে গ্রামের দরিদ্র্য পরিবারগুলোতে চিকিৎসা - ব্যয়ের ৬০ শতাংশই খরচ হয় স্বাস্থ্যবিধানের অভাবজনিত জলবাহিত রোগের চিকিৎসায় । প্রতি বছর এইসব রোগের জন্য ২২ কোটিরও বেশি শ্রমদিবস নষ্ট হয় । সমাজের সর্বস্তরের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধান কর্মসূচির একশো শতাংশ বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করতে হবে ।
( i ) স্বাস্থ্যবিধান ব্যবস্থার বিভিন্ন উপাদানগুলো হলো মানুষের মলমূত্রের স্বাস্থ্যসম্মত নিকাশি ব্যবস্থা অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত শৌচালয়ের ব্যবহার সুনিশ্চিত করা ।
( ii ) আবর্জনা ও গবাদিপশুর মলমূত্রের স্বাস্থ্যসম্মত নিকাশির ব্যবস্থা করা । বাড়ির আবর্জনার প্রকৃতি অনুসারে দুটি পৃথক ভ্যাট তৈরি করা ।
( iii ) বর্জ্য ও উদ্বৃত্ত জলের নিরাপদ নিকাশি ব্যবস্থা ।
( iv ) নিরাপদ পানীয় জলের নিরাপদ উৎস , নিরাপদ পদ্ধতিতে সংগ্রহ , সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা ।
( v ) খাদ্য সুরক্ষা তথা গৃহের স্বাস্থ্যবিধান ।
( vi ) ব্যক্তিগত পরিষ্কার - পরিচ্ছন্নতা ।
( vii ) গ্রামের দূষণমুক্তি , পরিবেশের স্বাস্থ্যবিধান ।
৩. আয়োডিনের অভাব কেন হয় ?
উঃ । আয়োডিনের ঘাটতি একটি প্রাকৃতিক চক্রের মতো চলে । সমুদ্রের আয়োডিন সূর্যের আলোয় জারিত হয়ে উদ্বায়ী আয়োডিনে পরিণত হয় । আবহাওয়ার এই আয়োডিন বৃষ্টি বা তুষারপাতের ফলে মাটিতে ফিরে আসে এবং নদী বা হ্রদের মাধ্যমে আবার সমুদ্রের জলে ফিরে যায় । কিন্তু এটি যে পরিমাণে নষ্ট হয় , তার চেয়ে ফিরে আসে কম । এটি সংশোধনের কোনো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নেই । তাই জমিতে আয়োডিনের ঘাটতি থেকে যায় এবং জমির ফসলেও আয়োডিনের ঘাটতি থাকে ।
৪. শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে আয়োডিনের অভাবে কী কী রোগ হতে পারে ?
উঃ । আয়োডিনের অভাবে জীবনের বিভিন্ন সময়ে নানারকম শারীরিক রোগও হতে পারে । এগুলিকে বলা হয় । আয়োডিনের অভাবজনিত উপসর্গ । শিশুদের ক্ষেত্রে এর খারাপ পরিণাম সবচেয়ে বেশি । এর অভাবে শিশু জড়বুদ্ধি সম্পন্ন হয় । পড়াশুনো অন্যান্য ক্ষেত্রে খারাপ প্রদর্শন করে । আয়োডিনের অভাবে শিশুরা বামনও হতে পারে । শিশুর কথা বলা ও কানে শোনার অসুবিধা অথবা কথা বলতে না পারা , কানে শুনতে না পেতে পারে । এছাড়া , গলগণ্ড , চোখে ট্যারাভাব হতে পারে এবং শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ নাও হতে পারে । বয়স্কদের ক্ষেত্রে আয়োডিনের অভাবে কর্মক্ষমতা ও ইচ্ছার অভাব , স্থূলতা , গলগণ্ড , হঠাৎ গর্ভপাত , গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে ।
৫ . বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যবিধান করে নির্মল বিদ্যালয় গড়ে তুলতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার ?
উঃ । ( i ) বিদ্যালয়ের পানীয় জলের উৎস সর্বদা নিরাপদ ও সুরক্ষিত হতে হবে ।
( ii ) বালক ও বালিকাদের জন্য পৃথক শৌচাগার পরিচ্ছন্ন ও চালু থাকতে হবে এবং সেখানে জলের বন্দোবস্ত থাকতে হবে ।
( iii ) প্রতিটি শৌচাগারের ভিতরে বা নিকটে সাবান রাখতে হবে ।
( iv ) খাওয়ার আগে ও পরে এবং শৌচাগার ব্যবহারের আগে ও পরে , হাত অপরিষ্কার হলে হাত ধোয়ার জন্য সাবানের ব্যবস্থাসহ জলের সংস্থান , নলবাহিত জলের ব্যবস্থা , বেসিনের ব্যবস্থা প্রভৃতির বন্দোবস্ত সুনিশ্চিত করতে হবে ।
( v ) বিদ্যালয়ের ভিতরে কঠিন বর্জ্য পৃথকীকরণ দ্বারা পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথক জায়গায় ফেলা এবং পচনশীল বর্জ্য থেকে সার তৈরির ব্যবস্থা রাখতে হবে ।
( vi ) বিদ্যালয়ের পরিবেশ যেমন সবুজ হবে , তেমনি বিদ্যালয়ের পরিসরে ফুলের বাগান , সবজির বাগান , ফলের গাছ থাকবে এবং শিক্ষার্থীরা গ্রামবাসীদের সাহায্য নিয়ে জৈব সার দিয়ে ওই বাগানের পরিচর্যাও করবে । বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত নোংরা জল বাগানে ব্যবহার করে বাগান ও গাছগাছালির পরিচর্যায় পড়ুয়াদের শামিল করতে হবে ।
( vii ) বিদ্যালয়ের রান্নাঘরে ধোঁয়াহীন উনুন , শৌচাগারে পাম্প , বারান্দায় পাম্প , নলবাহিত জল প্রভৃতির অত্যাধুনিক সুবিধা থাকতে হবে ।
( viii ) বিদ্যালয়ে পানীয় মিড - ডে মিলের থালা - বাসন , চাল , ডাল , আনাজ , সবজি ধোয়ার জন্য সুরক্ষিত উৎসের জলের ব্যবস্থা করা । পড়ুয়ারা যেখানে মিড - ডে মিল খায় তার সার্বিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ।
( ix ) রান্নার কাজে যুক্ত মহিলাদের রান্নার আগে ও পরিবেশনের আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সুনিশ্চিত | করা ।
( x ) প্রতিদিন বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ , খাবার খাওয়ার ঘর , শৌচাগার ও পরিসর পরিষ্কার - পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।
( xi ) বিদ্যালয়ের প্রার্থনাসভা ও শ্রেণিপাঠের সময়ের মধ্যেও আবশ্যিক স্বাস্থ্যশিক্ষাদানের ব্যবস্থা রাখতে হবে ।
( xii ) নির্মল বিদ্যালয় অভিযানের প্রতিটি পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে হবে এবং এমনকি প্রয়োজনমতো নির্মল গ্রাম গড়বার কাজেও শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে ।
( xiii ) শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যবিধান কর্মসূচিতেও শামিল হতে হবে ।
৬. কী কী কারণে রক্তে লোহিতকণিকার বিনাশ ঘটে থাকে ?
উঃ । রক্তে লোহিতকণিকার স্বাভাবিক পরিমাণ ৪৫-৫০ লক্ষ / প্রতি ঘন মিলি । রক্তে লোহিতকণিকার এই স্বাভাবিক সংখ্যা কোনো কারণে কমে গেলে রক্তাল্পতা দেখা দেয় । হুকওয়ার্ম বা পরজীবী সংক্রমণ , ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগে লোহিত রক্তকণিকার দ্রুত বিনাশ ঘটে । সিক্ল শেল , অ্যানিমিয়া , থ্যালাসেমিয়া ইত্যাদি রোগের ফলে লোহিত কণিকার গঠন ত্রুটিপূর্ণ হয় এবং তা দ্রুত বিনষ্ট হয় ।
No comments:
Post a Comment