স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
ষষ্ঠ অধ্যায়
👉(ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা ভরদুপুরে প্রশ্ন উত্তর )
❐ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
১. কীসের আবিষ্কারে পরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তর আসে?
উঃ। চাকার আবিষ্কারে।
২. কোন্ উদ্দেশ্যে প্রথম রাস্তা তৈরি হয়?
উঃ। পথচারী ও যানবাহন উভয়ের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রাস্তা তৈরি হয়।
৩. রাস্তায় চলার নিয়মকানুন কেন তৈরি হয়েছে?
উঃ। পথচারীদের নিরাপত্তা দিতে ও দুর্ঘটনার হার কমাতে।
৪. কোথায় হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ ?
উঃ । স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, নার্সিংহোম ইত্যাদির সামনে হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ ।
৫. রাস্তার প্রকৃত বন্ধু কে?
উঃ। রাস্তার প্রকৃত বন্ধু ট্রাফিক পুলিশ।
৬. গাড়ি চালানোর সময় কোন্ জিনিস ব্যবহার করা বেআইনি?
উঃ। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বেআইনি। ৭. সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর ভারতে কত মানুষের মৃত্যু ঘটে? উঃ। প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে।
৮. মোটর ভেইকেলস্ আইন কবে সংগঠিত হয়?
উঃ। ১৯৮৯ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসরণ করে মোটর ভেহিকেলস আইন সংশোধিত হয় ১৯৯৪ সালে।
৯. চালকের গাড়ি লেনে রাখার ক্ষমতা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে কতটা কমে যায় ?
উঃ। মোবাইল ফোন টেক্সট করার সময় তা ৯১ শতাংশ কমে যায়।
১০. গাড়ি চালানোর সময় কী রকম মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকে এবং তা কত গুণ হতে পারে ?
উঃ। হ্যান্ডস ফ্রি বা হাতে ধরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সংঘর্ষের সম্ভাবনা চারগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
১. পথদুর্ঘটনা কী কারণে ঘটে থাকে?
উঃ। চূড়ান্ত গতির যানবাহনের ব্যবহার এবং গতিময় সামাজিক ব্যবস্থায় পথ দুর্ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমাজবদ্ধ মানুষের অসতর্কতা, অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং কর্তব্যে গাফিলতির কারণে পথ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
২. পথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্থকতা কীভাবে সম্ভব হবে?
উঃ। পথচলাকে নিরাপদ করতে বিভিন্ন আধুনিক ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে শুধু ব্যবস্থা হলেই হবে না তার যথোপযুক্ত সঠিক ব্যবহার চাই।
৩. পরিবহন চিহ্ন কাকে বলে ?
উঃ। যানবাহন চলাচলের মূল রাস্তায় এবং সন্নিকটে বিভিন্ন আকৃতির ছোটো ছোটো বোর্ডে ছবি বা চিহ্নের মাধ্যমে গাড়ির চালকদের উদ্দেশ্যে কিছু আইন এবং সতর্কতা সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রদান করা হয়ে থাকে। এগুলোকে পরিযান চিহ্ন বা Traffic Signs বলে।
৪. বাধ্যতামূলক চিহ্ন (Mandatory Signs ) : কাকে বলে? এটি কটি ভাগে বিভক্ত ও কী কী ?
উঃ। গোলাকৃতি বোর্ডের মধ্যে যে চিহ্নগুলো দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো হলো বাধ্যতামূলক চিহ্ন। এই চিহ্নগুলোর মাধ্যমে গাড়ির চালককে কিছু আইনের নির্দেশিকা দেওয়া হয়, যেগুলো গাড়ির চালকেরা মেনে চলতে বাধ্য।
বাধ্যতামূলক চিহ্ন (Mandatory Signs ) -কে আবার দুটি ভাগে বিভক্ত করা যায়।
(i) সদর্থক বাধ্যতামূলক চিহ্ন ও
(ii) নঞর্থক বাধ্যতামূলক চিহ্ন।
৫. সদর্থক বাধ্যতামূলক চিহ্ন (Positive Mandatory Sign) : কাকে বলে ?
উঃ। যে চিহ্নগুলোর Out line নীল রং দিয়ে ও মাঝের রং সাদা দিয়ে আঁকা তাকে সদর্থক বাধ্যতামূলক চিহ্ন (Positive Mandatory Sign) বলা হয়।
6. STOP ও Give Way চিহ্ন দুটির অর্থ কী ?
উঃ। Stop এর অর্থ দাড়াও, দেখে তারপর যাও। Give Way ছোটো রাস্তা থেকে কোনো বড়ো রাস্তায় উঠতে গেলে Signal Post-এ যদি এই চিহ্ন থাকে তবে চালককে বড়ো রাস্তার গাড়িগুলোকে আগে যেতে দিতে হবে, তারপর সুযোগ পেলে বড়ো রাস্তায় প্রবেশ করতে হবে।
৭. Restrictioned চিহ্নটির অর্থ কী?
উঃ। এটি একটি বিশেষ চিহ্ন যেখানে বৃত্তটি কালো রং দিয়ে আঁকা থাকে, ভিতরের রং থাকে সাদা এবং কালো রং-এর দাগ দ্বারা ভিতরের অংশটি কাটা থাকে। এর অর্থ রাস্তায় চলার সময় পূর্ববর্তী যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তার সমাপ্তি ঘটল।
৮. সতর্কতামূলক চিহ্ন (Cautionary Signs ) : কাকে বলে?
উঃ। ত্রিভুজাকৃতি বোর্ডের মধ্যে যে চিহ্নগুলো দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো সতর্কতামূলক চিহ্ন। এই ধরনের চিহ্নগুলো রাস্তার অসুবিধা বা সম্ভাব্য বিপদ সম্বদ্ধে আগাম সতর্ক করে দেয়।
(i) Guarded Level Crossing সুরক্ষিত (প্রহরারত) লেভেল ক্রসিং,
(ii) Unguarded Level Crossing সুরক্ষিত (প্রহরা বিহীন) লেভেল ক্রসিং,
(iii) Men at Work কাজ চলছে।
৯. রাস্তার নিয়মকানুনগুলি তৈরি করা হয়েছে কেন ?
উঃ। পথচারী ও যানবাহন উভয়ের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রথম রাস্তা তৈরি হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পথচারীদের জন্য ফুটপাথ তৈরি হয়। এই রাস্তায় চলার নিয়মকানুনগুলো তৈরি হয়েছে দুর্ঘটনার হার কমানো ও পথচারীদের নিরাপত্তাদের জন্য।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর :
১. মোটর সাইকেল ও মোটরযান ব্যবহারের নিয়মকানুনগুলি কী কী ?
উঃ। (i) সুস্থ দেহ ও মনে মোটর সাইকেল চালানো উচিত। মোটর সাইকেল চালানোর আগে যন্ত্রাংশগুলো অবশ্যই
পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
(ii) চালানোর সময় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের যাবতীয় নির্দেশ, সংকেত, চিহ্ন ও রাস্তার পাশের অঙ্কিত নির্দেশিকাগুলো মান্য করতে হবে।
(iii) নিয়ন্ত্রিত গতিবেগেই সবসময় চালানো উচিত যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
(iv),স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, থানা, প্রশাসনিক ভবন বা যে কোনো বাড়ির গেটের সামনে গাড়ি রাখা উচিত নয়।
(v) গাড়ি শুধুমাত্র পার্কিং করার নির্দিষ্ট স্থানেই রাখতে হবে।
(vi) স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, নার্সিংহোম ইত্যাদির সামনে হর্ণ বাজানো নিষিদ্ধ।
(vii) মোটর সাইকেলে সর্বাধিক দু-জন, তিনজন নয়; এই দুজনকেই অবশ্যই নির্দিষ্ট মানসম্পন্ন হেলমেট ব্যবহার করতে হবে।
(viii) মোবাইল ফোন ও ইয়ার ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ।
(ix) ধাক্কা এড়ানোর জন্য আগের গাড়ির সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।
(x) গাড়ি চালানোর সময় গল্প করা বা অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়া অনুচিত।
(xi) অনেকগুলো রাস্তার সংযোগস্থলে, বা ডাইনে-বাঁয়ে মোড় নেওয়ার সময় পথচারীর জন্য যে ক্রসিং আছে সেইসব জায়গায় গতি কমানো বাধ্যতামূলক।
(xii) কোনো গাড়িকে অতিক্রম করতে হলে ডান দিক দিয়েই করতে হবে, রাস্তার সংযোগস্থলে অতিক্রম করা নিষিদ্ধ।
(xiii) সর্বোপরি এটা সবসময়ই মনে রাখতে হবে যে ট্রাফিক পুলিশই রাস্তার প্রকৃত বন্ধু।
No comments:
Post a Comment