West Bengal বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের একটি গুরুত্ব পূর্ণ অধ্যায় বা কবিতা হলো "রূপনারানের কূলে" এই অধ্যায় থেকে কিছু বাছাই করা প্রশ্ন উত্তর নিচে আলোচনা করা হলো। দ্বাদশ শ্রেণির যেকোনো বিষয়ের অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর পেতে অনুসরণ করুন "psychoprincipal.com"।
১. এ জীবন'— হল –
ক. দুঃখের তপস্যা ,
খ. তপস্যা ,
৭. আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা ,
ঘ. আমৃত্যু তপস্যা
২. ‘ রূপনারানের কুলে ’ কবিতাটি যে কাব্য থেকে নেওয়া –
ক. মানসী
খ. বলাকা
প. শেষলেখা
ঘ. ‘ মহুয়া
৩. “ সত্যের দারুণ মূল্য’— পরের শব্দ দুটি –
ক. জানিবার তরে
খ. চিনিবার তরে
প. লাভ করিবারে
ঘ. বুঝিবার তরে
৪. ‘ চিনিলাম আপনারে — কবি কীভাবে নিজেকে চিনলেন ?
ক. দুঃখে - শােকে
খ. সুখে - আনন্দে
গ. বেদনায় - আঘাতে
ঘ. আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়
৫. ‘ সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করবেন —
ক. কবি স্বয়ং
খ. যে - কোনাে মানুষ
গ. মৃত্যুঞ্জয়ী বীর
ঘ. আত্মভােলা মানুষ
৬. সত্য কঠিন হলেও কখনও তা করে না—
ক. বিভ্রান্ত
খ. বনা
গ. আশাহত
ঘ. প্রতারণা
৭. ‘ রূপনারানের কূলে ’ জেগে ওঠার অর্থ –
ক. মােহমুক্ত হওয়া
খ. চেতনা ফিরে পাওয়া
গ. জীবনবােধে প্রাজ্ঞ হয়ে ওঠা
ঘ. মােক্ষলাভ
৮. ‘ রূপনারানের কূলে / জেগে উঠিলাম’– জেগে উঠে কবি কী জানলেন ?
ক. এ জগৎ দুঃখময়
খ. এ জগৎ আনন্দময়
প. এ জগৎ স্বপ্ন নয়
ঘ. এ জগৎ সত্য নয়
৯. “ জানিলাম এ জগৎ ” —
ক. মিথ্যা নয়
খ. নিদ্রা নয়
প. স্বপ্ন নয়
ঘ. কঠিন নয়
১০. “ সে কখনাে করে না বনা । ” — ‘ সে ’ বলতে বােঝানাে হয়েছে
ক. কঠিনকে
খ. মৃত্যুকে
গ. সত্যকে
ঘ. জীবনকে
১১. রূপনারানের কূলে ' কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে সেটি হল—
ক. প্রান্তিক
খ. জন্মদিনে
গ. শেষ লেখা
ঘ. শেষ সপ্তক
১২. রূপনারানের কূলে ' কবিতাটি মূল কাব্যগ্রন্থের কত সংখ্যক কবিতা ?
ক. ১১
খ. ১৩
গ. ১২
ঘ. ১৪
১৩. ' রূপনারানের কূলে ’ কবিতাটি রচিত হয় —
ক. ২৮ ও ২৯ মে , ১৯৪১
খ. ৩০ ও ৩১ মে , ১৯৪১
গ. ১৬ ও ১৭ মে , ১৯৪১
ঘ. ১৩ ও ১৪ মে , ১৯৪১
১৪. , রূপনারানের কূলে ' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন-
ক. জোড়াসাঁকোতে
খ. শান্তিনিকেতনে
গ. শিলাইদহে
ঘ. মংপুতে
১৫. কবি রবীন্দ্রনাথ জেগে উঠেছেন-
ক. গােদাবরীর কূলে
খ. কাবেরীর কূলে
গ. রূপনারানের কূলে
ঘ. দামােদরের কূলে
১৬. ' রূপনারানের কূলে কবিতায় রূপনারান হল- —
ক. বাংলার একটি নদী
খ. রূপময় জগৎ - সংসার
গ. কল্পলােক
ঘ. বৈতরণী
১৭. , রূপনারানের কূলে জেগে ওঠা বলতে এই কবিতায় বােঝানাে হয়েছে-
ক. দীর্ঘ ঘুম থেকে জেগে ওঠা
খ . অচৈতন্য অবস্থা থেকে জ্ঞান লাভ করা
গ. বাস্তব জীবনবােধে উন্নীত হওয়া
ঘ. মানসিকভাবে সচেতন হওয়া
১৮. , রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি অনুধাবন করলেন
ক. আকাশে মেঘ কেটে গেছে
খ. সূর্যালােকে চারদিক ঝলমল করছে
গ. নিদ্রাজগৎ আর বাস্তবজগতের প্রভেদ নেই
ঘ. স্বপ্নের জগৎ আর বাস্তবের বিস্তর তফাত
১৯. , “ রূপ - নারানের কূলে জেগে উঠিলাম , / জানিলাম .. ” — কবি কী জানলেন ?
ক. এ জগৎ স্বপ্নময়
খ. এ জগৎ মায়াময়
গ. এ জগৎ স্বপ্ন নয়
ঘ. এ জগৎ মায়ামুক্ত
২০. , রূপনারানের কূলে ' কবিতায় যে অক্ষরের কথা বলা হয়েছে তা-
ক. সােনার
খ. রক্তের
গ. জলের
ঘ. শিক্ষার
২১. কবি রবীন্দ্রনাথ নিজের রূপ দেখেছিলেন —
ক. দর্পণে
খ. হৃদয়ে
গ. রক্তের অক্ষরে
ঘ. পল্লিগ্রামে
২২. “ রক্তের অক্ষরে দেখিলাম ” —কী দেখলেন ?
ক. আপনার স্বপ্ন
খ. আপনার জগৎ
গ. আপনার বেদনা
ঘ. আপনার রূপ
২৩. , রক্তের অক্ষরে দেখিলাম’বলতে কবি বুঝিয়েছেন —
ক. জীবন রঙিন হয়ে দেখা দিল
খ. সুখস্মৃতিগুলি বর্ণময় হয়ে উঠল
গ. আঘাত - সংঘাতের যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে কবি দেখলেন
ঘ. সংগ্রামী জীবনের মধ্য দিয়ে কবি অনুভব করলেন
২৪. ‘ দেখিলাম আপনার রূপ ’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন-
ক. নিজের অপূর্ব সুন্দর রূপের সৌন্দর্য কবি অবলােকন করেছেন
খ. নিজের জীবনদর্শনের স্বরূপ উপলদ্ধি করতে পেরেছেন
গ. প্রকৃতির সঙ্গে নিজের রূপের মেলবন্ধন ঘটাতে পেরেছেন
ঘ. শাশ্বত সৌন্দর্যচেতনা উপলব্ধি করতে পেরেছেন
২৫. “ দেখিলাম আপনার রূপ ” —কীসে দেখলেন ?
ক. জীবনের মধ্যে
খ. সত্যের মধ্যে
গ. স্বপ্নের মধ্যে
ঘ. রক্তের অক্ষরে
২৬. “ চিনিলাম আপনারে ” —কবি কীভাবে নিজেকে চিনলেন ?
ক. দুঃখে শােকে
খ. সুখে আনন্দে
গ. বেদনায় - আঘাতে
ঘ. আঘাতে আঘাতে / বেদনায় বেদনায়
২৭. কবি রবীন্দ্রনাথের কাছে সত্যের স্বরূপ হল-
ক. দুর্বোধ্য ।
খ. জ্ঞেয়
গ. কঠিন
ঘ. ব্যাখ্যার অতীত
২৮. , রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি ভালােবাসলেন —
ক. জগৎকে
খ. আপনাকে
গ. সত্যকে
ঘ. কঠিনকে
২৯. “ কঠিনেরে ভালােবাসিলাম । ” — কবি কঠিনকে ভালােবেসেছেন , কারণ-
ক. সে বঞ্চনা করে না
খ. সে অপমান করে না
গ. সে আঘাত করে না
ঘ. সে সুন্দর
৩০. “ জানিলাম এ জগৎ ” —
ক. মিথ্যা নয়
খ. নিদ্রা নয়
গ. স্বপ্ন নয়
ঘ. কঠিন নয়
৩১. ‘ রূপনারানের কূলে ' কবিতায় কবির মতে এ জীবন হল —
ক. দুঃখ ভােগ করার জন্য
খ. দুঃখকে উপভােগ করার জন্য
গ. দুঃখকে অতিক্রম ক্লার জন্য
ঘ. দুঃখের তপস্যা করার জন্য
৩২. “ সে কখনাে করে না ” –
ক. ঘৃণা
খ. আঘাত
গ. বিশ্বাসঘাতকতা
ঘ. বঞ্চনা
২৩ , “ সে কখনাে করে না বনা । ” — ‘ সে ’ বলতে বােঝানাে হয়েছে—
ক. কঠিনকে
খ. মৃত্যুকে
গ. সত্যকে
ঘ. জীবনকে
৩৪. “ সত্য যে কঠিন , / কঠিনেরে ভালােবাসিলাম , ” — কারণ-
ক আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা এ জীবন
খ. মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করে দিতে হয়
গ. কঠিন সত্যকে না ভালােবেসে উপায় নেই
ঘ. সে কখনও বঞ্চনা করে না ।
৩৫. আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা ’ হল —
ক. জীবন
খ. ধর্ম
গ. কর্তব্য
ঘ. কর্ম
৩৬. কবির আজীবন দুঃখের তপস্যা করার কারণ—
ক. শ্রেষ্ঠ কবি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা
খ. মানবজাতির দুঃখমােচন
গ. সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করা
ঘ. এ জীবন দুঃখময়
৩৭. কবি রবীন্দ্রনাথ যা লাভ করার কথা বলেছেন , তা হল-
ক. সত্যনিষ্ঠা
খ. মূলধন
গ. সত্যের মূল্য
ঘ. সমাধান
৩৮. কবি রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন জীবনের সকল দেনা —
ক. মিটিয়ে দিতে
খ. মৃত্যুতে শােধ করতে
গ. জমা রাখতে
ঘ. গ্রহণ করতে
৩৯. মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ চেয়েছেন-
ক. জীবনের প্রশান্তি খুঁজতে
খ. জন্মান্তরে পৌঁছে যেতে
গ. সকল দেনা শােধ করতে
ঘ. নতুন অভিজ্ঞতা খুঁজে পেতে
৪০. “ রক্তের অক্ষরে দেখিলাম ”
ক. মৃত্যুর রূপ
খ. আপনার রূপ
গ. প্রকৃতির রূপ
ঘ. রূপনারানের রূপ
উত্তরঃ
১.গ ২.গ ৩.গ ৪.ঘ ৫.ক ৬.খ ৭.গ ৮.গ ৯.গ ১০.ক ১১.গ ১২.ক ১৩.ঘ ১৪.খ ১৫.গ ১৬.খ ১৭.গ ১৮.ঘ ১৯.গ ২০.খ ২১.গ ২২.ঘ ২৩.গ ২৪.খ ২৫.ঘ ২৬.ঘ ২৭.গ ২৮.ঘ ২৯.ক ৩০.গ ৩১.ঘ ৩২.ঘ ৩৩.গ ৩৪.ঘ ৩৫.ক ৩৬.গ ৩৭.গ ৩৮.খ ৩৯.গ ৪০.খ
❐ নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
১. রূপনারানের কূলে ’ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে ’ কবিতাটি শেষ লেখাকাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ।
২. রূপনারানের কূলে ’ কবিতাটির রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ করাে ।
উত্তরঃ শান্তিনিকেতনের উদয়নে অবস্থানকালে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মে এবং ১৪ মে এই দু - দিন ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ রূপনারানের কূলে ’ কবিতাটি রচনা করেন ।
৩. “ জেগে উঠিলাম ” —কে , কোথায় জেগে উঠলেন ?
উত্তরঃ রূপনারানের কূলে কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং রূপনারানের তীরে জেগে উঠলেন ।
৪ , “ জেগে উঠিলাম ” —জেগে উঠে কবি কী উপলব্ধি করেছিলেন ?
উত্তরঃ বক্তা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রূপনারানের কূলে জেগে উঠে উপলদ্ধি করলেন যে , ‘ এ জগৎ স্বপ্ন নয় ।
৫. “ জানিলাম এ জগৎ / স্বপ্ন নয় । ” — কখন কবি এ কথা জেনেছিলেন ?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবন - সায়াহ্নে যখন রূপনারানের কূলে জেগে উঠেছিলেন , তখনই জেনেছিলেন যে এ জগৎ স্বপ্ন নয় ।
৬. রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি কী জানলেন ?
উত্তরঃ রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি জানলেন যে , এ জগৎ স্বপ্ন নয় ।
৭. “ জানিলাম এ জগৎ / স্বপ্ন নয় । ” — কবির চোখে এ জগৎ কেমন ?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ রূপনারানের কুলে ’ জেগে উঠে জেনেছিলেন , যে জগতে তিনি ছিলেন তা স্বপ্ন নয় , তা আঘাত - সংঘাতে ভরা কঠিন বাস্তব ।
৮. “ দেখিলাম আপনার রূপ , ” — কবি কীভাবে এই রূপ দেখলেন ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রক্তের অক্ষরে নিজের এই রূপ দেখলেন ।
৯. “ রক্তের অক্ষরে দেখিলাম ” বলতে কীভাবে দেখার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে কবিতায় রক্তের অক্ষরে দেখিলাম ’ বলতে কবি যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মৃত্যুর অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন ।
১০ , “ চিনিলাম আপনারে ” —কে আপনারে চিনেছিলেন ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং আপনারে’অর্থাৎ নিজেকে চিনেছিলেন ।
১১. “ চিনিলাম আপনারে ” —এই চেনার স্বরূপ কী ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজেকে চেনার অর্থ আসলে সত্যের কঠিন অথচ যথাযথ স্বরূপকে চিনতে বা বুঝতে পারা ।
১২. “ চিনিলাম আপনারে ” —কবি কীভাবে নিজেকে চিনলেন ?
উত্তরঃ দ্বন্দ্ব - সংঘাতমুখর এই বাস্তব পৃথিবীতে কবি আঘাতে আঘাতে , বেদনায় বেদনায় নিজেকে চিনলেন ।
১৩. “ সত্য যে কঠিন ” —কবি সত্যকে কঠিন বলেছেন কেন ?
অথবা
রূপনারানের কূলে ' কবিতার কবি সত্যকে কঠিন বলেছেন কেন ?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ রূপনারানের কূলে কবিতায় সত্য কঠিন বলতে বুঝিয়েছেন যে , সত্য সব সময় কাঙ্ক্ষিত নাও হতে পারে ।
১৪. “ সত্য যে কঠিন ” —এ কথা বলেও সত্য সম্পর্কে কবির প্রতিক্রিয়া কী ?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার রূপনারানের কূলে ' কবিতায় সত্যকে কঠিন জেনেও তাকে ভালোবেসেছেন ।
১৫. “ সত্য যে কঠিন ” —তবু কবি সত্যকে ভালােবাসেন কেন ?
উত্তরঃ সত্য কঠিন জেনেও কবি সত্যকে ভালােবাসেন , কারণ সত্য কখনও বনা করে না ।
১৬. রূপনারানের কূলে ' কবিতায় কবি সত্যকে কোন্ বিশেষণে ভূষিত করেন ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে ' কবিতায় কবি সত্যকে ‘ কঠিন বিশেষণে ভূষিত করেছেন ।
১৭. “ সত্য যে কঠিন ” বক্তা সত্যের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছেন ?
উত্তরঃ বক্তা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যকে কঠিন জেনেও তাকে ভালােবেসেছেন ।
১৮. “ কঠিনেরে ভালােবাসিলাম ” কবি কেন কঠিন ’ - কে ভালােবাসলেন ?
অথবা
“ কঠিনেরে ভালােবাসিলাম ” কঠিনকে ভালােবাসার কারণ কী ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে ’ কবিতায় কবি ‘ কঠিন ’ - কে ভালােবেসেছিলেন কারণ কঠিনই হল সত্যের স্বরূপ এবং সে কখনও কাউকে বনা করে না ।
১১ , “ সে কখনাে করে না বঞ্চনা । ” বক্তা কে ?
উত্তরঃ রূপনারানের কূলে ’ কবিতায় উল্লিখিত পঙক্তিটির বক্তা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং ।
২০. “ সে কখনাে করে না বওনা । ” — এরূপ বলার কারণ কী ?
উত্তরঃ সত্য যেহেতু মায়া বা স্বপ্ন নয় , তা কঠোর ও কঠিন বাস্তব , তাই তা কাউকে । মােহাবিষ্ট বা স্বপ্নবিষ্ট করে প্রবঞ্চনা করে না ।
২১. “ সে কখনাে করে না বঞ্চনা । ”- -কে কখনও করে না বঞ্চনা ?
উত্তরঃ রূপনারানের কূলে ’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানিয়েছেন যে , কঠিন । সত্য কখনও কবি তথা মানুষকে বর্ণনা করে না ।
২২. “ আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন ” কবি জীবনকে দুঃখের তপস্যা ’ মনে করেছেন কেন ?
অথবা ,
কবি জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন কেন ?
উত্তরঃ জীবনধারণ করতে গিয়ে প্রতিটি মানুষকেই প্রতিনিয়ত ব্যথা - বেদনা আঘাত দুঃখ - দুর্দশাকে বরণ করতে হয় বলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ রূপনারানের কুলে ’ কবিতায় জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন ।
২৩. , রূপনারানের কুলে ’ কবিতায় মৃত্যুতে সকল দেনা’কীভাবে শশাধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছিলেন ?
অথবা
, “ মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করে দিতে । ” — মৃত্যুতে সকল দেনা ’ কীভাবে শােধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছেন ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে ' কবিতায় আমৃত্যু দুঃখের তপস্যার মধ্য দিয়েই ‘ মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করা সম্ভব হবে বলে কবি মনে করেছেন ।
২৪. , রূপনারানের কূলে ’ কবিতায় কবি কীসের মূল্য লাভ করতে চেয়েছেন ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কুলে ' কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করতে চেয়েছেন ।
২৫... সকল দেনা শােধ করে দিতে । ” — “ সকল দেনা ’ বলতে কী বােঝ ?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার রূপনারানের কূলে কবিতায় সকল দেনা বলতে কোনাে মানুষ তার সারা জীবনে যা যা অর্জন করে , সেসবের কথা বলেছেন ।
২৬. “ সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে ” —সত্যের দারুণ মূল্য ’ বলতে কী বােঝ ?
উত্তরঃ সত্যের দারুণ মূল্য বলতে কবি অপ্রিয় ও কঠিন সত্যকে স্বীকার করার জন্য যে মনােবল ও নিরাসক্ত মনােভাবের প্রয়ােজন , তার কথা বলেছেন ।
২৭. সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে ’ কী ঘটেছে কবিজীবনে ?
উত্তরঃসত্যের দারুণ মূল্য লাভ করবার জন্য সারাজীবন ধরে দুঃখের তপস্যা করতে হয়েছে কবিকে ।
২৮. সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করার জন্য কী করতে হয় ?
উত্তরঃ সত্যের দারুণ মূল্য ’ অর্থাৎ প্রকৃত মূল্য লাভ করার জন্য আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা করতে হয় ।
২৯. কবি মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করে দিতে চান কেন ?
উত্তরঃ নিশ্চিন্তে মৃত্যুর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে চান বলেই কবি প্রকৃতি ও মানবসমাজের সকল দেনা শােধ করে দিতে চান ।
No comments:
Post a Comment