মানুষ প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা মানুষ প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Manush Question and Answer Madrasa (NCERT) - Psycho Principal

Fresh Topics

Monday, 3 February 2025

মানুষ প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | মাদ্রাসা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা মানুষ প্রশ্ন উত্তর | Class 6th Bangla Manush Question and Answer Madrasa (NCERT)

মানুষ 
প্রশ্ন উত্তর




👉(মনুষ্যত্ব প্রশ্ন উত্তর )


❐ নিচের শূন্যস্থানগুলি পূরণ করো:


1. নাই দেশ কাল ---- অভেদ ধর্মজাতি।

উত্তরঃ পাত্রের ভেদ।


2. ক্ষুধায় ----- দাঁড়ায় দুয়ারে পূজার সময় হল

উত্তরঃ ঠাকুর।


3. ভুখারি কহিল, 'না বাবা । -----  কহিল তা হলে  শালা, 

মোল্লা।


❐ সঠিক উত্তরটির পাশে (✔) টিক চিহ্ন দাও;

1.  সহসা বন্ধ হল (মসজিদ/মদির/গির্জা) ভুখারি ফিরিয়া চলে।

উত্তরঃ মন্দির।


2. তেরিয়া হইয়া হাঁকিল মোল্লা- (বিপদ/ জ্বালা/ঝামেলা) হল দেখি লেঠা।

উত্তরঃ  জ্বালা


3. 'ভুখা আছ, মর (শ্মশানে/গো ভাগাড়ে/কবরে) গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?'

উত্তরঃ  গো ভাগাড়ে।


❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি;


1.'তিনি মানুষের জ্ঞাতি'। তিনি কেতিনি মানুষের জ্ঞাতি হলে বিভেদ আর থাকে কি?

উত্তরঃ তিনি বলতে এখানে ক্ষুধার্ত মানুষকে বোঝানো হয়েছে।

এই ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিদ্যমান, এই ক্ষুধায় ঠাকুরের সেবা করা হলেই প্রকৃতি ঈশ্বরের সেবা করা হয় কিছু দূর্ভাগ্য মন্দির বা মসজিদের রক্ষকরা এই আসল দেবতার সেবা না করে ফল মূল বিভিন্ন সামগ্রী দেবতা উদ্দেশ্য দান করছে। তাই ঐ সমস্থ পুজার উপকরণ বা শিন্নি ঠাকুরের মুখের কাছে না ধরে, ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে ধরা হয় তাহলে আর কোন্ বিভেদ থাকে না।


2. কেন কবি সাম্যের গান গেয়েছে?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলাম 'মানুষ' কবিতায় দেখিয়েছেন যে, দেবতারা মন্দিরে বাস করেন, তার প্রতিনিধি রূপে পূজারি তার সব রকম সেবা করেন। বর্তমানে দীন-দরিদ্রের মধ্যেও সিমারেখা টেনে দেওয়া হয়েছে মন্দিরে তাদের কোনো স্থান নেই। পূজারির সমস্ত অধিকার আছে। আবার মুসাফির আজারির চিন পরিধান করে মোল্লা সাহেবের কাছে সাতদিন ভুখা থাকার কথা জানালে তখন মোল্লা সাহেব তাকে ভাগাড়ে গিয়ে মরতে বলেছিল। এ থেকে মোল্লা সাহেবের এক নিষ্ঠুর হৃদয়ের পরিচয় পাওয়া যায়। তাই কবি বলেছেন যেখানে মানুষের কোনো স্থান নেই সেখানে দেবতা থাকতে পারে না। তাই কবি সাম্যের গান গেয়েছেন। তিনি বলেছেন সব মানুষ সমান। সবার সমান অধিকার আছে। মানুষের মধ্যে ভেদ সৃষ্টি করা উচিত নয়।


3. কবিতাটির মধ্যে কবির যে মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে, তা পাঁচটি পঙ্ক্তিতে ব্যক্ত করো।

উত্তরঃ জাতি, ধর্ম, ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সকলে এক সঙ্গে থেকে প্রকৃত মানুষ হবার সময় এসেছে। একটি দীন-দরিদ্র ভিখারি জীর্নবস্ত্র পরিধান করে আছে এবং সে সাতদিন কিছু খায়নি বলে কিছু খাবার প্রার্থনা করেছে। সেই দৃশ্য দেখে পূজারি মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দিলেন। একইভাবে আজারির চিন গায়ে সেই মুসাফির মসজিদে খাদ্য চাওয়াতে তাকে মোল্লা সাহেব তাড়িয়ে দিল এবং ভাগাড়ে গিয়ে মরতে বলল। নামাজ না পড়ায় আশি বছরের বৃদ্ধের ধর মনে একটা কথা উদয় হল যে মসজিদে, মন্দিরে দেবতার কোন্ স্থান নেই। আছে পুরোহিত, মোল্লাদের অধিকার। এই মন্দির, মসজিদে স্বার্থের দরজা খুলে দিয়ে ভক্তদের সব তাড়িয়ে নিঃস্বার্থ পূজার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।


4. পান্থে ডাক শুনে পূজারী কী করলেন মুসাফিরের আবেদন শুনে মোল্লা সাহেব কি বলল?

উত্তরঃ একটি দীন-দরিদ্র ভিখারি জীর্নবস্ত্র পরিধান করে আছে এবং সে সাতদিন কিছু খায়নি বলে কিছু খাবার প্রার্থনা করেছে। সেই দৃশ্য দেখে পূজারি মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দিলেন। একইভাবে আজারির চিন গায়েসেই মুসাফির মসজিদে খাদ্য চাওয়াতে তাকে মোল্লা সাহেব তাড়িয়ে দিল এবং ভাগাড়ে গিয়ে মরতে বলল।

No comments:

Post a Comment