❐ নিচের শূন্যস্থানগুলি পূরণ করো:
1. আকাশ গাঙে ভাসিয়ে তরি ---- দেয় সবুজ পরি।
উত্তরঃ পিচকারি
2. ----- ছেলের গানগেয়ে ওই 'আইল' পথে বেড়ায় হাঁটি
উত্তরঃ কৃষাণ
3. 'ছাতিম' যেন বাঁকিয়ে ----- তাই দেখি আজ মুচকি হাসে।
উত্তরঃ ভুরু।
❐ সঠিক উত্তরটির পাশে (✔) টিক চিহ্ন দাওঃ
1. শরতেরি (বৃষ্টি/সৃষ্টি/মিষ্টি) হাওয়া বইছে সারা বাংলা জুড়ি।
উত্তরঃ মিষ্টি।
2. কমল ফুটায় দিঘিতে কে ছুঁইয়ে যেন (লোহার/র্ পার/সোনার) কাঠি।
উত্তরঃ সোনার।
3. ভূঁইচাঁপা আর হিজল নাচে (বেল/কাশ/চাঁপা) ফুলেরি মাঠের পাশে।
উত্তরঃ কাশফুলেরি।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি:
1. 'সোনার শরৎ' কবিতাটি কার লেখা?
উত্তরঃ বিখ্যত শিশু সাহিত্যিক কবি কাদের নওয়াজ এর লেখা।
2. কবিতাটির মাধ্যমে কবি কী বলতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতার মধ্যদিয়ে কবি শরৎ কালের বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন। শরৎকালে সবুজ ধানের খেতের উপর দিয়ে বাতাস ঢেউ খেলে যায়। গৌরি মেয়ে বেণী দুলিয়ে আঙিনায় শিউলি ফুল কুড়োয়া। কৃষাণের ছেলে গান গেয়ে পথে ঘুরে বেড়ায়। দিঘিতে পদ্ম ফুল ফুটেছে। জুঁই, চাপা, হিজল, কাশ ফুলে মাঠঘাট ভরে উঠেছে। পায়রারা বক্স বক্স ডাকে এবং শঙ্খচিল হাঁক দিয়ে বেড়ায়। সারাবাংলা জুড়ে শরতের মিষ্টি হাওয়া বইছে। ডালিম গাছে পাখিরা উড়ে যায়। কবি এবারে শরৎ কালকে ধান, দূর্বার হাতে ধরে বরণ করতে চেয়েছেন। তিনি আশা করেন এবার সোনার বাংলা শান্তি প্রীতির আবাসভূমি হবে এবং আবার সোেনার কমল তার হৃদয় বৃত্ত চুম্বন করে ফুটবে।
3. কোন্ আশায় বাঙালিরা শরৎকালকে বরণ করে?
উত্তরঃ বর্ষা বিদায়ের পর শরতের আগমন হয়। শরৎকালে বেশ কিছু মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। এই সময় সবুজ ধানের খেতে ঢেউ খেলে, পদ্ম, জুঁই, চাঁপা ইত্যাদি ফুল ফোঁটে। এছাড়া মাঠ ভরা কাশ ফুল বাঙালির হৃদয়ে যেন ঢেউ খেলে যায়। তাই এই মনোরম শরৎকে বরণ করতে যেন বাঙালি সারা বছর অপেক্ষা করে।
No comments:
Post a Comment