❐ সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করে লেখো:
১। (ভূমধ্যসাগর / আরবসাগর / বঙ্গোপসাগর) থেকে একশো মাইল পেরিয়ে আসছে মন্দমধুর ঠান্ডা হাওয়া।
উত্তরঃ ঐ ভূমধ্যসাগর থেকে একশো মাইল পেরিয়ে আসছে মন্দমধুর ঠান্ডা হাওয়া।
২। (উটের / বাঘের / বিড়ালের) চোখের ওপর হেডলাইট পড়াতে চোখ দুটো সবুজ হয়ে আমাদের চোখে ধরা দিয়েছে।
উত্তরঃ ঐ উটের চোখের ওপর হেডলাইট পড়াতে চোখ দুটো সবুজ হয়ে আমাদের চোখে ধরা দিয়েছে।
৩। ওই দেখো, অতি খানদানি (নিগ্রো/ ইংরেজ/ভারতীয়)।
উত্তরঃ ঐ ওই দেখো, অতি খানদানি নিগ্রো।
৪। সবাই প্রায় (ছয়/পাঁচ/চার) ফুট লম্বা।
উত্তরঃ ঐ সবাই প্রায় ছয় ফুট লম্বা।
❐ অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। জাহাজ কখন সুয়েজ বন্দরে পৌঁছাল?
উত্তরঃ সন্ধ্যের সময়।
২। ক্ষণে ক্ষণে কোথাকার রং বদলায়?
উত্তরঃ মরুভূমির
৩। 'কাফেলা কী?
উত্তরঃ উটের ক্যারাভান বা উঠের দল।
৪। 'রেস্তোরাঁ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ 'রেস্তোরাঁ হল হোটেল বিশেষ যেখানে খাওয়া দাওয়ার সঙ্গে রাত্রিযাপন ও বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকে।
৫। পিরামিড কি?
উত্তরঃ মিশরেয় রাজা বা অভিজাত ব্যক্তির মৃত্যুর পর সেই মৃতদেহের উপর ত্রিভুজাকৃতি যে বিশাল সৌধ নির্মাণ করা হত তাকেই পিরামিত বলে।
৬। কোন শহরকে নিশাচর শহর বলে?
উত্তরঃ কায়রো।
৭। ভূতের চোখের মতো কী জ্বলে?
উত্তরঃ উটের চোখ।
❐ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
১। মরুভূমি কাকে বলে?
উত্তরঃ সবুজ শ্যামলবিহীন বালুকাভূমিকে মরুভূমি যু বলে।
২। 'বেদুইন কাদের বলা হয়?
উত্তরঃ 'বেদুইন হল একপ্রকার যাযাবর জাতি।
৩। কায়রোর রান্নার বিশেষত্ব কী?
উত্তরঃ কায়রোর রান্নার বিশেষত্ব হল রান্নার খুশবাই বা সুগন্ধি।
৪। নিগ্রোরা দেখতে কেমন?
উত্তরঃ নিগ্রোরা কালো চামড়ার মানুষ। এদের কোঁকড়ানো কালো চুল, লাল ঠোঁট, বোঁচা নাক ও ঝিনুকের মতো দাঁত।
৫। মিশরীয় রান্নাকে ভারতীয় রান্নার মামাতো বোন বলা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ মিশরীয় রান্নার মেনুতে ভারতের মোগলাই রান্নার ন্যায় মুরগি মুসল্লম, শিক কাবাব, শামি কাবাব থাকে বলে মিশরীয় রান্নাকে ভারতীয় রান্নার মামাতো বোন বলে।
৬। সুদানবাসীদের চেহারার বিশেষত্ব কী?
উত্তরঃ সুদানবাসীদের দৈর্ঘ্য প্রায় ছয় ফুট। লম্বা লম্বা আল খাল্লা পরে বলে এদরেকে আরো লম্বা দেখায়। এদের দেহের রং ব্রোঞ্জের মতো নিগ্রোদের মতো এদের ঠোঁট পুরু নয় টকটকে লালও নয়।
৭। 'আমরা বন্দর ছেড়ে, মরুভূমিতে ঢুকেছি' -আমরা কারা? কোথাকার মরুভূমিতে ঢুকেছি?
উত্তরঃ 'আমরা' বলতে কথক ও তার বন্ধুদের বোঝানো হয়েছে। মিশরের মরুভূমিতে ঢুকেছে।
৮। 'ভয় পেয়ে গিয়েছিলুম।' কারা ভয় পেয়েছিলেন? ভয় পাওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ কথক ও তার বন্ধুরা ভয় পেয়েছিলেন।
উটের চোখে মোটরের হেডলাইট পড়ে চোখ দুটি সবুজ হওয়ায় ভূতের চোখ মনে করে ভয় পেয়েছিলেন।
৯। 'এরা ঠিক কতখানি উঁচু।' - কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের উচ্চতা সম্বন্ধে ধারণা করা যায় নাকেন?
উত্তরঃ এখানে মিশরের পিরামিডের কথা বলা হয়েছে।
পিরামিড তিনটির উচ্চতা আনুমানিক পাঁচশো ফুট, যা গল্পে শুনে বিশ্বাস তো করা যায় না। চোখে দেখলেও ধারণা করা যায় না।
১০। 'কায়রোতে বৃষ্টি হয় দৈবাৎ।' 'কায়রো কোথায়? এখানে দৈবাৎ বৃষ্টি হওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ 'কায়রো হল মিশরের রাজধানী।
কায়রো সম্পূর্ণ মরুভূমি এলাকা। এখানে গাছপালা খুব কম জন্মায়, বাতাসে জলীয়বাষ্প নেই বললেই চলে। এখানে বছরে দু-এক ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়, তার বেশি নয়। তাই 'দৈবাৎ' কথাটি বলা হয়েছে।
১১। 'কাজেই শোক করে কী লাভ?' বক্তা কে? কীসের জন্য শোক করে লাভ নেই?
উত্তরঃ বক্তাএখানে লেখক। ক্ষুধায় কাতর লেখকগণ যখন হোটেলে ঢুকলেন তখন বাঙালী খাবারের কথা মনে পড়ে, যেমন আতপ চালের ভাত, উচ্ছে ভাজা, সোনামুগের ডাল, পটল ভাজা, মাছের ঝোল, এক কথায় ঝোল ভাত। কিন্তু এ সব খাবার তো আর বিদেশে পাওয়া যায় না। তাই শোক করে আর লাভনেই বলে বক্তা মন্তব্য করেছেন।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১। মিশরকে নিলনদ ও পিরামিডের দেশ বলা হয় কেন?
উত্তরঃ মিশর মরুভূমির দেশ হলেও এর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নিলনদ খুবই আশ্চর্যজনক। নিলনদের দিকে তাকালে যেন চোখের পলক পড়বে না। মিশরকে নিলনদের দানও বলা হয় এই কারণে যে, মিশরের যাবতীয় কৃষিকার্য নীলনদের জলের উপর নির্ভর করেই হয়। এই জলকে সেচের কাজে লাগিয়ে চাষ করা হয়। নিলনদ না থাকলে এই চাষবাদ করা হত না।
মিশরে রাজা ও অভিজাত ব্যক্তিদের মৃতদেহের উপর মমি তৈরি এই মমিকে পিরামিডে রূপ দেওয়া হত কখনও কখনও। মিশরের যত্রতত্র এরূপ বিশাল বিশাল উঁচু ত্রিভুজাকৃত পিরামিড ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাই মিশরকে পিরামিডের দেশ বলে।
২। সমতলভূমি ও মরুভূমির মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে বলো।
উত্তরঃ সমতলভূমি উর্বর হয়, কৃষিকাজের উপযুক্ত কিন্তু মরুভূমির সর্বত্রকেবল বালি আর বালি। সমতলভূমি পরিবহনের পক্ষে উপযুক্ত, কিন্তু মরুভূমি তা নয়, এখানে যাতায়াত জন্য উটই সম্বল। সমতল এলাকায় জল কষ্টে ভুগতে হয় না। কিন্তু মরুভূমিতে জলের অভাবে তৃষ্ণার্ত পথিক সন্তানতুল্য উটের গলা কাটতেও দ্বিধা করে না। মরুভূমিতে বৃষ্টিপাত নেই বললেই চলে, কিন্তু সমতলে অল্প বৃষ্টিপাত প্রায়ই হয়।
৩। মরুভূমিতে একমাত্র উটই প্রধান ভরসা হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ মরুভূমির বালির মধ্যে যানবাহন চলা চল কষ্টকর। সেখানে জলের বড়ই অভাব। এছাড়াও মরুভূমির বালি ঝড়ে মানুষ পর্যন্ত ফিরে আসতে পারে না। কোথায় গিয়ে পৌঁছায় নিজেই কিছু ঠিক করতে পারে না। কেবল উটই সেই ঝড়কে অতিক্রম করে এগিয়ে আসতে পারে। উট অনেকদিন পর্যন্ত জল না খেয়ে থাকতে পারে। ফলে জলকষ্টে ভুগতে হয় না এবং উটে যিনি সওয়ার হন তাকেও জলের জন্য এদিক-ওদিক বেশি ছোটাছুটি করতে হয় না। নিজের জলটুকু থাকলেই যথেষ্ট।
❐ পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ:
(ক) বাক্যগঠন করো:
উত্তরঃ
বন্দর - বন্দরে জাহাজ নোঙর করাই স্বাভাবিক কাজ।
পিরামিড - মিশরের পিরামিড জগ্রৎবিখ্যাত।
গিসগিস - মেলায় লোক গিসগিস করতে দেখা যায়।
সিনেমা - সকলে এক জায়গায় বসে সিনেমা দেখতে বেশ লাগে।
চ্যাপ্টা - নিগ্রোদের অধিকাংশের নাক চ্যাপ্টা হয়।
(খ) সন্ধিযুক্ত ও বিচ্ছেদ করো:
উত্তরঃ
চন্দ্রালোক = চন্দ্র + আলোক;
ব্যবস্থা = বি + অবস্থা;
আহারাদি = আহার + আদি;
সপ্তাশ্চর্য = সপ্ত + আশ্চর্য।
(গ) রেখাঙ্কিত পদগুলির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো:
১। সন্ধ্যের ঝোঁকে জাহাজ সুয়েজ বন্দরে পৌঁছাল।
উত্তরঃ কর্তৃকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
২। শহরের বিজলি বাতি ক্রমেই নিষ্প্রভ হয়ে আসছে।
উত্তরঃ অধিকরণকারকে 'এর' বিভক্তি।
৩। চোখের সামনে দাঁড়িয়ে তিনটি পিরামিড।
উত্তরঃ কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
৪। সবাই নিকটতম রেস্তোরাঁয় হুড়মুড় করে ঢুকলাম।
উত্তরঃ কর্তৃকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
৫। কারণ সবাই তখন শুধায় কাতর।
উত্তরঃ করণকারকে 'য়' বিভক্তি।
No comments:
Post a Comment