👉(শব্দ ও পদ প্রশ্ন উত্তর part-3)
1. উপসর্গ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে অব্যয়সূচক শব্দাংশ ধাতু বা শব্দমূলের আগে বসে ধাতুর অর্থের পরিবর্তন ঘটায় এবং নতুন নতুন অর্থযুক্ত শব্দের সৃষ্টি করে তাদের উপসর্গ বলে।
2. উপসর্গ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ উপসর্গ শব্দের অর্থ পূর্বে বসে নতুন শব্দ সৃষ্টি করা।
3. উপসর্গের কাজ কী?
উত্তরঃ উপসর্গের কাজ হল ধাতু বা শব্দমূলের অর্থের পরিবর্তন, সংকোচন বা প্রসারণ এবং শব্দার্থের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ ঘটিয়ে নতুন অর্থযুক্ত শব্দ সৃষ্টি করা।
4. উপসর্গ ব্যাকরণের কোন অংশের মধ্যে পড়ে?
উত্তরঃ উপসর্গ ব্যাকরণের রূপতত্ত্ব অংশের মধ্যে পড়ে।
5. চারটি বাংলা উপসর্গের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ অ-অনড়, অনা-অনাবৃষ্টি, আ-আচমকা, কু-কুকথা।
6. চারটি বিদেশি উপসর্গের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ আম-আমজনতা, কার-কারচুপি, গর-গরহাজির, ব-বকলম।
7. সংস্কৃতে উপসর্গের সংখ্যা কটি?
উত্তরঃ সংস্কৃত উপসর্গের সংখ্যা কুড়ি।
8. একটি উপসর্গ দিয়ে চারটি শব্দ তৈরি করো।
উত্তরঃ প্র: প্রগত, প্রলয়, প্রকার, প্রতারণা।
9. চারটি ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ দিয়ে চারটি শব্দ তৈরি করো।
উত্তরঃ প্র: প্রগত, পরা: পরাজয়, অপ্: অপকার, সম্: সমাবর্তন।
10. 'আম' কখন উপসর্গ নয়?
উত্তরঃ যখন ফলকে বোঝায় তখন এটি উপসর্গ নয়, স্বতন্ত্র একটি শব্দ।
11. 'ফুলবাবু' এবং 'ফুল প্লেট' কোনটি উপসর্গ হিসাবে ব্যবহৃত?
উত্তরঃ 'ফুলবাবু' শব্দে 'ফুল' উপসর্গ। 'ফুল প্লেট' শব্দে 'ফুল' adjective বা বিশেষণ।
12. উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের একটি পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ উপসর্গ এবং প্রত্যয় উভয়ের ক্ষেত্রেই নতুন অর্থযুক্ত শব্দ সৃষ্টি হয়, কিন্তু উপসর্গ ধাতু বা শব্দমূলের আগে বসলেও প্রত্যয় এদের পরে বসে।
13. বরখাস্ত, প্রহার, অকাজ, অভিবাদন-কোন্টি কী কী উপসর্গের দৃষ্টান্ত?
উত্তরঃ বরখাস্ত-বর (ফারসি থেকে আগত বিদেশি উপসর্গ)
প্রহার-প্র (সংস্কৃত উপসর্গ)
অকাজ-অ (বাংলা উপসর্গ)
অভিবাদন-অভি (সংস্কৃত উপসর্গ)
14. তিনটি উপসর্গযুক্ত শব্দ দিয়ে একটি বাক্য লেখো।
উত্তরঃ এলাকার অধিবাসীরা ফি-বছর নিখরচায় বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করে।
15. বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি উপসর্গগুলি মূলত কোন্ কোন্ ভাষা থেকে এসেছে?
উত্তরঃ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি উপসর্গগুলি মূলত ফারসি এবং ইংরেজি ভাষা থেকে এসেছে।
16. 'ধাতু' বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ ক্রিয়াপদের মূল অবিভাজ্য অংশ হল ধাতু। ধাতুর মধ্যে ক্রিয়ার মূল অর্থটি থেকে যায়। যেমন-চলা, চলছে এই ক্রিয়াপদগুলির মূল অংশ 'চল্'। 'চল্' হল ধাতু।
17. মৌলিক ধাতু কী?
18. একদল ধাতু বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ অবিভাজ্য মৌলিক ধাতু একটিই দল নিয়ে গঠিত বলে সেটি একদল ধাতু। যেমন-দেখ, বল, খা ইত্যাদি।
19. মৌলিক ধাতুর অপর নাম কী?
উত্তরঃ মৌলিক ধাতুর অপর নাম একদল ধাতু বা সিদ্ধ ধাতু।
20. বহুদল বা সাধিত ধাতু বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ যে ধাতু একাধিক দল নিয়ে গঠিত বা যাকে বিশ্লেষণ করলে একটি ধাতু এবং এক বা একাধিক প্রত্যয় পাওয়া যায়, তাদের বহুদল বা সাধিত ধাতু বলে। যেমন: কর্ (আ প্রত্যয়) করা, বল (আ প্রত্যয়) = বলা প্রভৃতি।
21. নামধাতু কাকে বলে?
উত্তরঃ বিশেষ্য বা বিশেষণ অর্থাৎ নামপদের সঙ্গে 'আ' প্রত্যয় যোগে যে ধাতু গঠিত হয় তাকে নামধাতু বলে।
যেমন-ঘুস্ + আ = ঘুসা, হাত্ আ হাতা।
22. মৌলিক ক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ মৌলিক ধাতুর সঙ্গে যখন ধাতুবিভক্তি যোগ করা হয়, তখন তাকে মৌলিক ক্রিয়া বলে। যথা: কর, দেখ, চল, খা, যা প্রভৃতি মৌলিক ধাতু এবং চল্ + ই; খাইতেছি প্রভৃতি মৌলিক ক্রিয়া।
23. নামধাতুজ ক্রিয়া বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ নামধাতুর সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়ে ক্রিয়াপদ গঠিত হলে, তাকে নামধাতুজ ক্রিয়া বলে। আঁচড়াল আঁচড়াল; চমকায় চমকায়।
24. প্রযোজক ধাতু বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ কর্তা যে ধাতুর দ্বারা অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার ক্রিয়াপদ গঠন করতে পারে সেটি প্রযোজক ধাতু। যেমন-দেখা (দেখানো), শোনা (শোনানো) ইত্যাদি।
25. ধ্বন্যাত্মক ধাতু বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ ধ্বন্যাত্মক শব্দের সঙ্গে প্রত্যয় যোগ করে যে ধাতু গঠিত হয় তাকে ধ্বন্যাত্মক ধাতু বলে। যেমন-ভনভনা, শনশন ইত্যাদি।
26. যৌগিক ক্রিয়া বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ অসমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে যা, আস্, ওঠ ইত্যাদি ধাতু যোগ করে যে ক্রিয়াপদ গঠন করা হয় তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন-উঠে পড়, দেখতে চল্ ইত্যাদি।
27. পঙ্গু ধাতু বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ কতকগুলি মৌলিক ধাতু আছে, যার সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত করে ক্রিয়াপদ গঠন করলে, সেই ক্রিয়াপদের সর্বকালের (অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ) রূপ পাওয়া যায় না, সেই ধাতুগুলিকে পঙ্গু ধাতু বা অসম্পূর্ণ ধাতু বলে। যথা: বাংলায় আছ, নহ, থাক্, যা, বট্ প্রভৃতি। এই ধাতুগুলির সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত করে যে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়, তাকে পঙ্গু ক্রিয়া বা অসম্পূর্ণ ক্রিয়া বলে। উদাহরণ: কে বট আপনি?
28. প্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দের পরে যুক্ত হয়ে নতুন নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলা হয়।
29. প্রত্যয় কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ প্রত্যয় দুই প্রকার-(ক) ধাতু প্রত্যয় বা কৃৎ প্রত্যয় (খ) শব্দ প্রত্যয় বা তদ্ধিত প্রত্যয়।
30. কৃৎপ্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রত্যয় মূল ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে ধাতু প্রত্যয় বা কৃৎ প্রত্যয় বলে।
যেমন: রাধ + উনি = রাঁধুনি।
31. তদ্ধিত প্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তরঃ মূল শব্দের সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে শব্দ প্রত্যয় বা তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।
যেমন: হাত + আ = হাতা।
32. কৃদন্ত শব্দ কাকে বলে?
উত্তরঃ কৃৎ প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দকে কৃদন্ত শব্দ বলে। যেমন দৃশ+ অক = দর্শক।
33. 'অনীয়' একটি কী ধরনের কৃৎ প্রত্যয়?
উত্তরঃ 'অনীয়' একটি সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়। যেমন: কৃ + অনীয় করণীয়।
34. ভাববাচ্যে কোন্ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ক্রিয়াবচক বিশেষ্য পদ গঠন করে?
উত্তরঃ ভাববাচ্যে 'অন' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য পদ গঠন করে।
35. প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ একটি প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দ হল-পথ + য়েয় = পাথেয়।
36. কোনো কিছু করা উচিত বা করার যোগ্যতা বোঝাতে কর্ম ও ভাববাচ্যে কোন্ প্রত্যয় যুক্ত হয়?
উত্তরঃ কোনো কিছু করা উচিত বা করার যোগ্যতা বোঝাতে কর্ম ও ভাববাচ্যে 'তব্য' প্রত্যয় যুক্ত হয়।
37. 'ইয়ু' প্রত্যয় কখন ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ প্রকৃতি বা স্বভাব বোঝাতে বা শীলার্থে কর্তৃবাচ্যে 'ইয়ু' প্রত্যয় হয়। যেমন: সহ + ইয়ু = সহিষ্ণু।
38. একটি 'শানচ্' প্রত্যয়যুক্ত শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ ) একটি 'শানচ্' প্রত্যয়যুক্ত শব্দ হল-দীপ্+ শানচ্ (মান) = দীপ্যমান।
39. একটি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়যুক্ত শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ একটি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়যুক্ত শব্দ হল-ভৃগু + য় = ভার্গব।
40. স্বার্ধিক প্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তরঃ মূল শব্দের সঙ্গে প্রত্যয় যোগ করলে যখন প্রত্যয়নিষ্পন্ন শব্দের কোনো পরিবর্তন হয় না তখন সেই প্রত্যয়কে স্বার্থিক প্রত্যয় বলে।
41. নির্দেশক প্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দিষ্টভাবে বোঝাবার জন্য যে বর্ণসমষ্টি প্রত্যয়ের মতো ব্যবহৃত হয় তাকে নির্দেশক প্রত্যয় বলে।
42. একটি নির্দেশক প্রত্যয়ের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ একটি নির্দেশক প্রত্যয়ের উদাহরণ হল টুকু-দুধটুকু খেয়ে ফেল।
43. একটি স্বার্থিক প্রত্যয়ের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ একটি স্বার্থিক প্রত্যয়ের উদাহরণ হল জমাট ই জমাটি। প্রয়োগ-অমন জমাটি আড্ডাটা মাঠে মারা গেল।
44. বৃত্তি অর্থে 'ই' প্রত্যয়ের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বৃত্তি অর্থে 'ই' প্রত্যয়ের উদাহরণ হল মাস্টার + ই = মাস্টারি।
45. উৎপন্ন অর্থে 'ঈ' প্রত্যয়যুক্ত শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ উৎপন্ন অর্থে 'ঈ' প্রত্যয়যুক্ত শব্দের উদাহরণ হল শান্তিপুর ঈ শাস্তিপুরী, বৃন্দাবন ঈ বৃন্দাবনী।
46. আছে অর্থে 'ইয়া' প্রত্যয়যুক্ত শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ মাটি ইয়া মাটিয়া > মেটে (চলিত ভাষায় অভিশ্রুতিতে 'ইয়া' 'এ' তে পরিণত হয়)
47. বিকরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রত্যয় যোগের আগে ধাতুর সঙ্গে অনেক সময় যে ধ্বনি যোগ করে নেওয়া হয় তাকে বিকরণ বলে।
যেমন-ভাঙ্ (ধাতু) আ (বিকরণ) ছি (প্রত্যয়) = ভাঙাছি।
48. তন্ধিতান্ত শব্দ কাকে বলে?
উত্তরঃ তদ্ধিত প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দকে তদ্ধিতান্ত শব্দ বলে। যেমন: ইতিহাস ইক ঐতিহাসিক।
49. 'ইয়ু' একটি কী ধরনের কৃৎ প্রত্যয়?
উত্তরঃ 'ইয়ু' একটি সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়। যেমন: বৃধ ইয়ু = বর্ধিষ্ণু।
50. তস্থিত প্রত্যয়ের অপর নাম কী?
উত্তরঃ তন্বিত প্রত্যয়ের অপর নাম শব্দ প্রত্যয়।
51. কৃৎপ্রত্যয়ের অপর নাম কী?
উত্তরঃ কৃৎ প্রত্যয়ের অপর নাম ধাতু প্রত্যয়।
52. 'ই' প্রত্যয় বাংলায় কী কী অর্থে ব্যবহৃত হয়? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ ই' প্রত্যয় বাংলায় (ক) ভাব অর্থে (খ) বৃত্তি অর্থে (গ) জ্ঞাত অর্থে এবং (ঘ) অন্যান্য অর্থে ব্যবহৃত হয়।
53. কালবাচক অব্যয়ের সঙ্গে কোন্ প্রত্যয় যুক্ত করা হয়?
উত্তরঃ কালবাচক অব্যয়ের সঙ্গে 'তন' প্রত্যয় যুক্ত করা হয়।
54. 'র' প্রত্যয় কটি অর্থে ব্যবহৃত হয় ও কী কী?
উত্তরঃ 'র' প্রত্যয় ছয়টি অর্থে ব্যবহৃত হয়। যথা- (ক) অপ অর্থে (খ) উপাসক অর্থে (গ) সম্বন্ধ অর্থে (ঘ) নিপুণ অর্থে (ঙ) ভাবার্থে এবং (চ) অন্যান্য অর্থে।
55. প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দ কাকে বলে?
উত্তরঃ ধাতু বা শব্দের সঙ্গে প্রত্যয় যোগে যে শব্দ গঠিত হয় তাকে প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দ বলে।
যেমন: পুরাণ স্লিক = পৌরাণিক।
56. দুটি বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়যুক্ত শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ গিরি-বাবু গিরি বাবগিরি। বাজ-গল্প বাজ গল্পবাজ।
57. দুটি বাংলা প্রত্যয়যুক্ত শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ খুঁজ+ অ = খোঁজ। আমি-পাক্ + আমি পাকামি।
58. দুটি কৃৎ প্রত্যয়, দুটি তদ্ধিত প্রত্যয় যোগে শব্দ গঠনের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ আনীয়, শানচ্-এই দুটি কৃৎ প্রত্যয় যোগে শব্দ গঠন করলে হয়-কৃ + অনীয় করণীয়, চল্ + শানছ = চলমান। মতুপ, গ্লি-এই দুটি তদ্ধিত প্রত্যয় যোগে শব্দ গঠন করলে হয়-বুদ্ধি মতুপ্ বুদ্ধিমান, রাবণ + ফ্রি রাবণি।
59. আগন্তুক বা কৃতঋণ শব্দকে কত ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
উত্তরঃ এই আগন্তুক বা কৃতঋণ শব্দ দুই শ্রেণির-(ক) দেশি (খ) বিদেশি।
60. নবগঠিত শব্দকে কত ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
উত্তরঃ নবগঠিত শব্দকে আমরা দু'ভাবে দেখাতে পারি। যেমন- (ক) অবিমিশ্র (খ) মিশ্র।
61. দ্রাবিড় গোষ্ঠী থেকে আগত কয়েকটি শব্দের নাম লেখো।
উত্তরঃ ইচলা (মাছ অর্থে), উলু (খড়), খাল, পিলে (ছেলেপিলে)।
62. অস্ট্রিক গোষ্ঠীর থেকে আগত কয়েকটি শব্দের নাম লেখো।
উত্তরঃ টঙ্গ, টাক, কুড়ি, খোকা।
63. বিদেশি শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যেসব শব্দ বিদেশি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে বিদেশি শব্দ বলে। যেমন-স্কুল, চেয়ার, আইন, চা, লুঙ্গি, গুদাম ইত্যাদি।
64. কয়েকটি পোর্তুগিজ শব্দের নাম লেখো।
উত্তরঃ আনারস-পোর্তুগিজ আনানস্ (annanas) > বাংলা আনারস (আনানস্-নস্ আনা)। আলমারি-পোর্তুগিজ আর্মারিও (armario) > বাংলা আলমারি (র্ ল; শব্দের দু'টি 'র'-এর মধ্যে একটি 'র' পরিবর্তিত হয়েছে 'ল'তে)। এছাড়াও বারান্দা, বাসন, বোতাম, বোমা, সাবান, তামাক, রেস্ত ইত্যাদি।
65. কয়েকটি ফারাসি শব্দের নাম লেখো।
উত্তরঃ শেমিজ, কার্তুজ, কুপন, রেস্তোরাঁ, আঁতাত, কাফে, ব্যালে ইত্যাদি।
66. কয়েকটি চিনা শব্দের নাম লেখো।
উত্তরঃ চা, তুফান, চিনি, কাগজ, লুচি ইত্যাদি।
67. কয়েকটি বুশ শব্দের নাম লেখো।
উত্তরঃ বলশেভিক, সোভিয়েত, স্পুটনিক ইত্যাদি।
68. কয়েকটি ইতালীয় শব্দের নাম লেখো।
উত্তরঃ ম্যাজেন্টা, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি।
69. শ্রদ্ধা ও জজিয়তি শব্দদুটি কী ধরনের শব্দ?
উত্তরঃ শ্রদ্ধা- তৎসম শব্দ। জজিয়তি-মিশ্র শব্দ।
70. খোঁপা ও সত্যি শব্দদুটি কী ধরনের শব্দ?
উত্তরঃ খোঁপা-দেশি শব্দ। সত্যি-অর্ধ তৎসম।
71. তোরঙ্গ ও এগারো শব্দদুটি কী ধরনের শব্দ?
উত্তরঃ তোরঙ্গ-বিদেশি শব্দ। এগারো-তদ্ভব শব্দ।
72. একটি মিশ্র ও একটি দেশি শব্দের উদাহরণ দাও।
উউত্তরঃ ) মিশ্র শব্দ-টিউশানি। দেশি শব্দ-ডাব।
73. একটি অর্ধ তৎসম ও একটি বিদেশি শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ অর্ধ তৎসম-ঘেন্না। বিদেশি-গোলাপ।
No comments:
Post a Comment