প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়রি "কর্ভাস" প্রশ্ন উত্তর নবম শ্রেণি বাংলা | নবম শ্রেনীর বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Class 9th Bangla Professor Shonkur Dayri Question and Answers Part-2 (MCQ, SAQ, DAQ) - Psycho Principal

Fresh Topics

Thursday, 24 April 2025

প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়রি "কর্ভাস" প্রশ্ন উত্তর নবম শ্রেণি বাংলা | নবম শ্রেনীর বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Class 9th Bangla Professor Shonkur Dayri Question and Answers Part-2 (MCQ, SAQ, DAQ)

 

প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়রি "কর্ভাস" 
প্রশ্ন উত্তর




👉(প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়রি "স্বর্ণপর্ণী" প্রশ্ন উত্তর part-3)


❐ কমবেশি ১৫টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও :


1. কোন্ ঘটনার ফলে শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে ধারণা বদলে গিয়েছিল?

উত্তরঃ ছোটোবেলায় শঙ্কুদের বাড়ির পোষা ময়নাটা ভূমিকম্প-ভূমিকম্প' করে চিৎকার করলেও তারা কিছু টের পায়নি। পরদিন কাগজ পড়ে তারা তা জেনেছিল। এই ঘটনা থেকেই শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে ধারণা বদলে যায়।


2.  বাবুই পাখির সহজাত কোন্ ক্ষমতা আমাদের বিস্মিত করে?

উত্তরঃ বাবুই পাখি সামান্য খড়-কুটোর সাহয্যে এমন সুন্দর বাসা বানায় যা আমাদের স্তম্ভিত করে।


3. অস্ট্রেলিয়ান ম্যালি-ফাউলের কোন্ আশ্চর্কৌশল জানা আছে?

উত্তরঃ ম্যালিফাউল ডিমে তা না দিয়ে বালি, মাটি ও গাছপালার সাহায্যে একটি এমন ঢিপি তৈরি করে, যার তাপমাত্রা আটাত্তর ডিগ্রি থাকে। আবাহাওয়ায় তারতম্যেও তা স্থির থাকে।


4. গ্রিব পাখি কীভাবে শত্রুর মোকাবিলা করে?

উত্তরঃ  কোনো এক অজ্ঞাত উপায়ে নিজেদের দেহ থেকে বাতাস বের করে দিয়ে শরীরের স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি বাড়িয়ে গলা অবধি জলে ভেসে গ্রিব পাখি শত্রুর মোকাবিলা করে।


5. শঙ্কুর অরনিথন যন্ত্রটি কেমন ছিল?

উত্তরঃ অরনিথন যন্ত্রটির দুটি অংশ। একটি অংশ খাঁচার মতো, যেখানে পাখিটি থাকবে। এ ছাড়া খাঁচার সঙ্গে বৈদ্যুতিক ব যোগাযোগ রাখবে দ্বিতীয় অংশটি, এখান থেকে জ্ঞান ও বুদ্ধি পাখির মস্তিষ্কে চালিত হবে।


6. শঙ্কুর অরনিথন যন্ত্রটি কেমন ছিল?

উত্তরঃ অরনিথন যন্ত্রটির দুটি অংশ। একটি অংশ খাঁচার মতো, যেখানে পাখিটি থাকবে। এ ছাড়া খাঁচার সঙ্গে বৈদ্যুতিক যোগাযোগ রাখবে দ্বিতীয় অংশটি, এখান থেকে জ্ঞান ও বুদ্ধি পাখির মস্তিষ্কে চালিত হবে।


7.  শঙ্কু তাঁর পরীক্ষায় ব্যবহারের জন্য কাকটিকে নির্বাচন করেছিলেন কেন?

উত্তরঃ কাকটি ঠোঁটে পেনসিল নিয়ে টেবিলে আঁচড় কাটত, দেশলাই থেকে কাঠি বের করে বাক্সের পাশে ঘষার চেষ্টা করত-কাকটির এই ধরনের কাজ করার আগ্রহ ও দক্ষতা দেখে শঙ্কু তাঁকে নির্বাচন করেছিলেন।


8. অরনিথনে ঢোকার পরে কাকটি কী করত?

উত্তরঃ  অরনিথনের বোতাম টিপলেই কাকটির চোখ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসত এবং নড়াচড়া বন্ধ করে স্থির হয়ে থাকত।


9. কাকটির নাম কী ছিল?

উত্তরঃ কাক জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম অনুসারে শঙ্কু এর নাম রেখেছিলেন কর্ভাস।


10. কর্ভাসের দু-সপ্তাহে কী অগ্রগতি হয়েছিল?

উত্তরঃ সহজ যোগ-বিয়োগ, নাম-পদবি, ইংরেজি কথা আর সংখ্যা এবং মাস-সন-তারিখের হিসেব রেখে কর্ভাস দু-সপ্তাহে অভাবনীয় উন্নতি করেছিল।


11. কর্ভাস অন্য কাকেদের চেয়ে আলাদা কীভাবে বোঝা গেল?

উত্তরঃ  শিমুল গাছে বাজ পড়ে একটি কাক মরে গেলে সব কাক সেখানে জড়ো হয়ে চিৎকার করে। কিন্তু কর্ভাস তখন এক মনে প্রাইম নাম্বার লিখে চলে।


12.  কর্ভাসের ওপর অরনিখন যন্ত্রের প্রয়োগের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেল কেন?

উত্তরঃ  কর্ভাসের মধ্যে আপনা-আপনিই মানবসুলভ বুদ্ধি জেগে উঠেছিল এবং বিভিন্ন বিষয়ে সে স্বল্প শব্দে উত্তর দিতেও পারত, তাই আর যন্ত্রের প্রয়োজন ছিল না।


13. দক্ষিণ আমেরিকা যাওয়ার সময় শঙ্কু খাবার হিসেবে কর্ভাসের জন্য কী বানিয়েছিলেন?

উত্তরঃ শঙ্কু কাকের পক্ষে পুষ্টিকর ভিটামিন দিয়ে তৈরি হোমিওপ্যাথিক বড়ির মতো মুখরোচক খাবার কর্ভাসের জন্য বানিয়ে নিয়েছিলেন।


14. প্লেনে কর্ভাসের আচরণ কেমন ছিল?

উত্তরঃ  প্রোফেসর শঙ্কু প্লেনে কর্ভাসের পরিচয় গোপন রাখতে চান বুঝে সে সাধারণ কাকের মতো আচরণ করেছিল।


15. চিলির পক্ষী সম্মেলনে কর্ভাস কী করেছিল?

উত্তরঃ  বিগত দু-মাসের অর্জিত শিক্ষা উপস্থিত সবাইকে দেখিয়ে কর্ভাস তাঁদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। এর ফলে ওখানকার কাগজে কর্ভাসের ছবি বেরোয়।


16.  জাদুকর আর্গাসের চেহারার বিবরণ দাও।

উত্তরঃ জাদুকর আর্গাসের নাক টিয়াপাখির মতো, মাঝখানে সিঁথি করা চুল পেছনে আঁচড়ানো, চোখে পুরু পাওয়ারের চশমা দিয়ে মণিগুলোকে দেখায় বিন্দুর মতো আর তার উচ্চতা প্রায় সাড়ে ছ-ফুট।


17. জাদুকর আর্গাসকে দেখে কর্ভাসের আচরণ কেমন ছিল?

উত্তরঃ কর্ভাস খাঁচা থেকে বেরিয়ে ঠোঁট দিয়ে ল্যাম্প নিভিয়ে ঘর অন্ধকার করে, তারপর খাঁচায় ফিরে ঠোঁট দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।


18. আর্গাস কত টাকা দিয়ে কর্ভাসকে কিনতে চেয়েছিল?

উত্তরঃ  আর্গাস দশ হাজার এসকুডো মানে প্রায় পনেরো হাজার টাকা দিয়ে কর্ভাসকে কিনতে চেয়েছিল।


19.  আর্গাস কীভাবে কর্ভাসকে চুরি করেছিল?

উত্তরঃ শঙ্কুর অনুপস্থিতির সুযোগে হোটেলে ঢুকে রুমবয়দের সম্মোহিত করে, আর্গাস খাঁচাসমেত কর্ভাসকে সেলোফেন ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়ে চলে যায় ।


20. আর্গাসের ম্যাজিকের মূল আকর্ষণ কী ছিল?

উত্তরঃ আর্গাসের ম্যাজিকের মূল আকর্ষণ ছিল পায়রা, মোরগ, সারস প্রভৃতি পাখিদের নিয়ে খেলা।


21. জাদুকর আর্গাস এককালে কাদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছে?

উত্তরঃ জাদুকর আর্গাস এককালে অনেকটা সময় জিপসিদের সঙ্গে কাটিয়েছে।


22. জাদুকর আর্গাসের গাড়ির কী হয়েছিল?

উত্তরঃ  জাদুকর আর্গাসের সিলভার ক্যাডিলাক গাড়ি রাস্তা থেকে সরে গিয়ে গাছের গুঁড়িতে ধাক্কা মেরেছিল।


23. কর্ভাস কীভাবে আর্গাসকে জব্দ করেছিল?

উত্তরঃ কর্ভাস জাদুকর আর্গাসের মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমা ঠোঁটে করে নিয়ে গাছের উঁচু ডালে উঠে পড়ে। প্রায় অন্ধ আর্গাস, পুলিশসহ শঙ্কুর হাতে ধরা পড়ে যায়।


24.  'আমি ভারী অপ্রস্তুতে পড়ে গিয়েছিলাম'-কে কেন অপ্রস্তুতে পড়ে গিয়েছিলেন?

উত্তরঃ  জাপানি পক্ষীবিজ্ঞানী তোমাসাকার ক্লান্তিকর একঘেয়ে ও এলোমেলো বক্তৃতা শুনে সবাই যখন অবাক তখন কর্ভাস, শঙ্কুর চেয়ারের হাতলে ঠোঁটতালি দিতে শুরু করায় সকলে হেসে উঠে।


❐ কমবেশি ৬০ শব্দের মধ্যে উত্তর দাও :


1. 'সেই থেকে পাখিদের বুদ্ধির দৌড় সম্পর্কে মনে একটা অনুসন্ধিৎসা রয়ে গেছে'-বক্তা কে? বক্তা কোন্ সময়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন? ১ + ২ = ৩

উত্তরঃ  উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হলে সত্যজিৎ রায়ের 'কর্ভাস' গল্পের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র শঙ্কুর।

শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে কৌতূহলটা ছিল বহুকালের। তাঁদের বাড়িতে একাট পোষা ময়নাও ছিল, যাকে তিনি বেশ কিছু বাংলা শব্দও পরিষ্কারভাবে উচ্চারণ করতে শিখিয়েছিলেন। পাখি সম্পর্কে তাঁর ধারণা ছিল, পাখি কথা বললেও তার মানে বোঝে না। কিন্তু তাঁদের পোষা ময়নার এক কান্ড দেখে তাঁর সব ধারণা বদলে যায়। তাঁরা ভূমিকম্প অনুভব করতে না পারলেও তাঁদের পোষা ময়না যে তা পেরেছে, এ কথা বুঝতে পারার পর থেকেই পাখিদের বুদ্ধি সম্পর্কে তাঁর অনুসন্ধিৎসা বাড়তে থাকে।


2.  'ম্যালি-ফাউল' পাখি কোন্ দেশের পাখি? তার বিশেষত্ব কী? ১+২ = ৩

উত্তরঃ 'ম্যালি-মাউল' পাখি অস্ট্রেলিয়াতে পাওয়া যায়।

এই পাখির একটা বিশেষত্ব এই যে এরা মাটিতে বাসা করে। বাসাটা বালি, মাটি আর উদ্ভিজ্জ দিয়ে তৈরি একটা ঢিপি, আর তার ভিতরে ঢোকার জন্য থাকে একটা গর্ত। এরা বাসার ভিতরে ডিম পাড়লেও ডিমে কিন্তু তা দেয় না। কিন্তু আমরা জানি উত্তাপ ছাড়া ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় না। বাসাটা এরা এমন একটা কৌশলে বানায় যে, ভিতরের তাপমাত্রা আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইটের এক ডিগ্রি এদিক ওদিক হতে দেয় না, তা বাইরের আবহাওয়া ঠান্ডা বা গরম যাই হোক না কেন।


3. 'গ্রিব' পাখির বিশেষত্ব কী?

উত্তরঃ 'গ্রিব' এক রহস্যময় পাখি। এই পাখি নিজেরা নিজেদের পাখা ছিঁড়ে খায় এমন কী বাচ্চাদেরও খাওয়ায়। তবে কেন খাওয়ায় তার উত্তর অজনা। আবার এই পাখিই জলে ভাসমান অবস্থায় শত্রুর আগমনের খবর যদি পায় তখন এক অজ্ঞাত উপায়ে নিজের দেহ ও পালক থেকে বাতাস বের করে দিয়ে শরীরের স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি বাড়িয়ে দিয়ে গলা অবধি জলে ডুবে ভাসতে থাকে থাকে।


4.  শঙ্কুর পাখি পড়ানো যন্ত্রটির নাম কী ও তার গঠন কেমন?

উত্তরঃ শঙ্কুর পাখি-পড়ানো যন্ত্রটির নাম হল 'অরনিথন' যন্ত্র।

সহজ পথে বিশ্বাসী মানুষ শঙ্কু। তাই তাঁর যন্ত্রটিও ছিল সহজ। যন্ত্রটির দুটি অংশ- একটি খাঁচার মতো। পাখি থাকবে সেই খাঁচার মধ্যে। খাঁচার সঙ্গে বৈদ্যুতিক যোগ থাকবে দ্বিতীয় অংশের এবং এই অংশটি থেকেই জ্ঞান, বুদ্ধি ইত্যাদি চালিত হবে পাখির মস্তিষ্কে।


5.  'কালতো একটা ব্যাপারে আমি রীতিমতো হকচকিয়ে গেছি-ব্যাপারটি উল্লেখ করো। ৩

উত্তরঃ  শঙ্কু যখন ল্যাবরেটরিতে তাঁর অরনিথন যন্ত্র নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন তখন খাবারের লোভে বহু পাখিই সেখানে ভিড় জমাত। তাদের মধ্যে একটি পাখি বিশেষভাবে তাঁকে আকর্ষণ করেছিল। সেটি হল একটা সাধারণ কাক। অন্যান্য কাকের চেয়ে সেটি একটু অন্যরকম। ঠোঁটে পেনসিল নিয়ে টেবিলে আঁচড় কাটতে শঙ্কু অবশ্য অন্য কোনো পাখিকে দেখেননি। যে ব্যাপরটায় শঙ্কু হকচকিয়ে গেছিল সেটি হল, তাঁর পরিচিত কাকটি একটা আধখোলা দেশলাইয়ের বাক্স থেকে ঠোঁট দিয়ে একটা কাঠি বার করে কাকটি তার মাথাটা বাক্সের পাশটায় ঘষছিল।


6. 'কর্ভাস যে এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়, তার স্পষ্ট প্রমাণ আজকে পেলাম।'-বক্তা কে? প্রসঙ্গ উল্লেখ করো। ১ + ২ = ৩

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটির বক্তা হলেন 'কর্ভাস' গল্পের অন্যতম চরিত্র বিজ্ঞানী-গবেষক প্রফেসর শঙ্কু। তিনি তাঁর নিজের গবেষণায় পক্ষি, কাক সম্পর্কে একথা বলেছেন।

একদিন যখন ভীষণ বজ্রপাতে বাগানের শিমূল গাছে বাজ পড়ে একটি কাক মারা যাওয়াতে অন্যসব কাক এসে জড়ো হয়ে চিৎকার করছিল, শঙ্কুর অরনিথন যন্ত্রের দ্বারা প্রশিক্ষিত পাখিটি তখন সেখানে অনুপস্থিত ছিল। কাকটি উত্তেজনায় এরকম উদাসীন থাকাতেই শঙ্কু বোঝাল যে, এ পাখিটি সাধারণ কাকের চেয়ে অন্য ধরনের।


7. এ থেকে একটা অনুমান করা যায় যে কাকটার শেখার আগ্রহ প্রবল'-কোন্ প্রসঙ্গে এমন উক্তি? ৩

উত্তরঃ  উদ্ধৃত অংশটি সত্যজিৎ রায়ের 'কর্ভাস' নামক রচনা

থেকে গৃহীত। শঙ্কু তাঁর ল্যাবরেটরিতে অরনিথন যন্ত্রের কাজ শেষ করেছেন। সেই বিশেষ কাকটি সকালেই তাঁর ঘরে প্রবেশ করে পাঁউরুটি খেয়ে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে, এমন সময় শঙ্কু খাঁচার দরজাটা খুলে দিলেন এবং দিতেই পাখিটা লাফাতে লাফাতে এসে তার মধ্যে প্রবেশ করল। এ থেকে প্রফেসর অনুমান করলেন যে, কাকটির শেখার আগ্রহ প্রবল।


❐ কমবেশি ১৫০ শব্দের মধ্যে উত্তর দাও :

1. 'অন্য প্রাণীর তুলনায় পাখির ক্ষমতা আরও বেশি, আরও বিস্ময়কর'-এই বক্তব্যের সমর্থনে শঙ্কু কী কী যুক্তি দিয়েছিলেন? ৫ 

উত্তরঃ শঙ্কু প্রথমেই বাবুইয়ের দৃষ্টান্ত দেন। সামান্য  খড়-কুটোর সাহায্যে তারা যে বাসা বানায় তা আমাদের বিস্মিত করে। একজন মানুষের পক্ষে এমন বাসা বানানো প্রায় অসম্ভব, আর যদি-বা সম্ভব হয় তাহলে মাসখানেকের অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রয়োজন হবে। এরপর তিনি অস্ট্রেলিয়ান ম্যালি-ফাউলের প্রসঙ্গে আসেন। তারা ডিমে তা দেয় না। তার বদলে বালি, মাটি ও উদ্ভিদ দলে দিয়ে ঢিপির মতো বাসা বানায়। বাইরের আবহাওয়ার তারতম্য সত্ত্বেও যার ভেতরের তাপমাত্রা আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইটের সম এদিক-ওদিক হয় না। আর ডিম ফুটে ছানা বেরনোর জন্য এই উত্তাপেরই প্রয়োজন হয়। পাখিদের আশ্চর্য রহস্যময় ক্ষমতা আরও আছে, যেমন গ্রিব। তারা যে কেন নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় এবং ছানাদের খাওয়ায় তা কেউ জানে না। আবার এরাই শত্রুদের হাত থেকে বাঁচতে দেহ ও পালক থেকে বাতাস বের করে শরীরের স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি বাড়িয়ে গলা অবধি জলে ডুবেও ভেসে থাকে। এ ছাড়াও যাযাবর পাখির দিকনির্ণয় ক্ষমতা, বাজপাখির শিকারের দক্ষতা, শকুনের ঘ্রাণশক্তি এবং বিভিন্ন পাখির সংগীতপ্রতিভা প্রভৃতির কথা বিবেচনা করেই শঙ্কু অন্য প্রাণীদের তুলনায় পাখিদের বিস্ময়কর ক্ষমতার প্রশংসা করেছেন।


2.  যে রকম চালাক পাখি, আমার পরীক্ষার জন্য একে ব্যবহার করতে পারলেই সবচেয়ে ভাল হবে'-পাখিটিকে শঙ্কুর চালাক বলে মনে হয়েছিল কেন? শঙ্কু কী পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন? ৪+১ = ৫

উত্তরঃ ছোটোবেলা থেকেই শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে কৌতূহল ছিল। সেই কৌতূহল আরো প্রকট হয়েছিল যখন তাদের বাড়ির পোষা ময়না ভূমিকম্পের আগাম খবর দিয়েছিল। পাখি সম্পর্কে গবেষণায় ইচ্ছা তাঁর বরাবরের। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর পোষা বেড়াল নিউটন। তবে ইদানিং পাখিদের সাথে নিউটনের সখ্যভাব দেখে শঙ্কু পুনরায় পাখি সম্পর্কে গবেষণা করতে উদ্যত হন। মানুষের বুদ্ধি পাখির মধ্যে সঞ্চারিত করার জন্য শঙ্কু তাঁর ল্যাবরেটরিতে পাখি-পড়ানোর যন্ত্র অর্থাৎ 'অরনিথন' যন্ত্রের গবেষণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই সময় প্রায় মাসখানেক ধরে তাঁর ল্যাবরেটরিতে যেসব পাখি খাবারের লোভে আসত, তিনি তাদের সকলকে মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করতেন। এদের মধ্যে একটি কাক শঙ্কুর নজরে আসে। তার হাবভাব একটু আলাদা এবং তার ডান চোখের নীচে একটা সাদা ফুটকি ছিল, সে ঠোঁটে পেনসিল নিয়ে টেবিলে আঁচড় কাটত, বিশেষত একদিনের ঘটনা খুবই বিস্ময়কর। কাকটি একটি আধখোলা দেশলাইয়ের বাক্স থেকে ঠোঁট দিয়ে কাঠি বের করে বাক্সের পাশটায় ঘষছিল। শঙ্কু বাধ্য হয়ে তাকে হুসহুস শব্দ করে নিরস্ত করতে কাকটি উড়ে জনালায় গিয়ে বসল এবং মুখ থেকে কয়েকটা শব্দ বের করল যার সাথে কাকের স্বাভাবিক শব্দের মিল নেই। শুনে মনে হল কাকটা বুঝি হাসছে। এর থেকেই শঙ্কুর পাখিটিকে চালাক ভবলে মনে হয়েছিল।

 শঙ্কু পরীক্ষা করতে চেয়েছিল সহজাত বুদ্ধির বাইরে তাকে নি কতদূর পর্যন্ত নতুন জিনিস শেখানো যায়, মানুষের জ্ঞান, মানুষের বুদ্ধি তার মধ্যে সঞ্চার করা যায় কি না এবং এমন জিনিস আবিষ্কার করা কী আদৌ সম্ভব-যার সাহায্যে এটি বাস্তবায়িত করা যায়।


3. 'অরনিথন যন্ত্রের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে'-অরনিখন যন্ত্রের প্রয়োজন হয়েছিল কেন? তার প্রয়োজন ফুরিয়েই বা গেল কেন? ৩+২=৫

উত্তরঃ  'অরনিথন' বা 'পাখি-পড়ানো' যন্ত্রের সাহায্যে শঙ্কু মানুষের বুদ্ধি ও জ্ঞান তথ্যের আকারে কর্ভাসের মধ্যে সঞ্চারিত করতে চেয়েছিলেন। তার শিক্ষা সহজ বাংলায় ভাষা জ্ঞান দিয়ে শুরু হয়েছিল। খাঁচায় ঢুকে সে চোখ বন্ধ করে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। কর্ভাসের শেখার আগ্রহ ছিল প্রবল। হপ্তা দুয়েকের মধ্যেই সে ইংরেজি কথা ও সংখ্যা, যোগ-বিয়োগ, নাম-পদবি, সন-তারিখ, মৌলিক সংখ্যা প্রভৃতি ঠোঁট দিয়ে লিখতে শিখে যায়। খব কর্ভাস একইসঙ্গে বেড়াল নিউটনের সঙ্গেও গড়ে তুলেছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। নিউটনের জন্য বাইরে থেকে সে সদ্য কাটা সত্ত্বে মাছের টুকরো নিয়ে হাজির হত। এইভাবে অল্প দিনের মধ্যেই পীড় অঙ্ক, জ্যামিতি, ইতিহাস, ভূগোল, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন প্রভৃতি কর্তা সব বিষয়েই, সংখ্যায় কিংবা অল্প শব্দে উত্তর দেওয়ার কৌশল অন্ধ-কর্ভাস রপ্ত করেছিল। তার মতো এমন শিক্ষিত পাখির নজির দিয়ে দুনিয়ায় দ্বিতীয়টি নেই। এইভাবে মানুষের বুদ্ধি ও জ্ঞান তথ্যের অন্ধক আকারে পাখির মস্তিষ্কে প্রয়োগ করার জন্য শঙ্কু অরনিথনের দেখে প্রয়োজন বোধ করেছিলেন।

বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যগত জ্ঞান ছাড়াও, কর্ভাসের মধ্যে যা নিজে থেকেই জেগে উঠেছিল, তা হল মানবসুলভ বুদ্ধি। শঙ্কু দৃষ্টান্তস্বরূপ বলেছেন, তিনি সানতিয়াগোর জন্য সুটকেশ গোছানো শেষ করে দেখেন, ঠোঁটে চাবিসহ কর্ভাস দাঁড়িয়ে। এই মনুষ্যসুলভ বিবেচনাশক্তি ও বিচক্ষণতা দেখেই শঙ্কু প্রশ্নে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছিলেন।


4. 'তার সঙ্গে বেরিয়েছে পেনসিল মুখে কর্ভাসের একটা ছবি'-কোথায় কর্ভাসের ছবি বেরিয়েছিল? এর কারণ কী ছিল? ১+৪ = ৫

উত্তরঃ  চিলির সানতিয়াগো শহরের 'কোরিয়েরে দেল সানতিয়াগো' নামক কাগজের সান্ধ্য সংস্করণে কর্ভাসের ছবিসহ খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

কর্ভাসের শিক্ষা শেষ হওয়ার পর শঙ্কু তাকে নিয়ে চিলির সানতিয়াগো শহরে বিশ্ব পক্ষিবিজ্ঞানী সম্মেলনে যোগ দেন। সেখানে প্রথমে পাখির মস্তিষ্ক বিষয়ে শঙ্কু একটি পেপার পড়েন। তারপর কর্ভাসকে নিয়ে লাইভ ডিমনস্ট্রেশন চলে এক ঘণ্টার উপর।

শঙ্কুর বক্তব্য, কর্ভাস উপস্থিত সকলের সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে শোনার পর হাততালির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠোঁট দিয়ে টেবিল ঠুকে করধ্বনির আওয়াজ করে। এরপর গত দু-মাসে সে যা যা শিখেছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উপস্থিত করে দর্শকদের অবাক করে দেয়। সভাশেষে অভ্যাগতরা সকলেই মানতে বাধ্য হল যে মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি এভাবে পাখির মধ্যে সঞ্চারিত করা যায়, তা কেউ কল্পনা করতেও পারেননি। এই অত্যাশ্চর্য ঘটনার স্বীকৃতি হিসেবে কর্ভাসের ছবিসহ খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল।


5.  'ওই পাখি আমার চাই প্রোফেসর'- বস্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে তাঁর এই উক্তি? শেষপর্যন্ত তিনি কী করেছিলেন? ১+২+২=৫

উত্তরঃ  উপরোক্ত উক্তিটির বস্তা চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস।

 আর্গাসের ম্যাজিকের বিশেষত্ব ছিল পাখির খেলা। তিনি খবরের কাগজে কর্ভাসের কীর্তিকলাপের খবর পড়ে মুগ্ধ হয়ে হোটেলে শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। রাত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ভদ্রতাবশত শঙ্কু তাঁকে ঘরে ডেকে পাঠান। আর্গাসের পীড়াপীড়িতে শঙ্কু কর্ভাসের খাঁচার দরজা খুলে দেন। কিন্তু বিরক্ত কর্ভাস খাঁচা থেকে বেরিয়ে ঠোঁট দিয়ে ঠুকরে আলো নিভিয়ে ঘর অন্ধকার করে দেয় এবং ফের ডানা ঝটপটিয়ে খাঁচায় ঢুকে, ঠোঁট দিয়ে টেনে খাঁচার দরজা বন্ধ করে। এর থেকে বোঝা যায়, সে অন্ধকার চায়-বিশ্রাম চায়। আর্গাস সামান্য পাখির এই কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে, যেনতেন প্রকারে কর্ভাসকে পাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছিল।

আর্গাস কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝতে পারে, শঙ্কু এবং কর্ভাস কেউই তার প্রস্তাবে রাজি নয়। তখন সে শঙ্কুকে সম্মোহিত করে কার্যোদ্ধার করতে চায়। কিন্তু আর্গাসের সম্মোহন ক্ষমতা শঙ্কুর ওপর কোনোরকম প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। সে কৃপণ হওয়া সত্ত্বেও কর্ভাসকে পাওয়ার আশায়, দশ হাজার এসকুডো অর্থাৎ পনেরো হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে কিনতে চায়। তবে এ সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে, পরদিন দুপুরে শঙ্কুর অনুপস্থিতির সুযোগে সে রুমবয়দের সম্মোহিত করে কর্ভাসকে চুরি করে।


6.  'শয়তান পাখি... কিন্তু কী অসামান্য তার বুদ্ধি!'-কোন্ প্রসঙ্গে কার এই উক্তি? এরপরের ঘটনাটি অতি সংক্ষেপে নিজের ভাষার লেখো। ৩+২=৫

উত্তরঃ  জাদুকর আর্গাস হোটেল থেকে কর্ভাসকে নিয়ে বেরিয়ে সানতিয়াগো ছেড়ে অদূরবর্তী শহর ভালপারাইজোর রাস্তা ধরে। কিন্তু পথে বুদ্ধিমান কর্ভাস খাঁচা থেকে বেরিয়ে আর্গাসের মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের অমূল্য চশমাটি খুলে নেয়। এর ফলে প্রায় অন্ধ আর্গাস গাড়ি নিয়ে রাস্তার পাশের গাছের গুঁড়িতে ধাক্কা মারে। তার পেছনে ধাওয়া করে আসা পুলিশ ও শঙ্কুদের কাছেও ধরা পড়ে যায়। সে আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে অন্ধের মতো এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে, আর সেই সঙ্গে কর্ভাসকে লক্ষ করে অশ্রাব্য গালি দিতে থাকে। এই সময়েই আর্গাস পাখিটির বুদ্ধির প্রশংসা করে ওপরের উক্তিটি করেছিল।

এসমস্ত ঘটনা চলাকালীন হঠাৎ শঙ্কু দেখেন বন্ধু গ্রেনফেল তাঁকে কিছু বলার চেষ্টা করছে। গ্রেনফেলের কথামতো রাস্তার উলটোদিকে তাকিয়ে দেখেন নেড়া অ্যাকোসিয়া গাছের সবচেয়ে উঁচু ডালে বসে তাঁর সন্তানতুল্য প্রিয় শিষ্য ও বন্ধু কর্ভাস। শঙ্কুর হাতছানি পেয়েই সে অক্লেশে নেমে এসেছিল মারসেডিসের ছাদে। তারপর ধীরেসুস্থে আর্গাসের মাইনাস বিশ পাওয়ারের সোনার চশমাটি ঠোঁট থেকে নামিয়ে রেখেছিল। যেন এর মূল্য কর্ভাসই সবচেয়ে ভালো জানে।


7.  কর্ভাসের মানবসুলভ বুদ্ধির পরিচয় কোন্ কোন্ ঘটনায় পাওয়া যায় লেখো।

উত্তরঃ  কর্ভাসের অঙ্ক, জ্যামিতি, ইতিহাস, ভূগোল, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নবিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভের পর শঙ্কু তার মধ্যে কিছু হিউম্যান ইনটেলিজেন্স বা মানবসুলভ বুদ্ধির প্রকাশ লক্ষ করে রীতিমতো হতবাক হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে সর্বপ্রথম উল্লেখ করা যায় শঙ্কুর সানতিয়াগোর পক্ষীবিজ্ঞানী সম্মেলনে যাওয়ার সময় সুটকেশ গোছানোর পর ঢাকনা বন্ধ করে তিনি দেখেন কর্ভাস মুখে করে সুটকেশের চাবি নিযে দাঁড়িয়ে আছে। আর বাড়ি থেকে বেরোবার সময় কর্ভাস যা করেছিল তা তো রীতিমতো মানুষকে হার মানিয়ে দেয়। শঙ্কু সে সময় দেখে কর্ভাস খাঁচার মধ্যে ছটফট করছে। খাঁচা খুলে দিতে সে শঙ্কুর লেখায় ঘরের দেরাজে ভীষণভাবে টোকা মারতে লাগল তখন শঙ্কু তা খুলে দেখেন তার পাসপোর্টটাই দেরাজে রয়ে গেছে। এ ছাড়া সানতিয়াগোতে শঙ্কুর বক্তৃতার সময় ঘর ঘুরে দেখা ও বক্তৃতা শেষে ঠোঁটতালি দেওয়া মনুষ্য সুলভ আচরণের দৃষ্টান্ত। হোটেলে জাদুগর আর্গাসের রাত্রি নটার সময় দেখা করতে এসে সময় নষ্ট করায় কর্ভাস খাঁচা থেকে বেরিয়ে আলো নিভিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এটা দেখা করার প্রকৃত সময় নয়। কর্ভাসের মানবসুলভ বুদ্ধির সবচেয়ে বড়ো দৃষ্টান্ত জাদুকর অর্গাস যখন হেটেলের ঘর থেকে তাকে চুরি করে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে যাচ্ছিলেন তখন সে জাদুগরের মাইনাস বিশ পাওয়ারের চশমাটা খুলে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, সে জানে এই দুষ্টু লোকটির চশমা ছাড়া চলে না একদণ্ড।


8.  জাদুকর আর্গাসের হাত থেকে শঙ্কু কর্ভাসকে কীভাবে উদ্ধার করেছিলেন লেখো। ৫

উত্তরঃ যে মুহূর্তে শঙ্কু দেখলেন যে, হোটেলের ঘরে কর্ভাস নেই তৎক্ষণাৎ তিনি একশো সাত নম্বর ঘরে গ্রেনফ্লোরের সাথে যোগাযোগ করে রিসেপশনে গেলেন এবং সেখানে গিয়ে জানালেন যে, আধঘণ্টা আগে একটা সিলভার ক্যাডিলাক গাড়িতে করে আর্গাস এসেছিলেন দশ মিনিটের মধ্যেই হাতে একটা সেলোফেনের ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যান। আর্গাসের গন্তব্যস্থল কোথায় তা কিন্তু হোটেল থেকে শঙ্কু জানতে পারেননি, তাই নিরুপায় শঙ্কু পুলিশ এবং একটা ভালো ড্রাইভার ও গাড়ি নিয়ে হাইওয়ে দিয়ে আর্গাসের খোঁজে রওনা দিলেন। কিছুটা গিয়ে তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়লেন আর্গাস কোন দিকে গেছে- উত্তরে লস আন্ডিজের দিকে না পশ্চিমে ভালপাইজারের দিকে। অবশেষে পেট্রোলের দোকান থেকে খোঁজ পান আর্গাসের ক্যাডিলাক ভালপাইজারের দিকেই গেছে। শঙ্কুর গাড়ি তখন তীর বেগে সে দিকেই অগ্রসর হয় এবং কিছুটা গিয়েই দেখতে পায় একটা ক্যাডিলাক গাছে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে আছে। কাছে গিয়ে শঙ্কু দেখে গাড়িতে কর্ভাস ও আর্গাস কেউ নেই। অল্পক্ষণ পরেই সব পরিষ্কার হল, শোরগোল, চিৎকার শুনে; যদিও কাউকে দেখা যাচ্ছিল না। হঠাৎ আবিষ্কৃত হল আর্গাস দু-হাতে রিভলবার নিয়ে এলোমেলো গুলি চালাতে চালাতে আসছে। তখন কারেরসের হুংকারে আর্গাস অস্ত্র নামিয়ে বলতে থাকে, পাখি কোথায় উধাও হল এবং তারিফ করতে থাকে তার বুদ্ধির। এমন সময় গ্রেনফেল অ্যাকেসিয়া গাছের মাথায় কর্ভাসকে আবিষ্কার করেন।

শঙ্কুর হাতছানিতে সে গোঁৎ খেয়ে মার্সিডিজের ওপর নেমে এসে মুখ থেকে অর্গাসের মাইনাস বিশ পাওয়ারের সোনার চশমাটা নামিয়ে রাখল।


No comments:

Post a Comment